Poetics - Aristotle - Chapter - 22 - Diction & Style - Bangla Translation & Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter - 22
Diction & Style
Bangla Translation & Explanation
দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ - কাব্যিক ভাষারীতি ও রচনাশৈলী
কবিতার ভাষারীতির সবচেয়ে
বড়
গুণ
হচ্ছে
এই
যে
তা নিম্নমানের হবে না বরং স্বচ্ছ ও পরিষ্কার। অথচ প্রচলিত
ভাষার
তুচ্ছতা
তাকে
স্পর্শ
করবে
না।
স্বচ্ছতম
কাব্যিক ভাষা
প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহৃত শব্দ-সম্ভার নিয়েই গড়ে ওঠে, কিন্তু এ-ভাষা
নিতান্ত
সাধারণীকৃত বলেই নিকৃষ্ট। ক্লিওকোন১ (Cleophon )এবং স্থেনেলাসের২ (Sthenelus) কাব্যে তারই
প্রমাণ
মিলছে।
অপর
পক্ষে,
অপরিচিত শব্দ-সম্ভার
সমৃদ্ধ
কাব্যিক ভাষার
একটা
আভিজাত্য
থাকে
এবং
তা
প্রচলিত
ভাষার
তুচ্ছতার উর্ধ্বে
অবস্থান
করে।
অপরিচিত
বা
স্বল্প
পরিচিত
শব্দ-প্রয়োগ
বলতে
আমি
কৃতঋণ
শব্দ(Loan word), রূপক
অর্থবোধক
শব্দ
(Metaphorical Word), সম্প্রসারিত শব্দ (Expanded
Word) এবং ঐ সব ছাড়া যা কিছু স্বাভাবিক ভাষার কাঠামোর বাইরে, সবকিছুকেই বুঝাতে চাই। তবে এ ধরনের শব্দ সম্ভারের নিরঙ্কুশ ব্যবহার ভাষাকে হয় পরিণত করে প্রহেলিকায় (Riddle or Conundrum), নয়ত বা পর্যবসিত করে কৃত্রিম বাগাড়ম্বরে। ভাষা তখনই প্রহেলিকায় পরিণত হয় যখন ব্যবহৃত শব্দসন্তার রূপকধর্মী হয়; আর
কৃত্রিম
বাগাড়ম্বরে
পর্যবসিত
হয়
যখন
সব
শব্দই
প্রকৃতপক্ষে বাইরের আমদানি হয়। প্রহেলিকা বা ধাঁধার ধর্মই হচ্ছে অসম্ভব-শব্দ-সমবায়ে সত্য ঘটনার প্রকাশ। কেবল সাধারণ প্রচলিত শব্দ-পরম্পরা এটা করা যায় না; এটা করা যায় রূপকের ব্যবহার দ্বারা; যেমনটি
ঘটেছে: ‘আমি
দেখলাম
একটি
লোক
অন্য
আর
একটি
লোকের
দেহে
আগুনের তাপের
সাহায্যে
ব্রোঞ্জ
এঁটে
দিচ্ছে’-এই প্রহেলিকাধর্মী উক্তিটিতে এবং ঐ ধরনের অন্যান্য দৃষ্টান্ত [এই ধাঁধা বা প্রহেলিকার সমাধান হল : ব্রোঞ্জনির্মিত একটি Cupping –
bowl এটিকে তাপের সাহায্যে কোন একটি মানুষের দেহোপরি কোন ক্ষতের উপর এটে দিলে, তা তাপ হারিয়ে শীতল হতে হতে এ ক্ষতপথ থেকে রক্ত বের করে আনবে।]। একই ভাবে অপ্রচলিত বা দুর্লভ শব্দের সমাবেশে কৃত্রিম বাগাড়ম্বরের সৃষ্টি হয়। তা হলে [সার্থক কবিভাষার জন্য] যা দরকার, তা হল এই বিভিন্ন ধরনের উপাদানের কিছুটা সংমিশ্রণ। কারণ অপ্রচলিত শব্দ, রূপক, আলংকারিক শব্দ এবং অন্যান্য প্রজাতির অপশব্দ(Jargon) -আমি আগেই যাদের কথা উল্লেখ করেছি, তা একদিকে ভাষাকে হীনতা ও তুচ্ছতার উর্ধ্বে তুলে ধরে অপরদিকে প্রাত্যহিক শব্দসম্তার ভাষাকে প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা দান করে। কবিতার ভাষার স্বচ্ছতা-বিধান করা অথচ তাকে কিছুটা আভিজাত্য দানের সবচেয়ে ফলপ্রসূ উপায় হল, শব্দের সম্প্রসারিত, সংক্ষেপিত এবং পরিবর্তিত রূপের ব্যবহার। প্রচলিত বাগভঙ্গী (কথার ভঙ্গী) থেকে এই ভাবে কিছুটা দুরে সরে আসার ফলে যে অপরিচয়ের ব্যবধান সৃষ্টি হবে, তা ভাষাকে প্রাত্যহিকতার তুচ্ছতার উর্ধ্বে তুলে ধরবে, আর সাধারণ বাগভঙ্গীর বৈশিষ্ট্য কিছুটা রক্ষিত হলে, ভাষার স্পষ্টতা গুণ বাড়বে। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহারকে নিন্দা করা এবং তা ব্যবহার করেছেন বলে কোন কবিকে বিদ্রূপ বা উপহাস করা সৎ সমালোচনা বলে গণ্য হতে
পারে
না।
এমন
অসমীচীন
কাজই
করেছিলেন বর্ষীয়ান ইউক্লিডস৩ যখন
তিনি
বলেছিলেন
-ইচ্ছানুযায়ী অক্ষরের দীর্ঘতা-বিধানের সুযোগ দেওয়া হলে, কবিতা লেখা হয়ে যাবে। এই প্রচলিত রীতিকে ব্যঙ্গ করেই তিনি দুটি গদ্য পংক্তিকে উক্ত রীতি অনুযায়ীই কবিতার মত করে পড়ে শুনিয়েছেন :
Epichaaren
e’idon Marathoon—aade badiizonta
Ou’ka’n
geeraa menos to’n e’keiinou e’lleboron
এই ধরনের চাতুরির অতি প্রত্যক্ষ প্রয়োগ তাই হাস্যকর; সকল রকমের ব্যতিক্রমী শব্দ প্রয়োগ ব্যাপারেই সংযম অবলম্বন করা আবশ্যক। কারণ রূপক অর্থবোধক শব্দ, অপরিচিত
কৃতঋণ শব্দ এবং ঐ ধরনের অপভাষা আনাড়ির মত প্রয়োগ করলে অথবা নিছক হাস্যরস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে ব্যবহার করলে একই ফল দেখা দেবে। এ সবের যথাযথ এবং সুসংযত প্রয়োগ কি বিরাট পার্থক্য সৃষ্টি করতে পারে, তা মহাকাব্যের দিকে তাকালে বোঝা
যায়।
যে
কেউ
পূর্বোল্লিখিত অপরিচিত শব্দ, রূপক অর্থবোধক শব্দ অথবা প্রয়োগসিদ্ধ শব্দের পরিবর্তে সাধারণ প্রচলিত শব্দ প্রয়োগ করে দেখলেই আমার কথার সত্যতা উপলব্ধি করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, এস্কাইলাস(৪র্থ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন) এবং ইউরিপিডিস (Euripides - ১৩ তম পরিচ্ছেদর টিকা দেখুন) উভয়ে
একই
আয়াম্বিক ছন্দে (১ম পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন)একই
কবিতা
পংক্তি
রচনা
করেছিলেন। কিন্তু মাত্র একক্ষেত্রে সাধারণ ও প্রচলিত শব্দের পরিবর্তে একটি অপরিচিত শব্দ যোজনা করার ফলে এই কবিতা পংক্তিদ্বয়ের একটি সুন্দর বলে প্রতিভাত হচ্ছে : অপরটি নিতান্ত সাধারণই থেকে গিয়েছে। এস্কাইলাস(Aeschylus) তার ফিলোকটেটিস৫ নাটকে এই কাব্য পংক্তিটি লিখেছিলেন : Phagedania
e mou sarkas ee sthii ei podoos (
The ulcer that eats the flesh of my foot - বাংলা করলে
দাঁড়ায়,
“যে
ক্ষত
আমার
পায়ের
মাংস
কুরে
খাচ্ছে)
কিন্তু ইউরিপিডিস ঐ একই পংক্তিতে ও
esthieii (Eats - খায়) শব্দের পরিবর্তে
tha—na—tai (Feasts upon – ভোজ খাচ্ছে) শব্দ ধ্যবহার করেছেন।
এ একই পার্থক্য দেখা দেবে যদি
Nu—n
deem’ eeon’o’ligos te kai ou’tidanoos kai a’ekes
['অডিসি'
মহাকব্যের নবম সর্গের এই পংক্তিটি একটু সংশোধনসহ উদ্ধৃত হয়েছে। এর ইংরেজী অনুবাদ And now a puny fellow, ungoodly and of no account [has blinded me] ; বাংলা:
এবং
এখন
একটা ক্ষুদ্রাকৃতি, কুৎসিত ও সামান্য মানুষ [আমাকে
অন্ধ
বানিয়েছে], Aristotle অপেক্ষাকৃত সহজতর শব্দ প্রয়োগ করে এর যে নতুন ভাষ্য রচনা করেছেন, তার ইংরেজী অনুবাদ দাঁড়ায় : And now a little, weak, ugly fellow [has blinded me]; বাংলা:
এবং
এখন
একটা
ছোট,
দুর্বল,
কুশ্রী
মানুষ
(আমাকে
অন্ধ
করে
দিয়েছে)।]
এই কাব্যপংক্তিতে আমরা সাধারণ প্রচলিত শব্দ বসিয়ে পরিবর্তন করে বলি
Nu—n dee m eo’n micros te kai asthenikoos kai aaeides।
একই ব্যাপার আবার ঘটবে যদি আমরা
Diphron
a’eikelion karatheis
o’ligen te trapezan
এর পরিবর্তে
Diphron mokhtheron katatheis mikraan te trapezan
পাঠ গ্রহন করি
[এটি অডিসির ২০ সর্গ থেকে উদ্ধৃত পংক্তির অংশ বিশেষ। এর ইংরেজী অনুবাদ : ‘Having placed for him an unseemly stool and an
insignificant table’ বাংলা:
তার
জন্য
একটা
অদ্ভুত
টুল
এবং
সামান্য
একটা
টেবিল
স্থাপন
করার
পর...
৷
শব্দ প্রয়োগ
রদবদল
ঘটিয়ে
আরিস্টটল-এর যে রূপ দান করেছেন, তা হল Having
placed for
him a shabby stool and a little table’, বাংলা : তার
জন্যে
একটা
যেমন তেমন
টুল
এবং
একটা
ছোট
টেবিল
স্থাপন
করার
পর
... ।]
অথবা যদি
‘eiones boo oosin
স্থলে পরিবর্তিত
eiones krazousin
ভাষ্য রচনা করা হয়।
[ The sea-shore is thundering (সমুদ্র সৈকত গর্জন করছে) এর পরিবর্তে শব্দ প্রয়োগে রদবদল ঘটিয়ে আরিস্টটল নতুন রূপ দিয়েছেন: The
sea-shore is crying out (সমুদ্র সৈকত আর্ত চীৎকারে ফেটে পড়ছে) ।]
তারপরও দেখা যাচ্ছে আরিফ্রেডিস৬ (Ariphrades) সাধারণ
কথাবার্তায় ব্যবহৃত হয় না এমন শব্দ প্রয়োগের জন্য ট্র্যাজেডি-রচয়িতাদের উপহাস করেছেন। যেমন apoo domaa
t—on এর
পরিবর্তে
dom—a to—n apo [For the houses away (ঘরবাড়ী
থেকে
অনেক
দূরে),
away from the houses এর পরিবর্তে।]
এবং seethen [‘Thine’
-
তোমার] এবং ego de nen [I married her -আমি তাকে বিবাহ করেছিলাম] এবং peri Achilleoos এর পরিবর্তে Achilleos peri [Achilles
concerning (একিলিস
সম্পর্কিত)
‘Concerning Achilles’-এর পরিবর্তে
] এবং ঐ ধরনের অন্যান্য প্রয়োগ। এ সব
বচন
প্রচলিত
বাকধারার
অন্তর্গত
নয়
বলেই
এরা
বাচনকে
তুচ্ছতার
উর্ধ্বে
তুলে
ধরতে
পেরেছে।
আরিফ্রেডিস
এটা
লক্ষ্য
করতে
ব্যর্থ
হয়েছেন।
বস্তুতঃ
এই
সব
কাব্যিক
শব্দপ্রকরণ
এবং
যৌগিক
ও
অপরিচিত
শব্দের
সুষ্ঠু প্রয়োগকুশলতা
একটা
চমৎকার
জিনিস
।
কিন্তু
রূপকের
যথাযথ
প্রয়োগ-কুশলতা
আয়ত্ত করাই
হল
সব
চেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
জিনিস।
এই
একটা
জিনিসই
আছে
যা
অন্য
কারও
কাছ থেকে
শেখা
যায়
না।
রূপকের
প্রয়োগ-ক্ষমতা
অতি
উচ্চস্তরের
কাব্য-সামর্থ্যের
লক্ষণ। কারণ
রূপক
ব্যবহারের
সামর্থ্য
[বিভিন্ন
বস্তুর
মধ্যে]
সাদৃশ্য
অনুধাবনের
অনায়াস
ক্ষমতাকে
বুঝায়।
কাব্যে
ব্যবহৃত
নানা
শ্রেণীর
শব্দের
মধ্যে
যৌগিক
শব্দ
ডিথির্যাম্ব(Dithyrambs) কবিতায়ই সবচেয়ে
সুপ্রযুক্ত
হয়;
অপরিচিত
কৃতঋণ শব্দের
প্রয়োগ
বীরগাথায়
এবং
রূপক অর্থবোধক শব্দ
প্রয়োগে
আয়াম্বিক
ছন্দে
রচিত
কাব্যে
মানায়
ভাল।
সকল
শব্দই
অবশ্য
বীর-গাথায় সুপ্রযুক্ত
হতে
পারে;
কিন্তু
আয়াম্বিক
ছন্দে
রচিত
কবিতায়,
যা
সাধারণতঃ
ভাষার
সাধারণ বাক্ভঙ্গীকে অনুসরণ
করেই
রচিত
হয়,
কেবল
সেই
সব
শব্দই
উপযুক্ত
বিবেচিত
হয়
যে- গুলো
যে
কোন
লোক
প্রাত্যহিক
কথাবার্তায়
ব্যবহার
করতে
পারে।
এ
জাতীয়
শব্দ
হল: প্রচলিত
ব্যবহারিক
শব্দ,
রূপক অর্থবোধক শব্দ
এবং
আলংকারিক
শব্দ। তা
হলে,
ট্র্যাজেডি,
যা
কিনা
মঞ্চোপরি
সাক্ষাৎ
ক্রিয়ার
মাধ্যমে
সৃষ্ট
এক প্রকার অনুকরণ-শিল্প,
সে-সম্পর্কে
এই
বিবরণই
যথেষ্ট
বলে
বিবেচিত
হতে
পারে।
পোয়েটিকস এর ২১শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৩শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২৩শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
ব্যাখ্যা ও টিকাঃ
১। Cleophon - ক্লিওফোন - দ্বিতীয় পরিচ্ছেদের টীকায় ক্লিওফোন সম্পর্কে সামান্য কথা পরিবশন করা হয়েছে। আরিস্টটল উক্ত পরিচ্ছেদে উল্লেখ করেছেন যে ক্লিওফোন-অঙ্কিত চরিত্রগুলো আমাদের মতই সাধারণ মানুষ। স্পষ্টতঃ চরিত্রগুলোর মুখে প্রযুক্ত ভাষাও সাদামাটা এবং শিল্পগুণবর্জিত।
২। Sthenelus স্থেনেলাস - তিনি
খ্রীন্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে বর্তমান ছিলেন বলে মনে করা হয়। ট্র্যাজিক কবি স্থেনেলাস সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না তবে অ্যারিস্টোফেনিসের
রচনায়
তাঁর
উল্লেখ
দৃষ্টে
বোঝা
যায়
তিনি
তাঁর
সমকালীন বর্ষিয়ান ব্যক্তি
ছিলেন।
অ্যারিস্টোফেনিস স্থেনেলাসের রচনা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে বলেছেন: লবণ
ও
ভিনিগার
ছাড়া
তাঁর
ভাষা
একেবারেই
আস্বাদনের অযোগ্য।
৩। Eucleides - বর্ষীয়ান ইউক্লিডস : তার
সম্পর্কে
বিশেষ
কিছু
জানা
যায়
না।
মনে
হয়
তিনি
একটি
ব্যঙ্গ কাব্য
রচনা
করেছিলেন
।
তাতে
মহাকাব্যে স্বর বা অক্ষরের যথেচ্ছ দীর্ঘতা বিধান করার প্রবণতাকে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন। তাঁর মতে কাব্যরচনায় এই জাতীয় চাতুরির আশ্রয় নিলে কবিতা লেখা এমনই সহজ হয়ে উঠতে পারে যে, বুদ্ধিমান যে কেউ অনায়াসে গদ্যকেও কাব্যের ভঙ্গী দান করতে পারবে। Aristotle তার
এই
মতকে
ভ্রান্ত
বলে
নির্দেশ
করেছেন।
৪। মূল পাঠ এখানে যথেষ্ট বিকৃত। তাই অনুবাদকরা অনেকেই এই দুটি পংক্তি অনুবাদের চেষ্টা
করেননি।
প্রথম পংক্তিটির
অনুবাদ
এইভাবে
করা
চলে
: ‘I saw Epichares on his way to Marathon’ বা 'আমি
এপিকারেসকে ম্যারাথনের পথে চলতে দেখেছিলাম' ৷ দ্বিতীয়টির পাঠ এতটাই বিকৃত যে এর সুষ্ঠু কোন অনুবাদ করা সম্ভব নয়। প্রেষ্টন এইচ এপস-এর অনুবাদ করেছেন এইভাবে : “He couldn't (?) enamoured as he was of this man’s hellebore। এর বঙ্গানুবাদের চেষ্টা নিষ্ফল হতে বাধ্য। তবে ভাষান্তর ছাড়াও সম্ভবতঃ বর্তমান প্রসঙ্গে আরিস্টটলের বক্তব্য যথেষ্ট পরিষ্কার। হোমার এবং তাঁর পরবর্তী অনেক কবি হ্রস্ব স্বরকে দীর্ঘায়িত করে স্থান বিশেষে কাব্যের দাবী মিটিয়েছেন। গদ্যপংক্তির
মধ্যে
কয়েকটি
হ্রস্ব স্বরকে দীর্ঘায়িত করে তাকে কাব্যের মত করে পড়ে শুনিয়ে ইউক্লিড এই হ্রস্ব স্বরকে দীর্ঘায়িত করার অভ্যাসটাকেই ব্যঙ্গ করেছেন ।
৫। Philoctetes: ফিলোকটেটিস এস্কাইলাস বিরচিত একটি নাটক। এটি কালের অতলে হারিয়ে গেছে। ইউরিপিডিসও এই নামে নাটক রচনা করেছিলেন বলে শোনা যায়। ফিলোকটেটিস নামে সফোক্লিস বিরচিত একটি নাটক কালের ভ্রুকুটি অগ্রাহ্য
করে
আজও বেঁচে
আছে।
ফিলোকটেটিস
গ্রীক
পুরাণোক্ত এক বীর। পিতার নাম পোইয়াস(Poeas)।
ট্রয় যুদ্ধে
অংশ
গ্রহণ
করতে
যাওয়ার
পথে
সাপের
কামড়ে আহত
হলে,
তাকে
লেমনস
দ্বীপে
ফেলে
সবাই চলে
যায়।
ট্রয়ের
যুদ্ধক্ষেত্রে অনেক কাল অমীমাংসিত যুদ্ধ চলার পর, অডিসিয়াস হেলেনাস নামক একজন ট্রোজান ভবিষ্যৎ বক্তাকে বন্দী করেন। তার কাছ থেকে জানতে পারেন যে ফিলোকটেটিসের সাহায্য ছাড়া ট্রয়নগরী দখল করা যাবে না। কারণ তারই কাছে ছিল হিরাক্লিসের তীর এবং ধনুক। তাই অডিসিয়াস ফিলোকটেটিসকে
তার
নির্বাসন
থেকে ট্রয়ে
নিযে
আসেন।
তিনিই
প্যারিসকে হত্যা করেন।
৬। Ariphrades - অ্যারিফ্রেডিস সম্ভবতঃ আরিস্টট্ল পূর্ববর্তী কোন তার্কিক পণ্ডিত ও সমালোচক তাঁর সম্পর্কে আরিস্টটলের গ্রন্থে যেটুকু তথ্য পরিবেশিত হয়েছে, তার বেশী কিছু জানা যায় নি।
No comments:
Post a Comment