“Go and Catch a Falling Star” - John Donne - Summary and Analysis in Bangla
“Go
and Catch a Falling Star” কবিতার আদী নাম “Goe, and Catche a falling starre” । কবিতাটি সর্ব প্রথম কবির মৃত্যুর পর “Songs And Sonnets” গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। কবিতাটিতে সর্বমোট তিনটি স্তবক আর প্রতি স্তবকে ৯টি করে চরণ রয়েছে। কবিতার ছন্দবিন্যাস হল “ ক খ ক খ গ গ ঘ ঘ ঘ ”। নারীদের বিশ্বস্থতা নিয়ে হতাশ অবস্থায় কবি জন ডান তাঁর “Go and Catch a Falling Star” কবিতায় একজন সৎ এবং নিষ্ঠাবান নারী খোজ করেছেন। কবি প্রথমেই বলেন , একটি খসে পড়া তারাকে ধরো এবং মেনড্রেক গাছের শেকড় হতে একটা মানব শিশু জন্মাও আর মৎস্যকন্যার গান শোনাও আর বেদনার হুলের জ্বালাকে প্রশমিত করে। কবি আরো বিলাপ করেন এই বলে যে, আগের সেই বছর বা সময়গুলো কোথায়, আর কেই বা শয়তানের দুই পাকে চিড়ে দুই ভাগ করেছে। কবি বলেছেন, আমি আসতে আসতে দু’তিন জনাকে সে প্রেম বিলাবে ! কবি তার বন্ধুকে বলছেন, তোমাকে সারাজীবন অন্বেষণ করার সুযোগ দিলাম, সারা বিশ্ব পরিভ্রমণ করে একজন সৎ রমণীর সন্ধান আমাকে এনে দাও। কবি জোর দিয়ে বলেছেন এমন রমণীর সন্ধান লাভ করা সত্যিই কঠিন। যদিও এমন নারী খুঁজে পাও, তবুও আমি দেখতে যাবো না তাকে। কবি বলেন যতই সৎ নারী খুঁজে বের করা যাক না কেন, তার মাঝে কিছুটা ত্রুটির ছোঁয়া অবশ্যই থাকবে। যদিও কোনো নারী বিশ্বস্ত থাকে, তবে দেখা যাবে, সে কোনো না কোনো সময় কোনো কারণে অবিশ্বস্ততার কর্ম করে বসেছে। স্বামীর প্রতি নিষ্ঠাবান থাকার পরও সে তার অনুপস্থিতির কারণে সে অন্য জনকে বিলিয়ে দিতে পারে তাঁর প্রেম। মোট কথা, কবি তাঁর এ কবিতায় রমণীর হৃদয়ের দ্বৈত দিকের প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। একজন রমণী একদা তার ভালোবাসার মানুষের প্রতি বিশ্বস্ত থাকলেও পরবর্তীতে তার মাঝে যে কোনো সময় পরিবর্তন ঘটে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। কবি বলেন, মানুষকে সৎ বানানোর জন্য কোনো সুবাতাস খুঁজে পাওয়া যাবে না আর মেনড্রেক গাছের শেকড় হতেও নতুন মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবে না। কবি শেকড়ের রূপক দ্বারা এটাই বোঝাতে চান যে, মানবের ভেতরে বাস করে দ্বৈত দিক, কোনো রমণীকে দোলাচল বৃত্তি ছাড়া খুঁজে পাওয়া যাবে না আর নতুন কোনো মৎস্যকন্যা নির্মাণ করাও সম্ভব নয়। কবি তার বন্ধুকে বলেন তোমাকে সারা জীবন সময় দিলাম, খুঁজে দেখো সারা পৃথিবী, কোথাও কোনো বিশ্বস্ত সৎ রমণীর সন্ধান পাও কিনা। যদি কোনো সৎ রমণীর সন্ধান মেলেও, কবি তাকে ঘটা করে দেখতে যাবেন না। কারণ কবি জানেন এই সৎ ও বিশ্বস্ত রমণী আজ নিষ্ঠাবান থাকলেও কাল তার নিষ্ঠাতে ফাটল ধরতেও পারে। কবি জোর দিয়েই বলেন এ রমণী এক সময় না এক সময় বদলে যাবেই, সময়ের নানা ঘোর প্যাচে পড়ে রমণী হৃদয়ে পরিবর্তন আসাটাই স্বাভাবিক। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, মেয়েটিকে ছেড়ে প্রেমিক স্বামী দূরে কোথাও কিছু দিন অবস্থান করলে প্রেমিকার মাঝে ঘটে যেতে পারে ব্যাপক পরিবর্তন। সে হয়তো গভীর বিশ্বাসে তার স্ত্রীকে রেখে যাবে যথাস্থানে কিন্তু সে যে কোনো সময় তার প্রেমিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে স্থান বদল করতে পারে, হতে পারে অন্য কোন গোপন ও অবৈধ প্রেমিকের প্রতি অনুরক্তা। কবি বলেন, আজ তুমি যাকে বিশ্বস্ত ভেবে দূরে যাচ্ছো, ফিরে এসে জানবে সে রমণী আরো দু’এক জনের সাথে অবৈধ ভাবে গড়ে তুলেছে তার নিবিড় সম্পর্ক। এজন্য কবি মনে করেন, এ জগতে সত্যিকার নিষ্ঠাবান রমণীর দেখা মেলা ভার। আর নিষ্ঠাবান খাঁটি মানব নির্মাণ করাও সম্ভব নয়।
কবি জন ডান এই কবিতায় রমণী হৃদয়ের দ্বৈত দিক নিয়ে আলোকপাত করেছেন। কবির মতে, এ জগতে বিশ্বস্ত রমণী পাওয়া ভার। মোট কথা কবি এখানে বলতে চান যে, পৃথিবীতে কোনো রমণীই বিশ্বস্ত নয়।
No comments:
Post a Comment