Poetics - Aristotle - Chapter - 23 - Epic Poetry - Bangla Translation & Explanation |
Bangla Translation & Explanation
২৩শ
পরিচ্ছেদ - মহাকাব্য
এটা
স্পষ্ট
করেই
বলতে
হয়
যে
অনুকরন
শিল্পের
ক্ষেত্রে
বর্ণনাত্মক
রীতিতে
পদ্যবন্ধে
রচিত[এর
মাধ্যমে
মহা
কাব্য
বুঝাচ্ছে],
এ
জাতীয়
রচনার
প্লটকে
ট্র্যাজেডির
মতই
নাটকীয়
করে
গড়ে
তোলা
উচিত! হবে
একটি
মাত্র
ঘটনা-কেন্দ্রিক
সম্পূর্ণাঙ্গ
এবং
নিশ্ছিদ্র
এবং
আদি-মধ্য-অন্ত
সমন্বিত
কাহিনী,
যাতে
একটি
পরিপূর্ণ
জীবকোষের
ন্যায়
কাব্য
তার
নিজস্ব
বিশেষ
আনন্দ
সৃষ্টি
করতে
সক্ষম
হয়।
মহাকাব্য
কখনই
ইতিহাসের
সাধারণ
ভঙ্গীতে
নির্মিত
হওয়া
উচিত
নয়।[এ
প্রসঙ্গে
অষ্টম
এবং
নবম
পরিচ্ছেদ
দ্রষ্টব্য।
সেখানে
মহাকাব্য
ও
নাটকের
ঐক্যনীতি
সম্পর্কে
বলা
হয়েছে
এবং
ঐতিহাসিক
বিবরণ-গাথার
এঁক্যনীতির
সঙ্গে
তার
পার্থক্য
নির্দেশিত
হয়েছে।]
ইতিহাসে
কোন
বিশেষ
একটি
ঘটনার
প্রকাশ
নয়,
বিশেষ
একটা
যুগের
যাবতীয়
ঘটনা,
তা
যত
অসংলগ্নই
হোক,
যা
ঐ
সময়ের
মধ্যে
এক
বাও
একাধিক
ব্যক্তির
জীবনে
ঘটেছে,
তারই
প্রকাশ
থাকে।
যেমন
স্যালামিসের
নৌযুদ্ধ
এবং
সিসিলিতে
কার্থেজীয়দের
সঙ্গে
সংঘর্ষ
একই
সময়
ঘটেছিল
অথচ
দুই
সংঘটন
একক-পরিণামী
ছিল
না।
[গিলো
কর্তৃক
সিসিলিতে
কার্থেজীয়গণের
পরাজয়
এবং
স্যালামিসের
নৌ-যুদ্ধে
পারসিকগণের
উপর
এথেনীয়
নৌবাহিনীর
জয়-উভয়
ঘটনাই
একই
বছরে
৪৮০
খৃষ্টপূর্বান্দে
ঘটেছিল।
ঐতিহাসিক
হেরোডোটাসের [Herodotus]
মতে
এ
দুই
সংঘটন
একই
বছরে
একই
দিনে
ঘটেছিল
।]
সেইরূপ
কালপ্রবাহের
কোন
এক
ধারায়
এমন
ঘটনার
পর
ঘটনা
ঘটে
যেতে
পারে,
যা
সুনির্দিষ্ট
কোন
পরিণতির
নির্দেশক
হবে
না;
তথাপি
আমাদের
বেশীর
ভাগ
কবিই
ঐতিহাসিকদের
পদ্ধতিই
অনুসরণ
করে
থাকেন।
ইতিপূর্বেই
আমি
হোমারকে
যে
ভাবে
বর্ণনা
করেছি,
আমার
মনে
হয়,
এ
বিষয়েও
তিনি
অন্য
সকল
কবির
চেয়ে
ঐশ্বরিক
অনুপ্রাণতায়
বেশী
অনুপ্রাণিত
৷
এই
জন্য
মনে
হয়
যে,
যদিও
ট্রয়ের
যুদ্ধ
একটা
আদি-অন্ত
সমন্বিত
ব্যাপার,
তবুও
তিনি
গোটা
বিষয়কে
তার
কাব্যের
পরিধির
মধ্যে
এঁটে
দেওয়ার
চেষ্টা
করেননি।
কারণ
এটা
এত
বড়
একটা
বিষয়
যে,
তা
একাধারে
পরিবেশন
করা
প্রায়
অসম্ভব
ছিল;
এবং
তিনি
যদি
এর
দৈর্ঘ্য
সীমিত
করে
দিতেন,
তা
হলে
এর
অন্তর্গত
ঘটনার
অজস্রতা
ও
বৈচিত্র্য
ব্যাপারটাকে
খুবই
জটিল
করে
তুলতে
পারত।
বাস্তবে
যা
দেখতে
পাচ্ছি,
তিনি
কাহিনীর
একটা
অংশকেই
বেছে
নিয়েছেন
এবং
অন্য
অংশগুলো
থেকে
উপকাহিনী
হিসেবে
নানা
ঘটনার
অবতারণা
করেছেন
যেমন
পোত
শ্রেণীর
তালিকা [Iliad -এর
দ্বিতীয়
সর্গের
শেষাংশ
দ্রষ্টব্য]
এবং
অন্যান্য
শাখা
কাহিনী,
যা
সংযোজন
করে
তিনি
কাব্যকে
বৈচিত্র্য
দান
করেছেন।
অন্যান্য
মহাকাব্য-রচয়িতা
কবি
কোন
এক
ব্যক্তিচরিত্র
আশ্রয়
করে,
অথবা
বিশেষ
কোন
কালের
কথা
নিয়ে
অথবা
নানা
বিচ্ছিন্ন
ঘটনার
সমবায়ে
গড়ে-ওঠা
কোন
সংঘটন
নিয়ে
কাব্য
রচনা
করেছেন[গ্রন্থের
১৮শ
পরিচ্ছেদে
অ্যারিস্টটল
স্বীকার
করেছেন
যে,
হোমারের
ইলিয়াড
কাব্যেও
নানা
গল্পের
সমাবেশ
হয়েছে]।
এই
ধরনের
কবিদের
মধ্যেই
রয়েছেন
সাইপ্রিয়া১ [Cypria
- Stasinus] এবং
ছোট
ইলিয়াড২ [Little Iliad]-এর মত
গ্রন্থের
রচয়িতারা৩। তাই
দেখা
যায়,
যেখানে
ইলিয়াড
[Iliad] বা অডিসির
[Odessey] কাহিনী থেকে
শুধু
একটি
মাত্র
ট্র্যাজেডিই
দাড়
করান
যেতে
পারে,
সেখানে
সাইপ্রিয়া
থেকে
বেশ
কয়েকটি
এবং
ছোট
ইলিয়াড
থেকে
আটটিরও
বেশী
দাড়
করান
সম্ভব,
যেমন
অস্ত্র-উপহার[the
Award of the Arms], ফিলোকটেটিস[Philoctetes] , নিওপটলেমাস৪ [Neoptolemus] , ইউরিপাইলাস৫ [Eurypylus] ভিক্ষুক
বেশী
অডিসিয়াস[theMendicant Odysseus or Odysseus the begger],
লেকোনীয়
মহিলা[ the
Laconian Women], ট্রয়-লুণ্ঠন [the
Fall of Ilium], এবং
নৌবহরের
প্রস্থান
[the
Departure of the Fleet] কাহিনীসমূহ।
সাইনন৬ [Sinon]
এবং
ট্রয়ের
স্ত্রীলোকগণ[Trojan
Woman]-এর কাহিনীর
কথা
নাই
বা
উল্লেখ
করা
হল।
পোয়েটিকস এর ২২শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৪শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৪শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
১। Cypria – Stasinus রচিত কালের অতলে হারিয়ে যাওয়া একটি গ্রীক কাব্য। এই কাব্যটিতে প্যারিসের
রায়
এবং
ট্রোজান
যুদ্ধের উৎপত্তির
কাহিনী
সবিস্তারে
বর্ণিত
হয়েছে।
২। Little Iliad - ছোট ইলিয়াড-এর
কাহিনী
শুরু
করা
হয়েছে
Achilles এর
মৃত্যুর
পর
থেকে।
এতে অ্যাজাক্সের [Telamonian Ajax] আত্মহত্যার
কাহিনী
থেকে
গ্রীকদের
ট্রয়
প্রবেশ
ও
ট্রয়
ধ্বংসের
কাহিনী
পর্যন্ত
ঘটনার
বর্ণনা
রয়েছে।
৩। এই
সকল
হারিয়ে
যাওয়া
এবং
নিশ্চিতরূপে
নিম্নমানের
মহাকাব্য
সম্পর্কে
আমাদের
জ্ঞানের একমাত্র
উৎস
হচ্ছে
চতুর্থ
কিংবা
পঞ্চম
শতাব্দীতে
প্রোক্লাস
কৃত
গ্রীক
পুরাণের
সংক্ষিপ্ত- সার
রূপে
রচিত
গদ্য
গ্রন্থ।
৪।
Neoptolemus:
নিওপটলেমাস
Achilles এবং দেইদামেইয়ার[Deidamiaof scyros] সন্তান। একিলিসের
মৃত্যুর
পর
তিনি
ট্রয়ে
প্রেরিত
হয়েছিলেন। কারণ
তার
উপস্থিতি
ছিল
ট্রয় নগরী
দখলের
পূর্বে অবশ্য
পালনীয়
শর্ত।
তিনি
একজন
দক্ষ
যোদ্ধা
এবং
জ্ঞানী
পরামর্শদাতা
ছিলেন।
কাঠের ঘোড়ার
পেটে
বসে
ট্রয়
নগরীতে
প্রবেশকারী
গ্রীক
যোদ্ধাদের
অন্যতম
ছিলেন
তিনি
।
৫।
Eurypylus- ইউরিপাইলাস গ্রীক
পুরাণোক্ত
এক
বীর।
তিনি
ইউরোহেইমনের[ Euaemon] পুত্র।
তিনি ট্রয়ের
যুদ্ধে
যোগ
দিয়েছিলেন।
৬।
Sinon
সাইনন
ট্রয়নগরী
লুষ্ঠন
ও
ধ্বংস
কার্যের
অন্যতম
নায়ক
গ্রীক
যোদ্ধা
সাইনন। তিনি
গ্রীকপক্ষ
ত্যাগ
করার
ভান
করে
ট্রয় নগরীতে
প্রবেশ
করে
ট্রোজানদের
কাঠের
ঘোড়া[Trojan horse] সম্পর্কে
এক
মিথ্যা
গল্প
শুনিয়ে
প্রলুব্ধ
করেছিলেন।
পরে
ট্রোজানরা
ঐ ঘোড়ার
মূর্তি নগরের মধ্যে নিয়ে গেলে, রাত্রিবেলা এর দেহ-মধ্যস্থ প্রকোষ্ঠ থেকে সাইনন-সহ গ্রীক যোদ্ধারা বেরিয়ে এসে ট্রয়নগরী লুণ্ঠন করে এবং ব্যাপক ধ্বংসকার্য চালিয়ে ট্রয়যুদ্ধের সমাপ্তি টেনে আনে।
No comments:
Post a Comment