Simple Meaning/Translation of the poem - "Fern Hill" |
Simple Meaning/Translation of the poem - "Fern Hill" of Dylan Thomas
ফার্ন হিল - সরলার্থঃ
প্রথম স্তবক:
শৈশবের হারানো দিনগুলো; আপেল পাতার ছায়ার দিনগুলো, শৈশবে যে আনন্দে, যে কল্পনায় তারার রাজ্যে হারিয়ে যাবার বাসনা উদ্দীপ্ত করত, কবি সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে আকুল।
দ্বিতীয়
স্তবক: আপেলের বোঝাবাহী গাড়িগুলো শৈশবে কবিকে ভীষণ আকৃষ্ট করত, চারপাশের সব বৃক্ষ আর পাতারা ছিল তার ভালোবাসার ধন। সূর্যের নিস্তেজ আলোয় ঝিমানো বার্লি আর ডেইজী ফুলের সার কবিকে টানত নিরন্তর। বনরাজিকে শাসন করতেন রাজ্যের মতোন।
তৃতীয় স্তবক:
শৈশবে গোলাঘরই ছিল কবির খেলাঘর। কবি সারা দিনমান খোলা মাঠে গান গেয়ে, রোদে ঘুরে বেড়াতেন। শৈশবে এমনি ছিল সোনালি অবসর তার।।
চতুর্থ স্তবক:
বাছুরদের তাড়া করতেন কখনো রাখালের মতো, কখনো শিকারির
মতো শিঙা বাজিয়ে, দূরে পাহাড়ে শেয়ালেরা ডাকত শীতের
সন্ধ্যায়। গির্জায় ঘণ্টা বাজত পবিত্র সুরে, সে সুর যেন
ধুয়ে যেত ঝরনার নুড়ি পাথরের সাথে।
পঞ্চম স্তবক:
খড়ের গাদায় সূর্য গড়িয়ে যেত। মাঠময় খড়ের গাদা, যেন ছোটো বড়ো ঘর সব, দূরে চিমনির ধোয়ার ঊর্ধ্বগতি। কী
আনন্দের ছিল ক্রীড়াময় সেই দিনগুলো, জলের গতির মতো
স্বচ্ছন্দ। গাঢ় সবুজ ঘাস, আগুনের প্রান্তে সবুজ আভা যেন।
ষষ্ঠ স্তবক:
রাতের আকাশে তারারা আলো জ্বালত, ঘুম ঘোরে কবির মনে হতো
পেঁচারা বুঝিবা তার খালার খামার বাড়িটি (ফার্ন হিল) উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে, ভীত সন্ত্রস্ত ঘোড়াদের, খড়ের গাদা—সব,
সব কিছু। শয়নে, জাগরণে সেই
খামার বাড়িটিই ছিল শৈশবে কবির চেতনায় সদা জাগ্রত।
সপ্তম স্তবক:
পরদিন প্রভাতে কবি ঘুম ভেঙে উঠে দেখতেন; খামার বাড়িটি
আগের মতোই আছে। মোরগ ডাকা ভোরে অবিকল দেখতেন খামারটাকে। হারানোর শঙ্কায় শঙ্কিত
কবির খামার বাড়িটি হারায়নি দেখে কবি ভীষণ আনন্দিত হতেন। মনে হতো যেন পৃথিবীতে
নতুন করে জীবনের যাত্রা শুরু হয়েছে।
অষ্টম স্তবক: ভোরের
আলো ফোটার সাথে সাথেই ঘোড়ারা সব আনন্দে ডাক ছেড়ে আস্তাবল থেকে বেরিয়ে পড়ে
চারণভূমির দিকে ছুটে যেত খুশিতে মেতে।
নবম স্তবক:
কবির কল্পনায় চারপাশে প্রকৃতির সব ছোটো ছোটো উপাদানের পশুদের, পাখিদের রাজা ভাবতেন নিজেকে অর্থাৎ এ সবই যেন ছিল তাঁর রাজ্য। সে ভুবনে প্রতি
প্রভাতের আলোয় কৈশোরে যেন কবি ছুটতেন নতুনের সন্ধানে।
দশম স্তবক:
বাড়ির মতো মস্ত উঁচু খড়ের গাদায় কবির সব কল্পনারা হারাত অবাধ, নীল আকাশে, প্রকৃতির বিষন্ন সঙ্গীতে। প্রতি প্রভাতে
আর দশটা কল্পনাবিলাসী শিশুর মতো তারও এসব মনে হতো। ক্রমে সে সব সোনালি দিন মিলিয়ে
গেল, যেমন যায় শৈশব পেরিয়ে গেলে সব শিশুর জীবন থেকে।
একাদশ স্তবক; সেই সব নিস্পাপ বোধের দিনে, কবির শৈশবে কবি
জীবন-যাতনা। বোধহীন, নির্ভার, মুক্ত মনের ছিলেন। সে সব চিন্তা মুক্ত দিন হারানোর কষ্ট কবিকে বিচলিত করছে। সে
সব দিনে কবি অবাধে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতেন চাঁদের আলোয়, চাতকের গানে।।
দ্বাদশ স্তবক:
শৈশবের সে সব স্বর্ণ রঙিন দিন আর নেই। একদিন প্রভাতে জেগে উঠে দেখেন, কোথায় যেন হারিয়ে গেছে সে সব দিন আর সেই স্বপ্ন দেখা শিশুটি। জীবনের
যন্ত্রণায় কাতর কবি ভাবেন আবার যদি ফিরে পাওয়া যেত সে সব দিন!
No comments:
Post a Comment