Pike - Ted Hughes - Bangla Summary and Analysis |
Pike - Ted Hughes - Bangla Summary and Analysis
সারাংশ
টেড হিউজের বেশিরভাগ কবিতার মূলবিষয়বস্তু ছিল
হিংস্রতা, বন্যতা ইত্যাদি। ‘পাইক’ কবিতাটিও এর বাহিরে নয়। পাইক মাছের প্রধানস স্বভাবই হল এরা হিংস্র, ঘাতক আর সর্বভুক। ছোট বাচ্চাদের আকৃতি বড়জোর তিন ইঞ্চি।
আকৃতি তার যাই হোক ছোটো বা বড়ো, বয়স তার যাই হোক নবজাত
বা বয়স্ক তার স্বভাবের হিংস্রতা, জিঘাংসাপরায়ণতা সব
পর্যায়েই সমান। কবি একবার শখ করে হিংস্র দাতাল, পাইক মাছ পুষতে চেয়েছিল। কাঁচের মৎস্যাধারে তিনটি পাইক মাছ
যথাক্রমে তিন ইঞ্চি, চার ইঞ্চি ও সাড়ে চার ইঞ্চি লম্বা তাদের পুষতে চেয়েছিলেন
কিন্তু দেখা গেল একে অপরকে ভক্ষণ করে শেষে মাত্র একটিই টিকে ছিল। এ হচ্ছে ক্ষুদে
পাইকদের কর্ম। আর বয়স্করাও তাই করে যা বাচ্চা পাইকরা করে; পরস্পরকে মেরে
খায়। দু’ফুট লম্বা একটা পাইক আরেকটাকে খেতে গিয়ে একটার গলায়
আরেকটা আটকে দুটোই মারা গেল। সৌখিন মৎস্য শিকারি, কবি পাইকদের হিংস্রতায় ভীত বোধ না করলেও তাদের নিয়ে
কৌতুহলী।
‘পাইক’ কবি টেড হিউজের পরিচিত কবিতাগুলোর অন্যতম। ১৯৫৯ সালে কবিতাটি
প্রথম প্রকাশিত হয়। ১৯৭০ সালে পুনরায় তা লুপারকেল কাব্যগ্রন্থে সংযোজিত হয়।
কবিতাটির শিরোনাম থেকেই বুঝা যায় কবিতাটির বিষয়বস্তু মাংসাশী মাছ পাইক নিয়ে।
বয়স বাড়লে মাছটি প্রকাণ্ড আকারের হয় কিন্তু তিন ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের থাকতেই সে হয়
আগ্রাসী স্বভাবের।
কবি একদা সবুজে হলুদে মেশানো রংয়ের তিনটি
সুন্দর পাইক একটা বোতলে রেখেছিলেন, দেখতে সুন্দর হলেও ওরা ডিম্বাবস্থা থেকেই আগ্রাসী স্বভাবের। নীরবে জলে ঘুরে
বেড়ালেও ওদের জিঘাংসা নীরব থাকে না। বোতলে রাখা পাইকগুলোকে ছোটো মাছ দেয়া হতো
খাবার হিসেবে কিন্তু তাতেও তাদের জিঘাংষা দূর হতো না, সময় পেলেই একটি অপরটিকে আক্রমণের সুযোগ খুঁজত, হত্যার চেষ্টা করত। হঠাৎ একদিন দেখা গেল একটি নেই, পরে দেখা গেল দ্বিতীয়টিও নেই, বুঝাই গেল অপেক্ষাকৃত শক্তিশালীটি বাকি দুর্বল দৃটিকে
সাবাড় করে দিয়েছে তার স্ফীত উদরই প্রমাণ দিচ্ছিল।
আরেকবার কবি উইলো ঝোপের ভেতর ছয় পাউন্ড ওজনের
দুই ফুট লম্বা বিরাট দুটি পাইককে মৃত আবিষ্কার করেন একটির চোয়াল অন্যটির চোয়ালের
মধ্যে আটকে দুটিই মরে পড়ে ছিল। আরেকবার কবি এক মজা পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন, সে পুকুরে বিরাট আকারের অনেকগুলো পাইক ছিল। বর্শিতে একটা
গাথলেনও প্রায়। সন্ধ্যার সময়। কবি বর্শিতে গাঁথা পাইকটিকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে
পড়লেন, মাছটির বিরাট আকার দেখে আর তার ভয়ঙ্কর স্বভাবের কথা ভেবে।
প্রতি স্তবক চার পঙক্তির, কবিতাটিতে এগারোটি স্তবক রয়েছে। প্রথাগত কোনো ছন্দ বা পদই
কবিতাটিতে অনুসরণ করা হয়নি। কখনো হ্রস্ব কখনো দীর্ঘ পদের ব্যবহার করা হয়েছে। বহু
বাক্যালঙ্কার : Similie,
metaphor, hyperbole এসবের সফল প্রয়োগ সত্ত্বেও কবিতাটিতে কোনো চিরকালীন মানবীয়
আবেগ বা আবেদন অনুপস্থিত।
কবিতাটি পাইকের জিঘাংসা বর্ণনার মতোই কঠিন, নিষ্ঠুর। মর্মস্পর্শী কোনো বাণীবহ নয়। কবিতার উদ্দেশ্য যদি
হয় নৈতিক শিক্ষা দান ও আনন্দ প্রদান (স্যার ফিলিপ সিডনী স্মর্তব্য) তাহলেও পাঠক
কবিতাটির মধ্যে এ দুয়ের কোনোটিকেই খুঁজে পাবে, কোনো সংক্ষিপ্ত বার্তাও খুঁজে পাবে না, এমনকি কোনো বিক্ষিপ্ত চিন্তার সমন্বয় (এলিয়ট)ও খুঁজে পাবে না।
No comments:
Post a Comment