Total Pageviews

Saturday, August 17, 2019

The Last ride together - Robert Browning - Summary and Analysis in Bangla

The Last ride together - Robert Browning - Summary and Analysis in Bangla
অন্যান্য লিঙ্কঃ ১। দ্যা লাস্ট রাইড টুগেদার কবিতাটির বাংলা অনুবাদ 
             ২। বাংলায় রবার্ট ব্রাউনিং এর জীবনী 
             ৩। মুল কবিতার ইংরেজি টেক্সট 

The Last ride together - Robert Browning - 


Summary and Analysis in Bangla

The Last ride together কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৫৫ সালে Men and women নামক কাব্যগ্রন্থে। যেখানে ৫১ টি কবিতা ছিল। ভিক্টোরিয়ান যুগে এটি ছিল তার একটি বড় ধরনের সাহিত্যকর্মের সংগ্রহ। 

দ্যা লাস্ট রাইড টুগেদার (The Last ride together) ভিক্টোরিয়ান কবি Robert Browning  এর ১০ স্তুবকে রচিত একটি Dramatic Monologue যার প্রতিটি স্তবকে রয়েছে ১১টি করে লাইন। সবাই এটিকে একটি ভালোবাসার কবিতা বললেও এর মূল বিষয় হল মানুষের জীবনের সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক নির্ণয় এবং সাফল্য ও ব্যর্থতা নিরুপন করা। আর একটি বিষয় এই কবিতার শুরুতে ফুটে উঠেছে। সেটি হল প্রেমে ব্যর্থ  কবি তার প্রেয়সীর কাছে অত্যন্ত আশা নিয়ে আবদার করে, তার সাথে শেষবারের মত ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘুরতে বের হওয়ার জন্যে। এতে Optimism নামক বিষয়টি আমরা খুজে পাই। 
অদ্ভুত সব উপমা আর রুপকের ব্যবহার কবিতাটিকে আরো প্রাণবন্ত করে তুলেছে। কবিতাটিতে যদিও মাঝে মাঝে তাল ও লয় ভেঙ্গে গিয়েছে তবে ছন্দবিন্যাস ১ম থেকে ১০ স্তবক পর্যন্ত একই আছে আর তা হল aabbcddeeec. কবিতাটির লাইনগুলোর মাত্রা হল Iambic Pentameter. কবিতাটিতে একজনই বক্তা আর একজন নির্বাক শ্রোতা রয়েছে। কবিতার শুরুটা হয়েছে আকস্মিকভাবেই। Dramatic Monologue এর সব গুলো গুনই এখানে বিদ্যমান। বক্তার কথা বলার ভঙ্গি ছিল কখনো তিক্ত আবার কখনো মিস্টি যার মাধ্যমে কবিতাটিতে আশাবাদ ও দূঃখের মাঝে ভারসাম্য আনা হয়েছে।  

কবিতার নামটিই যেন বলে দেয়, কোন এক প্রাক্তন দম্পতি বা প্রেমিক ও তার প্রেমিকা একসাথে জীবনের শেষবারের মত ঘোড়ায় চড়ে ঘুরতে বের হয়েছে। কবিতাটি শুরু হয়েছে বক্তার সাথে তার স্ত্রী বা প্রেয়সীর সম্পর্কের সমাপ্তি ঘটার জন্যে, বক্তার নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করার মাধ্যমে। এরপরের বক্তার কণ্ঠে ঐ মহিলার প্রতি ভালোবাসা ও প্রশংসা ঝরে পড়েছে এবং তার নামে সে আশীর্বাদও করেছে। তাদের এতদিন একসাথে থাকার স্মৃতিগুলো তার মনে পড়ে যায় এবং বক্তা তার প্রেয়সীকে তার সাথে শেষবারের মত ঘোড়ার গাড়িতে করে ঘোরার জন্যে অনুরোধ করে।
২য় স্তবকে কবি দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন তার প্রেয়সীর উত্তরের প্রতি। সে কবিকে গর্ব ও দয়া মিশ্রিতভাবে পর্যবেক্ষন করে। কবির কাছে এই উত্তর ছিল তার জীবন ও মৃত্যুর মতই গুরুত্বপূর্ন। অবশেষে সে তার আবদার রাখে ও তারা একসাথে যাত্রা শুরু করে।
৩য় স্তবকে তার প্রাক্তন স্ত্রী অথবা প্রেয়সীর সাথে ভ্রমনটি কতটা আনন্দময় ছিল কবি সে বর্ণনা দেন। তারপর কবি আশেপাশের দৃশ্যের বর্ণনা দেন। সব শেষে বর্ণনা দেন তার সাথে কবির ব্যয় করা মূহুর্তগুলো কতটা আনন্দময় ছিল। কবি একারণে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।   
৪র্থ স্তবকে কবি অতীতে ফিরে যান। এখানে তিনি অতিক্রান্ত জীবন প্রকৃতির দর্শন নিয়ে কথা বলেন। কবি আর সে হিসেবে যেতে চান না, যে কি করলে কি হত বা কি না করলে হয়তো তার ভালোবাসার মানুষটি তাকে ছেড়ে যেতো না। যেহেতু তারা দুজন এখনো একসাথে ভ্রমন করছে তাই নিয়ে কবি ভাবতে চান। এই মূহুর্তে তাদের একত্রে ভ্রমনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে চান।
৫ম স্তবকে কবি আগের স্তবকের বিষয় নিয়েই কথা চালিয়ে গেছেন। জীবনের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা করেন। কবি নিজেকে তুলনা করেন ঐসকল লোকদের সাথে যারা জীবনে কিছু লাভ করার জন্যে সংগ্রাম করে এবং যারা এতে অকৃতকার্য হয়। তিনি তার প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার যন্ত্রণা লুকানোর জন্যে এটি করেন। সে তার পরাজয়কে মেনে নেন এবং তার জীবনের শেষে মৃত্যুর পরের জীবনে একটি ভালো জীবনের আশা করেন।
৬ষ্ঠ স্তবকে কবি বস্তগত দুনিয়া থেকে প্রাপ্ত যেকোন আনন্দের তুলনায় ভালোবাসার আনন্দে মগ্ন জীবনকে অনেক বেশি উন্নততর হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই বিষয়টিকে কয়েকটি উপমা ও সংকেতের মাধ্যমে তুলে ধরেন। জীবনের সবচেয়ে বড় আনন্দটিকে তুলনা করেন মানুষ সাফল্যের সর্বোচ্চ যে চূড়ায় আরোহন করতে পারে তার সাথে। একজন দক্ষ রাজনীতিক ও একজন সেনার জীবন তুলে ধরেন। এতো কষ্ট করে তারা কি পায়। প্রথমজন বিদায়ের সময় তার সম্মানে ১০ লাইনের একটি কবিতা আর ২য় জন তার মৃত্যুর পরে তার কীর্তিগাথা সংক্রান্ত কবরের ফলক। কিন্তু ভালোবেসে যিনি সফল হননি বরং ব্যর্থ হয়েছেন তার অর্থাৎ কবির জীবনের প্রাপ্তিটাও তাদের দুজনের চেয়ে অনেক বড়।
৭ম ও ৮ম স্তবকে কবি ভালোবাসাকে বড় কবি ও পরে বড় ভাস্করের কাজের সাথে তুলনা করেছেন। কবিরা তাদের মেধাকে ব্যবহার করে ছন্দ ও কবিতা সৃষ্টি করেন। ভাস্কররা তাদের জীবনের বিশাল একটা সময় ব্যয় করেন ভাস্কর্য তৈরিতে। কবি তার ভালোবাসার এই সময়টাকে তাদের কাজের সাথে তুলনা করেছেন। 
৯ম স্তবকে কবি ভাবেন, ভাগ্য তার জন্যে যা রেখেছে সেটা তার জন্যে উপযুক্ত কিনা। জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ না পাওয়ায় তিনি ব্যথিত নন কারন তিনি জানেন মৃত্যুর পরে আরেকটি জীবন আছে। সেটিকে কবি বলেছেন দুনিয়ার জীবনের চেয়ে সেটি উত্তম। তিনি এই যুক্তি দেখান দুনিয়ায় যদি সকল আনন্দ পেয়ে যান তবে সেখানে তিনি কি করবেন। সেখানকার জন্যে তিনি আনন্দ রেখে দিতে চান এবং এর চেয়ে বেশি আনন্দ পেতে চান।   
শেষ স্তবকে কবি তার প্রাক্তন স্ত্রী/প্রেয়সী দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন। এতক্ষণ সে একটি কথাও বলেনি। কবির কাছে মনে হয় তার সাহচর্যের মাধ্যমে কবি স্বর্গীয় সুখ লাভ করে। কবি তার কাছে আশা ব্যক্ত করেন এভাবেই যদি তারা দুজন আজীবন ঘোড়ার গাড়িতে ঘুরে বেড়াতে পারতেন।     
১০টি স্তবকের মূল বিষয় নিচে দেয়া হলঃ
১ম স্তবকঃ ভাগ্যাহত বক্তার তার প্রেয়সীকে শেষবারের মত ঘোরার গাড়িতে চড়ার আবেদন।
২য় স্তবকঃ জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার প্রেয়সীর পক্ষ থেকে আসা সিদ্ধান্তের প্রত্যাশা।
৩য় স্তবকঃ ইউফোরিয়া - মানে কুশল ও আত্মচঞ্চল অবস্থার সৃষ্টি।
৪র্থ স্তবকঃ কি হতে পারতো অথবা কি হয়নি - সেসব নিয়ে কিছুটা ভাবনা।
৫ম স্তবকঃ ব্যর্থতাকে গ্রহন করা। ভালোবাসার পিছনে দেয়া পণ্ডশ্রম এর কথা স্মরণ।
৬ষ্ঠ্য স্তবকঃ প্রেমেক অভিজ্ঞতা লাভ, যুদ্ধ ও কাজের অভিজ্ঞতা থেকে বেশি।
৭ম স্তবকঃ কবিরা জানেন কি, জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ জিনিস কোনটি? ভালোবাসার মাঝে বেচে থাকা।
৮ম স্তবকঃ পক্ককেশ গায়ক আর ভাস্করের দীর্ঘজীবনের কাজের প্রতি কবির উপহাস।  
৯ম স্তবকঃ মৃত্যুর পরের জীবনের মহিমা কির্তন।
১০ম স্তবকঃ এই মুহূর্তে কবি বেচে থাকে ভালোবাসতে ও আজীবন তার সাথে ঘুরে বেড়াতে চান।  

No comments:

Post a Comment