The Comedy of Errors - William Shakespeare - Translation and Summary in Bangla |
The Comedy of Errors - William Shakespeare - Translation and Summary in Bangla - part 2 of 2
অ্যান্টিফোলাসকে
নেকলেস গছিয়ে দিয়ে বাড়ির পথ ধরল অ্যাঞ্জেলো। পথে দেখা হল এক পাওনাদারের সঙ্গে । সে
পাওনা টাকা চাইল । সময় প্রার্থনা করল অ্যাঞ্জেলো। ‘সঙ্গে টাকা নেই এখন,’ বলল সে। ‘আগামী কাল পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, একটা নেকলেসের টাকা পাব।’
এসময় অ্যান্টিফোলাস
অভ ইফিসাস এবং তার পরিচারক ড্রমিওকে আসতে দেখা গেল ওদের দিকে।
‘আমি সোনার দোকানে যাচ্ছি,’ বলতে শোনা গেল অ্যান্টিফোলাসকে । ‘তুমি দড়ি কিনে নিয়ে এসোগে যাও। বউ আর তার বন্ধু বান্ধবদের উপহার দেব। তখন
স্বামীকে বাহিরে দাড় করিয়ে রাখার মজাটা বুঝবে।’
আদেশ পালন করতে
ছুটল ড্রমিও।
‘নেকলেসের টাকাটা এখন দেবেন?’ দেখা হতেই জানতে চাইল অ্যাঞ্জেলো ।
‘জিনিস না পেয়েই টাকা দিয়ে দেব? বেশ মজা পেয়েছেন
তো!’ জবাব দিল অ্যান্টিফোলাস।
‘আবারও ঠাট্টা করছেন। এই দেখুন রশিদ। আজ বিকেলে ওটা দিয়েছি আপনাকে, বাজারে সারাটা বিকেল বন্ধুর বাসায় কাটিয়েছি। আমাকে আপনি পেলেন কোথায়? ঐ বাসায় আসতে বলেছিলামঅ আপনাকে, নেকলেস পৌছে দেয়ার
জন্যে । কই এলেন তো না। আমি এখন আপনার কাছেই যাচ্ছিলাম, নেকলেস নিতে।’
লেগে গেল তর্ক
। ওদের বিবাদ মেটাতে এগিয়ে আসতে হল এক পুলিশকে - দুজনেই পুলিশ স্টেশনে টেনে চলুন
যা বলার ওখানেই বলবেন।
ঠিক সে
মুহূর্তে রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব হল ড্রমিও অভ সাইরাকিউস।
‘হুজুর, আজ রাতে একটা জাহাজ ছাড়ছে। আমি প্যাসেজ বুক
করে এসেছি’
‘হাদারাম, তোকে বললাম দড়ি কিনে আনতে!’
অ্যাঞ্জেলো এবং
পুলিশটি জাহাজের কথা শুনে ভাবল অ্যান্টিফোলাস অভ ইফিসাস দেনা শোধ না করে দেশ ছেড়ে
কেটে পড়ার তালে রয়েছে। বলেও ফেলল সে কথা।
অ্যান্টিফোলাস
তাকে মিথ্যে সন্দেহ করার জন্যে বকাঝকা করল ওদেরকে । তারপর ড্রমিওকে বলল বাড়ি গিয়ে অ্যাড্রিয়ানার
কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে আসতে। আমাকে পাগলের বাড়িতে পাঠাতে চাইছেন কেন, হুজুর?’ ফিসফিস করে বলল
ড্রমিও অভ সাইরাকিউস, ‘ওই মহিলা দুজন তো পাগল!’
সে আমিও জানি।
কিন্তু উপায় নেই। বেগম সাহেবাকে বলবে কাবার্ড থেকে যেন টাকা দিয়ে দেয় তোমাকে ।
জলদি যাও! অনুরোধের বহর দেখে বিস্মিত হল ড্রমিও। কাধ ঝাঁকিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল সে, ‘কি আর করা! মনিবের কথা তো শুনতেই হবে।’
অ্যাড্রিয়ানার
কাছ থেকে টাকা নিয়ে ড্রমিও অভ সাইরাকিউস থানার পথে চলল । এসময় দেখা হয়ে গেল তার
আসল মনিবের সঙ্গে ।
‘বেরোলেন কিভাবে?’ অবাক হয়ে জানতে চাইল সে।
‘এই নিন টাকা।’
‘বেরোলাম মানে? কি বলতে চাও তুমি? আমি তো বাইরেই রয়েছি। অপেক্ষা করছি তোমার জন্যে।’
‘আপনাকে না গ্রেফতার করে নিয়ে গেল? থতমত খেয়ে বলল
ড্রমিও ।
‘বোকার মত কথা বোলো না,’ বলল অ্যান্টিফোলাস। ‘জাহাজের কোন ব্যবস্থা করতে পারলে?’
‘আপনাকে তো জানালামই আজ রাতে ছাড়ছে,’ হাঁফ ছাড়ল অ্যান্টিফোলাস।
‘তবে চলো, বৌচকা বেঁধে সরে পড়ি এদেশ ছেড়ে।’
ওদিকে পুলিশ
স্টেশনে বসে রাগে ফৌস ফৌস করছে অ্যান্টিফোলাস অভ ইফিসাস। এত দেরি করছে কেন ড্রমিও? শেষ পর্যন্ত এল ড্রমিও।
‘হুজুর, দড়ি নিয়ে এসেছি,’ বিজয়ীর ভঙ্গীতে বললো সে। বলাই
বাহুল্য বেশ কিছু উত্তম মধ্যম পড়ল তার পিঠে।
‘ব্যাটা গর্ধব, আনতে বললাম টাকা আর নিয়ে এলি কিনা
দড়ি। টাকা কই?’ ভয় পেয়ে গেল ড্রমিও । মনিব আবার টাকা চাইছেন! আবার পাগলামি!
‘টাকা নেই!’ কোনমতে বলল সে ।
‘তবে বাড়ি গিয়ে নিয়ে আয়, যা!’ চিৎকার করে বলল ক্রুদ্ধ অ্যান্টিফোলাস।
ড্রমিও রওনা হওয়ার
আগেই হাজির হল অ্যাড্রিয়ানা। সে নিশ্চিত, তার স্বামী এবং ড্রমিও শয়তানের কবলে পড়েছে।
সঙ্গে করে সে এক ওঝা নিয়ে এসেছে, মেরে শয়তান তাড়ানর
জন্যে । দুজন মিলে কষে বাধল শয়তান তাড়িত লোক দুটিকে । তারপর টেনে নিয়ে চলল।
‘করেন কি! করেন কি! উনি আমার জিম্মায় আছেন ওনাকে
আপনারা নিয়ে যাচ্ছেন কোন আইনে?’ চেচিয়ে উঠলেন পুলিশ অফিসার ।
‘একেও বাধো! একেও শয়তানে পেয়েছে!’ নির্দেশ দিল ওঝা। হুকুম তামিল করল
তার চ্যালারা। বেঁধে নিয়ে গেল সকলকে।
‘ও জেলে গিয়েছিল কেন?’ ওঝা চলে গেলে অ্যাঞ্জেলোকে
অ্যাড্রিয়ানা জিজ্ঞেস করল। তার ধারণা পাগল স্বামীকে সারিয়ে তুলতে পারবে ওঝা ।
‘আমাকে দিয়ে নেকলেস বানিয়েছে। নিয়েওছে সেটা, কিন্তু টাকা দেয়নি,’ বলল অ্যাঞ্জেলো।
‘নেকলেস!’ গর্জে উঠল অ্যাড্রিয়ানা, ‘আমাকে কথা দিয়েছিল একটা নেকলেস দেবে। এখনও পাইনি ওটা। তারমানে অন্য কোন মেয়েলোককে
দিয়ে দিয়েছে। ওহ! লুসিয়ানা, আমি শেষ! ফৌপাতে লাগল সে।’
ঠিক তক্ষুণি
দেখা মিলল অ্যান্টিফোলাস অভ সাইরাকিউস আর তার সঙ্গী ড্রমিওর। তলোয়ার বাগিয়ে ধরেছে
তারা। ‘ওরা ছুটে গেছে,’ আর্তচিৎকার করল অ্যাড্রিয়ানা। ‘এদিকে তেড়ে আসছে!’
অ্যাঞ্জেলো আর তার
পাওনাদারের দিকে ধেয়ে এল ওরা দুজন ।
‘ওই দেখুন নেকলেসটা,' বলে উঠল অ্যাঞ্জেলো। ‘অথচ উনি বলছেন ওটা তাকে দিইনি।’
‘অমন কথা কখনোই বলিনি,’ বলল অ্যান্টিফোলাস।
‘আমাকে মিথ্যুক বলতে চান?’ চেঁচাল অ্যাঞ্জেলো ।
‘আমি মিথ্যে বলছি?’ গর্জে উঠল অ্যান্টিফোলাস।
যে কোন
মুহূর্তে লড়াই বেধে যেতে পারে। দুজনেই প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ ।
‘ওকে কিছু বলবেন না। ওর মাথার ঠিক নেই,’ বলল অ্যাড্রিয়ানা।
‘হুজুর! সেই ডাইনী দুটো,’ দু’বোনকে দেখে সাবধান করে দিল ড্রমিও।
‘বাপরে! শিগগির চল, আশ্রমে গিয়ে লুকাই,’ বলেই ছুটল অ্যান্টিফোলাস। তার পেছন পেছন ড্রমিও!
সন্যাসিনীদের
একটি মঠের ঠিক বাইরে দাড়িয়ে ঝগড়া করছিল ওরা । এবার ঢুকে পড়ল ওটার ভেতর । খানিক
বাদে বেরিয়ে এলেন মঠাধ্যক্ষ।
‘আমার স্বামীকে বাইরে আসতে বলুন, প্লীজ। আমি ওকে বাড়ি নিয়ে যাব,’ অনুরোধ করল অ্যাড্রিয়ানা। ‘ওর মাথার দোষ আছে।’
‘দোষটা হল কি কারণে?’ জানতে চাইলেন
মঠাধ্যক্ষ ভদ্রমহিলা । ‘জাহাজডুবিতে কোন বন্ধুকে হারিয়েছে? নাকি সহায়
সম্পত্তি নষ্ট করেছে? প্রেমে ব্যর্থ হয়নি তো?’
‘শেষেরটাই ঠিক,’ জবাব দিল আাট্রিয়ানা, ‘ও কারও প্রেমে পড়েছে। হাজার বকেও ফেরাতে পারিনি।’
‘তারমানে তোমার জ্বালাতেই পাগল হয়ে গেছে ও। বকে বকে
মাথাটা খারাপ করে দিয়েছ,’ বললেন ভদ্রমহিলা। ‘ওকে নিয়ে যেতে দিচ্ছি না আমি। তোমার স্বামী আর তার চাকর এখানে আশ্রয়ের জন্যে
এসেছে। ওদের যতদিন ইচ্ছে এখানেই থাকবে।’ কথা কটা বলে তিনি চলে গেলেন মঠের ভেতর ।
‘আমি ডিউকের কাছে নালিশ করব,’ ক্ষিপ্ত অ্যাড্রিয়ানা
চেঁচাল।
‘এখনই করুন না,’ বলল অ্যাঞ্জেলো। অ্যাড্রিয়ানার সঙ্গে
মঠাধ্যক্ষ ভদ্রমহিলার কথোপকথন এতক্ষণ উপভোগ করছিল সে। ‘ওই দেখুন, ডিউক এপথেই আসছেন, সাইরাকিউসের এক সওদাগরের কল্লা নেয়ার
জন্যে।’
অ্যাঞ্জেজেলোর
কথাই ঠিক। বিরাট শোভাযাত্রা সহকারে আসছেন ডিউক । ইজিয়নকে ঘিরে রেখেছে
পাহারাদারেরা।
‘মহামান্য ডিউক,’ বলল অ্যাড্রিয়ানা, ‘এই মোহান্ত আমার স্বামীকে আটকে
রেখেছেন, আমার সঙ্গে যেতে দিচ্ছেন না।’
অ্যাড্রিয়ানা
সারা দিনের সব ঘটনাই খুলে বলল ডিউককে ।
‘আমি ওঁর সঙ্গে কথা বলব,’ বললেন ডিউক।
‘ভদ্রমহিলা ভাল, বিচক্ষণও বটে।’
অ্যাড্রিয়ানা
যখন ডিউকের সঙ্গে কথা বলছে তখন তার এক কাজের লোক ছুটে এল । ‘বেগম সাহেবা, সাহেব আর ড্রমিও ওঝার হাত ফসকে পালিয়েছেন। খুঁজে বেড়াচ্ছেন আপনাকে, চোখে তাদের খুনের নেশা।’
ডিউক সাহস
জোগালেন অ্যাড্রিয়ানাকে। বললেন তাকে রক্ষা করবেন ।
‘অ্যান্টিফোলাসকে আমি চিনি। ও আপনার কোন ক্ষতি করবে
না।’
অ্যান্টিফোলাস
অভ ইফিসাস যখন ডিউককে দেখল তখন সে বসে পড়ল হাটু গেড়ে।
হুজুর, এই মহিলা বলতে চায় সে আমার স্ত্রী। অথচ আমার সঙ্গে কাজের লোকদের মত আচরণ করে। আমাকে
বাসায় ঢুকতে দেয়নি, সবার সামনে অপমানিত হয়েছি। আর এখন
বলছে আমি নাকি পাগল। কোথেকে এক পাগলা ওঝা ধরে নিয়ে এসেছে, আমাকে সারাবার জন্যে । আপনি এর বিচার করুন, হুজুর।’
‘ওর পাগলামির প্রমাণ পেলেন?’ প্রশ্ন করল অ্যাড্রিয়ানা। ‘আমার সঙ্গে বসে ডিনার করেছে, আর বলে কিনা ওকে বাসায়
ঢুকতে দিইনি!’
অ্যাঞ্জেলো বলল
তার সঙ্গেও অদ্ভুত আচরণ করেছে অ্যান্টিফোলাস।
‘সব তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে!’ চেঁচালেন ডিউক ।
‘তোমরা সব মাতাল। অ্যান্টিফোলাস পাগল হলে এত গুছিয়ে কথা
বলতে পারত? তোমাদের গল্পগুলোও বেখাপ্পা। স্ত্রী
বলছে স্বামী তার সঙ্গে ডিনার করেছে, আর স্বামী বলছে
বন্ধুর সঙ্গে! অ্যাঞ্জেলো বলছে ওকে সে নেকলেস দিয়েছে। অথচ অ্যান্টিফোলাস তা
অস্বীকার করছে। পাগল হয়ে যাব! মোহান্তকে ডাকো।’
স্থির দৃষ্টিতে
অ্যান্টফোলাস অভ ইফিসাসকে এতক্ষণ লক্ষ করেছেন ইজিয়ন। ‘মাই লর্ড,’ ডিউককে বললেন তিনি, এটাই আমার ছেলে-অ্যান্টিফোলাস, যাকে গত কবছর ধরে খুঁজে মরছি। আর ও হচ্ছে ড্রমিও, আমার ছেলের সঙ্গী,’ শুনে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল ওরা দুজন।
‘আমরা আপনাকে চিনি না,’ দুজনই বলল। ‘আপনিও কি পাগলা ওঝার রোগী?’
‘আমাকে চেনো না?’
‘জীবনেও দেখিনি।’
‘আমি তোমার বাবা। কি নিষ্ঠুর জীবন! আমার ছেলে আমাকে
চিনতে পারছে না! এখনও অতটা বুড়ো হইনি যে নিজের ছেলেকে চিনতে ভুল করব।’
‘সবাই জানে জন্মেও সাইরাকিউসে যাইনি আমি। আমার বাবা
নেই, তাকে কোনদিন দেখিওনি।’
‘সাত বছর আগে ছেড়ে এসেছিস আমায়। এত জলদি সব ভুলে গেলিরে বাপ?’
‘অ্যান্টিফোলাসকে বহু বছর ধরে চিনি,’ বললেন ডিউক । আমি ওর
পক্ষে সাক্ষ্য দিতে পারি।’
সে মুহূর্তে
মঠাধ্যক্ষ এলেন অ্যান্টিফোলাস অভ সাইরাকিউস আর ড্রমিওকে নিয়ে ।
‘বাবা!’ ডেকে উঠল অ্যান্টিফোলাস অভ সাইরাকিউস ।
‘হুজুর, আপনাকে বেঁধে
রেখেছে কেন?’ অবাক হয়ে প্রশ্ন করল ড্রমিও অভ সাইরাকিউস।
মঠাধ্যক্ষ
ততক্ষণে চিনে ফেলেছেন ইজিয়নকে। ইনি আর কেউ নন, তারই হারানো
স্বামী।
‘ওঁর বাঁধন খুলে দিন,’ বললেন তিনি। ‘আমি ওঁর জামিনের টাকা দিয়ে দেব, যদি উনি জাহাজডুবির সেই ইজিয়ন হয়ে থাকেন।’
‘এমিলিয়া, তুমি? বেঁচে আছ এখনও?’ স্ত্রীকে চিনতে পেরে চিৎকার করে উঠলেন
ইজিয়ন।
‘জেলেরা বাচিয়েছিল আমাকে । পরে ওরাই বাচ্চা দুটোকে
চুরি করে নেয়। তারপর এখানে চলে এসেছি, থাকছি তখন থেকে।’
চমকিত হলেন
ডিউক। ইজিয়নের মুখে শোনা দুঃখজনক ঘটনাটির মধুর সমাপ্তি দেখে খুশি হয়ে উঠলেন।
‘তুমি আমার স্বামী নও?’ দেবরকে জিজ্ঞেস করল অ্যাড্রিয়ানা। ‘আমার সঙ্গে কি তুমিই ডিনার করেছিলে?’
- “হ্যা,” নম্র গলায় জবাব দিল অ্যান্টিফোলাস অভ সাইরাকিউস। ‘আপনি আমার বোনের মত । আর যে মহিলা
বোন হতে চাইছিল তার নিশ্চয়ই এখন মত পাল্টাতে আপত্তি নেই?’ লুসিয়ানার দিকে চেয়ে
মৃদু হেসে জিজ্ঞেস করল সে ।
সব রহস্যের
সমাধান হয়ে গেল। ছাড়া পেলেন ইজিয়ন । যমজ ভাইয়েরা বাবা-মার সঙ্গে মিলিত হল। দুই ড্রমিও-ও পরস্পরকে ফিরে পেয়ে যারপরনাই
আনন্দিত হল।
No comments:
Post a Comment