Poetics - Aristotle - Chapter 25 - Critical Objections and Their Answers - Bangla Translation & Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter 25
Critical Objections and Their Answers
Bangla Translation & Explanation
২৫শ
পরিচ্ছেদ - সমালোচনামূলক প্রশ্ন
ও তার জবাব
যে
পদ্ধতিতে নানা রকম
গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সম্পর্কে
পরিষ্কার ধারনা পাওয়া
যায়, এবং
তাদের সংখ্যা, প্রকৃতি
ও তাদের সমাধান
সম্পর্কে জানা যায়
সে সম্পর্কে নিম্নে
আলোচনা করা হল। একজন
চিত্রকরের মত বা
অন্য যে কোন
শিল্পীর মত,
কবিরও লক্ষ্য জীবনের
শিল্পসম্মত উপস্থাপনা। স্বভাবতঃই তাই
তিনি সর্বদা বস্তুর
অনুকরণ করবেন তিনটি
উপায়ের যে কোন
একটি উপায়ে : হয়,
বস্তুটি যেমন ছিল
বা আছে সেইভাবে,
অথবা বস্তুটি সম্বন্ধে
লোকে যেমন বলে
বা মনে করে
সেই রকমে অথবা
বস্তুটি যেমন হওয়া
উচিত সেই ভাবে
রূপায়িত করে[২য় পরিচ্ছেদ
দেখুন]। তাঁর
প্রকাশ মাধ্যম হচ্ছে
ভাষা, যে ভাষায়
অপরিচিত শব্দ ও
রূপকাদির মিশ্রণ আছে
এবং যে ভাষা
কবিদের হাতে নানা
ভাবে রূপান্তরিত ও
পরিবর্তিত হয়
(২১শ তম পরিচ্ছেদ
দেখুন)। আমাদের
এ কথাও স্মরণ
রাখতে হবে যে
রাজনীতিকলা (গ্রীক ভাষায়
শব্দটির অর্থ খুবই
ব্যাপক সামাজিক মানুষের
আচরণ রীতির সামগ্রিক
বোধ এই শব্দটিতে
রয়েছে।)
অথবা অন্য যে
কোন কলার বেলায়
যেমন, কবিতার বেলায়ও
তেমনি ভাষার বিশুদ্ধতার
মান কখনই এক
প্রকার হতে পারে
না।
যাই হোক কাব্যকলার
নিজস্ব সীমার মধ্যেই
দুরকমের ক্রুটি ঘটা
সম্ভব, একটি অপরিহার্য
ত্রুটি, অপরটি নিছক
প্রাসঙ্গিক ত্রুটি। কবি যখন
সুনির্দিষ্ট কোন একটি
ঘটনা বা বিষয়কে
অনুকরণের দায়িত্ব গ্রহণ
করে, শিল্পনৈপুণ্যের
অভাবে বিপথগামী হয়ে
পড়েন, তখনই কাব্যে
১ম ধরনের ত্রুটি
ঘটে থাকে। কিন্তু তিনি
যে কাজে হাত
দিয়েছেন তার মধ্যে
যদি কোন ভুল
বা ত্রুটি নিহিত
থাকে, উদাহরণ স্বরূপ
ধরা যাক যদি
তিনি এমন কোন
ঘোড়ার রূপ দিতে
চান যার ডান
দিকের দুটো পা-ই একসঙ্গে
সামনের দিকে উৎতক্ষিপ্ত
হচ্ছে, (এটা
শৈল্পিক কলাকৌশলগত ত্রুটি
নয় বরং প্রাণীবিদ্যাবিষয়ক
জ্ঞানের অভাব জনিত
ত্রুটি) তা হলে
সে ক্রুটি হচ্ছে
জ্ঞানের কোন বিশেষ
শাখায় অজ্ঞতা-জনিত
ত্রুটি (ঐ রকম
চিত্র আঁকা হয়েছিল,
কিন্তু অ্যারিস্টটল তা
জানতেন না। ব্যাপারটা কিছু
সত্যি প্রাণীরা কেমন
করে হাটে শীর্ষক
তাঁর নিবন্ধে বর্ণিত
তত্ত্বসমুহের বিরোধী।)। এ
ধরনের ভুল হয়তো
ভেষজবিদ্যা অথবা অন্য
কোন প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয়ক জ্ঞানের
ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে
অথবা তিনি যদি
এমন কোন ঘটনা
বা পরিস্থিতি নির্বাচন
করেন যা একেবারেই
অবিশ্বাস্য বা অসম্ভাব্য
তা হলে যে
ত্রুটি ঘটবে,
তা ঠিক কাব্যকলার
অন্তর্নিহিত ত্রুটি হবে
না।
কাব্য সমালোচনার সমস্যাগুলোর
সমাধান করতে হবে
তাই এ-সব সমালোচনামূলক
প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্যই
খুঁজে বের করতে
হবে।
কাব্যকলার
মূলগত বিষয়-সংক্ররান্ত
সমস্যাবলীর কথাই প্রথমে
ধরা যাক। কবি যদি
অবিশ্বাস্য বা অসম্ভব
কিছুকে রূপায়িত করে
থাকেন, তা হলে
বস্তুতঃই তিনি ভুল
করেন।
কিন্তু তাঁর এ
কাজকে সমর্থন করা
যায় যদি তা
দ্বারা শিল্পের সত্যিকার
লক্ষ্য অর্জিত হয়,
যে লক্ষ্যের কথা
আমি আগেই নির্দেশ
করেছি।
সেই লক্ষ্য হচ্ছে
কাব্যে এ বিশেষ
অংশ বা অন্য
কোন অংশকে অধিকতর
আকর্ষনীয় করে তোলা। ইলিয়াড
কাব্যের [একিলিস কর্তৃক]
হেক্টরের পিছনে অনুসরনের (৪র্থ পরিচ্ছেদের
টিকা দেখুন) দৃশ্যত
এই ধরনের একটি
ব্যাপার।
সে যাই হোক,
যদি কাব্যশান্ত্রের বিধি মেনেই
এ একই লক্ষ্যে
অতটা ভালভাবে বা
উন্নততর ভাবে পৌছানো
যেত তা হলে
কিন্তু ঐ ধরনের
ক্রুটিকে প্রশ্রয় দেওয়া
সমর্থনযোগ্য হবে না;
কারণ সম্ভব হলে
কবিতার সকল রকম
ক্রটি থেকেই মুক্ত
থাকা উচিত। কেউ একথাও
জিজ্ঞেস করতে পারেন:
দুই রকমের ত্রুটির
মধ্যে বস্তুতঃ কোনটি
কাব্যকলার মধ্যে দেখা
দিয়েছে-যে ত্রুটি
কাব্যকলার প্রয়োজনীয় উপাদানকে
স্পর্শ করে তা
অথবা যে ক্রুটি
নিছক ঘটে যাওয়া
ত্রুটি মাত্র? কারণ
স্ত্রী-হরিণের শিং
নেই একথা না
জানা, হরিণের কলাধর্মবিবর্জিত
অস্পষ্ট ছবি আঁকার
চেয়ে অনেক কম
গুরুতর ক্রুটি।
তারপর
ধরুন কোন একটি
জিনিসের বর্ণনাকে এই
বলে সমালোচনা করা
হল যে তা
যথাযথ নয়। এর উত্তর
হল, সম্ভবতঃ
কবি ছবিটি এঁকেছেন
যেমন হওয়া উচিত,
তেমন করে,
Sophocles (৩য়
পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন)
যেমন বলতেন, তিনি
মানুষকে সেইরূপই একেছেন,
যেমনটি তাদের হওয়া
উচিত; অথচ
Euripides (১৩শ
পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন)
তাদের আঁকতেন তারা
যেমনটি, তেমনি করে। যাই
হোক, এই
ধরনের উত্তরের কোনটাই
যদি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য
না হয়,
তা হলে কবি
দেবদেবী কাহিনীর ঐতিহ্যের
দোহাই দিয়ে বলতে
পারেন : লোকে বলে,
জিনিসটা এরূপই বটে। এমনও
হতে পারে এই
সম্ভাব্য কাহিনী বাস্তবের
অনুরূপও নয়,
আবার বাস্তব ঘটনা
থেকে উন্নততর কিছু
নয়, হয়তো
জেনোফেনিস তাদের সম্পর্কে যা
বলেছেন তাই অর্থাৎ
এগুলি কাহিনী মাত্র। তথাপি
তারা “লোকে যা
বলে, তাই”
এই ঐতিহ্যাশ্রয়ী বর্ণনাসঙ্গত। [ Xenophenes - জেনোফেনিসঃ তিনি বিখ্যাত গ্রীক দার্শনিক তিনি খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন তিনি প্রথাগত গ্রীকধর্মের বহুদেবত্ববাদ এবং
ঈশ্বরের উপর নরত্ব আরোপের মত গ্রীকদের ঘৃণ্য প্রচেষ্টার ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ-সব মতবাদকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেছিলেন। গ্রীকদের প্রচলিত বানোয়াট দেবতাদের নৈতিকতা বিরোধী আচরণেরও তিনি কঠোর সমালোচক ছিলেন।]
তৃতীয় আর
একটি উত্তর হতে
পারে: সম্ভবতঃ কবি
যেমনটি হওয়া উচিত
তেমন করে আঁকেন
নি, কিন্তু
যেমন আছে তেমনই
একেছেন [তবে তাকে
কেবল অসত্য বলেই
মনে হয়]
যেমন 'বর্শা' জাতীয়
অস্ত্র -বর্ণনা প্রসঙ্গে
হোমারের বক্তব্য: মাটিতে
সোজা তাদের কুঁদোর
উপরে দাড়িয়ে গেল
বর্শাগুলো।
কারণ তখনকার রীতিই
ছিল ঐরূপ,
যেমন এখনও আছে
ইল্লিরিয়ানদেরমধ্যে মধ্যে [
Illyrians - 'ইলিয়াড' মহাকাব্যের দশম
সর্গ থেকে এই
পংক্তিটি উদ্ধৃত হয়েছে। বর্শাগুলোকে
এইভাবে স্থাপন করার
রীতিটিকে কিছুতেই ভাল
বলে বিবেচনা করা
যায় না। কারণ রাত্রিতে
হঠাৎ করে পড়ে
গিয়ে সৈন্য-শিবিরে
রীতিমত ত্রাস সৃষ্টি
করতে পারত। তবে এ
বিষয়ে কবির জবাব
হবে; কিন্তু
সত্যিই তো তৎকালে
বর্শা এভাবেই স্থাপন
করা হত এবং
ইল্লিরিয়ানরা এখনও তা
করে।]।
কোন
কিছু যা বলা
বা করা হয়েছে
তা নৈতিক বিচারে
ভাল, কি
মন্দ তা স্থির
করতে হলে আমাদের
শুধু কথা বা
কাজটির ভাল বা
মন্দের দিকে নজর
দিলেই চলবে না,
আমাদের এসব দিকও
বিচার করতে হবে
-কে ঐ কথা
বলেছে বা ঐ
কাজ করেছে? কাকে
বলেছে? কার জন্যে
করেছে? কি উপলক্ষে?
কিভাবে? এবং কি
উদ্দেশ্যে বলেছে বা
করেছে? এবং তা
মহত্তর কোন কল্যাণ
সাধনের জন্য অথবা
বড় রকমের কোন
অমঙ্গল এড়ানোর জন্যে
করা হয়েছে কিনা?
কাব্য
সম্পর্কিত অন্যবিধ সমালোচনার
জবাব দিতে হবে
কবি ব্যবহৃত ভাষা
বিচার করেঃ তাতে
কোন দুর্লভ শব্দ
প্রযুক্ত হয়েছে কিনা
তা বিবেচনার মধ্যে
ধরে নিয়ে। যেমন:
Oureas men proton এই
বাক্যে ব্যবহৃত দুর্লভ
শব্দ ‘Oureas’ এটা সম্ভব
যে হোমার ‘Oureas’ শব্দটিকে
‘প্রহরী’ অর্থে ব্যবহার
করেছেন, ‘খচ্চর’ অর্থে
নয়।
[ইলিয়াড-এর প্রথম
সর্গে উল্লিখিত এই
পংক্তির অর্থ হচ্ছে:
প্রথমে খচ্চর এবং
দ্রুতগামী শিকারী কুকুর
গুলোকে তীর বর্ষণে
জর্জরিত করলেন। এপোলো গ্রীক
সেনাবাহিনীর জন্য একটা
বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি
করতে যাচ্ছেন, এখানে
তারই ইঙ্গিত রয়েছে। বাক্যটির
তাৎপর্য পরিষ্কার নয়
বলেই, মূল বাক্যের
‘Oureas’ শব্দের
অর্থ খচ্চর না
করে অনেকেই প্রহরী
করার পক্ষপাতী। কারণ শব্দটির
দ্বিতীয় অর্থটি বেশী
তাৎপর্যবহ।
তবে তাতে সমস্যা
মেটে না;
কারণ শিকারী কুকুর
(Hound) বাচক
শব্দটির ভিন্নতর অর্থ
খুঁজে পাওয়া যায়
না।
তাতে করে ভাব
ও অর্থগত অসঙ্গতি
থেকেই যায়।]।
তারপর
ডোলোন সম্পর্কে তাঁর
কথা ‘Os ‘p’ e poi eeidos men ee en kakoos (বস্তুতই শারীরিক
গঠনের দিক থেকে
সে কুৎসিত ছিল)
; এখানে সম্ভবতঃ তার
কিম্ভূকিমাকার দেহ নয়,
তার কুৎসিত মুখমণ্ডলের
কথাই নির্দেশ করা
হয়েছে।
কারণ ক্রীট দ্বীপের
অধিবাসীরা Eulies (সুশ্রীদেহ) শব্দটি
euprospon (সুশ্রী
মুখযুক্ত) অর্থে ব্যবহার
করে থাকে। [Iliad-এর দশম
সর্গে ডোলোন(Dolon) সম্পর্কে
উল্লেখ আছে
: সে দৈহিক গঠনে
বস্তুতঃ বিকৃত ও
কুশ্রী ছিল;
কিছু দৌড়ে সে
ছিল দ্রুতগামী। ডোলোন যদি
সত্যই বিকলাঙ্গ হত
তা হলে নিশ্চয়ই
সে তাড়াতাড়ি দৌড়াতে
পারত না। মনে হয়,
কবি এখানে ডোলোনের
মুখমন্ডল দেখতে কুৎসিত
ছিল, তাই
বলতে চেয়েছেন।]
তারপর
আবার হোমারের zoroteron de karae এই বাক্যটির
অর্থ এই নয়
যে “কড়া
করে বানাও”, অর্থাৎ
এমন মদ,
যেমনটি মদ খেয়ে
মাতলামি বা উন্মাদনা
করার জন্য বানানো
হয়, বরং
এর অর্থ হচ্ছে
তাড়াতাড়ি করে মিশিয়ে
নাও।
অন্যান্য
প্রয়োগকে শব্দের রূপক
অর্থের সাহায্যেই ব্যাখ্যা
করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ
বলা যায় হোমার
যখন ‘alloi meen r'a theoi te kai a'neres
apantes pannuchioi বাক্যটি
উচ্চারণ করার পরে
পরেই আবার বলেন
'e' (toi ot es pedion to Troikon athreseien, aulon suriggon te omadon তখন
'apantes' (সকল) শব্দটি রূপকার্থেই
polloi (অনেক) শব্দের পরিবর্তে
ব্যবহৃত হয়েছে, কারণ
pa--n(সকল) শব্দটি
poluu (অনেক) শব্দেরই একটি
প্রজাতি। [এখানে অংশতঃ-উদ্ধৃত কাব্যাংশ
দুটি ইলিয়াড-এর
দশম সর্গের অন্তর্গত
(প্রথম অংশটিকে
ভুলক্রমে দ্বিতীয় সর্গের
অন্তর্গত মনে করা
হয়েছে)। প্রথম
অংশের অর্থ হল:
এইরূপে অমরবৃন্দ এবং
সকল অশ্ব-চিহ্নিত উষ্ণরীশধারী
বীরগণ সারারাত নিদ্রা
গেলেন; কিন্তু জিউসের
চোখে ঘুম ছিল
না।
দ্বিতীয় অংশের অর্থ
হল: হ্যাঁ,
আ্যাগামেমনন যখন বস্তুতঃই
ট্রয়ের উপত্যকার দিকে
তাকালেন, তখন তিনি
বাঁশীবাদন এবং সৈন্যদের
কোলাহল শুনে বিস্মিত
বোধ করলেন।” এখন প্রশ্ন
হচ্ছে : ‘যদি সবাই
ঘুমিয়েছিল, তবে এরূপ
হৈ-হুল্লোড়
কারা করেছিল?’]
সেইরূপ
‘Oi’e’ ammoros এই
বাক্যাংশে oi’e রূপকার্থে ব্যবহৃত
হয়েছে।
কারণ সবচেয়ে উত্তম
রূপে জানা প্রতিনিধি
স্থানীয়কেই 'একমাত্র' বলে
উল্লেখ করা হয়।[ইলিয়াড-এর
অষ্টাদশ সর্গে আকাশের
সপ্তর্ষিমণ্ডল (Great Bear) নামক নক্ষত্রমণ্ডল
সম্পর্কে বলা হয়েছে:
‘অপর সকলের মধ্যে
সেই একমাত্র মহাসাগরে
অবগাহনে অংশ নেয়
না’ অর্থাৎ
কখনই অস্ত যায়
না।
এখন, অস্ত
যায় না এমন
অনেক নক্ষত্রমণ্ডলই তো
থাকা সম্ভব। তা হলে
ঐ একমাত্র কথাটি
তো তাৎপর্যহীন হয়ে
পড়ে।
এর জবাব হচ্ছে
সপ্তর্ষিমণ্ডল (Great Bear) হচ্ছে নক্ষত্রমণ্ডলী
সমুহের মধ্যে সর্বাধিক
পরিচিত।
'সর্বাধিক পরিচিত' এখানে
'একমাত্র' শব্দেরই একটি
প্রজাতি।
এখানে রূপকার্থে সামান্য
শব্দকে বিশেষের স্থান
দেওয়া হয়েছে!]
তারপর
সমস্যার সমাধান কোন
শব্দ কিভাবে পড়া
হয় (স্বরাঘাত
বা শ্বাসাঘাত ব্যবহার
করে) তার
উপরও নির্ভর করতে
পারে।
থেসোসের (Thasos) অধিবাসী হিপ্পিয়াস
didomen dee oi এবং to men on katapathetai
ombro এই সব বাক্যাংশে
স্বরাঘাত বা শ্বাসাঘাত
ব্যবহার করে প্রয়োজনীয়
পরিবর্তন এনে সমস্যার
সমাধান করেছিলেন। [ Hippias - থেসোসের অধিবাসী
হিপ্পিয়াস সম্ভবতঃ প্রোটাগোরাসের
কনিষ্ঠ সমসাময়িক একজন
তার্কিক পণ্ডিত ছিলেন
। সে-হিসাবে তিনি
খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর
দ্বিতীয়ার্ধে বর্তমান ছিলেন। হিপ্পিয়াসের
১ম বাক্যটি 'ইলিয়াড'-মহাকাব্যের দ্বিতীয়
সর্গের প্রথম দিক
থেকে উদ্ধৃত। তবে এটির
পাঠ আমাদের প্রাপ্ত
পাঠ-সমুহের
থেকে কিছুটা স্বতন্ত্র। অংশটির
অর্থ: “এবং আমরা
তাকে...বর দিচ্ছি। এখানে
জিউস(Zeus) মর্ফিয়াসকে (Morpheus) বলছেন
কি করে আ্যাগামেমননকে
(Agamemnon) ধ্বংসের
পথে অগ্রসর হওয়ার
জন্য প্রলুব্ধ করতে
হবে।
তাকে তিনি বলছেন
: “আমরা তাকে মহান
গৌরবের গর্বলাভের জন্য
বর দিচ্ছি।” এরূপ বললে
প্রকৃত পক্ষে জিউসকে
দিয়ে মিথ্যা বলান
হয়।
তাই উচ্চারণের স্বরাঘাত
পরিবর্তন করে বাক্যটিকে
এমন ভাবে দাঁড়
করা হল যার
অর্থ দাঁড়াল “তুমি
তাকে বর দাও”। এতে
করে ব্যাপারটা দাঁড়াল
এই যে,
মর্ফিয়াসই মিথ্যা বলছেন,
জিউস নন। ২য় কাব্যাংশ
ইলিয়াডের ত্রয়োবিংশ সর্গ
থেকে উদ্ধৃত হয়েছে। এর
অর্থ হল:
‘যার অংশ বিশেষ
বৃষ্টিতে পচে যাচ্ছে’। এখানে
পুরাতন জীর্ণ কোন
কাষ্ঠখণ্ডের কথা বলা
হচ্ছে।
হোমারের যে পাঠটি
আমাদের হাতে পৌছেছিল
তাতে কিন্তু অর্থ
দাঁড়ায় ‘এ কাষ্ঠখণ্ড
বৃষ্টিতে আদৌ পচে
না’।
এটা নিতান্তই অবিশ্বাস্য
ব্যাপার হয়ে পড়ে। যাই
হোক, আরিস্টটল
যেমনটি করেছেন, হোমরের
ব্যবহৃত ou (না)
শব্দটিকে যদি
ouu (যার) রূপে
পরিবর্তিত করা হয়,
তাহলে এ অসঙ্গতি
দূর হয়। হিপ্পিয়াস এইভাবেই
উচ্চারণের স্বরাঘাত পরিবর্তন
করে সমস্যার সমাধান
করেছিলেন।
]
অথবা
যেমন এম্পিডোক্লিস (Empedocles – ২য় পরিচ্ছেদের
টিকা দেখুন) ‘aipsa de thnet ephuonto, ta prim mathon athanata
zora te prin kekreto এই
পংক্তিতে শব্দবিন্যাসের সমস্যা
উপযুক্ত যতিচ্ছেদের মাধ্যমে
মেটানো যেতে পারে।[
‘And soon they grew mortal that formerly learned immortal ways and pure
formerly intermingled.’ এম্পিডোক্লিস
এখানে মূল উপাদান
বা পরমাণুর কথা
বলেছেন।
তিনি কি এই
বুঝাতে চান যে,
যেগুলো আগে বিশুদ্ধ
ছিল, তারা
মিশ্রিত হয়ে বিশুদ্ধতা
হারাল, অথবা যেগুলো
আগে মিশ্রিত ছিল
এখন বিশুদ্ধ হল?
এখানে অর্থ তাৎপর্য
নির্ভর করছে পাঠ-বিরতি বা
যতি বিন্যাসের পদ্ধতির
উপর।]
আবার
সমস্যার সমাধান শব্দের
দ্ব্যার্থকতার মধ্যেও নিহিত
থাকতে পারে,
যেমন ‘parhocheken de plee o rux এই বাক্যে
‘pleo’ শব্দ
দ্ব্যর্থবোধক।
[ইলিয়াড-এর দশম
সর্গ থেকে উদ্ধৃত
এ অংশটির অর্থ
হল; ‘এবং রাত্রি
(দুই তৃতীয়াংশের বেশী)
অক্তিক্রান্ত হয়েছে’; (কিন্তু
এক তৃতীয়াংশ এখনও
বাকী আছে)। অংশটির
অর্থগত তাৎপর্য বোধের
অসুবিধা এইখানে যে,
যদি দুই তৃতীয়াংশের
বেশী অভিক্রান্তই হয়,
তাহলে আর এক
তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে
পারে না। কিন্তু এ
অসুবিধা কাটিয়ে ওঠা
যেতে পারে যদি
Pleo মানে 'অধিকতর' না
ধরে, 'পূর্ণ' ধরা
হয়।
তাহলে অর্থ দাঁড়ায়
; ‘রাত্রি পূর্ণ দুই
তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হয়েছে’।]
সর্বশেষে
ভাষায় শব্দের ভাষাগত
ব্যবহার করেও সমস্যার
সমাধান করা যেতে
পারে।
উদাহরণ স্বরূপ বলা
যায়, পানিমিশ্রিত সুরাকে
সচরাচর সুরাই বলা
হয়।
এ একই নীতির
ভিত্তিতে হোমার ‘knemis neoteuktore kassiteroio’ অর্থে 'নতুন
ঢালাই করা টিনের
বর্ম' কথাটি ব্যবহার
করেছেন।
ধাতুদ্রব্য নির্মাণরত কর্মী
মাত্রকেই বলা হয়
কর্মকার; এ একইভাবে
গ্যানিমীড(Ganymede) জিউসকে সুরা
ঢেলে দিচ্ছেন বলা
হয়, যদিও
তাঁরা সুরা পান
করেন না কিন্তু
এটাকে সম্ভবত একটি
রূপকার্থ-জ্ঞাপক বাক্যাংশরূপেও
ব্যাখ্যা করা যায়।
[Ganymede – গ্রীসের
লোককাহিনী অনুযায়ী গ্যানিমেড
অসীম সৌন্দর্যের অধিকারী
এক যুবা। তিনি ট্রসের
পুত্র।
ইডা পর্বত থেকে
জুপিটারের ঈগল পাখী
তাঁকে ছো মেরে
তুলে নিয়ে জিউসের
কাছে যায়। সেখানে সে
জিউসের পানীয় পরিবেশনকারী
নিযুক্ত হয়। কিন্তু জিউস
মদ্য পান করে
না সে অমৃত
পান করে।]
যখনই
কোন শব্দের অর্থে
অসঙ্গতি লক্ষ্য করা
যায়, তখনই আমাদের
বিবেচনা করে দেখা
উচিত, যে প্রসঙ্গে
শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে,
তাতে তা কত
বিভিন্ন অর্থে প্রযুক্ত
হতে পারে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ
‘te r eschelo chalkeon echos’ (সেখানেই পিতল
নির্মিত বর্শা বাধাপ্রাপ্ত
হল) এই
বাক্যটিতে আমাদের বিবেচনা
করে দেখতে হবে
‘সেখানে বাধাপ্রাপ্ত হল’
এই কথাগুলোর তাৎপর্য
কতভাবে গ্রহণ করা
চলে।
[এখানে Iliad-এর বিংশ
সর্গের কথা উল্লেখ
করা হয়েছে। একিলিস (Achilles) হেফায়েস্টাস (Hephaestus) কর্তৃক নির্মিত
বক্ষাবরণ পরিহিত ছিলেন। ধাতুনির্মিত
ঐ বক্ষাবরণের পাঁচটি
স্তর ছিল-একটি সোনার,
দুইটি ব্রোঞ্জের এবং
একেবারে অভ্যস্তরের দুটি
ছিল টিনের। হোমার বলেছেন,
ঈনিয়াস যে বর্শা
তার প্রতি নিক্ষেপ
করেছিল তা দুটি
স্তর ভেদ করে
স্বর্ণনির্মিত স্তরে গিয়ে
প্রতিহত হল;
কিন্তু স্বর্ণ হল
ভূষণ বা অলঙ্কারের
দিক, তাই
সাধারণতঃ স্বর্ণ নির্মিত
স্তরটি বাইরের দিকেই
থাকার কথা। তা হলে
কি করে বর্শাটি
দুটি স্তর বিদীর্ণ
করতে পেরেছিল? সম্ভবতঃ
এর তাৎপর্য হবে:
যদিও বর্শাটি নীচের
দিককার দুটি স্তর
বিদীর্ণ করেছিল, প্রকৃত-পক্ষে উপরিভাগের
স্বর্ণের স্তরটিই তার
গতি প্রতিহত করেছিল।]
আমাদের
চিন্তা করে দেখা
উচিত, কি ভাবে
আমরা সর্বোত্তম উপায়ে
গ্লৌকন [Glaucon]-বর্ণিত সমালোচনার
দোষগুলো এড়াতে সমর্থ
হব।
গ্লৌকন বলেন যে,
সমালোচকেরা প্রথমে কতকগুলো
ভিত্তিহীন অনুমানের আশ্রয়
নেন এবং কবি
সম্পর্কে তাঁদের নিজস্ব
বিরূপ মন্তব্যের ভিত্তিতে
সিদ্ধান্ত গ্রহণে অগ্রসর
হন; এই
ভাবে তাঁরা যে
সিদ্ধান্তে পৌছেন, কবির
বক্তব্য যদি তার
প্রতিবাদী হয় তা
হলে তাঁরা কবির
প্রতি নিন্দাবাদ বর্ষণ
করেন, এই বলে
যে কবি প্রকৃতপক্ষে
তাঁরা যা মনে
করেছেন সেই কথাই
বলেছেন।
[Glaucon - গ্লৌকন
সম্ভবতঃ তিনি একজন
এথেনীয় সমালোচক ছিলেন। হোমার
সম্পর্কে তাঁর মতামত
বিশেষ শ্রদ্ধার সঙ্গে
গৃহীত হত। আরিস্টটলের উল্লেখ
থেকে তা স্পষ্ট
হয়ে ওঠে।]
আইকেরিয়াসের
ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটাই
ঘটেছে [
Icarius - আইকেরিয়াস ইউলিসিস
(অডিসিয়াস) -এর পত্নী
পেনিলোপের (Penelope) পিতা। এটা অদ্ভুত
বলে মনে হয়
যে তাদের সন্তান
টেলিমেকাস (Telemachus) স্পার্টায় গিয়েও
তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ
করে নি।]।
কোন কোন সমালোচক
বিশ্বাস করেন যে
তিনি ছিলেন স্পার্টাবাসী
(Spertan)। কাজেই তাঁদের
কাছে এটা অদ্ভুত
মনে হয়েছে যে
টেলিমেকাস স্পার্টায় গেলেও
তার সঙ্গে তার
সাক্ষাৎকার ঘটেনি [Telemachus - টেলিমেকাস অডিসিয়াস
ও পেনিলোপের সম্ভান।]।
কিন্তু
সেফালেনিয়ানরা [Cephalonian - সেফালেনিয়ান : সেফালেনিয়া - Cephalonia দ্বীপবাসী। গ্রীক উপদ্বীপের
পশ্চিমে অবস্থিত সর্ববৃহৎ
দ্বীপ সেফালেনিয়া। এটি একটি
পর্বতসঙ্কুল এলাকা।] যেমন বলে
থাকে, সত্যটা বোধ
হয় এরূপ যে
অডিসিয়াস তাদের দেশেই
বিয়ে করেছিলেন এবং
তার স্ত্রীর পিতার
নাম ছিল আইকেডিয়াস
(Icadius), আইকেরিয়াস
( Icarius) নয়। তাই
এটা সম্ভব যে
কোন একটা ভুলের
জন্যই এই বিশেষ
সমস্যার উদ্ভব হয়েছে।
সাধারণভাবে
বলতে গেলে তাই
অসম্ভব বা অবিশ্বাস্যকে
সমর্থন করতে হবে,
হয় কাব্যিক আবেদনের
কথা উন্নততর বাস্তবতার
ধারণা সৃষ্টির প্রচেষ্টায়
এর প্রয়োগ-উপযোগিতা
দেখে বা তা
প্রথিত-ধারণা-সম্মত
এই যুক্তি দিয়ে। কাব্যিক
আবেদনের দিক দিয়ে
যুক্তিগ্রাহ্য অসম্তাব্যকে, অযৌক্তিক
সম্ভাব্যের চেয়ে বেশী
গ্রহণযোগ্য বলেই মনে
হয় (২৪শ
পরিচ্ছেদ দেখুন)।
যদিও
জিউক্সিস(৬ষ্ট পরিচ্ছেদ
দেখুন) যে রকম
মানুষ তাদের অস্তিত্ব
অসম্ভব হতে পারে
, তবুও মনে হয়
ঐ ধরনের চরিত্র
থাকলেই ভাল হত,
কারণ আদর্শ চরিত্রকে
সর্বাতিক্রমী ভাল চরিত্র
হওয়া চাই।
যুক্তি
অথবা সঙ্গতির দাবী
মেনে চলে না,
কাব্যে এমন উপাদানের
ব্যবহারকে এই বলে
সমর্থন করা যেতে
পারে যে লোকে
ঐ ভাবেই এগুলোকে
জেনে এসেছে। কেউ কেউ
এই যুক্তিও দেখাতে
পারে যে ঐ
উপাদানগুলো সব সময়ই
সঙ্গতি বা যুক্তি-বিরোধী নয়,
কারণ সম্ভাব্যতার সূত্রবিরোধী
ঘটনাও ঘটা সম্ভব। যে
সব উক্তিকে স্ববিরোধী
বলে মনে করা
হয়।
সেগুলোকে বিতর্কে যে
নিয়মে যুক্তিখণ্ডন করা
হয় সেই নিয়মেই
পরীক্ষা করে দেখা
উচিৎ; অর্থাৎ এটাই
দেখতে হবে কবি
আমাদের ধারণাসম্মত একই
প্রকরণকে একই অর্থে
একই বিষয়ে প্রয়োগ
করেছেন কি না। কবি
স্ববিরোধিতার দোষে দুষ্ট
হয়েছেন অথবা বিচক্ষণ
ব্যক্তির মনে কোন
বিষয়ে যে সত্যবোধ
জন্মেছে তার বিরোধিতা
করছেন এই বলে
তাঁকে দোষ দেওয়ার
আগে এসব কথাই
বিচার করে দেখতে
হবে।
যাই
হোক অসঙ্গতি এবং
চরিত্রহীনতার ব্যাপারটি খুব
সঙ্গতভাবেই নিন্দিত হয়
যখন তা আমদানি
করার প্রয়োজন থাকে
না এবং তাদের
প্রয়োগ যথার্থ হয়। [ট্র্যাজেডিতে বর্ণিত
চরিত্রগুলো সবই উত্তম
প্রকৃতির হওয়া উচিত
তুলনীয় (পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ
দেখুন) চরিত্রের সেই
সব দোষই চিত্রিত
হওয়া উচিত,
যেগুলো কাহিনীর নিজস্ব
প্রয়োজনে চিত্রিত করা
বাঞ্চনীয়।]
যেমন
Euripides এর
Medea তে ইজিয়াস
(Aegeus) চরিত্রের অবতারণা
অথবা অরেস্টিস(Orestes)
নাটকে মেনেলাউস(Menelaus) চরিত্রের হীনতা
অসঙ্গতির আমদানি মাত্র। [জেসন কর্তৃক
পরিত্যক্ত ও নিক্ষিপ্ত
মিডিয়া যখন পরিত্রাণের
কোন পথ পাচ্ছিল
না, তখন
এথেন্সের(Athens) রাজা ইজিয়াস তাড়াতাড়ি
এগিয়ে এসে তাকে
আশ্রয় দিতে সম্মত
হন।
এই দৃশ্যের অবতারণার
বিরুদ্ধে আপত্তি এই
যে, এটা
একটা অসম্ভব ব্যাপার]
(পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ দ্রষ্টব্য)
এটা নিতান্তই একটা
দৈবসংযোগ, পূর্ববর্তী ঘটনার
পরিণতি নয়। আর এটা নাটকের
ঘটনার পরিণতিকে মোটেই
প্রভাবিত করেনি। আধুনিক সমালোচকেরা শেষোক্ত
মন্তব্য সম্পর্কে একমত
নন! সে
যাই হোক,
ইউরিপিডিস এক্ষেত্রে আরিস্টটলের নীতির
প্রতিধ্বনি করেই জবাব
দিতে পারেন- So it was said to be in the
tradition. পঞ্চদশ
পরিচ্ছেদ দেখুন – ২য় উদাহরণ -যেখানে ইউরিপিডিসের
অরেষ্টিস নাটকে মেনেলৌস কে
নাটকের জন্য প্রয়োজনীয়
নয় এমন এক
হীন চরিত্র রূপে
উপস্থাপিত করা হয়েছে। ইউরিপিডিস অবশ্য
আত্মপক্ষ সমর্থনে বলতে
পারেন ব্যাপারটা এ
রকমই ছিল।]
অতএব
দেখা যাচ্ছে পাঁচটি
বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে
কোন একটি রচনার
নিন্দা হতে পারে
বা রচনা-সম্পর্কে আপত্তি
তোলা যেতে পারে;
রচনার বিষয়-অসম্ভব,
অযৌক্তিক, নীতিবিরুদ্ধ অসঙ্গতিপূর্ণ
অথবা শৈল্পিক দিক
থেকে ক্রুটিপূর্ণ এসব
বলে।
এই সমালোচনার উত্তর
খুঁজে বের করতে
হবে আমি যে
বারটি বিচার-সূত্র
নির্দেশ করেছি তারই
আলোক।
পোয়েটিকস এর ২৪শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৬শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৬শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
No comments:
Post a Comment