Oroonoko - The Royal Slave - Aphra Behn - Summary and Characters in Bangla |
Oroonoko - The Royal Slave - Aphra Behn -
Summary and Characters in Bangla
এক নজরে
চরিত্রসমূহ –
১। অ্যাবোয়ান – কোরাম্যানশিয়েনে ওরুনৌকোর সবচেয়ে ভাল বন্ধু, যে
তাকে ওটানে গিয়ে ইমোয়িন্ডার সাথে দেখা করতে সাহায্য করে।
২। বায়নিস্টার – ব্যায়ামের নির্বাচিত ঘাতক। যে ওরুনৌকোকে হত্যা
করেছিল।
৩। ব্যায়াম-
সুরিনামের ডেপুটি গভর্ণর।
৪। ক্লিমেন-
সুরিনামে ইমোয়িন্ডার নাম।
৫। সিজার – সুরিনামে ওরুনৌকোর নাম।
৬। ইমোয়িন্ডা – আফ্রিকান সুন্দরী – উপন্যাসের নায়িকা।
৭। ওরুনৌকো-
উপন্যাসের নায়ক।
৮। জামোয়ান – আফ্রিকান যোদ্ধা
ও ওরুনৌকোর বন্ধু।
৯। ভাষ্যকার – একজন আফ্রিকান মহিলা(আফ্রা বেন)।
১০। ওনাহাল – রাজার স্ত্রী।
১১। উইলোবী – সুরিনামের লর্ড গভর্নর।
১২। টাসকান – ক্রীতদাস ও দাস বিদ্রোহে সাহায্যকারী।
১৩। ট্রেফ্রী – পারহাম প্লানটেশনের তত্বাবধায়ক।
মূলঘটনাঃ
অন্য উপন্যাসের
সাথে তুলনা করলে “ওরুনৌকো” একটি ক্ষুদ্র উপন্যাস। উপন্যাসটির প্রধান চরিত্র হচ্ছে আফ্রিকান এক রাজার পৌত্র। যুবরাজ ওরুনৌকো রাজার প্রধান সেনাপতির কন্যা ইমোয়িন্ডার প্রেমে পড়েন। বৃদ্ধ রাজা নিজেও ইমোয়িন্ডার প্রেমে পড়েন,
ইমোয়িন্ডাকে পবিত্র পরিধান উপহার দেন এবং তাঁকে বৃদ্ধ রাজার অন্যতমা স্ত্রী হবার নির্দেশ দেন,
যদিও তার আগেই ওরুনৌকোর বিয়ে হয়ে যায়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও বৃদ্ধ রাজার হারেমে (ওটান) কিছুকাল কাটানোর পর ওরুনৌকো ও ইমোয়িন্ডা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল ওনাহাল ও এবোয়ানের সাহায্যে অভিসারে মিলিত হয়। পরে তাদের অভিসার এর কথা গোপন থাকে না এবং ইমোয়িন্ডা সতীত্ব হারিয়েছে এই অভিযোগে বৃদ্ধ রাজা ইমোয়িন্ডাকে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেন। বৃদ্ধ রাজা অবশ্য ওরুনৌকোকে শোনান, দাসত্বের চেয়ে মৃত্যু ভালো এ কারণে ইমোয়িন্ডাকে হত্যা করা হয়েছে। বৃদ্ধ রাজা তার অপরাধবোধের কারণেই এই মিথ্যা রটান। এর পর এক উপজাতীয় যুদ্ধে বিজয়ী হবার পর ওরুনৌকোকে প্রতারিত করা হয় এবং এক ইংরেজ ক্যাপ্টেন ওরুনৌকোকে ও তার দলের লোকদের দাস হিসেবে বিক্রি করার পরিকল্পনা করে। ওরুনৌকো ও ইমোয়িন্ডা দুজনকেই সুরিনামে নিয়ে যাওয়া হয়, সে সময়ে সুরিনামে আখ চাষ ও আখ উৎপাদনকে কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জে একটা ব্রিটিশ উপনিবেশ গড়ে উঠে। ওরুনৌকো ও ইমোয়িন্ডা উভয়ে আবার সুরিনামে একত্রিত হয়। তাদের নতুন খ্রিষ্টান নামকরণ করা হয় যথাক্রমে সিজার ও ক্লিমেন। সুরিনামে সে অনেক দাস ও ট্রেফ্রি নামক এক তথাকথিত ভদ্রলোকের লালসার লক্ষ্যে পরিণত হয়।
ইমোয়িন্ডা গর্ভবতী হয়ে পড়লে ওরুনৌকো স্বদেশে ফিরে যাবার আবেদন জানায়। কিন্তু বার বার প্রত্যাখ্যাত হবার পর ওরুনৌকো একটা দাস বিদ্রোহ সংগঠিত করে। সামরিক শক্তি দিয়ে দাস বিদ্রোহ দমন করা হয় এবং ডেপুটি গভর্নর বায়াম তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। কিন্তু বায়াম তাঁর সাধারণ ক্ষমা ভঙ্গ করে ওরুনৌকোকে নিষ্ঠুর বেত্রাঘাত করেন নেতৃস্থানীয় অন্যদের ভাগ্যেও একই শাস্তি জোটে। ওরুনৌকো তাঁর মর্যাদা রক্ষা ও তাঁর অপমানের প্রতিশোধ হিসেবে বায়ামকে হত্যার পরিকল্পনা করেন কিন্তু ইমোয়িন্ডার উপর সম্ভাব্য অত্যাচার ও ধর্ষণ আশঙ্কা করে ওরুনৌকো ইমোয়িন্ডাকে প্রথমে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তারা পরিকল্পনাটি নিয়ে আলাপ করে এবং ইমোয়িন্ডা হাসি মুখে তার স্বামীর
হাতে নিহত হন। কিছুদিন পর ওরুনৌকো তার শারীরিক অসামর্থ্যে ও ব্যথায় কাতরাতে থাকেন এবং
তাকে আত্মহত্যা থেকে নিবৃত করে, জনসম্মুখে এক এক করে
তার অঙ্গচ্ছেদ করে তাকে হত্যা করা হয়। ওরুনৌকো পরম ঔদাসীন্যে একটি তামাকের পাইপ টানতে
টানতে তার সমগ্র অঙ্গচ্ছেদ সহ্য করেন। উপন্যাসটি উত্তম পুরুষ ও তৃতীয় পুরুষের মিশ্রিত
বর্ণনায় বর্ণিত, ভাষ্যকার আফ্রিকার ঘটনাবলি অন্যের মুখ দিয়ে বলান
এবং সুরিনামের ঘটনাবলির সাক্ষী হিসেবে নিজেই তা বর্ণনা করেন। উপন্যাসে ভাষ্যকার তার
পিতার (যার নাম উল্লেখ করেননি) সাথে সুরিনামে আসেন বলে উল্লেখ করেন। তার পিতা উপনিবেশটির
পরবর্তী গভর্নর হবার কথা ছিল কিন্তু তার পিতা ইংল্যান্ড থেকে সুরিনাম আসার পথে মারা
যান। ভাষ্যকার ও তাঁর পরিবারকে উপনিবেশে অত্যন্ত উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।
ক্রমে ভাষ্যকার (আফ্রা বেন) স্থানীয় অধিবাসীদের সম্বন্ধে, দাসদের
সম্বন্ধে কৌতূহলী হয়ে উঠেন। তার সেই অভিজ্ঞতা উপন্যাসের মূল কাহিনির সঙ্গে মিলে যায়।
প্রেম কাহিনির করুণ সমাপ্তি বর্ণনা শেষ করে ভাষ্যকার (আফ্রা বেন) লন্ডনের উদ্দেশ্যে
সুরিনাম ত্যাগ করেন। গঠনের দিক থেকে উপন্যাসে তিনটি তাৎপর্যপূর্ণ অংশ আছে যাতে সম্পূর্ণ
আত্মজৈবনিক ধারাক্রম অনুসৃত হয়নি। উপন্যাসের বর্ণনা শুরু সত্যনিষ্ঠভাবে, যেখানে ঔপন্যাসিক দাবি করেন তাঁর উপন্যাসটি কাল্পনিক বিষয়বস্তু নির্ভর নয়
বা কোনো পাণ্ডিত্যপূর্ণ ইতিহাসও তিনি লিখছেন না। তিনি দাবি করেন তিনি একজন প্রত্যক্ষদর্শী
এবং কোনো অলঙ্কার বা কল্পনার ব্যবহার না করে শুধু সত্য নির্ভর বর্ণনাই দিয়ে গেছেন।
সে অনুসারে উপন্যাসব্যাপী, সুরিনাম ও দক্ষিণ আমেরিকান ভারতীয়দের
বর্ণনা দেখা যায়। আফ্রা বেন স্থানীয় অধিবাসীদেরকে অত্যন্ত সহজ সরল ও সোনালি যুগের
(সুরিনামে স্বর্ণ খনি, তাদের জীবনেরই ইঙ্গিত বহ) হিসেবে বর্ণনা
করেন। দ্বিতীয় অংশে, ভাষ্যকার ওরুনৌকো ও তার পিতামহের ষড়যন্ত্রের
বর্ণনা দেন, দাস বিদ্রোহ ইমোয়িন্ডার হত্যাকাণ্ড এবং ওরুনৌকো নিজে
যে প্রতারণা করেন তার বর্ণনা দেন। তৃতীয় অংশে ভাষ্যকার তার বর্তমা অভিজ্ঞতা বর্ণনা
করেন, ওরুনৌকো ও ইমোয়িন্ডা পুনর্মিলিত হয় এবং ওরুনৌকো, ইমোয়িন্ডা ভাষ্যকার ও ট্রেফ্রি এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। এই অংশেই ওরুনৌকোর বিদ্রোহ
ও তাঁর করুণ পরিণতি বর্ণনা করেন।
Thank you for helping us
ReplyDelete