She Stoops to Conquer – Character Analysis in Bangla |
She Stoops to Conquer –
Character Analysis in Bangla
টনি ল্যাম্পকিন : মিসেস
হার্ডক্যাসেলের ছেলে আর মি. হার্ডক্যাসেলের সৎ ছেলে । নাটকের মুখ্য চরিত্র যাকে
থিরে ঘটনাপ্রবাহ আবর্তিত হয়। দুষ্টবুদ্ধির অল্প শিক্ষিত এক তরুণ । কাজিন নেভিলের সাথে
তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তথাপি সে ভালোবাসে শহরতলির এক মেয়েকে । এমনকি নেভিলের সম্পদও
তাকে আকৃষ্ট করে না। ঘোড়া, ভালোবাসার মেয়ে বেট বাউন্সার, পানশালা এবং সর্বোপরি স্বাধীন জীবন সে সবচেয়ে ভালোবাসে । সমাজের শ্রেণি
বৈষম্য তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় তাই পানশালায় নীচু শ্রেণির মানুষদের সঙ্গ তাকে
আনন্দ দেয়। মার্লোর সাথে যে চালাকি করে তাই পুরো নাটকের ভিত্তিভূমি তৈরি করে দেয়।
মিস কেট হার্ডক্যাসেল : নাটকের শুরু
থেকেই তার সংযম ও বুদ্ধির প্রকাশ পায়। চার্লস মার্লো তারই প্রণয়প্রার্থী যাকে
পাবার জন্য সে নিজের অবস্থান থেকে নীচে নামে। নিজেকে একজন নিচুশ্রেণীর বারমেইড
হিসেবে প্রকাশ করে। এর মাধ্যমে সে মার্লোর সত্যিকার অন্তর্গত সত্তাকে আবিষ্কার
করতে চায় । নারীদের সাথে চার্লস মার্লোর অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচড়ন সত্বেও, শুধুমাত্র
তার ভালোগুণ গুলো দেখে তার প্রতি আকৃষ্ট হয়। কেট একজন সুন্দরী, শিক্ষিতা
ও ফ্যাশন সচেতন মেয়ে। বাবার সাথে তার সম্পর্ক খানিকটা আনুষ্ঠানিক, সে বাবার প্রতি শ্রদ্ধাশীল । বাস্তববাদী ও বুদ্ধিমান কেট অবশেষে মার্লোকে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।
মি. হার্ডক্যাসেল : মিসেস হার্ড
ক্যাসেলের স্বামী, কেট এর পিতা এবং টনি লাম্পকিনের সৎবাবা। সৎবাবা হিসেবে মাঝে
মাঝেই তার সাথে রুঢ় আচড়ন করতেন। তবে তার নিজের কন্যা জকেট এর সাথে ছিলেন সস্নেহ ও
আন্তরিক। মি. হার্ডক্যাসেল লন্ডন থেকে ষাট মাইল দূরে শহরতলিতে এক পুরোনো ভবনে
বসবাস করেন। তিনি সহজ সাধারণ । গ্রামীণ জীবন পছন্দ করেন একই সাথে পুরানো দিনের
রীতি-নীতি পোশাক-পরিচ্ছদ, যুদ্ধের গল্প এসব তার একান্ত প্রিয়। শহরের
জীবন আর কৃত্রিমতা তার অপছন্দ। মেয়ে কেটকে তিনি ভালোবাসেন যদিও তাকে বাহুল্যবর্জিত
সাধারণ পোশাক-পরিচ্ছদে থাকার পরামর্শ দেন। মার্লো যখন সরাই মালিক ভেবে তার সাথে
খারাপ আচরণ করে তখনো মিসেস হার্ডক্যাসেল দির্ঘ সময় তিনি শান্ত থাকেন। তিনি ক্ষমা
করার মানসিকতা রাখেন। তাই মার্লোর ভুল বুঝতে পেরে তিনি ক্ষমা করে দেন।
মিসেস হার্ডক্যাসেল : মিসেস
হার্ডক্যাসেলের ডাক নাম ডরোথী। মানুষের প্রতি দয়াদ্র হৃদয় হওয়া সত্ত্বের তার কিছু
দোষ ছিল। হার্ডক্যাসেলের স্ত্রী এবং টনি ও কেটের মা
বাহ্যিক চাকচিক্য, ফ্যাশন আর শহুরে বিলাসবহুল জীবনের প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট ।
চারিত্রিক নেতিবাচক দিক সত্ত্বেও ছেলে টনির প্রতি তার গভীর ভালোবাসা । তিনি
স্বার্থপর, কুচক্রী এবং সম্পদলোভী । টনিকে ভালোবাসলেও তার ইচ্ছা
অনিচ্ছা না দেখে শুধু সম্পদপ্রাপ্তির লোভে ভাগ্নি মিস নেভিলের সাথে ছেলের বিয়ে
দিতে চান। নাটকের শেষে সবাই যার যার প্রাপ্তি নিয়ে খুশি হলেও তার ইচ্ছাপুরণ না
হওয়ার অতৃপ্তি থেকেই যায়।
চার্লস মার্লো : একজন কৌতূহলোদ্দীপক
ব্যাক্তিত্ব। কথাবার্তার ক্ষেত্রে অত্যন্ত স্বল্পভাষী। বিত্তবান পরিবার থেকে আসা
শিক্ষিত তরুণ । হার্ডক্যাসেলের মেয়ে কেটকে নিজের পাত্রী হিসাবে দেখতে আসে । সমাজের
অভিজাত নারীদের সাথে সহজভাবে মিশতে বা কথা বলতে পারে না। যদিও বারমেইড বা নীচু
শ্রেণির মেয়েদের সাথে সে সহজ, স্বাভাবিক । স্বভাবগতভাবে মার্লো সলজ্জ
ও বিনয়ী । সমাজের শ্রেণি বিভাজন সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন যদিও ভালোবাসাকেই শেষ
পর্যন্ত অধিক মূল্য দেয়। সব মিলিয়ে পছন্দ করার মতো চরিত্র এবং ভুল জাগে। তার সাথে
সম্পর্ক করার জন্যই মিস হার্ডক্যাসেলকে নিজের অবস্থান থেকে নীচে নেমে আসত হয়।
জর্জ হেস্টিংস : মার্লোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু
জর্জ হেস্টিংস ছিল তার সম্পূর্ণ উলটো। অত্যন্ত আত্নবিশ্বাসী ও স্পষ্টভাষী হেস্টিংস
মিস নেভিলের পাণীপ্রার্থী। মিস নেভিলের সম্পদের প্রতিও তার কোনো লোভ নেই ।
হার্ডক্যাসেলের বাড়িকেই সরাইখানা ভেবেছে- এ সত্য জানার পরেও মার্লোকে জানায় না
কারণ ভয় পায় যে একথা জেনে মারলো তখনই এ বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে ।
মিস কনস্ট্যান্স নেভিলঃ মিসেস
হার্ডক্যাসেলের ভাগ্নি, উত্তরাধিকারসূত্রে সে ছিল অলংকারের মালিক।মিসেস
হার্ডক্যাসেল – কনস্ট্যান্স নেভিলের সম্পদ ও অলংকারের
জিম্মাদার ছিলেন। তার সম্পদগুলো তাদের পরিবারের মাঝেই রাখার জন্যে তিনি তার ছেলে
টনির সাথে তার বিয়ে দিতে চান। জর্জ হেস্টিংস - কনস্ট্যান্স নেভিলকে বিয়ে করতে চায়।
শেষ পর্যন্ত সেই সম্পদের দখল পেতে চেষ্টা চালিয়ে যায় এবং সফল হয়।
ডিগোরিঃ জনাব হার্ডক্যাসেল এর বাড়িতে
কাজ করেন।
চারজন নিচুশ্রেণীর লোকঃ থ্রি পিজিওন্স এলহাউজ এ টনি লাম্পকিনের সঙ্গী।
স্যার চার্লস মার্লো : একটি গৌণ চরিত্র । মার্লোর বাবা এবং মি. হার্ডক্যাসেলের বন্ধু। ছেলের পরপরই রওনা দিয়ে তিনিও হার্ডক্যাসেলের বাড়িতে এসে পৌঁছেন এবং ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখেন । ছেলের ভদ্রতা ও বিনয়ের প্রতি তার বিশ্বাস থাকলেও এক পর্যায়ে কেটের প্রতি তার আচরণ ও মিথ্যা বলা চার্লস মার্লোকে আহত করে। পুত্রবধূকে তিনি মেয়ের মতো গ্রহণ করেন।
জেরেমিঃ জনাব হার্ডক্যাসেল এর বাড়িতে
কাজ করেন।
জমিদারঃ থ্রি পিজিওন্স এলহাউজ এর
মালিক।
নামবিহিন পরিচারিকাঃ সেই প্রথম কেটকে
জানায় যে মার্লো কেটকে একজন বারমেইড মনে করেছে।
আন্ট পেডিগ্রিঃ তিনি নাটকে উপস্থিত
ছিলেন না। তিনি পারিবারিক বংশসূত্র সংরক্ষনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে প্রশ্নাতীত
বিয়ের বিরোধিতা করেন।
রজারঃ জনাব মিঃ হার্ডক্যাসেলের বাড়ির
আর একজন কর্মচারী।
অন্যান্য লিঙ্কঃ
Thank u✌️
ReplyDelete