Long walk to freedom - Nelson Mandela - Simple Translation in Bangla |
Long walk to freedom - Nelson Mandela -
Simple Translation in Bangla
সরলার্থঃ
প্রথম
অনুচ্ছেদ:
১৯৯৪
সনের
১০ই
মে
নেলসন
মেন্ডেলার
প্রেসিডেন্ট
পদের
অভিষেক অনুষ্ঠানে
সমবেত
বিশ্ব
নেতৃবৃন্দের
কথা
উল্লেখ
করে
মেন্ডেলা
বলেন,
প্রিটোরিয়ার ইউনিয়ন
বিল্ডিং
ছিল
শ্বেতাঙ্গদের
আধিপত্যের
প্রতীকস্থল
এতদিন।
এই
প্রথম সেই
ইউনিয়ন
বিল্ডিং
হলো
জাতিভেদহীন
সরকারের
অভিষেক
স্থল
এবং অভিষেক
উপলক্ষ্যে
আগত
বিভিন্ন
বর্ণের
মানুষের
মিলনস্থল।
দ্বিতীয়
অনুচ্ছেদ:
শরৎকালে
আয়োজিত
সে
অনুষ্ঠানে
মেন্ডেলার
সাথে
ছিলেন
তাঁর
কন্যা জেনানী।
একে
একে
শপথ
নিলেন:
দ্বিতীয়
রাষ্ট্রপতি
ডি,
ক্লার্ক,
প্রথম
উপরাষ্ট্রপতি থাবোম্বেকি
সবশেষে
মেন্ডেলা
স্বয়ং।
মেন্ডেলা
তাঁর
ভাষণে
নবজাতক
স্বাধীনতাকে গৌরবান্বিত
করে
বলেন,
মানবিক
বিপর্যয়ের
উপর
প্রতিষ্ঠিত
নবগঠিত
এ
সমাজকে নিয়ে
সমগ্র
মানবজাতি
গর্ববোধ
করবে;
এমনি
তার
প্রত্যাশা।
তৃতীয়
অনুচ্ছেদ:
দক্ষিণ
আফ্রিকার
অধিকার
বঞ্চিত
মানুষেরা
এতদিনে
ন্যায়বিচার, মানবীয়
মর্যাদায়
অধিষ্ঠিত
হয়ে
বিশ্ব
নেতৃবৃন্দকে
স্বদেশে
আমন্ত্রণ
জানাতে
পেরে গৌরর
বোধ
করছে।
মেন্ডেলা
বিশ্ব
নেতৃবৃন্দকে
সে
আমন্ত্রণে
সাড়া
দেয়ায়
তাঁদের ধন্যবাদ
জানান।
তিনি
মুক্ত
কণ্ঠে
বলেন,
আমরা
অবশেষে
রাজনৈতিক
মুক্তি
অর্জন করেছি।
জনগণকে
দারিদ্র্য,
বঞ্চনা,
নির্যাতন,
লিঙ্গ
বৈষম্য
থেকে
মুক্ত
করার অঙ্গীকার
করেছি।
এই
দেশে
আর
কোনোদিন
মানুষ
মানুষের
নির্যাতনের
শিকার হবে
না
এমনি
অঙ্গীকার
করছি,
আশা
করছি,
এ
দেশে
কোনোদিনই
আর স্বাধীনতার
সূর্য
অস্তমিত
হবে
না।
ঈশ্বর
আফ্রিকাকে
আশীর্বাদ
করবেন।
চতুর্থ
অনুচ্ছেদ:
তারপর
বিমান
বাহিনীর
বিমান মহড়ার
উল্লেখ
করে
মেন্ডেলা
বলেন,
এই মহড়া
ছিল
গণতন্ত্রের
প্রতি
সমর্থনে
সামরিক
শক্তির
প্রতীক। সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ
ও
অভিবাদনের
উল্লেখ
করে
বলেন,
আজ
যারা
তাকে
অভিবাদন জানিয়ে
গেল,
মাত্র
কয়েক
বছর
আগে
তারাই
তাকে
বিনা
অভিবাদনে
গ্রেফতার করত।
তারপর
দুইটি
জাতীয়
সঙ্গীত
গাওয়া
হলো।
দুটি
জাতীয়
সঙ্গীত গাওয়াকেও
মেন্ডেলা
বললেন,
প্রতীকী
বিজয়।
পঞ্চম
অনুচ্ছেদ:
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানের
আনুষ্ঠানিকতার
পর
মেন্ডেলা
দক্ষিণ
আফ্রিকার ইতিহাস
স্মরণ
করেন।
বিংশ
শতাব্দীর
শুরুতে
এ্যাংলো-বোয়ার
যুদ্ধের
পর শ্বেতাঙ্গরা
সাময়িকভাবে
কৃষ্ণাঙ্গদের
সঙ্গে
বিভেদ
মিটিয়ে,
শ্বেতাঙ্গ
আধিপত্য কায়েম
করে।
সে
আধিপত্য
ছিল
পৃথিবীর
সবচেয়ে
কঠোর,
নির্মম,
অমানবিক সমাজ
কাঠামোতে
প্রতিষ্ঠিত।
এখন
বিংশ
শতাব্দীর
শেষ
দশকে,
আমার
আশি বছর
বয়সে
সে
সমাজ
কাঠামো
চিরদিনের
জন্য
তিরোহিত
হলো
এবং
বর্ণ বৈষম্যহীন
মানবীয়
এক
সমাজ
প্রতিষ্ঠিত
হলো।
অজশ্র
পূর্বসূরির
অকল্পনীয়
ত্যাগ স্বীকারেই
তা
সম্ভব
হয়েছিল
। মেন্ডেলা
সে
সব
পূর্বসূরিদের
ত্যাগ
স্বীকারকে
যথাযথ কৃতজ্ঞতা
না
জানাতে
পারার
জন্য
অনুতপ্ত
বোধ
করে
বলেন,
তাঁর
দুঃখ,
সে
সব শহীদেরা
শেষ
বিজয়
দেখে
যেতে
পারেননি।
ষষ্ঠ
অনুচ্ছেদ:
বর্ণ
বৈষম্য
দক্ষিণ
আফ্রিকায়
যে
গভীর
ক্ষতের
সৃষ্টি
করেছে
তার
থেকে মুক্তি
লাভ
সময়সাপেক্ষ।
বর্ণ
বৈষম্যবাদ
তার
অজান্তেই
দক্ষিণ
আফ্রিকায়
অনেক সাহসী,
প্রজ্ঞাবান,
উদার
বীরের
জন্ম
দিয়েছে
যার
সমকক্ষ
বীর
ভবিষ্যতেও
হবে বিরল।
কঠিন
অত্যাচারই
এসব
মহৎ
মানুষের
জন্ম
দিয়েছে।
আমার
দেশের
রত্ন সম্ভার
থেকেও
আমার
দেশের
মানুষ
অধিক
মূল্যবান।
মেন্ডেলা
বলেন,
তিনি
তার সহযোদ্ধাদের
কাছ
থেকে
সাহসের
অর্থ
বুঝেছেন,
তাদের
ত্যাগ
দেখে
শিখেছেন, ভয়কে
জয়
করার
মন্ত্রণা
থেকে
ভয়কে
জয়ের
পথ
চিনেছেন।
সপ্তম
অনুচ্ছেদ:
স্বদেশের
পরিবর্তনে
মেন্ডেলা
বরাবরই
আশাবাদী
ছিলেন
এবং
তাঁর
সে বিশ্বাসের
ভিত্তি
ছিল
তার
দেশের
আপামর
জনতার
ত্যাগী
মানসিকতা।
মেন্ডেলা
এ পর্যায়ে
মানুষের
আচরণতত্ত্ব
নিয়ে
মন্তব্য
করেন।
তাঁর
মতে,
মানুষকে
ঘৃণা
করার প্রবণতা
নিয়ে
মানুষ
জন্মায়
না।
মানুষকে
যা
শেখানো
হয়
তাই
সে
শেখে
। মেন্ডেলার কারাবাসেও
তিনি
একজন
মানবিক
গুণসম্পন্ন
কারারক্ষীর
দেখা
পান। কারারক্ষীর
সেই
স্বল্পস্থায়ী
মানবিক
গুণের
প্রকাশই
মেন্ডেলাকে
মানুষে
বিশ্বাসী
করে তোলে।
প্রাসঙ্গিকভাবে
মেন্ডেলা
বলেন,
বিপ্লবের
পথ
সহজ
নয়
জেনেই
তিনি তাতে
সামিল
হয়েছিলেন,
অবশ্য
সে
জন্য
তাকে
তার পরিবারকে
অনেক
কঠিন
মূল্য
দিতে
হয়েছিল।
অষ্টম
অনুচ্ছেদ:
মেন্ডেলা
বলছেন,
প্রতিটি
মানুষের
জীবনে
দুটি
দায়িত্ব
আছে—একটি তার
পরিবারের
প্রতি,
অপরটি
তার
দেশের
প্রতি।
প্রতিটি
মানুষই
তা
পূরণে সক্ষম।
কিন্তু
মেন্ডেলা
যে
পরিবারে
জন্মেছিলেন,
সে
পরিবারের
একজন
মানুষ হিসেবে
এ
দুটি
দায়িত্ব
সমানভাবে
পালন
করা
কঠিন
ছিল।
দক্ষিণ
আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ
শাসকরা
একজন
মানুষের
এ
দুটি
দায়িত্ব
সমানভাবে
পালনের
পথে বিচ্ছিন্নতা
সৃষ্টি
করত।
মেন্ডেলা
বলছেন,
অবশেষে
পরিবারের
চেয়ে
রাষ্ট্রের
প্রতি দায়িত্ববোধই
তাঁর
কাছে
বড়ো
হয়ে
দেখা
দিল।
নবম
ও
দশম
অনুচ্ছেদ:
মেন্ডেলার
মতে,
কোনো
মানুষই
পরাধীন
হয়ে
জন্মায়
না,
সে স্বাধীন
হয়েই
জন্মায়। ছোটবেলায়
মেন্ডেলাও
স্বাধীন
ছিলেন।
কিছুকাল
পরে
বুঝলেন, তার
কাছ
থেকে
স্বাধীনতা
ছিনিয়ে
নেয়া
হয়েছে,
আর
তখনই
তিনি
সে
স্বাধীনতার আকাক্ষায়
ব্যাকুল
হয়ে
উঠলেন,
আফ্রিকান
ন্যাশনাল
কংগ্রেসে
যোগদান
করলেন। ব্যক্তিগত
স্বাধীনতা
আকাঙ্ক্ষাকে
স্বদেশবাসীর
স্বাধীনতা
আকাঙ্ক্ষায়
পরিণত করলেন।
স্বাদেশবাসীর
সম্রম
ও
আত্মসম্মানবোধে
অনুপ্রাণিত
হলেন,
দেশবাসীর পরাধীনতাকে
নিজের
পরাধীনতা
ভাবলেন। আইন
অমান্যকারী
হলেন।
সন্ন্যাসীর মতো
সংসার
ত্যাগী
হতে
বাধ্য
হলেন।
স্বদেশবাসীর
মুক্তি
কামনার
ভার
নিজ কাঁধে
তুলে
নিলেন।
সব
ভয়
কাটিয়ে
সাহসী
হলেন।
ভাবতে
শুরু
করলেন,
শুধু কৃষ্ণাঙ্গ
নয়
শ্বেতাঙ্গদেরও
স্বাধীনতা
প্রয়োজন।
শ্বেতকায়,
কৃষ্ণকায়
নির্বিশেষে সকল
মানুষের
ব্যক্তি
স্বাধীনতার
আকাক্ষা,
মেন্ডেলার
নিজস্ব
আকাক্ষা
হয়ে উঠল।
তিনি
বুঝলেন,
অত্যাচারীতের
মতো
অত্যাচারীদেরও
মুক্তি
প্রয়োজন।
একাদশ
অনুচ্ছেদ:
কারাগার
থেকে
মুক্ত
হয়ে
মেন্ডেলা
অত্যাচারী
ও
অত্যাচারীতদের সমানভাবে
মুক্ত
করার
বিশ্বাসে
বিশ্বাসী
হয়ে হয়ে
ওঠেন।
অনেকে
বলেন,
সেটি অর্জিতও
হয়েছে
কিন্তু
মেন্ডেলা
তা
মানতে
নারাজ।
তাঁর
মতে,
সার্বিক
স্বাধীনতা অর্জনের
পথ
সুদূর
পরাহত।
সে
পথে
তার
যাত্রা
শুরু
হয়নি
এখনো। নিজে স্বাধীনতা
অর্জন
করা,
অন্যের
স্বাধীনতার
প্রতি
যত্নবান
হওয়ার
পথে
তিনি
এখনো ফেলেননি।
নিজের
দীর্ঘ
সংগ্রামী
জীবনের
দিকে
পিছু
ফিরে
তাকিয়ে
তার
এই মনে
হয়,
যত
পথ
তিনি
পাড়ি
দিয়েছেন,
লক্ষ্য
অর্জনে
তাকে
আরো
দীর্ঘ
পথ
পাড়ি দিতে
হবে।
ক্ষণিক
বিশ্রামের
পর,
সে
যাত্রা
আবার
শুরু
করতে
হবে।
অন্যান্য লিঙ্কঃ
১। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা অনুবাদ
২। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা সরল অনুবাদ
৩। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা সারাংশ ও আলোচনা
৪। নেলসন ম্যান্ডেলা জীবন ও কর্ম বাংলা
অন্যান্য লিঙ্কঃ
১। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা অনুবাদ
২। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা সরল অনুবাদ
৩। লং ওয়াক টু ফ্রিডম বাংলা সারাংশ ও আলোচনা
৪। নেলসন ম্যান্ডেলা জীবন ও কর্ম বাংলা
No comments:
Post a Comment