Alexander Pope's The Rape of the lock Summary and Analysis in Bengali |
কবি
আলেকজান্ডার পোপ তার ব্যঙ্গ বা প্রহসন কাব্যের সূচনা করেছের মহাকাব্যের নিয়ম মেনে
এবং মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য নিয়েই। শুরুতেই কবি বর্ণনা করেন কীভাবে সামান্যতম ভুলের কারণে ঘটে বিপর্যয়, শুরু হয় মহাসমর। তুচ্ছ
কারণে ঘটে যাওয়া এই মহাযুদ্ধের ঘটনা নিয়ে কবি বন্ধু ক্যারিলের অনুরোধে রচনা
করেছেন এই ব্যঙ্গ কাব্য।
কাব্যের
শুরুতেই দেখা যায়, কাব্যের রূপসী নায়িকা বেলিন্দা দিবানিদ্রায় মগ্ন। যেন কোনো
সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে কল্পলোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে সে। অনেক বেলা পর্যন্ত সে ঘুমায়।
বেলিন্দাকে কবি এখানে কল্পরাজ্যের এক রাজকন্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর রূপসী এ
নারীর গর্বিত রূপকে আরো প্রকট করে তোলে আ্যারিয়েল নামে অশরীরী এক বায়বীয় জীব।
কোমল শয্যায় ঘুমিয়ে আছে বেলিন্দা। তার ঘুমের মাঝে অ্যারিয়েল স্বপ্নযোগে বলে
যায় নারী জাতি মৃত্যুর পরে কীভাবে রূপ বদলায়। মৃত্যুর পরে অদৃশ্যলোকে গিয়ে তারা
নানামুখী রূপ পরিগ্রহ করে। খাপ্তার রমণী হয় আগুনের পরী, সহজ সরল মনের রমণীরা হয়
জলপরী। গম্ভীর প্রকৃতির নারীরা রূপান্তরিত হয় পাতাল এর পরীতে আর
রঙ্গপ্রিয় রমণীরা পরীরূপে পৃথিবীতে নেমে এসে নানাবিধ অঘটন ঘটাতে থাকে। কিছু নারী
আবার আত্মমগ্ন আর উচ্চাভিলাসী, সবার চোখে পড়তে চায়, কিন্তু প্রেমের আহ্বানে
সাড়া দেয় না। এতসব কথা বলার পর অ্যারিয়েল বেলিন্দাকে বিপদ থেকে সতর্ক থাকার কথা
বলে অদৃশ্য হয়ে যায়।ঘুম ভেঙে বেলিন্দা তার সাজসজ্জার কক্ষে ঢোকে, ভুলে যায় অ্যারিয়েলের
সতর্কবাণী।
দ্বিতীয় পর্বে
কবি বর্ণনা করেন রূপসী নায়িকা বেলিন্দার রূপের নানা দিক। কবির বর্ণনায় বেলিন্দার রূপ যেন প্রস্কুটিত পুষ্পের মতো, দিনের আলোর ঝলকানির মতো ফুটে ওঠে। বেলিন্দার অপরূপ মুখশ্রী যেন সূর্যের আলোকেও ম্লান করে দেয়। তার এই অপরূপ
রূপকে আরো উজ্জ্বল হতে উজ্জ্বলতর করে তোলে তার চুলের দুটো মোহনীয় দীর্ঘ বেণী। তার
এই ঝুলস্ত চুলের বেণীও দুটোতে যেন সারা জগতের ঐশ্বর্য লুকানো। সবাইকে এটা সবলে আকর্ষণ করে। প্রচণ্ড কামনার উত্তাপে দগ্ধ
ব্যারন প্রতিজ্ঞা করে, যে করেই হোক বেলিন্দার বেণী সে হরণ
করবে। বেলিন্দা তো নিজের
ভুবনমোহনীয় রূপে নিজেই মুগ্ধ আর অ্যারিয়েল তার সঙ্গী সাথীসহ আরো অদ্ভুত সব
অলৌকিক জীব নিয়ে বেলিন্দাকে সর্বদা পাহারা দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে।
৩য় পর্বে
বেলিন্দা প্রবেশ করছে হ্যাম্পটন কোর্টের প্রাসাদে তার দলবল সাথে নিয়ে। সে স্থানে ইংল্যান্ডের নেতৃস্বানীয় লোকেরা একত্রিত
হয়ে ইংল্যান্ডের মানুষের জন্য তৈরি করে নানা আইন আর নীতি। আর অভিজাত মহলের মানুষেরা এখানে এসে তাদের অবসর কাটায়, মেতে ওঠে হৈ হল্লায়। এখানে হয় পরচর্চার মত গর্হিত কাজ, নাচগান, আর উচ্চহাসের রোলে ফেটে পড়ে চারপাশ। এখানেই
রূপসী বেলিন্দা তার দলবলসহ খেলায় মত্ত, চারপাশে ভীর করে
আছে প্রণয়াকাঙ্খী মূর্খ তরুণ প্রেমিকদল। বেলিন্দার প্রতিপক্ষ হয়ে খেলছে ব্যারন
আর তার সাথে আর এক নাইট। বেলিন্দাকে সহায়তা করে অদৃশ্য পরী আর অশরীরী জীবেরা।
তাসের দান নিয়ন্ত্রণ করে তারা আড়াল হতে। অশরীরী জীবদের সহায়তায় বেলিন্দা একে
একে ছিনিয়ে নেয় বিজয়। পরাজয়ে ক্ষুব্ধ হয় ব্যারন। একসময় ক্লারিসা নামক এক পরী
ব্যারনের হাতে তুলে দেয় কাঁচি, আর ব্যারন সে কাঁচি দ্বারা
ঘ্যাচ করে কেটে ফেলে বেলিন্দার চুলের মোহনীয় বেণী। আকস্মিক এই দুর্ঘটনায় হতবিহ্বল
হয়ে পড়ে বেলিন্দা। ক্রোধে চিৎকারে ফেটে পড়ে সে, আর পরম উল্লাসে ফেটে পড়ে ব্যারন, যেন বিশাল এক বিজয়
অর্জিত হয়েছে তার।
চতুর্থ পর্বে দেখা
যায়,
বেলিন্দার চারপাশ বিষাদে মগ্ন, হতাশায় হা হুতাশ করছে সে, তার রূপের উজ্জ্বল বহ্নিশিখা
যেন অশুভ এক ঝোড়ো হাওয়ায় দপ করে নিভে গেছে। অভিমানে, দুঃখে, বেদনায় সে একেবারে ম্রিয়মাণ, তার দীর্ঘশ্বাসে যেন ভারী হয়ে গেছে আকাশ-বাতাস, পরম যত্নে তিল তিল করে গড়ে তোলা তার এই বেণী হারানোর শোকে সে যেন পাগলপারা। গভীর
অনুতাপের অগ্নিতে ধিকিধিকি জ্বলছে তার অস্তঃকরণ। নিজেকে সে এই বলে ধিক্কার দিচ্ছে যে, সে কেন নিজেকে ওইসব লোলুপ পুরুষদের কাছ থেকে সরিয়ে রাখেনি, কেন নিষ্ঠুর ব্যারনের দৃষ্টি তার ওপর পতিত হল। একটি বেণী আর রেখে এখন কী লাভ। এ
বেণীটাও যদি কেটে নিত তা হলেও তা ভালো ছিল।
পঞ্চম পর্বে পরী
ক্লারিসা বেলিন্দাকে নানা নীতিবাক্য দ্বারা সান্ত্বনা প্রদান করছে। সে বলছে, সকল রূপরাশি একদিন ম্লান হয়ে যায়, সযত্বে লালিত
কেশগুচ্ছও একদিন সাদা হয়ে যায়। বেলিন্দা তবুও ব্যারনের কাছে তার বেণী ফেরত চায়।
এ নিয়ে দুই পক্ষে চলে পাল্টাপাল্টি হামলা। পরী ক্লারিসা স্যার প্রিউমের কাছে বেণী
ফেরত চায়, কিন্তু তিনি বলেন, এটা আর কখনোই ফেরত পাওয়া যাবে না। বেলিন্দার বেণী আর কারো নজরে না পড়লেও
মিউজ এই কর্তিত বেণীর প্রতি সুনজর দেন বেলিন্দার সে বেণী তখন নক্ষত্রলোকে স্থান পেয়েছে, সেখানেই সে বেণী চিরকাল তারকার মতো দীপ্তি ছড়াবে আর পৃথিবীর কবিকুল তা নিয়ে রচনা
করবে অমর কাব্যগাথা। অতএব বেলিন্দার এতে গর্ব করা উচিত।
Thanks❤
ReplyDeleteExcellent...
ReplyDeleteThanks a lot
Thanks
ReplyDeleteThank you so much
ReplyDeleteMany many thanks to you for help us 3rd year.
ReplyDeleteSuch a valuable information
ReplyDeleteReally excellent story.Thanks a lot provider
ReplyDeleteNot bad
ReplyDelete