Poetics - Aristotle - Chapter 26 - Epic & Tragedy Compared - Bangla Translation and Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter 26
Epic & Tragedy Compared
Bangla Translation and Explanation
ষড়বিংশ
পরিচ্ছেদ - মহাকাব্য
ও
ট্র্যাজেডির
তুলনা
অনুকরণের
এই
দুই
রীতি
অর্থাৎ
মহাকাব্য
ও
ট্রাজেডির
মাঝে
কোনটি
অধিকতর
ভালো,
এমন
প্রশ্ন
আসতেই
পারে।
যদি
অপেক্ষাকৃত
মার্জিত
রচনাই
উন্নততর
হয়
এবং
তা
সর্বদাই
উন্নত
রুচির
শ্রোতার
কাছে
আবেদনশীল
হয়,
তাহলে
ট্র্যাজেডির
মত
যা
কিছুরই
আবেদন
সর্বশ্রেণীর
লোকের
কাছে
রয়েছে,
তা
নিঃসন্দেহে
স্থুল
বা
অমার্জিত
কলা
বলে
বিবেচিত
হবে।
কারণ
অভিনেতারা,
এই
কথাই
স্থির
নিশ্চিত
ধরে
নিয়ে
ব্যাপক
রকমের
অঙ্গভঙ্গী
করতে
মেতে
ওঠে
যে,
শ্রোতারা
এতই
জড়বুদ্ধি
যে,
যতক্ষণ
না
তাদের
গ্রহণযোগ্য
কিছু
পরিবেশন
করা
হয়,
ততক্ষণ
তারা
কিছুই
বুঝবে
না।
যেমন,
আনাড়ি
বংশীবাদক
কোইট-থ্রো১
[thequoit-throw ] বাজাতে
বাজাতে
চক্রাকারে
নিজেকে
আবর্তিত
করতে
থাকে,
অথবা
স্কাইল্লা২
[Scylla] অভিনয়
করতে
গিয়ে
কোরাস-পরিচালককে
আকড়ে
ধরে
নিজেদের
চারদিকে
ঘুরিয়ে
আনে। লোকে
ট্রাজেডি-সম্পর্কে
এ
রকমই
চিন্তা
করে;
যেমন
পুরাতন
অভিনেতারা
তাদের
উত্তরাধিকারীদের
সম্পর্কে
ভেবে
থাকেন।
মিনিস্কাস৩
[Mynniscus] ক্যালিপিডিসকে৪
[Callipides] তার মাত্রাত্রিরিক্ত
অভিনয়
প্রবণতার
জন্য
বানর
বলে
আখ্যা
দিয়েছিলেন।
পিণ্ডারাস৫
[Pindarus] সম্পর্কেও এরূপ
মত
পোষণ
করা
হতো।
সামগ্রিকভাবে
ট্র্যাজেডির
সঙ্গে
মহাকাব্যের
সম্পর্ক
যেন
নতুন
অভিনেতাদের
সঙ্গে
পুরাতনদের
সম্পর্কের
মতই।
মহাকাব্যের
আবেদন
মার্জিত
রুচির
শ্রোতাদের
কাছে,
যারা
কাব্যমাধুর্য
উপলব্ধির
জন্য
অন্য
কোন
কিছুর
সাহায্যের
প্রয়োজন
মনে
করেন
না
পক্ষান্তরে
ট্র্যাজেডি
সাধারণ
শ্রোতার
রসবোধের
পরিতৃপ্তির
জন্যই
সৃষ্ট
হয়।
তাই
যদি
ট্র্যাজেডিকে
স্থুল
শিল্পকলা
মনে
করা
হয়,
তাহলে
নিশ্চয়ই
তা
মহাকাব্যের
চেয়ে
নিম্নস্তরের
সৃষ্টি
হবে।
এখন
প্রথম
কথা
হচ্ছে
এই
যে,
এই
অভিযোগ
যতটা
অভিনয়
কলার
বিরুদ্ধে
ততটা
কাব্যকলার
বিরুদ্ধে
নয়।
কারণ,
মহাকাব্য
আবৃত্তির
ক্ষেত্রেও
আবৃত্তিকারীর
পক্ষে
অঙ্গভঙ্গীর
আতিশয্য
[exaggeration] ঘটা খুবই
সম্ভব।
যেমন
সোসিস্ট্রেটাস৬
[ Sosistratus] করতেন। সঙ্গীতের
ক্ষেত্রেও
এরূপ
ঘটতে
পারে,
যেমন
করতেন
ওপান্তিয়ার
[Opuntiun] ন্যাসিথিয়াস৭
[Mnasitheus] । তবে
সব
ক্রিয়াই
বর্জনীয়
নয়,
যেমন
সব
নৃত্যই
নিন্দনীয়
নয়।
নিন্দনীয়
শুধু
আনাড়ি
শিল্পীদেরই
ক্রিয়াকলাপ
[আনাড়ি
শিল্পীদের
ক্রিয়াকলাপ
বলতে
এখানে
অপেক্ষাকৃত
নিকৃষ্ট
রুচির
বা
নিম্ন
শ্রেণীর
মানুষের
চরিত্রকে
অঙ্গভঙ্গী
ও
হাবভাবের
মাধ্যমে
উপস্থাপনের
প্রচেষ্টাকে
বুঝানো
হয়েছে।]।
ক্যালিপিডিস
এই
জন্যই
নিন্দিত
হয়েছিলেন।
আর
আধুনিক
অভিনেতারাও
নিন্দিত
হয়ে
থাকেন
এই
জন্য
যে,
তারা
উচ্চস্তরের
নারী
চরিত্র
উপস্থাপন
করতে
অপারগ।
একথাও
স্মরণ
রাখা
উচিত
যে,
ট্র্যাজেডি
মহাকাব্যের
মতই
বিনা
অভিনয়েও
রস
সৃষ্টি
করতে
পারে।
শুধু
পাঠ
করেও
এর
সংবেদন
শক্তির
পরিচয়
পাওয়া
যায়।
তা
হলে
যদি
দেখা
যায়
যে,
ট্র্যাজেডি
অন্য
সকল
বিষয়েই
শ্রেষ্ঠতর
সৃষ্টি,
তবে
অভিনেতাদের
এই
আতিশয্য
এর
অন্তরঙ্গ
দোষ
বলে
বিবেচিত
হতে
পারেনা।
দ্বিতীয়
কথা
হচ্ছে,
ট্র্যাজেডিকে
[মহাকাব্য
অপেক্ষা]
উন্নততর
সৃষ্টিই
বলা
যায়;
কারণ,
এতে
মহাকাব্যের
সব
উপাদানই
আছে।
এমন
কি
ট্র্যাজেডি
মহাকাব্যের
ছন্দকে
সার্থকভাবে
কাজে
লাগাতে
পারে,
তদুপরি
সঙ্গীত
এবং
দৃশ্যের
সাহায্যে
এর
অন্তর্নিহিত
আবেদনকে
বাড়িয়ে
তোলার
অতিরিক্ত
ঐশ্বর্যও
রয়েছে।
তারপর
পঠনে
এবং
উপস্থাপনে
এর
আবেদন
স্পষ্ট
হয়ে
ওঠে।
তাছাড়া
এই
ধরনের
শৈল্পিক
অনুকরণ
স্বল্প
পরিসরের
মধ্যেই
আপন
উদ্দেশ্য
সিদ্ধ
করে
থাকে।
কারণ
যে
আনন্দ-অনুভূতি
বহুকাল
ব্যাপ্ত
ঘটনা
প্রবাহের
মধ্যে
দিয়ে
জন্মে
তা
তরল
হতে
বাধ্য;
তার
চেয়ে
স্বল্প-পরিসরের
ঘটনার
সংহত
রস-অনুভূতি
জনিত
আনন্দ
অনেক
বেশী
তীব্র
হয়।
দৃষ্টান্তস্বরূপ,
মনে
করে
দেখুন,
সফোক্লিসের
[Sophocles - ৩য় পরিচ্ছেদ
দেখুন]
ঈডিপাস
[Oedipus - ১১শ পরিচ্ছেদ
দেখুন]
যদি
ইলিয়াড
[Iliad - ৪র্থ পরিচ্ছেদের
টিকা
দেখুন]
এর
মত
বিশাল
আয়তনে
প্রসারিত
হত
তা
হলে
তার
রস-পরিণতি
কিরূপ
হত?
অধিকন্তু
মহাকাব্য-রচনায়
(কাহিনীর)
ঐক্যের
অবকাশ
ট্র্যাজেডির
অপেক্ষা
কম।
কারণ
দেখা
যায়
যে,
কোন
একটি
মহাকাব্য
অনেক
গুলো
ট্র্যাজেডির
উপকরণ
যুগিয়ে
থাকে।
তারপর,
মহাকাব্য
রচয়িতা
কবিরা
যদি
একটি
মাত্র
কাহিনীকে
স্বল্প
পরিসরে
রূপায়িত
করতে
চান,
তাহলে
তা
অসম্পূর্ণাঙ্গ
কাটাছাঁটা
বলেই
মনে
হবে;
আর
যদি
তাকে
মহাকাব্যিক
পরিপূর্ণতা
দান
করতে
চান,
তা
হলে
তা
অতি
শীর্ণ
ও
তরল
হয়ে
পড়বে।
আমি
এখানে
ইলিয়াড
ও
অডিসির
[Odyssey
- ৪র্থ
পরিচ্ছেদের
টিকা
দ্রষ্টব্য]
ন্যায়
বহু
ঘটনার
সমবায়ে
রচিত
মহাকাব্য
গুলোর
কথা
উল্লেখ
করছি।
এগুলোর
বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে
এতে
অনেক
ঘটনা
আছে,
অথচ
তার
প্রত্যেকটিরই
একটি
বিশিষ্ট
আয়তন
আছে।
তবুও
এই
সব
কাব্য
যতটা
উত্তমরূপে
গঠিত
হওয়া
সম্ভব
ততটাই
হয়েছে
এবং
প্রতিটি
কাব্যই
যতদূর
সম্ভব
একটি
ঘটনারই
অনুকরণ
হয়ে
উঠেছে।
কাজেই
ট্র্যাজেডি
যদি
এই
সকল
বিষয়েই
মহাকাব্য
অপেক্ষা
মহত্তর
সৃষ্টি
হয়
এবং
তদুপরি
এর
বিশেষ
শৈল্পিক
কর্তব্য
সম্পাদনেও
শ্রেষ্ঠতা
দেখায়-কারণ
ট্র্যাজেডিকে
যে
কোন
ধরনের
শিল্পের
আনন্দ
সৃষ্টি
করলেই
চলবে
না,
সৃষ্টি
করতে
হবে
নিজস্ব
বিশেষ
আনন্দ,
যার
কথা
আমি
আগেই
ব্যাখ্যা
করে
বলেছি
[১৪
পরিচ্ছেদ
দেখুন]
-তা
হলে
একথা
স্পষ্ট
করে
বলা
চলে
যে
ট্র্যাজেডিই
শ্রেষ্ঠতর
শিল্পমাধ্যম,
কেননা
মহাকাব্য
অপেক্ষা
তা
নিজ
শৈল্পিক
উদ্দেশ্য
অধিকতর
সাফল্যের
সঙ্গে
সিদ্ধ
করে।
ট্র্যাজেডি
এবং
মহাকাব্যের
সাধারণ
স্বরূপ,
তাদের
প্রকারভেদ,
অঙ্গসমুহ,
তাদের
সংখ্যা
এবং
তাদের
বিশিষ্টতা,
তাদের
প্রয়োগগত
সার্থকতা
বা
ব্যর্থতার
কারণ
এবং
সমালোচনার
নানা
সমস্যা:
ও
তাদের
সমাধান
সম্পর্কে
আমার
যা
কিছু
বলার
আছে,
তা
এই।
ব্যাখ্যা
ও
টিকাঃ
১
The
Quoit-throw - লোহার
চাকা
নির্দিষ্ট
লক্ষ্যে
নিক্ষেপ
করা
এক
ধরনের
ক্রীড়া।
এই
ক্রীড়াকেই
কোইট-থ্রো
বলা
হয়।
নিক্ষিপ্ত
চাকা
পাক
খেতে
খেতে
লক্ষ্যের
দিকে
ধাবিত
হয়।
সেই
চাকা
নিক্ষেপকারীর
ঢং
বা
ভঙ্গীকে
অনুকরণ
করে
বাঁশী
বাদকরা
নিম্নশ্রেণীর
শ্রোতা
ও
দর্শকদের
খুশী
করার
জন্য
অঙ্গভঙ্গী
করে
বাঁশী
বাজাত।
এখানে
তার
কথাই
বলা
হয়েছে।
২।
Scylla
এর
ছয়টি
মাথা
ছিল।
তার
পাগুলো
ছিল
সাপ
এবং
ক্রুদ্ধ
গর্জনশীল
কু্কুর।
আমরা
প্রথম
পরিচ্ছেদেই
লক্ষ্য
করেছি
যে,
গ্রীক
যন্ত্রসঙ্গীত
সব
সময়ই
অনুকরণাত্মক
অঙ্গভঙ্গী
সহকারে
গাওয়া
হয়।
স্কাইল্লা
অথবা
কোইট-থ্রো
জাতীয়
যন্ত্রসঙ্গীত
পরিবেশনকালে
তারা
নিম্নরুচির
দর্শকদের
চিত্তবিনোদনের
জন্য
নানা
অঙ্গভঙ্গী
করে
আসর
মাত
করার
সুযোগ
নিত।
৩।
Mynniscus
- মিনিষ্কাস
ছিলেন
Aeschylus এর নাটকের
অন্যতম
অভিনেতা
৷
তার
সম্পর্কে
এর
বেশী
কিছু
জানা
যায়
না।
৪।
Callipides
- ক্যালিপিডিস
মিরিষ্কাসের
কনিষ্ঠ
সম-সাময়িক।
তিনিও
অভিনেতা
ছিলেন
৷
অতি
অভিনয়ের
জন্য
তিনি
বর্ষীয়ান
মির্নিষ্কাসের
বিরাগভাজন
হয়েছিলেন
।
৫।
Pindarus
- পিণ্ডারাস
সম্পর্কে
বিশেষ
কিছু
জানা
যায়
না।
Aristotle
এর
উল্লেখ
দৃষ্টে
মনে
হয়,
তিনিও একজন
অভিনেতা
ছিলেন।
৬।
Sosistratus - সোসিস্ট্রেটাস এর
পরিচয়ও
অজ্ঞাতই
রয়ে
গিয়েছে।
আরিস্টটলের
উল্লেখ
দৃষ্টে
মনে
হয়
তিনি
আবৃত্তিকারক
ও
অভিনেতা
ছিলেন।
৭।
Mnasitheus of
Opuntiun - ওপান্তিয়ার
ন্যাসিথিয়াস
- তিনি
সম্ভবতঃ
সঙ্গীতশিল্পী
ছিলেন
।
নাম
উল্লেখ
ছাড়া
আরিস্টটল
তার
সম্পর্কে
আর
বিশেষ
কোন
সংবাদ
পরিবেশননি।
No comments:
Post a Comment