The Faerie Queene - Edmund Spenser - Bangla Translation - Part - 4 |
The Faerie Queene: Book I Canto I
৪২
সংবাদবাহক মরফিউসের কাছে গিয়ে জানাল তাকে,
কিন্তু সংবাদবাহকের শব্দগুলো বৃথা গেল একেবারে
কারণ মরফিউস ঘুম হতে জাগলেন না কোনো মতে,
মরফিউস ঘুমিয়ে আছে গভীর ঘুমে, শেষে
সংবাদবাহক তাকে উচ্চ শব্দ করে ঠেলতে লাগলো জোরে,
সংবাদবাহকের অনেক ধাক্কাধাক্কি চিৎকারের ফলে,
শেষে মরফিউস কী যেন একটা বলল অস্ফুট স্বরে,
যেন স্বপ্ন দেখে ঘুম হতে জেগে সমস্যা হয়েছে
তার
মোট কথা, কোনোক্রমেই পুরো নীরবতা ভাঙলো না মরফিউসের,
৪৩
প্রেতাত্মা সংবাদ দেয়ার আগে জাগাতে চাইল
মরফিউসকে
এরই মাঝে মরফিউসকে ভয় দেখাল পাতালের রানী
হেকেট-এর ভীতিকর নাম তুলে,
হেকেটের কথা শুনে ভয় পেয়ে মরফিউস,
তার মাথা জাগালো কিছুটা বিরক্তি সহকারে,
মরফিউস জানতে চাইলে সংবাদ বাহক জানাল সে এসেছে
আর্কিগোর আবাস হতে,
তিনি হলেন বিখ্যাত যাদুকর, প্রেতাত্মারা তার কথা মানে,
যাদুকর বলেছেন, মরফিউস যেন পাঠায় কৃত্রিম স্বপ্ন।
আর মায়াময় স্বপ্ন, ঘুমন্ত কিছু মানুষের তরে।
৪৪
মরফিউস নীরবে মান্য করল আর্কিমাগোর নির্দেশ,
মরফিউস তার খাঁচা হতে বের করল প্রতারণাযুক্ত
স্বপ্নকে,
সে স্বপ্নগুলো তুলে দিল সংবাদ বাহকের হাতে,
অতঃপর ঢলে পড়ল নিদ্রায়, যেখানে কোনো ব্যথা বেদনা নেই,
এবারে নিদ্রায় অসার হলো মরফিউসের সকল চেতনা বোধ,
সংবাদবাহক হাতির দাঁতের গেট পার হয়ে পাখির মতো
উড়াল দিল,
স্বপ্নগুলো সংবাদবাহক নিয়ে এল তার পাখায় বহন
করে,
অতি দ্রুত ফিরে এল সে স্বপ্ন সাথে নিয়ে,
আর তার প্রভু তাকে যে স্থানে স্থাপন করতে বলেছে
সেথায় করল স্থাপন।
৪৫
প্রেতাত্মার প্রভু অসৎ বৃদ্ধ সর্বদা ব্যস্ত জাদু
গুপ্তবিদ্যা নিয়ে,
একটি নারীকে মধ্যস্থ করে সে প্রেতাত্মাদের
নিয়ে আসে,
সে শূন্যের মাঝে তৈরি করে অপরূপ নারী, পুরুষদের প্রলুব্ধ করে,
দেখে মনে হয় সত্যিকার রূপসী নারী যাতে সহজেই
দুর্বল হয় পুরুষ,
রমণীকে চোখে দর্শন করেই রীতিমতো প্রেমে পড়ে
যায় পুরুষেরা,
এমনকি এ রমণী নানা মোহনীয় লীলা প্রদর্শন করে
মুগ্ধ করে
সাদা পোশাকের উপরে সে পরে কালো কটি, দেখে মনে হয় ঠিক উনা,
পুরুষেরা তার অপরূপ এই রূপ সুষমা দেখে,
ভুল করে বসে উনা মনে করে।
৪৬
যখন প্রতারণামূলক স্বপ্নকে আনা হলো বৃদ্ধ
যাদুকরের সামনে,
সে নির্দেশ দিল ঘুমিয়ে থাকা নাইটের কাছে তাকে
নিয়ে যেতে,
মিথ্যে স্বপ্ন গিয়ে ঢুকে গেল ঘুমন্ত নাইটের
চিন্তা চেতনায়,
আর তাকে দেখাতে লাগল মিথ্যে ভালোবাসা, ঘৃণাযুক্ত স্বপ্নের ছায়াবাজি,
সে সব স্বপ্ন নাইটের পবিত্র হৃদয়ে তুলল পাপ আর
ঘৃণার আলোড়ন,
অলিক স্বপ্ন দেবী উনার রূপ ধরে শায়িত হলো
নাইটের পাশে,
কিউপিডের সহায়তায় নাইটের হৃদয়ের কাছাকাছি
এসে,
হরণ করে নিল মেকি ভালোবাসা দ্বারা নাইটের অন্তর,
অতঃপর আহবান জানাল তার সাথে প্রেম ক্রীড়ায়
অংশ নেয়ার।
৪৭
বৃদ্ধ সেই যাদুকরের নির্দেশ মতো প্রতারক স্বপ্ন
আর,
নতুন গড়া রমণী একসাথে ক্রিয়া করল আর,
চলে গেল সেই স্থানে যেখানে নাইট গভীর নিদ্রায়
মগ্ন,
মিথ্যে স্বপ্ন গিয়ে স্থান নিল নাইটের মস্তিকে
আর
শুরু করল ভালোবাসা আর ঘৃণার লীলাখেলা,
নাইটের কঠিন হৃদয় দলিত মথিত হলো স্বপ্নিল
প্রেমে,
নাইট দেখলেন উনার রূপ ধরে শুয়ে আছে তার পাশে,
অতঃপর সেই দেবীরূপী উনার প্রেমে মত্ত হয়ে,
নাইট মেতে উঠলেন প্রেমের গভীর উদ্দীপনায় ।
৪৮
নাইট দেখল, ভেনাস এসে হাজির,
যাকে নিয়ে এসেছে প্রতীকীরূপে উনারূপী
প্রেতাত্মা,
উনা বাস্তবে নাইটের কাছে ছিল প্রস্ফুটিত ফুলের
তুল্য,
কিন্তু ঘুমের মাঝে উনাকে মানে হলো এ রমণী,
বড়োই চরিত্রহীনা নির্লজ্জ, তার ভাবনার মতো নয় মোটেই,
আর দেবী সর্বদা গাইছে তার সামনে রোমান্টিক বিবাহ
গীতি,
সকল কুমারী যুবতীরা নাচছে উনাকে ঘিরে,
আর উনা পরে আছে আইভিলতার মালা।
হরণ করেছে নাইটের হৃদয় নানা লীলা রঙ্গ সহযোগে
।
৪৯
নাইট এমন অযাচিত বিষয়ের মুখোমুখি হননি কখনো,
জেগে উঠলেন নিদ্রা হতে অজানা এক শঙ্কা নিয়ে,
মনে হলো অজানা কোনো শত্রু যেন ঘিরেছে তাকে,
জেগে উঠেই অবাক হলেন উনাকে তার সামনে দেখে
কিন্তু দেবী তার সুন্দর মুখ ঢেকেছেন কালো আবরণে,
লজ্জায় আরক্ত দেবী তাকে প্রলুব্ধ করল চুমো
দিতে,
কাছে টানল কমনীয়ভারে তাকে গ্রহণ করতে,
প্রেতাত্মাকে সত্যিকারভাবেই দেখাচ্ছিল কুমারী
উনার মতো,
আর নাইটও ভুল করলেন তাকে উনা ভেবে।
৫০
এসব দেখে আতঙ্কিত হতাশা গ্রাস করল নাইটকে,
কিছুটা ক্রুদ্ধ হলেন এ রমণীর এমন বেহায়াপনা
দেখে,
নাইট প্রথমে ভাবলেন এ নারীকে হত্যা করাই ভালো,
কিন্তু পরক্ষণেই শুধরে নিলেন নিজেকে এমন চিন্তা
হতে,
নারীর বাহুর বন্ধন হতে সবলে ছাড়ালেন নিজেকে,
নাইট পরীক্ষা করতে সচেষ্ট হলেন কেমন রমণী সে,
আর উনারূপী নারী করুণ মিনতি জানাল নাইটের হাত
ধরে,
রমণী কান্নায় উতল হলো, নাইটের জাগল সহানুভূতি,
তার মহতী হৃদয় কিছুটা কোমল হলো কুমারীর প্রতি
।
৫১
রমণী বলল নাইটকে, আহ প্রভু আমার, প্রিয়তম মোর,
আমি দোষী সাব্যস্ত করছি আমার লুকোনো
দুর্ভাগ্যকে,
আমি দোষী, এ কারণে যেতে পারছি না ঊর্ধ্বলোক পানে,
কিংবা আমি দোষী করবো অন্ধ কিউপিডকে,
যে তোমার ভালোবাসা পাওয়ার তরে আমাকে করেছে
কাবু,
আমি জানি তোমার ঘুণাটাই পাব কিন্তু ঈশ্বর কেন
এটা করলেন,
আমাকে মৃত্যু দিলেই ভালো হতো, মৃত্যুই আমি চাই,
আমি তোমাকেই চাই কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাকে তা
দেয় না পেতে
তুমিই বিচার করে বলো, বেঁচে থাকব নাকি মরে যাব আমি।
৫২
অতঃপর বলল রমণী এটা তোমার সদয় অনুভবে আসাটা
উচিত,
আমি গভীর বেদনার সাথে আজ ছেড়ে যাচ্ছি আমার
পিতৃভূমি,
এর বেশি বলতে পারল না অশ্রু জলে কণ্ঠরুদ্ধ হলো
তার,
রমণীর কথা শুনে মনে হলো হৃদয়ের বেদনাভার সইতে
পারছে না সে,
পুনরায় জানাল রমণী, তার যৌবন কেটেছে চরম ভীতি আর অনিশ্চয়তায়,
আমি সহায়তা চাই তোমার, মরতে দিও না মোরে বলল কান্না জড়িত স্বরে,
বলল নাইট সহানুভূতির স্বরে, তোমার এত দুঃখ কীসের নারী,
কেন তুমি এতটা ভীত, কীসের দুঃখ তোমার?
তুমি নির্ভয়ে থাকো আমার রাজ্যে, তুমি নিজেই সৃষ্টি করেছ নিজের ভীতি।
৫৩
বলল রমণী, তোমার প্রতি আমার এ ভালোবাসা সামলানো উচিত ছিল,
কিন্তু এই ভালোবাসার উত্তাপ আমাকে ঘুমুতে দেয়
না রাতে,
আমি কি গোপন ব্যথায় ভুগি রাতে যেটা তোমার মাঝে
জাগাবে না করুণা,
আমি ভুগি বেদনার গ্লানিতে আর তুমি ঘুমাও পরম
নিশ্চিতে,
রমণী সত্যি বলছে কিনা সহসাই সনাক্ত করতে পারল
না নাইট,
নাইট কোনো ক্রমেই রমণীর এ ভালোবাসা পারল না
উপেক্ষা করতে,
অথচ সে তার ভালোবাসা নিয়ে করে যাচ্ছে রীতিমতো
কৌতুক,
অবশেষে বলল নাইট, ওহে রমণী তোমার বেদনায় আমিও ব্যথিত,
আর যা কিছু ঘটেছে সবই ঘটেছে অজান্তে আমার ।
৫৪
নাইট জানাল রমণীকে, তোমার প্রতি মোর প্রেম ধুলায় হবে না বিলীন,
আমি মোর হৃদয়কে যেমন ভালোবাসি তেমনি ভালোবাসা
পাবে তুমি,
আমি মনে করি আমার জীবন বাঁধা রবে তোমারি বন্ধনে,
তবুও তুমি এমন ভীতি আর আশঙ্কা কোরো না যার কোনো
নেই ভিত্তি,
যাও এবার বিশ্রাম নাও, কিন্তু রমণী আশ্বস্ত হলো না এতে,
তবে এতে তার মনোবেদনার কিছুটা লাঘব হলো,
রমণীর লীলা লাস্যের চাতুরালী পুরো ব্যর্থ হলো,
নাইটের কথাগুলো পৌছল গিয়ে মরমে তার,
আর দ্রুত স্থান ত্যাগ করে নিদ্রা আর বিশ্রামের
তরে গেল চলে।
৫৫
দীর্ঘ সময় বিছানায় শুয়ে নাইট ভাবলেন এ রমণীর
কথা,
ভেবে ভেবে এ রমণীর প্রতি জাগল সহানুভূতি
আর রক্তের বিনিময় হলেও একে রাখবে সে নিরাপদ,
একে তো ড্রাগন যুদ্ধে নাইট ক্লান্ত তাতে এ
ভাবনা তাকে ক্লান্ত করল আরো
কোনোক্রমে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমুতে গেল সে,
ঘুমের দূঃস্বপ্ন কেটে গিয়ে স্বপ্নে এল এক মনোরম
আবাসভূমি,
সে স্বপ্নের আবাস বড়ো মনোরম, রূপসী রমণী বেষ্টিত স্থান,
নাইটের মাঝে কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখে
প্রেতাত্মা ফিরে গেল তার প্রভুর কাছে।
যে প্রেতাত্মা তৈরি করেছিল দেবী উনারূপী মিথ্যে
রূপসী।
আসসালামু আলাইকুম ভাই। Faerie Queene এর book 1 এর সম্পূর্ণ অনুবাদ পাওয়া যাবে?
ReplyDeleteWay of the world এবং Ben jonson এর The Alchemist বা josep Andrews(Henry Fielding) এগুলো কি আপ্লোড দিবেন?
Faerie Queene এর সম্পূর্ণ book 1 দেয়া আছে! আপনি এই ব্লগের সার্চ অপশনে সার্চ দেন। তাহলেই পেয়ে যাবেন
ReplyDelete