Ode to the West Wind - Percy Bysshe Shelly - Bangla Summary and Analysis |
Ode to the West Wind - Percy Bysshe Shelly
Bangla Summary and Analysis
সারাংশ
‘Ode to the West Wind’ কবিতার শুরুতে কবি শরতের
পশ্চিমা বাতাসকে আহবান করেন। তিনি পশ্চিমা বাতাসকে ধ্বংসকারী ও সংরক্ষনকারী হিসেবে
ডেকেছিলেন। কবিতাটি অসাধারণ
প্রতীকধর্মী কবিতা। এই কবিতার
প্রথমপর্বে কবি পশ্চিমা
বাতাসকে শরতের আত্মা
হিসেবে বিশেষায়িত করেছেন। কারণ শরৎকালে পশ্চিমা বাতাস জীর্ণ ও শুকনো পাতাগুলোকে জাদুকরের মতো উড়িয়ে নিয়ে যায় এবং বীজগুলোকে বংশবিস্তারের জন্য বীজতলাতে পুঁতে রাখে। এই পশ্চিমা বায়ুই বসন্তকালে তুর্যধ্বনি বাজিয়ে বীজগুলোকে অঙ্কুরোদগম করে সমতলভূমিকে ফুলে ও গন্ধে পরিপূর্ণ করে । তাই কবি পশ্চিমা বায়ুকে ধ্বংসকারী ও রক্ষাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্বে কবি পশ্চিমা বায়ুকে বৃষ্টি ও বজ্রস্নাতের দূত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কারণ পশ্চিমা বায়ু নীল আকাশে মেঘ বৃষ্টি সৃষ্টি করে এবং ঝড়ের পূর্বাভাস বলে দেয়। তাছাড়া এই অদম্য বায়ু ঘুমন্ত ভূমধ্যসাগরকে স্বপ্ন থেকে জাগিয়ে তোলে এবং আটলান্টিক মহাসাগরের শক্তিশালী ঢেউগুলোকে দ্বিখণ্ডিত করে। রোমান সম্রাটদের ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজ্যপ্রাসাদ এবং সাগরের উপরিভাগে প্রাণশক্তিহীন পত্রপল্লব যেন পশ্চিমা বায়ুর বয়ে চলা থেকে নতুন প্রাণ পায়। চতুর্থ পর্বে কবি অনিয়ন্ত্রিত পশ্চিমা বায়ুর সাথে একাত্ম হতে চেয়েছেন। কবি বলেছেন যে,
সে যদি শুকনো পাতা দ্রুতগামী মেঘ বা সাগরের ঢেউ হতো,
তাহলে পশ্চিমা বায়ুর সাথে বয়ে চলতে পারত। কিন্তু সে এখন বৃদ্ধ, নত,
সময়ের ভারী বোঝায় শৃঙ্খলিত, জীবনের রূঢ় বাস্তবতার কন্টকে বিদ্ধ ও রক্তাক্ত । কবি আক্ষেপ করে বলেছেন যে,
শৈশবে সেও ছিল এই বায়ুর মতোই দুর্দমনীয় ও গতিময় ।
জীবন যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত কবির অন্তরাত্মা। তাই শেষ পর্বে কবি বলেছেন, হে পশ্চিমা বাতাস, আমাকে তোমার বীণা হিসেবে বাজাও, আমি মিশে যেতে চাই তোমার সাথে,
ভুলে যেতে চাই সকল বেদনাভার। কবি আরো বলেছেন যে,
পশ্চিমা বাতাস যেন কবির আত্মাকে তার মতো শক্তিশালী করে এবং কবির নিষ্প্রাণ চিন্তাগুলোকে বিশ্বমানবের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। একমাত্র পশ্চিমা বায়ুই পারবে কবির বাণীগুলো কণ্ঠে ধারণ করে নিদ্রাচ্ছন্ন পৃথিবীকে জাগিয়ে তুলতে। কবি মূলত পুরাতন জীর্ণতাকে পরিহার করে নতুন আভরণে সজ্জিত হওয়ার এক তীব্র আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করেছেন।
পৃথিবীর জীর্ণ, পুরাতন জঞ্জাল যা কিছু সব ভাসিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানান পশ্চিমা বায়ুকে, কবি। পুরাতনের উপর নতুনের সৃষ্টির উদাত্ত আহবান জানান। জীবন যন্ত্রণায় ক্ষুব্ধ, রক্তাক্ত কবি পশ্চিমা বায়ুকে তার সাথে একাত্ম হয়ে পুরাতন অনাচার, বঞ্চনা, যন্ত্রণার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে সে বিদ্রোহের সুর বিশ্বব্যাপী বিস্তারের আমন্ত্রণ জানান।
পশ্চিমা বায়ুকে বিদ্রোহীর ব্যক্তিত্বে (Personified)
চিত্রিত করে কবি নিজেই বিদ্রোহের রুদ্র বীণায় তান তোলেন এবং ঝরা পাতার মতো,
মেঘের মতো কবিকেও ভাসিয়ে নিয়ে যেতে বলেন,
যেন দুজনে মিলে পুনর্নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে পারেন। পৃথিবীকে নব সাজে সজ্জিত করতে পারেন।
ইতালীয় ছন্দ বিন্যাস “Terza Rima” দিয়ে প্রতি পঙ্ক্তিতে বারোটি Iambic
Pentameter-এ সাজান । “Terza Rima”-তে ছন্দ বিন্যাস থাকে aba bcb cdc ded এবং তার পর থাকে এক জোড়া বাক্য (Couplet)। এমন জটিল ছন্দ বিন্যাসে
শেলী গতি আনেন,
এ যেন পশ্চিমা বায়ুর প্রলয়ঙ্করী গতি;
যেন পশ্চিমা বায়ুর মতোই প্রলয়-সুন্দর বেগবান।
কবিতাটির বর্ণনা ভঙ্গিতে ‘metaphor’ ‘simile’ প্রধান হলেও
dissonance-ও ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ দক্ষতায় যেন পশ্চিমা বায়ু আকাশে যে আলোড়ন তোলে তারই প্রতিরূপ।
কবিতাটির প্রথম স্তবকে পশ্চিমা বায়ু ভূমিতে জলে স্থলে যে আলোড়ন তোলে সে
দৃশ্য বর্ণিত হয়,
সে দৃশ্যে মুগ্ধ কবি নিজেই পশ্চিমা বাতাসে লীন হতে চান, বিদ্রোহে অংশ নিতে চান, সমগ্র কবিতাটিব্যাপী সে আকাঙ্ক্ষা অটুট থাকে ।
No comments:
Post a Comment