Poetics - Aristotle - Chapter - 19 - Thought and Diction - Bangla Translation and Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter - 19
Thought and Diction
Bangla Translation and Explanation
১৯শ
পরিচ্ছেদ - শব্দ নির্বাচন ও সংকল্প
শব্দ নির্বাচন[Diction] বা বাচনভঙ্গি এবং চিন্তাধারা[Thought] বাদে ট্রাজেডির অন্যান্য বিষয় নিয়ে পূর্বেই আলোচনা করা হয়েছে। সংকল্প বা চিন্তাধারা নিয়ে আমার Rhetoric বইয়ে আলোচনা করেছি। কারণ বিষয়টি সত্যিকার অর্থে এ শাস্ত্রেরই অন্তর্গত। ভাষার সাহায্যে মন-মানসিকতার যত রকম ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়ার প্রকাশ সম্ভব, তার সবটাই চিন্তাধারার ব্যাপারের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, কোন কিছু প্রমাণ ও খণ্ডন করার বিষয়, করুণা, ভীতি, ক্রোধ এবং ঐ জাতীয় আবেগসমূহের উদ্দীপনসংক্রান্ত বিষয় এবং
কোন
কিছুর
অতিরঞ্জন
এবং
হালকাকরণ প্রক্রিয়া। এটাও স্পষ্ট যে, নাটকের
ঘটনা-প্রবাহে
যেখানেই
দুঃখ,
ভয়
অথবা
মহত্ত্ব
বা
সম্তাব্যের বোধ জাগানো প্রয়োজন, সেখানেও ঐ একই নীতিমালা মেনে চলা উচিত[নাটকের পাত্র-পাত্রীদের চিন্তা অথবা ভাবাবেগ তাদের আচরণের মধ্য দিয়েও যেমন প্রকাশ খুঁজে পেতে পারে, তেমনি তাদের কথার মধ্য দিয়েও পারে। চিন্তা ও আবেগের কাঙ্খিত রুপদানের জন্য যে সব নিয়ম পাত্র-পাত্রীদের আচরণ বা ঘটনা-সমাবেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেই সব নিয়মই তাদের ভাবনা ও তার প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ]।
অবশ্য
এই
পার্থক্য
থাকবে যে,
ঘটনা
এখানে
মৌখিক
কোন
ব্যাখ্যার সাহায্য ছাড়াই নিজস্ব বক্তব্য ফুটিয়ে তুলবে। আর অন্যত্র
যেখানে
কার্যসিদ্ধি করা হয় কথামালা দিয়ে, সেখানে তা করবে কোন বক্তা এবং তা
করবে
ভাষা
দিয়েই।
কারণ
যদি
ভাষার
ব্যবহার
ছাড়াই
উদ্দিষ্ট
অনুভূতি
ব্যক্ত
করা
যেত, তা হলে বক্তার আর প্রয়োজন থাকতো কোথায়?
তারপর নির্বাচিত কথামালা বা শব্দমালা সম্পর্কিত জিজ্ঞাসার কথা। এই জিজ্ঞাসার একটি শাখা হচ্ছে-নানা ধরনের ভাব প্রকাশক বাক্য গঠন সম্পর্কিত জ্ঞান যা কিনা বক্তৃতা-শিল্পের[Rhetoric] অন্তর্গত এবং বক্তৃতা-শিল্প চর্চাকারীদের পক্ষে প্রয়োজনীয়। এরই দৃষ্টান্ত স্বরূপ আমি উল্লেখ করেছি-আদেশ, প্রার্থনা, বিবৃতি, চোখ-রাঙানি, প্রশ্ন, উত্তর এবং এ ধরনের আরও নানা প্রকার ভাব প্রকাশক বাক্যের কথা। এই সব জিনিস জানা অথবা না- জানা
কবির
কলাকৌশলের পক্ষে কোন গুরুতর দোষ বলে সমালোচিত হয় না। কারণ লোকে কি করে বুঝবে হোমরের[Homer - ১ম পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন] বিরুদ্ধে, প্রোটাগোরাস১[Protagoras] এই বলে যে অভিযোগ এনেছেন যে হোমর ‘গাও
দেবী
ক্রোধের
সঙ্গীত’[Iliad এর প্রথম অংশে Homer বলেছেন] বলে দেবীর
কাছে
প্রার্থনা জানাতে গিয়ে প্রকৃতপক্ষে তাঁকে আদেশ করেছেন, তার জন্য সত্যিই হোমার দোষী ?[ প্রোটাগোরাস মনে করতেন তাদেরকে আদেশের সুরে কিছু করতে বলা অসঙ্গত ব্যাপার] প্রোটাগোরাস যুক্তি দেখান যে কাউকে কিছু করতে বলা বা নিষেধ করা এক ধরনের আদেশ। যাই হোক, এই জিজ্ঞাসা ভিন্নতর কোন শিল্পের
ক্ষেত্রে
প্রাসঙ্গিক হলেও, কাব্যশিল্পের ক্ষেত্রে একেবারেই নয়। তাই আমরা একে বাদ দিয়ে যেতে পারি।
পোয়েটিকস এর ১৮শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২০শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ২০শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
ব্যাখ্যা ও টিকাঃ
১। Protagoras
- প্রোটাগোরাসঃ তিনি
সম্ভবতঃ
খ্রীস্টপূর্ব ৪৮৫ অস্দের পূর্বেই বর্তমান ছিলেন। তিনি সত্তর
বছর
বয়স
পর্যন্ত
জীবিত
ছিলেন। প্রাচীন গ্রীসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সার্থক তার্কিক পণ্ডিত। তাঁর কর্মজীবনের চল্লিশ বছর প্রায় সবটাই তিনি এথেন্সেই কাটিয়েছেন। তিনি মানুষকে সুষ্ঠু সুন্দর জীবন-যাপনের পন্থা শিখিয়েছেন বলে দাবী করতেন; তিনি উচ্চ নীতিজ্ঞান সম্পন্ন চরিত্রের, অতি সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন। ৪৪৪ খ্রীস্টপূর্বাব্দে এথেন্সের নতুন কলোনী থুরিইর জন্য আইন-প্রণয়নের দায়িত্ব তাঁর উপরই অর্পিত হয়েছিল। কোন এক
অপরাধের
জন্য
তাঁর বিচার
ও
শাস্তির
এক
বহু
প্রচলিত
কাহিনী রয়েছে।
তবে
প্লেটোর
বিবরণ
দৃষ্টে
মনে
হয়
এটি
নিছক
আজগুবি
কাহিনী
অথবা পরবর্তীকালের লেখকদেরই ভ্রান্তির
ফল।
চিন্তা
জগতে
তাঁর
তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রয়েছে। মানুষের জ্ঞান-বুদ্ধির সীমাবদ্ধতার ইঙ্গিত নিহিত রয়েছে কথার মধ্যে। দেব-দেবী সম্পর্কিত গ্রীকদের অসাড় চিন্তা ও বিশ্বাসের উপর তিনি সন্দিহান ছিলেন। তবে তিনি কারো ধর্মীয় বিশ্বাসকে অসম্মান করেননি।
No comments:
Post a Comment