The Patriot by Robert Browning - Bangla Summary and Analysis |
The Patriot by Robert Browning - Bangla Summary and Analysis
সারাংশ
কবিতাটি ৬ টি স্তবকে বিভক্ত। প্রতিটি স্তবকেই একজন দেশ প্রেমিকের জীবন এর এক একটি স্তর বর্ণনা করা হয়েছে। এটি একটি বিয়োগান্তক কবিতা যেখানে এমন একজনের জীবন বর্ণনা করা হয়েছে যে তার জীবনকে তার দেশের জন্যে উসৎর্গ করেছিলেন। প্রথম তিন স্তবকে দেশপ্রেমিক ব্যক্তিটির অনুভূতি ও অর্জনের বর্ণনা দিয়েছেন। আর শেষের তিন স্তবকে তার দুর্ভাগ্যজনক সাজা ও মৃত্যুর বর্ণনা দিয়েছেন।
“প্রেট্রিয়ট” একটি চমকপ্রদ নাটকীয় কবিতা। কবি এখানে দেশপ্রেমিক ও জাতীয় বীরদের প্রতি সাধারণ জনগণের মনের পরিবর্তনশীলতা চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সাধারণ জনগণ যেমন দেশপ্রেমিকদেরকে সর্বোচ্চ শিখরে স্থান দিতে পারে, তেমনি মাটিতেও মিশিয়ে দিতে পারে।
কবি একজন দেশপ্রেমিকের ভাষ্যে কবিতাটি বর্ণনা করেছেন। এক বছর পূর্বে রঙ্গিন ফুল দিয়ে তার আগমনকে বরণ করা হয়েছিল। তখন গির্জার চূড়াগুলোতে পতাকা টানানো ছিল এবং তাকে এক নজর দেখার জন্য মানুষ বাড়ির ছাদে পর্যন্ত উঠেছিল । বংশী বাজিয়ে তার আগমন ঘোষিত হয়েছিল। মানুষের মাঝে কী যে উন্মাদনা! তখন জনগণ তাঁর জন্য যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত ছিল। কিন্তু এখন সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে। দেশের অবস্থা পরিবর্তিত হয়ে যাওয়ায় তার “অপকর্মের(দেশের
জন্যে জীবন উৎসর্গকরন)”
জন্যে তাকে পেছনে হাত বেঁধে ফাসির মঞ্চে নেওয়া হচ্ছে । কেউ তাঁকে এখন আর স্বাগত জানায়নি বরং পাথর ছুঁড়ে তাকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল। কী দুর্ভাগ্যবান সে,
যে তার সারাটি জীবন দেশের মানুষের জন্য ব্যয় করেছেন। এক বছর আগে যে ছিল নায়ক, দেশের পরিস্থিতি পালটে যাওয়ায় আজ এক বছর পরে
সে অপরাধীতে পরিণত হয়েছে।
এই দুঃখের মাঝেও দেশপ্রেমিক তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। মৃত্যুই সবকিছুর শেষ নয়। সে আশা করে যে, যেহেতু বাস্তব পৃথিবীতে কৃতকর্মের জন্য সে কোনো পুরস্কার পায়নি, সেহেতু ঈশ্বর তাকে পরকালে অবশ্যই পুরস্কৃত করবেন।
আলোচনা
দেশ প্রেমিকের খ্যাতির দ্রুত উত্থান ও পতন, বিশেষ থেকে নির্বিশেষের একই পরিণতি “পেট্রিয়ট” – Dramatic Monologue (নাটকীয় একক উক্তি) টির প্রধান বিষয়। সহর্সে,
পরম উচ্ছ্বাসে একদিন যে দেশ প্রেমিককে জনগণ পুম্পার্থে বরণ করে নিয়েছিল মাত্র এক বছর পর সেই দেশ প্রেমিককেই জনগণ প্রস্তরাঘাতে রক্তাক্ত করে। ফাসির মঞ্চে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। সময়ের ব্যবধান মাত্র এক বছর। দেশ প্রেমিকের এই নিয়তির কথার ভাষায় :
It was roses, roses all
the way,
With myrtle mixed in my
path like mad.
The house-roofs seemed
to heave and sway
The church-spires
flamed, such flags they had,
এক বছর আগে জনগণ ছিল এমনই উত্তাল । মাত্র এক বছরের ব্যবধানে দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বদলে যায়। জনগণ তাঁকে ভুল বুঝল। তার উপর সব ভালোবাসা, সম্মান ফিরিয়ে নিল, পুষ্পস্তবকের পরিবর্তে প্রস্তরাঘাত করল, ব্যঙ্গবিদ্রুপে জর্জরিত করল। রক্তাক্ত কপালের লিখন,
দেশ প্রেমিকের ভাষায় :
And I think, by the
feel, my forehead bleeds,
For they fling, whoever
has a mind,
Stones at me for my
years misdeeds
তার ভাগ্য বিড়ম্বনায় দেশ প্রেমিক মোটেও হতাশ নন, বরং তিনি ঈশ্বর বিশ্বাসে অটল থেকে দৃঢ় বিশ্বাস পোষণ করেন যে, জন-বিচার যাই হোক মরণোত্তর জীবনে ঈশ্বর তার প্রতি অবশ্যই ন্যায় বিচার করবেন, তার প্রাপ্য তাকে দেবেন । কবিতাটির মোট ত্রিশ পংক্তি ছয় স্তবকে বিভক্ত, প্রতিটি স্তবকের পাঁচ পংক্তি ab ab a অন্ত ছন্দে বিন্যস্ত।দেশ প্রেমিকই বক্তা, তার দুর্দশা ব্যক্ত করে যান। অস্থির মানব-বিচারের কথা বর্ণনা করে যান। দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন; কোনো শুভ কাজই জগতে পুরস্কৃত হয় না। ঈশ্বরই কেবল শুভ অশুভের নিরপেক্ষ বিচারক, তার উপরই দৃঢ় আস্থা রয়েছে দেশ প্রেমিকের ।
Please upload 'last ride together'
ReplyDelete