THE LAST RIDE TOGETHER - Robert Browning - Bangla Translation |
২। মূল কবিতার ইংরেজি টেক্সট
Robert Browning
THE
LAST RIDE TOGETHER
১
আমি বলেছিলাম – তারপর প্রিয়তমা, তাই যদি হয়
শেষ পর্যন্ত যেহেতু আমি আমার ভাগ্য
সম্পর্কে জানলাম,
যেহেতু আমার
সমস্ত ভালোবাসার ফল হল শুন্য,
মোটের ওপর
যেহেতু, আমার পুরো জীবনটাই ব্যার্থ মনে হচ্ছে,
যেহেতু এটাই
ছিল নিয়তি এবং যা অবশ্যম্ভাবী----
আমার সমগ্র
অন্তর জেগে উঠে আশীর্বাদ করে-
-গর্ব ও
কৃতজ্ঞতায় তোমার নামে।
ফেরৎ নাও যত আশা তুমি দিয়েছিলে মোরে-একটি দাবী
শুধু এদের স্মৃতিটাই রেখো মনে,
আর যদি মনে কিছু না কর
তোমার অনুমতি করি প্রার্থনা, এক সাথে সমাপনী
অশ্ব-ভ্রমণের।
২
আমার প্রেয়সী আঁখি করল আনত
গভীর কৃষ্ণ আঁখিদ্বয়ে
যেথায় দম্ভ আর দ্বিধা মিশ্রিত
করুণারসে সিক্ত হলে নরম হতেও পারে
আশা নিরাশার দোলায় আমার শ্বাস আসে আর যায়।
জীবন মরণের পাল্লায় ঝুলে আছে চমৎকার দেখতে!
শুষ্ক জীবন আবার রক্তে হলো
প্লাবিত।
অন্তত আমার শেষ আশাটুকু ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়নি
আমি আর আমার প্রিয়তমা, পাশাপাশি
মোরা এক সাথে হবো, শ্বাস নেবো, ঘোড়ায় চড়ে বেড়াবো
সুতরাং আর এক দিনের জন্যে আমি প্রভু বনে গেলাম
কে জানে আজ রাতেই তো পৃথিবী শেষ হয়ে যেতে পারে।
৩
চুপ! যদি তুমি দেখ পশ্চিমাকাশে মেঘ
উন্মাতাল বুকের
মতই অধিক আনত
সূর্যের বহু আশীর্বাদে পুষ্ট
চাঁদ আর সন্ধ্যা তারার একযোগে-
এসব দেখে শুনে তুমি খুব ভালবেসে
চেতনা তোমার উঠেছে জেগে, আবেগ তোমার উঠেছে
কথা কয়ে
মেঘ, অস্তাচলে নামা সূর্য, চন্দ্রের আগমন, তারার উজ্জলতা সব,
টেনে আনে তোমার উপর, কাছে আরো কাছে,
দেহ-কমনা বিহীন এইতো যেন স্বর্গ!
এখন সে হেলান দিয়ে রইল, আনন্দ আর হতাশায়!
মাথা গুজে রইল মোর বুকে মুহূর্তকাল।
৪
অতঃপর শুরু হলো আমাদের ঘোড়ায় চড়ে
ভ্রমণ, আমার হৃদয়
নিজ থেকে কোমল হয়ে বের হলো,
দীর্ঘকালের কোচকানো কাগজের মত
দখিনা বাতাসে মন মোর সতেজ হয়ে উঠে, নেচে উঠে।
পেছনে পড়ে রয়েছে অতীতের সব আশা
কিবা কারন অতীত জীবনের জের টানার?
একথা বললে এমনটি হতো, ও কাজ করলে অমন
হতো।
এভাবে করলে লাভ হতো, ওভাবে করলে লোকসান হতো,
হয়তো সে আমায় ভালবাসতো,
হয়তো সে আমায় ঘৃণাও করতো, কে জানে?
প্রচন্ড বিপর্যয় হলে আজ আমি কোথায়
থাকতাম?
এখন তো সে আর আমি ঘোড় সওয়ারী হয়ে
ঘুরে বেড়াই।
৫
আমি কি একা আমি কি ব্যর্থ, কথায় এবং
কাজে?
কেন সবে সংগ্রাম করে আর কেই বা সফল হয়?
আমরা ঘোড়ায় চড়ে বেড়াই, মনে হয় আমার
মনটা উড়ে বেড়াচ্ছে,
অনেক রাজ্য দেখেছি, অনেক নতুন নতুন
শহর
যেহেতু দু’দিকে পৃথিবী দ্রুত ধাবিত হচ্ছে
আমি ভাবলাম সব পরিশ্রম
ব্যর্থতার আড়ালে সহনীয় হয়
কাজের শেষ ফল দেখ, তুলনা কর।
কম কাজই হয়েছে করা, রয়ে গেছে অনেক
এই বর্তমান আর আশাপূর্ণ অতীত মিলিয়ে দেখ
আমার আশা ছিল প্রেয়সী আমায় ভালবাসবে
দেখো এখন আমরা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরি।
৬
যা হাত করে অর্জন আর যা মেধা করে
অর্জন- এ দুটো কি কখনো সমান?
হৃদয়ের আকাঙ্খা কি কভু হয়েছে তৃপ্ত?
চিন্তায় যা ছিল তার সবটুকু কি কাজে
প্রমাণ করতে পেরেছি?
সকল ইচ্ছা কি মাংসের পর্দায় অনুভূত হয়েছে?
আমরা ঘোড়ায় চড়ে বেড়াই, আমি দেখি তার উচু বুক।
উচ্চতা(উচুপদ
বা শীর্ষপদ) অনেক আছে, যারা পারে সেখানে পৌছাতে পেরেছে তাদের জন্যে।
প্রতি রাজনীতিকের ভাগ্যে জুটে দশটি
লাইন মাত্র
হাড়ের স্তুপে পতাকা লাগানো,
সেনার কীর্তি! কোন সে পাথর?
তার নাম খোদাই, গীর্জা গোরস্থানের
পাথরে
তার চেয়ে আমার ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানোই
ভাল।
৭
এসবের মানে কি কবি? বেশ,
তোমার মেধা
ছন্দমাধুরীতে হয় অনুরণিত-তুমি বল।
আমরা যা কেবল অনুভব করি, তুমি তা
প্রকাশিতে পার।
তুমি তুলে ধর সবচেয়ে মনোহররূপে
বস্তুর মাধুরীকে
তাদের গতি দান কর পাশাপাশি ছন্দ সুষমায়
এটা কিছু না কিছু,-না অনেক কিছুই ।
তুমি কি পেয়েছ, যা মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ পাওনা?
তুমি গরীব, অসুস্থ, অকাল বৃদ্ধ।
নিজের গন্তব্যের নিকটতর হয়েছ কভু
আমাদের চেয়ে আমরা যারা কবিতা লিখি
না?
গেয়ে যাও, ঘোড়ায় চড়ার মজার গান আমি ঘোড়ায়
চড়ে বেড়াই।
৮
আর তুমি হলে মহান ভাস্কর - তুমি
উৎসর্গ করেছ
কুড়ি বছর শিল্পের সাধনায়
আর সেটাই তোমার আরাধ্য, সেখান থেকে
ফিরে
যবে তাকিয়ে দেখি নদী পার হওয়া
বালিকাটিরে ।
হার মান তুমি, আমি উঠি ক্ষেপে
পক্ককেশ সঙ্গীতজ্ঞ
কেবল সুরের মায়াজাল, আর কিছু না,
এই প্রশংসাই কি কেবল বন্ধু-বান্ধব
থেকে প্রাপ্য
যে বলে “তার সুর খাটি বটে,
মনে রেখো গানেও ফ্যাশানের শেষ আছে!”
আমি দিয়েছি যৌবন- অবশেষে ঘোড়ায় চড়ে
বেড়াচ্ছি।
৯
কে জানে আমাদের জন্যে কোনটা উপযুক্ত?
ভাগ্য যদি
শান্তি রাখে হেথায় তাহলে আমায় মহৎ
করে দেয়া উচিত যদি চুক্তি নামায় দিই
দস্তখত।
অবশ্যই বিশ্বাস করি পরপারে আছে আর এক
জীবন
এ শান্তি নিয়ে মরি, ঝাপসা ঝাপসা দেখি মৃত্যু।
এ উদ্দেশ্যে করি যাত্রা।
আমার আত্মায়
ঘেরা গৌরবের পুষ্পমাল্য
তবে অনুযোগ কেন? চেষ্টা কর, পরীক্ষা
চালিয়ে যাও!
সন্ধান থেকে ভীতির মধ্যে ডুবে না
যাই-
পৃথিবী ভাল, মৃত্যুর পরের জীবন আরো ভাল
এখন পরকাল আর প্রেয়সী এ বেড়ানোর
বাইরে।
১০
এ দীর্ঘ সময় প্রেয়সী বলেনি কথা।
তাইতো স্বর্গ মনোহর মজবুত
জীবনের সবচেয়ে ভাল সময়, চোখ তুলে দেখি,
প্রথমে উপলব্ধি করি জীবন পুষ্প,
আমরা একত্রিত, আজীবন কি এভাবে একত্রিত থাকতে পারিনা?
আজ অবধি মোরা দু’জনায় ঘোড়ায় চড়ে বেড়াই
আর এভাবে পুরোনো
থেকে নতুন, আজীবন চলতে পারি,
সংখ্যায় নয়
মাত্রায় পরিবর্তন,
তাৎক্ষণিক রূপান্তর
স্বর্গ প্রমান
করে, আমি এবং সে
ঘোড়ায় চড়ে বেড়াই,
একত্রে বেড়াই, চিরদিনের তরে বেড়াই?
No comments:
Post a Comment