Tom Jones - Henry Fielding - Summary in Bangla |
জনাব
অলওয়ার্দী একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক ও জমিদার, সমারসেটশায়ারে তার অবিবাহিত বোন ব্রিজেট
এর সাথে থাকেন। লন্ডন থেকে বাড়ি এসে তার ঘরে একটি ছোট্ট ফুটফুটে বাচ্চাকে আবিষ্কার
করলেন। তিনি এই বাচ্চার বাবা ও মাকে খুজে বের করার চেষ্ঠা করলে, গ্রামের জেনি জোনস নামক এক মহিলা চাপের মুখে স্বীকার
করতে বাধ্য হল যে, সে এই বাচ্চার মা। কিন্তু সে বাচ্চার পিতা কে সে ব্যাপারে কিছু বলতে একেবারেই নারাজ ছিল। জেনি জোনস
জনাব পারট্রিজ নামক এক স্কুল শিক্ষকের বাসায় পড়াশুনার জন্যে যাতায়াত করত। জেনির
বাচ্চার মা হিসেবে নিজেকে স্বীকৃতি দেয়ার পরে তার স্ত্রী মিসেস পারট্রিজ তার
স্বামীকে এই বাচ্চার পিতা হিসেবে সন্দেহ করে আর সে তার স্বামীর সাথে ঝগড়াঝাটি করে। অবশেষে বিচার নিয়ে
গেল জনাব অলওয়ার্দীর কাছে। তার বিচারের পর তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যায়। জনাব
পারট্রিজও মনের দুঃখে এলাকা ছাড়েন। জনাব অলওয়ার্দী জেনিকে গ্রামে পাঠিয়ে দিলেন এবং শিশুটিকে লালন পালন
করার ভার নিলেন আর নাম রাখলেন টম জোনস। অনেক গ্রামবাসী তখন জনাব অলওয়ার্দীর সমালোচনা করতে লাগল।
কিছুদিন
পরেই ব্রিজেটের সাথে জনাব ক্যাপ্টেন ব্লিফিলের দেখা। একে অপরের মাঝে জানাশোনা হওয়ার পর জনাব ব্লিফিল
তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিল আর ব্রিজেটও ছিল একপায়ে খাড়া। ব্রিজেট ও ব্লিফিল দম্পতি একটি সন্তান জন্ম
দেয়, তারও নাম রাখে ব্লিফিল। ক্যাপ্টেন ব্লিফিল
টমকে হিংসা করতেন। কারন সে হয়তো জনাব অলওয়ার্দীর সম্পদের অংশ পাবে। জনাব অলওয়ার্দীর সম্পদ নিয়ে চিন্তা করতে করতেই
ক্যাপ্টেন ব্লিফিল এক সময় মারা গেলেন।
বর্ণনাকারী(লেখক) এবার বছর বিশেক সামনে চলে
যান। বাংলা সিনেমার মত আমরাও দেখতে পাই, বেশ কয়েকজন নতুন চরিত্রের আবির্ভাব। এরা হল টম জোনস ও
ব্লিফিল আর সোফিয়া ওয়েস্টার্ন ও মলি সিগ্রিম। টম জোনস ও ব্লিফিলের শিক্ষার জন্যে
দুজন শিক্ষক রাখা হয়, তারা হল জনাব
থকাম ও স্কয়ার। উভয়েই বিপত্নীক ব্রিজেটের
মন জয়ে প্রত্যাশী কারন এতে করে অলওয়ার্দী পরিবারের সম্পদের একটা অংশ পাওয়ার
সম্ভাবনা আছে। যাই হোক এই শিক্ষকদ্বয় নায়ক টম জোনসকে একেবারেই দুই চোখে দেখতে পারে
না। এছাড়া টমের প্রতি বাড়ির মানুষের ঔদাসিন্যের কারনে সেও কিছুটা বখে গিয়েছে।
অন্যদিকে সকলের ভাল যত্নের কারনে ব্লিফিল এখন একজন ভালো মানুষ।
টমের সাথে
সবচেয়ে খাতির ছিল বাড়ির কাজের লোক ব্লাক জর্জ এর সাথে। মাঝে মাঝেই টমের নামে চুরির
মত কিছু জঘন্য অভিযোগ আসতে
লাগল। আসলে এসব অভিযোগ আসার কারন ছিল গরিব ব্লাক জর্জের পরিবার। টমের অপকর্ম গুলোর
উদ্দেশ্য ছিল তাদেরকে কিছুটা সাহায্য করা। টম একদিন এই সকল অপকর্মের কারন ব্লিফিলকে বলল আর
সেগুলো সে তার শিক্ষক জনাব থকামের মাধ্যমে অলওয়ার্দীর কাছে জানিয়ে দিল। ঘটনা জানাজানি হলে
সাধারন মানুষ তার প্রশংসা করে, কিন্তু জনাব
অলওয়ার্দী তার প্রতি রেগে যান।
টম তার
দিনের অধিকাংশ সময় প্রতিবেশী এক স্কয়ার জনাব ওয়েস্টার্ন এর সাথেই থাকেন।
জনাব
ওয়েস্টার্ন এর মেয়ে সোফিয়া ওয়েস্টার্ন টমকে ভালোবাসে। কিন্তু টম গোপনে আগেই ব্লাক
জর্জের মেয়ে মলি সিগ্রিমকে মন দিয়ে দেয় এবং তাদের মাঝে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফলে মলি গর্ভবতী হয়ে যায়। টম জনাব অলওয়ার্দীর কাছে অনুরোধ করে
মলি সিগ্রিমকে যেন জেলখানায় না পাঠানো হয় কারন টম তার পেটের সন্তানের পিতা।
এদিকে সে
সোফিয়ার প্রেমেও হাবুডুবু খায়। টম এক রকম উভয় সংকটে পড়ে যায়। মলি সিগ্রিমের প্রতি দায়িত্ববোধের থেকেই টম তার কাছে
যায়। তাকে কিছু অর্থ নিয়ে এখান থেকে চলে যাওয়ার প্রস্তাব দেয় টম। মলি রেগে গিয়ে তার সাথে ধস্তাধস্তি
করে। এক পর্যায়ে কামরার এক পাশের পর্দা সরে গেলে সেখানে সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় তার
শিক্ষক জনাব স্কয়ারকে আবিষ্কার করে। যা বোঝার বুঝে যায় টম। তখন মলি ও তার শিক্ষক
জনাব স্কয়ারের সাথে চুক্তি হয়, কেউ কারো
ব্যাপারে কোন কিছু বলবে না। মলিও টমের পিছু ছেড়ে দিবে। টম মলির বাসা থেকে বের হওয়ার সময় তার আরেক বোন তাকে জানায়, টমের আগের মলির
অন্য একটা ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
এসময় জনাব
অলওয়ার্দী অসুস্থ হয়ে যায়। আর তার বাড়ির সবাইকে উইল পড়ে শুনানোর জন্যে ডাকে। তিনি ব্লিফিলকেই
তার সম্পদের বেশির ভাগ দিয়েছেন। তবে টমকেও ভালো একটা অংশ দিয়েছেন। দুই শিক্ষক খুব মুষরে
পড়ে কারন তারা দুজনে ১ হাজার পাউন্ড করে পেয়েছে। এই সময় একজন উকিল
এসে তাদেরকে জানায় মিসেস ব্লিফিল মানে ব্রিজেট
অলওয়ার্দী লন্ডনে মারা গিয়েছে।
ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে জানায় জনাব অলওয়ার্দী প্রাথমিকভাবে ফারা
কাটিয়ে উঠেছেন। আনন্দে টম মদ খায় ও মাতলামী করে তারপর নদীর ধারে ঘুরতে যায়। এসময় মলির সাথে তার দেখা হয় ও পুরোনো
ভালোবাসা উথলে ওঠে ও তাদের মাঝে শয়তানী চিন্তা মাথাচাড়া
দিয়ে ওঠে। টম তখন তাকে নিয়ে একটু বনের ভেতরে প্রবেশ করতে থাকলে তাদের শিক্ষক জনাব
থকাম দেখে ফেলে। তার সাথে ছিল ব্লিফিল। সবাই মিলে মারামারি করে আর জনাব ওয়েস্টার্ন সেখানে এসে হাজির
হয় ও টমকে সাহায্য করে। চারজনে মারামারি করে রক্তারক্তি অবস্থা হয়। অন্যদিকে মলি সেখানে থেকে নিরাপদে পালিয়ে যায়।
এদিকে
সোফিয়ার ফুপু তাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। যার বাড়িতে ছোটবেলায় সোফিয়া কাটিয়েছে। এসময় সোফিয়া ও তার ফুপু সেখানে এসে উপস্থিত হয়। সোফিয়া- টমের গায়ের রক্ত দেখে
মূর্ছা যায়। তার ফুপু ভাবেন সে আসলে ব্লিফিলের গায়ের রক্ত দেখে ভয় পেয়েছে। তার ধারনা হয়, সোফিয়া জনাব ব্লিফিলের প্রেমে পড়েছে।
সে সোফিয়ার বাবাকে বলে সোফিয়া ব্লিফিলের প্রেমে পড়েছে এবং তারাতাড়ি তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করতে।
তারা জনাব ব্লিফিলের সাথে বিয়ের ব্যবস্থা করলে সোফিয়া ফুপুকে জানায় সে আসলে টমকেই ভালোবাসে। তারা
ফুপু তাকে বলে ব্লিফিলের সাথে বিয়েতে রাজি হতে কারন সে ভবিষ্যতে জমিদার হবে। যাই হোক সোফিয়া তার মতের উপর অটল থাকে। তার বাবা যখন
জানতে পারে সোফিয়া টমকে ভালোবাসে তখন টম তার শত্রুতে পরিণত হয়। এদিকে একদিন টম
সোফিয়ার সাথে দেখা করতে তার ঘরে আসে। পিছনে তাদের ঘরে তার বাবা ঢুকে পড়ে। বাবাকে
দেখে সোফিয়া মূর্ছা যায়। মি. ওয়েস্টার্ন তখন টমকে দেখে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে।
সোফিয়া অজ্ঞান না হলে হয়তো টমের অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। এ সময় ব্লিফিল জনাব
অলওয়ার্দীর আকছে টমের নামে নালিশ দেয় সে তাকে মলির সাথে অন্তরঙ্গ অবস্থায় পেয়েছিল।
টম তাকে আর তার শিক্ষক জনাব থকামকে অনেক মেরেছিল। থকাম তার বুকের মারের দাগ দেখায়।
এছাড়া জনাব অলওয়ার্দী অসুস্থ হওয়ার সময় খুশিতে টম মদ পান করেছিল বলেও অভিযোগ করেন।
এসময় জনাব ওয়েস্টার্ন তার কাছে বিচার নিয়ে আসে। জনাব অলওয়ার্দী টমকে বাড়ি ছেড়ে চলে
যেতে বলেন।
কপর্দকশূন্য টম
(রাস্তায় ৫০০ পাউণ্ড এর নোট পকেটের জিনিসপত্রের সাথে ফেলে দেয় টম) রাস্তায় রাস্তায়
ঘুরতে থাকে। ব্রিস্টলে তার সাথে মি. পারট্রিজের দেখা হয় এবং সেও তার সাথে একজন
অনুগত সহচর হিসেবে জুটে যায়। টম মিসেস ওয়াটার্স নামের এক মহিলাকে ডাকাতি ও ধর্ষনের
হাত থেকে উদ্ধার করেন( কতটা হাস্যকর একটা কাজ)। কাছেই শহরের সড়াইখানায় ওঠার পর মিসেস ওয়াটার্সের
প্ররোচনায় তার সাথে টমের অবৈধ সম্পর্কের শুরু হয়।
এদিকে
ব্লিফিলের সাথে বিয়ে ঠেকাতে সোফিয়া বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং একই সড়াইখানায় ওঠে আর
মিসেস ওয়াটার্সের সাথে রাতেরবেলায় তার অবৈধ অভিসার সম্পর্কে জানতে পারে। রাতে টম যেহেতু তার ঘরে ছিল না, এই সুযোগে সোফিয়া
তার বিছানায় নিজের মাফ ফেলে যায় যাতে করে টম বুঝতে পারে সোফিয়া তাদের আশেপাশেই
আছে। টম পরে নিজের কামরায় ঢুকে সেটা দেখতে পায় আর তখনি সোফিয়াকে খোজার জন্যে
বেরিয়ে পড়ে। এসময় ফিজপ্যাট্রিক নামে একজন আইরিশ ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে খুজতে আসেন
আর সোফিয়ার বাবা সোফিয়াকে খুজতে সেখানে এসে পড়েন। সোফিয়া লন্ডনে তার এক আত্নীয়ার
বাড়িতে ওঠার পরিকল্পনা করে রওয়ানা দেয়। সাথে ছিল মিস হ্যারিয়েট অর্থাৎ জনাব
ফিজপ্যাট্রিকের স্ত্রী। লন্ডনে সোফিয়া তার আত্মীয় মিস বেলাস্টোনের বাড়িতে ওঠে।
জনাব অলওয়ার্দী লন্ডনে আসলে সাধারনত মিস মিলারের বাসায় উঠতেন। তাই টম আর পারট্রিজ
মিস মিলারের বাসায়ই ওঠেন। এখানে জনাব নাইটিঙ্গেলের সাথে টমের পরিচয় হয়। সে তাকে
অনেক ক্ষেত্রেই সাহায্য করে। বিশেষ করে মিস বেলাস্টোনকে প্রেমের খেলা থেকে নিবৃত্ত
করতে নাইটিঙ্গেলের পরামর্শটা ভালোই কাজে দেয়।
টম খেয়াল করে
জনাব নাইটিঙ্গেল আর মিসেস মিলারের মেয়ে ন্যান্সি গোপনে অবৈধ কাজে লিপ্ত এবং একসময়
ন্যান্সি গর্ভবতী হয়ে যায়। টম তখন নান্সিকে বিয়ে করার জন্যে জনাব নাইটিঙ্গেলকে রাজি
করায়।
যাই হোক টম তখন
সোফিয়াকে খুজে বের করার জন্যে প্রথমে মিসেস হ্যারিয়েট এর সাথে, পরে মিসেস
বেলাস্টোনের সাথে প্রেমের অভিনয় করে, এমনকি বিছানায় যায়। যখন সোফিয়ার সাথে টম
পুনর্মিলিত হয়, তখন, নাইটিঙ্গেলের পরামর্শে টম মিস বেলাস্টোনের কাছে বিয়ের
প্রস্তাব দিয়ে চিঠি পাঠায়। চিঠি পেয়ে মিসেস বেলাস্টোন মনে করে তার সম্পদের লোভেই
বুঝি তাকে বিয়ে করতে চায় টম। তাকে তখন তার বাড়িতে যেতে মানা করে। কিন্তু সে কখনোই
চায় না টম আর সোফিয়ার মিলন ঘটুক। তাই সে লর্ড ফেলামার নামক আর একজন জমিদারকে
সোফিয়ার পিছনে লেলিয়ে দেয় এমনকি তাকে ধর্ষনের জন্যে লর্ড ফেলামারকে সুযোগ করে দেয়।
এই সময় আলাদা ভাবে জনাব ওয়েস্টার্ন, জনাব অলওয়ার্দী ও জনাব ফিজপ্যাট্রিক এসে
উপস্থিত হয়। জনাব ওয়েস্টার্ন সোফিয়াকে খুজতে খুঝতে মিস বেলাস্টোনের বাড়িতে এসে
পৌছায়, ঠিক যে সময় লর্ড ফেলামার সোফিয়াকে চুমু খাওয়ার জন্যে জোরাজোরি করছিল। লর্ড
ফেলামার খুব লজ্জিত হয়। জনাব ওয়েস্টার্ন তার কন্যাকে নিয়ে মিসেস মিলারের বাড়িতে
ওঠেন আর সোফিয়াকে ঘরে আটকে রাখেন।
টম হ্যারিয়েটের
বাসায় সোফিয়ার খোজে গেলে জনাব ফিজপ্যাট্রিকও সেখানে উপস্থিত হন। জনাব ফিজপ্যাট্রিক
টমকেই তার স্ত্রীর প্রেমিক ভাবে ও ডুয়েলের আহবান করে আগেই তার দিকে তরবারি দিয়ে
আঘাত করার চেষ্ঠা করে। টম নিজেকে বাচানোর জন্যে তাকে আঘাত করলে, সে মারাত্বকভাবে
জখম হয়। লর্ড ফেলামারের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয় ও টমকে খুনি হিসেবে আখ্যায়িত করে।
গ্রেফতার হয় টম। জেলখানায় তার সাথে পারট্রিজ দেখা করে একটা ভয়ঙ্কর সংবাদ দেয় আর তা
হল মিসেস ওয়াটার্স হল তার মা জেনি জোনস। তাকে ঈশ্বরের কাছে প্রায়শ্চিত্ত করতে বলে।
সে সময় মিস
ওয়াটার্স খ্যাত মিস জেনি জোনস জনাব অলওয়ার্দীর সাথে দেখা করে। তাকে তার নিজের
পরিচয় দেয়। তাকে জনাব ফিজপ্যাট্রিকএর ব্যাপারে বলে যে সে এখনো বেচে আছে এবং সুস্থ
হলে সে আবার টমের সাথে ডুয়েল লড়তে চায়। সেসময় সেখানে পারট্রিজ উপস্থিত ছিল।
পারট্রিজকে বের করে দিয়ে সে আসল বোমা ফাটায়। সেটা হল সে আসলে টমের মা নয় বরং টমের
মা হল মিসেস ব্লিফিল ওরফে ব্রিজেট অলওয়ার্দী। তিনি লন্ডনে থাকা অবস্থায় এক যুবকের
প্রেমে পরেন ও অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে গর্ভবতী হন। পরে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও সে
যুবকটি অর্থাৎ টমের আসল বাবা অকালে মারা যায়। এসময় ব্রিজেট বিপদে পড়ে জেনি জোনসের
সাহায্য চায়। জেনি জোনস তাকে না বলতে পারেনি। সে আরো খবর দেয় একজন তরুণ আইনজীবী
টমের ক্ষতি করার জন্যে পিছু লেগেছে। টম জেলে যাওয়ার পরে সাক্ষীদেরকে ঘুষ দিয়ে
প্ররোচিত করেছে, তারা যাতে সাক্ষ দেয় যে, টমই আগে জনাব ফিজপ্যাট্রিককে আঘাত
করেছেন। জনাব অলওয়ার্দী বুঝতে পারেন যে এই যুবক ব্লিফিল ছাড়া আর কেউ নয়। তিনি তখন
ব্লিফিলের মুখ আর কখনো দেখবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন।
জনাব
ফিজপ্যাট্রিক মামলা উঠিয়ে নিলে টম জেলমুক্ত হয় এবং জনাব অলওয়ার্দী টমের সাথে দেখা
করেন। এদিকে সোফিয়া যখন মিসেস বেলাস্টোনের মাধ্যমে মিসেস ওয়েস্টার্নের কাছ থেকে
জানতে পারে যে টম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দিয়েছিল, তখন থেকে শপথ নেয় সে আর
টমের মুখ দেখবে না। মিসেস মিলারের সাথে সোফিয়ার দেখা হয় আর সে তাকে টমের চিঠি
দেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে। যখন জনাব অলওয়ার্দী টমকে তার সম্পদের উত্তরাধিকারী ঘোষনা
করেন, তাতে জনাব ওয়েস্টার্ন তাকে মেয়ের জামাই হিসেবে গ্রহন করে। অবশেষে তারা বিয়ে
করে ও দুটি সন্তান হয়।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
রাসুল (সাঃ) বলেন, ব্যভিচারী ব্যাভিচার
করা অবস্থায় মু'মিন থাকে না। চোর চুরি করা অবস্থায় মু'মিন থাকে না। মদ্যপায়ী মদ্যপানকালে মু'মিন থাকে না। তবে তারপরও তওবা অবারিত। (বুখারী)
শাস্তির বিধানঃ ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী
ওদের প্রত্যেককে একশ বেত্রাঘাত করবে (সূরা আন-নূর ২ ও ৩)
মুমিনদের জন্য এদেরকে বিবাহ করা হারাম।
(সূরা আন-নূর ২ ও ৩)
যায়দ ইবনু খালিদ জুহানী (রাঃ) হতে
বর্ণিত, আমি নাবী (সাঃ) -কে আদেশ দিতে শুনেছি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে একশ’ বেত্রাঘাত করার ও এক বছরের জন্য নির্বাসনের, যে অবিবাহিত অবস্থায় যিনা করেছে। (বুখারী)
Very useful website
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteSir,If you write the characters name in English ,it will be helpful for us..Its my personal opinion.Thank you so much for your great work.
ReplyDelete