মক
হিরোয়িক ইপিক হিসেবে দ্যা রেপ অফ দ্যা লক
সে
সময়ের
অন্য
ব্যঙ্গাত্মক
কাব্যগুলোর
মতোই
দি
রেপ
অব
দি
লকও (The Rape of the lock)
একটি
মক
হিরোয়িক
এপিক(Mock Heroic Epic)।
বিশেষ
করে
সে
সময়ে
প্রকাশিত
ড্রাইডেন
(John Dryden) কৃত
Macflecknoe
(1678), বয়েলে
(Boileau)
এর
Lelutrin (1774), স্যামুয়েল গার্থ (Samuel
Garths) এর The
Dispensary (1699)-- এসবের
আদলে
রচিত
পোপের
এ
কাব্যটি।
এটিকে
ঠিক
প্যারোডির(Parody) পর্যায়ে
ফেলা
যায়
না।
পোপ
সমকালীন
সমাজ
এবং
এর
রীতিনীতি
বহিরাঙ্গিক
ভড়ং
আর
বিচিত্র
স্বভাবের
নারী-পুরুষের
নানা
বিচিত্র
কার্যকলাপকে
ব্যঙ্গাত্বক
ভঙ্গিতে
রসসমৃদ্ধ
করে
মহাকাব্যিক
গাম্ভীর্যে
উপস্থাপন
করেছেন।
মহাকাব্যের
আঙ্গিক,
পাত্র-পাত্রী,
দ্বন্দ-সংঘাত
এখান
ছায়া
ফেলেছে। শুধু ব্যতিক্রম এই, মহাকাব্যের
পাত্র-পাত্রী
হল
রাজা
বাদশা
বা
কোন
বীরপুরুষ
ব্যাক্তি
কিন্তু
এখানে
শুধু
সমাজের
সাধারণ
লোকজনের
আনাগোনা
।
মোট
কথা,
মহাকাব্যের
ক্যানভাস
হচ্ছে
বিশাল
আর
সে
বিশাল
ক্যানভাসেরই
ক্ষুদ্রতম
সংস্করণ
বলা
যায়
মক
হিরোয়িক(Mock Heroic Epic)।
তুচ্ছ
সাধারণ
বিষয়কে
অত্যধিক
গুরুত্ব
প্রদান
করে
হাস্যরসের
মাধ্যমে
পরিবেশন
করাই
মক
হিরোয়িক
রীতির
উদ্দেশ্য।
মক
হিরোয়িক
মুলত
Unheroic মূল্য বহন
করলেও
এটি
নাগরিক
জীবনযাত্রার
ফ্যাশনেবল
মানুষদের
ছবিকে
পরিস্কুট
করে।
মহাকাব্যের
বিশাল
ক্যানভাসে
যেমন
মহামানব
ও
অন্যান্যদের
মাঝে
প্রতিদ্বস্থিতা
চলে,
মক
হিরোয়িক
এপিকে
পোপ
তেমনি
দুটো
পরিবারের
মাঝে
সংঘাত
প্রকট
করে
তুলেছেন
তুচ্ছ
একটি
সাধারণ
ঘটনাকে
অবলম্বন
করে।
মক
হিরোয়িক
রীতি
প্রসঙ্গ
অবতারণার
প্রাককালে
পোপের
সমসাময়িককালে
প্রতি
দৃষ্টি
ফেলা
প্রয়োজন।
ইংল্যান্ডে
কুইন
অ্যান
এর
রাজত্বকাল
তখন।
এ
সময়ের
সবচেয়ে
উল্লেখযোগ্য
বিষয়
হচ্ছে
ব্যবসা-বাণিজ্যের
প্রসার।
শুধু
নিজ
দেশেই
নয়,
এই
বাণিজ্য
সুদূর
প্রাচ্যদেশ
পর্যন্ত
বিস্তার
লাভ
করেছিল।
বিশেষ
করে
ভারতের
সাথে
বাণিজ্যিক
যোগাযোগ
স্থাপিত
হওয়ার
পর
ইংল্যান্ড
অতিমাত্রায়
লাভবান
হয়েছিল
অর্থনৈতিক
দিক
থেকে।
লন্ডনের
বাজার
তখন
ভারতীয়
পণ্যে
জমজমাট।
শুধু
ভারত
কেন,
আরো
নানা
দেশের
সাথে
বাণিজ্যিক
সম্পর্ক
স্থাপনের
ফলে
সেসব
দেশের
পণ্যেও
বাজার
সয়লাব
হয়েছিল।
বিদেশ
হতে
দ্রুত
আসতে
লাগল
সিল্ক,
মশলা,
চীন
দেশীয়
চীনামাটির
পাত্র,
চা
ও
কফি।
চা
আর
কফি
ইংল্যান্ডের
বাজারে
প্রবেশ
করার
সাথে
সাথে
সমাজের
অভিজাত
মানুষের
পানাভ্যাসের
ধারাটাই
যেন
আমুল
পাল্টে
গেল।
লন্ডন
শহরে
গড়ে
উঠল
অসংখ্য
কফি
হাউস।
আর
এই
কফি
হাউসগুলো
ছিল
সমাজ
জীবনের
এক
মহামিলন
ক্ষেত্র।
এসব
কফি
হাউসে
লন্ডন
শহরের
নানা
পেশার
মানুষ
ঘণ্টার
পর
ঘণ্টা
জমিয়ে
আড্ডা
দিত
আর
গরম
কফির
কাপে
চুমুক
দিয়ে
চাঙা
করত
নিজেদের।
অ্যানির
রাজত্বকালে
লন্ডন
শহরে
প্রায়
পাচ
শত
কফি
হাউস
গড়ে
উঠেছিল।
এখানে
আড্ডা
চলত
নানা
বিষয়
নিয়ে।
রাজনীতি,
সমাজনীতি,
ধর্ম,
সাহিত্য
ও
শিল্পকলার
নানা
শাখার
বহুবিধ
বিষয়
ধরে
আলোচনার
ঝড়
বইতে
থাকত।
সে
সময়ে
কবি
ড্রাইডেনও
নিয়মিত
কফির
আড্ডায়
যেতেন।
আমাদের
আলোচিত
দি
রেপ
অব
দি
লক
গ্রন্থের
মূল
চরিত্র
নায়িকা
বেলিন্দাকেও
আমরা
প্রত্যক্ষ
করি
কফি
হাউসের
আড্ডায়
আয়েশ
ভরে
উষ্ণ
চায়ের
কাপে
চুমুক
দিতে।
তারই
কেশগুচ্ছের
দুটো
বেণীর
একটিকে
কর্তন
করা
নিয়েই
পোপ
ফেঁদে
বসেন
অসাধারণ
এই
ব্যঙ্গ
কাব্যটি।
No comments:
Post a Comment