Ode to the West Wind - PERCY BYSSHE SHELLEY - Bangla Translation |
Ode to the West Wind - Percy Bysshe Shelley - Bangla Translation
ওড টু দি
ওয়েস্ট উইন্ড - বাংলা অনুবাদ (সম্পূর্ণ)
পর্ব - ১
হে বন্য
পশ্চিমা বায়ু, তুমি শরতের প্রশ্বাস
অদৃশ্য
উপস্থিতিতে তোমার, শুকনো পত্রপল্লব
তাড়িত হয়, যেভাবে জাদুকর ভূত তাড়ায়,
হলদে, কালো, বিবর্ণ এবং রুগ্ন লাল পাতা
মহামারিতে
আক্রান্ত রুগ্ন জনগণের মত, আর তুমি,
যে রথে করে
নিয়ে যাও তাদের অন্ধকার শীতের বিছানায়
পাখাযুক্ত বীজ, ঘুমায় তারা শীতল ও নীচু ভূমিতে
প্রত্যেকে যেন
কবরে শুয়ে থাকা লাশের মতো, যতক্ষণ পর্যন্ত না
তোমার নীলাকাশ
থেকে বসন্ত বাতাস বাজাবে
তার তুর্যধ্বনি, স্বপ্নেমগ্ন পৃথিবীর উপরে এবং পরিপূর্ণ করবে
(মিষ্টি
কুঁড়িকে অংকুরিত করে যেন মেষপালক মেষ তাড়ায়)
সমতলভূমি ও
পাহাড় শত বর্ণের ফুল ও গন্ধে ৷
ঝড়ো শক্তি, যা প্রবাহিত হচ্ছে সর্বত্র,
ধ্বংসকারী এবং
রক্ষাকারী, শোন, হে শোন!
পর্ব – ২
তুমি, যার প্রবাহ গভীর আকাশের মধ্যে তোলে আলোড়ন,
পৃথিবীর শুকনো
পাতা সম মেঘগুলো ঝরে যায়,
সমুদ্র
ও আকাশের জটপাকানো শাখাকে কর আলোড়ন,
ঈশ্বরেরদূত
তুমি বৃষ্টি ও বজ্রপাতের! ছড়ানো আছে
তোমার
বায়ুমণ্ডলের ঢেউগুলো নীলাকাশের উপরিভাগে,
যেন উজ্জ্বল
চুল উর্ধ্বে উত্তোলিত হয় মাথা হতে
কিছু খিপ্তা
নারীর। এমনকি আধার প্রান্ত
হতে
দিগন্তের
সর্বোচ্চ সীমা পর্যন্ত,
আসন্ন ঝড়ের চিহ্ন। তুমি শোক
সংগীত
বিগত বছরের, যার প্রতি, এই শেষ রাতই
হবে কবরের
বিশাল গম্বুজ ।
বাষ্পের
সম্মিলিত শক্তি দ্বারা সৃষ্ট হবে (মেঘের) ছাদ
যেখান থেকে ঘন
মেঘ,
কালো বৃষ্টি, অগ্নি, শিলাবৃষ্টি ঝরতে থাকবে হে শোন!
পর্ব - ৩
তুমি জাগিয়েছ
গ্রীষ্মের স্বপ্ন থেকে
নীল
ভূমধ্যসাগরকে, যেখানে সে শুয়ে ছিল
ঘুমিয়ে ছিল
স্বচ্ছ স্রোতের ঘূর্ণিতে
বে উপসাগরের
তীরে শিলাদ্বীপের পাশে
এবং স্বপ্নে
দেখছিলে পুরোনো প্রাসাদ ও অট্টালিকা
প্রচণ্ড
ঢেউয়ের মাঝে যেন সবকিছু কম্পমান,
সকল কিছু ঢাকা
পড়ে গেল সমুদ্রের নীল শৈবালে এবং ফুলে
এতই সুন্দর যে, আমাদের বোধশক্তি বর্ণনা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে
তুমি যার পথের
জন্য আটলান্টিকের শক্তিশালী ঢেউ
নিজেদেরকে
খণ্ডবিখণ্ড করে, যখন (তুমি) অনেক নীচে দিয়ে যাও
সমুদ্র পুষ্প
আর শেওলা, পিচ্ছিল আবরণ যুক্ত গাছ
সমুদ্রের প্রাণশক্তিশালী
পত্রপল্লব, জানে
তোমার কণ্ঠস্বর
এবং হঠাৎ করে ভয়ে ধুসর হয়ে যায়
কাঁপতে থাকে
এবং ধ্বংস করে নিজেদেরকে, শোন, হে শোন!
পর্ব - ৪
যদি আমি ঝরা
পাতা হতাম, তুমি বয়ে নিয়ে যেতে
যদি আমি
দ্রুতগামী মেঘ হতাম, উড়ে যেতাম তোমার সাথে
ঢেউ হলে তোমার
শক্তির পেছনে হাঁপিয়ে ছুটতাম এবং
অংশীদার হতাম
তোমার শক্তিশালী স্পন্দনের।
আমি তো তোমার
মতো মুক্ত নই! হে অনিয়ন্ত্রিত শক্তি!
যদি আমি শৈশবে
যেমন ছিলাম তেমন হতে পারতাম, তবে হতাম
আকাশে তোমার
সুরে বেড়ানোর সাথে সঙ্গী হতাম
তারপর তোমার
গতিকেও হয়ত আমি ছড়িয়ে যেতাম
যা মনে হয়েছিল.
একটি দুলর্ভ স্বপ্ন; আমি কখনো বিরোধিতা
করতাম না
যেহেতু আমার
তীব্র প্রয়োজনে তোমার নিকট প্রার্থনা করি
ওহে, আমাকে তুলে নেও; ঢেউ, ঝরাপাতা ও মেঘের মতো,
আমি জীবন
কণ্টকে বিদ্ধ! আমি রক্তাক্ত।
সময়ের ভারী
বোঝা আমাকে শৃঙ্খলিত করেছে এবং নুয়ে পড়েছি আমি
একদা আমি ছিলাম
তোমার মতো: বেপরোয়া, গতিময়, আর অহংকারী।
পর্ব - ৫
তোমার বীণা বানাও
মোরে, যেমন করেছ অরণ্যকে
যদি আমার
পাতাগুলো ঝরত বনের পাতার মতো!
তোমার
শক্তিশালী ঐক্যতানের প্রবল আলোড়ন
সৃষ্টি করে উভয়ের
কাছ থেকে একটি গভীর শরতের সুর
বিষাদের মাঝেও
সুমধুর। হও তুমি, তেজস্বী আত্মা!
তুমি আমার
শক্তিতে পরিণত হও, সক্রিয় কোনো একটিতে!
আমার নিষ্প্রাণ
চিন্তাগুলোকে দূর করে দাও বিশ্বের বাহিরে
ঝড়া পাতা
গুলোকে যেভাবে দূর করো নাওবজন্মকে ত্বরান্বিত করতে,
এই পঙক্তিগুলোর
জাদু ছড়িয়ে দাও
ছড়িয়ে দাও, যেমন করে অনির্বাপিত চুলা থেকে
ছাই ও
স্কুলিঙ্গ ছড়ায়, আমার কথাগুলো যদি ছড়তো
মানব জাতির মাঝে!
আমার কণ্ঠ হয়ে
জাগাও নিদ্রাচ্ছন্ন পৃথিবীকে
তুমি ঈশ্বরবাণীর
শিঙ্গা! হে পশ্চিমা বায়ু!
যদি শীত আসে, বসন্ত কি খুব দূরে থাকে?
Particular
ReplyDeleteThank you soo much sir 😊🙌💕✨
ReplyDeleteIt's really helpfull😊please give the summary
ReplyDeleteIt's helpful
ReplyDeleteThank you Sir😀
ReplyDeleteNice poem
ReplyDeleteIt's helpful
ReplyDelete