Poetics - Aristotle - Chapter 20 - Some Linguistic Definitions - Bangla Translation and Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter 20
Some Linguistic Definitions
Bangla Translation and Explanation
২০শ পরিচ্ছেদ - কয়েকটি ভাষাতাত্ত্বিক সংজ্ঞা
ভাষা বা বাচনভঙ্গি নিম্নলিখিত অংশগুলো নিয়ে গঠিতঃ বর্ণ[Letter], ধ্বনি[Syllable], সংযোজক অব্যায়[The Connecting word], নাম[Noun], ক্রিয়া[Verb], কারক, বিভক্তি ও প্রত্যয়[Inflexion or Case], বাক্য ও শব্দগুচ্ছ[The Phrase or Proposition]। বর্ণ
হচ্ছে একটি
অবিভাজ্য
ধ্বনি,
ঠিক
ঐ ধরনের
যে
কোন
ধ্বনি
নয়,
এমন
ধ্বনি
যার
সাহায্যে বুদ্ধিগ্রাহ্য ভাষা তৈরী হতে পারে । সত্য বটে, পশুরাও অবিভাজ্য ধ্বনি উচ্চারণ করে; কিন্তু আমরা
যাকে
বর্ণ
বলি,
সেই
অর্থে
ঐ ধ্বনির
কোনটাই
তা
নয়।
এই
যে
বর্ণ,
তা
তিন প্রকারেরঃ স্বরবর্ণ, অর্ধস্বর এবং ব্যঞ্জন বর্ণ। স্বরবর্ণ হচ্ছে
সেই
ধ্বনি
যার
শ্রুতিগ্রাহ্য উচ্চারণে দুই বাক প্রত্যঙ্গের সংযোগ প্রয়োজনীয় নয়। অর্ধস্বর, যেমন S অথবা R, হচ্ছে দুই বাক প্রত্যঙ্গের সংযোগে সৃষ্ট শ্রুতিগ্রাহ্য ধ্বনি। একটি অনুচ্চারিত[Mute – নিজে নিজে উচ্চারণের অযোগ্য] বর্ণ অর্থাৎ ব্যঞ্জন বর্ণ হচ্ছে তাই যার নিজস্ব কোন আওয়াজ নেই কিন্তু
যখন
তা স্বরবর্ণের সঙ্গে
সংযুক্ত
হয়,
তখন শ্রবণযোগ্য ধ্বনি
হয়ে ওঠে:
এ
জাতীয়
ধ্বনির
উদাহরণ
হল
G এবং D। মুখাকৃতি এবং
উৎপত্তি
স্থানানুযায়ী, ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্র অনুরণিত হওয়া বা না হওয়া অনুযায়ী[অর্থাৎ ঘোষতা বা অঘোষতা], স্বরের দীর্ঘতা
বা
হ্রস্বতা, মহাপ্রাণতা, অল্পপ্রাণতা, অথবা মধ্যপ্রাণতা অনুযায়ী বর্ণগুলির মধ্যে ধ্বনিগত পার্থক্য দেখা দেয়। এ-সব বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা অবশ্য ছন্দ-শান্ত্রীদের নিজস্ব এলাকার ব্যাপার। অক্ষর বা শব্দাংশ হচ্ছে ব্যঞ্জনধ্বনি এবং স্বরধ্বনি বা অর্ধস্বরধ্বনির সংযোগে উৎপন্ন অর্থহীন
ধ্বনি-সমষ্টি।
কারণ দেখা
যাচ্ছে
A স্বরধ্বনি বিযুক্ত GR, A স্বরধ্বনি-যুক্ত GRA-মতই একটি অক্ষর বা শব্দাংশ। কিন্তু এ-সব পার্থক্যের, ব্যাপারও ছন্দতত্তের আলোচনার অন্তর্গত। সংযোজক অব্যয়
শব্দ[জার্মান
ভাষার
ন্যায়
গ্রীক ভাষায় অব্যয় জাতীয় অনেক শব্দের দেখা পাওয়া যায়। এই গুলোর স্বতন্ত্র কোন অর্থ-মর্যাদা নেই। কোন বিশেষ
শব্দ,
বাক্যাংশ
বা
গোটা
বাক্যের
উপর জোর
দেওয়ার
জন্যে
অথবা
তাদের
অর্থের
মোড়
ঘুরিয়ে
দেওয়ার
জন্যে
এই
জাতীয়
শব্দ ব্যবহৃত
হত] হচ্ছে
একটি
অর্থ তাৎপর্যবিহীন ধ্বনি-সমবায়, যা কয়েকটি ধ্বনির সমম্বয়েও কোন শব্দ গঠনে কোন সাহায্য করতে পারে না বা এরূপ শব্দ গড়ে ওঠার পক্ষে কোন প্রতিবন্ধকতাও সৃষ্টি করে না এবং যা একটি স্বনির্ভর বাক্য বা বাক্যাংশের মাঝে বা শেষে ব্যবহার করা উচিত। এ ধরনের গ্রীক
শব্দ
হল Men, De, Toi, De । বিকল্পে, সংযোজক অব্যয় শব্দ হচ্ছে সেই নিরর্থক ধ্বনিগুচ্ছ, যা সার্থক কতকগুলো ধ্বনির সমবায়ে, একটি অর্থযুক্ত শব্দ গঠনে সক্ষম। এই জাতীয় শব্দের উদাহরণ হল Amphi, এবং perhi ঐধরনের শব্দাবলী ।
বিযোজক
বা
বিভাজক১ অব্যয় হচ্ছে সেই নিরর্থক ধ্বনি যা বাক্যের সূচনা অথবা, সমাপ্তি,
অথবা
বাক্যের
বিভাজন
বিন্দু
নির্দেশ
করে
এবং
এর
স্বাভাবিক অবস্থান হচ্ছে বাক্যের দুই প্রান্তে অথবা মধ্যভাগে। [গ্রীক
ভাষায়
বিরাম-চিহ্ন
ব্যবহারের রেওয়াজ বড় একটা ছিল না। আমরা বিরাম-চিহ্ন ব্যবহার করে বাক্যের বিভিন্ন অংশের ও শব্দের পারস্পরিক সম্পর্ক যে ভাবে নির্দেশ করি, গ্রীকগণ তা করত অল্পকয়েকটি ছোট শব্দ বা অব্যয় শব্দ প্রয়োগ করে।]
নাম হচ্ছে একটি অর্থযুক্ত ধ্বনি-সমবায়, এটি সময় নিরপেক্ষ এবং এর পৃথক পৃথক অংশের নিজস্ব স্বতন্ত্র অর্থ নেই। কারণ যৌগিক শব্দেরও আমরা ভিন্ন ভিন্ন অংশকে
স্বতন্ত্র অর্থ মর্যাদা দিই না। উদাহরণ স্বরূপ ধরা যায়, Theodoros বা ঈশ্বরপ্রদত্ত এই
নামের Doros অংশটির
স্বতন্ত্র কোন অর্থ নেই[Theodoros - বিস্তারিত]।
ক্রিয়া হল একটি যৌগিক অর্থবোধক ধ্বনি সমবায়; নামের মতই যার ভিন্ন ভিন্ন অংশের অর্থ-মর্যাদা নেই। 'মানুষ'
বা
'শাদা'
এই
ধরনের
শব্দ সময়ের কোন
ইঙ্গিত
দেয় না;
কিন্তু
'হাটে'
এবং
হেটেছিল' শব্দদুটি যথাক্রমে
বর্তমান
ও
অতীত
কালের
অর্থ
সৃষ্টি করে।
বিশেষ্য অথবা ক্রিয়ায় ব্যবহার করা কারক-বিভক্তি বা প্রত্যয় ‘এর’,
‘প্রতি’,
‘জন্য’ ইত্যাদি
সম্পর্ক বুঝায়
অথবা
কখনো সংখ্যার
একত্ব
বা
বহুত্ব নির্দেশ করে যেমন ‘মানুষ’ বা ‘মানুষগুলো’ অথবা, বাক্য উচ্চারণের বিশেষ ইচ্ছা বা সুরটি নির্দেশ করে, যেমন জিজ্ঞাসা বা আদেশ ভাব প্রশ্ন-সূচক ‘হেটেছিল?’ অথবা আদেশ-সূচক ‘হাট’-এই
ধরনের
শব্দে
ক্রিয়া
বিভক্তি
বা
প্রত্যয়ের ব্যবহারের দৃষ্টান্ত পাওয়া যাচ্ছে।
একটি সার্থক শব্দগুচ্ছ[Phrase -স্বার্থক শব্দ গুচ্ছ] বা বাক্য হচ্ছে একটি অর্থপূর্ণ শব্দ-সমবায়, যার কোন কোন অংশের নিজস্ব আলাদা অর্থ আছে। যেমন ‘ক্লিওন
হাঁটিতেছে’ এই বাক্যের ‘ক্লিওন’ নামক
বিশেষ্য
পদটির
অর্থ
আছে।
তথাপি
দেখা
যায়
সকল
বাক্যই
ক্রিয়া
এবং
বিশেষ্যের সমবায়ে গঠিত হয় না। ক্রিয়া ছাড়াও বাক্য গঠিত হতে পারে, তবে তাতে সর্বদাই এমন কিছু অংশ থাকবে যা তাৎপর্যবাহী। যেমন দেখা যাচ্ছে “এরুটি দুই পাওয়ালা স্থলচর প্রাণী”-মানুষের সংজ্ঞার্থক এই বাক্যটিতে। একটি-বাক্য
দুই
ভাবে
ঐক্য লাভ করতে পারে-একই বিষয় প্রকাশ করে অথবা বিভিন্ন বিষয়ের সমবায় ঘটিয়ে। যেমন ইলিয়াড – এর ঐ বহু উপাদানের সমবায়ের ফল; আর “এরুটি
দুই পাওয়ালা স্থলচর প্রাণী”
মানুষের
সংজ্ঞার্থক এই
বাক্যের বা শব্দগুচ্ছের ঐক্য বিষয়ের ঐক্যের ফল[হ্যামিল্টন ফাইফ প্রমুখ কোন কোন পণ্ডিত এ পরিচ্ছেদের বক্তব্য আলাদা বলে মনে করেন। তাঁদের মতে গ্রন্থের মূল বক্তব্যের সঙ্গে এ পরিচ্ছেদের বক্তব্যের কোন সম্পর্ক নেই তাই এটি পরিত্যাজ্য। অন্যদিকে লেন
কুপার
মনে
করেন,
মূল
প্রসঙ্গ
থেকে
কিছুটা সরে
এলেও,
আরিস্টটলের বক্তব্য একেবারে প্রসঙ্গ-বহির্ভূত, একথা বলা চলে না]।
No comments:
Post a Comment