Poetics - Aristotle - Chapter 17 - Some rules for the Tragic Poet - Bangla Translation and Explanation |
Poetics - Aristotle - Chapter 17
Some rules for the Tragic Poet
Bangla Translation and Explanation
সপ্তদশ পরিচ্ছেদ - বিয়োগান্তক কাব্যনাট্ট রচয়িতা বা ট্র্যাজিক কবিদের জন্যে কয়েকটি নিয়মঃ
প্লট তৈরীর সময় এবং তার উপযুক্ত কথামালা নির্মাণকালে কবির উচিত বাস্তব দৃশ্যাবলীকে যতদূর সম্ভব নিজের চোখের সামনে রাখা। তিনি যেন
সকল
ঘটনার
একজন প্রত্যক্ষ দ্রষ্টা, এই ভাবে সব কিছু স্পষ্টরূপে অবলোকন করলে বুঝতে পারবেন কি কি জিনিস তার সৃষ্টির জন্য সবিশেষ উপযোগী এবং কোথাও কোন অসঙ্গতি থাকলে তাও তাঁর নজর এড়াতে পারতে না। কার্সিনাস[Carcinus - ১৬শ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন] যে দৃশ্যটি উপস্থাপন করার জন্য নিন্দিত হয়েছিলেন তা এইরূপ অসঙ্গতিরই এক
উদাহরণ। একজন দর্শকের ন্যায় গোটা দৃশ্যটিকে প্রত্যক্ষ
করেন
নি
বলেই,
তিনি
মন্দির
থেকে
এম্ফিয়ারউসের১ [
Amphiaraus] বের হয়ে আসার ব্যাপারটি লক্ষ্য করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। দর্শকেরা তাই এ দৃশ্য-সংযোজনার অসঙ্গতি দেখে নাখোশ হয়েছিল;
ফলে
নাটকটি
মঞ্চে
মোটেই
জমতে
পারেনি। তারপর
কবির
উচিত
যথাসাধ্য
উপযুক্ত
অঙ্গভঙ্গীর কাল্পনিক অভিনয় করে করে নাটকীয় অনুকরণের কাজ নিষ্পন্ন করা।
কারণ
সম
ক্ষমতা-সম্পন্ন
লেখকদের
মধ্যে
তাঁরাই সবচেয়ে
বেশী
চিত্তাকর্ষক হয়ে থাকেন, যাঁরা বস্তুতঃই সৃষ্ট চরিত্রের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তাদের অনুভবকে নিজেদের অনুভব করে তুলতে পারেন। যিনি নিজেই উত্তেজনায় অধীর অথবা ক্রোধে প্রদীপ্ত, তিনিই পারেন জীবন্ত বাস্তবতার সঙ্গে উত্তেজনার অথবা ক্রোধের ভাবটিকে পরিস্ফুট করে তুলতে। সুতরাং কাব্য হচ্ছে অসাধারণ প্রকৃতিপ্রদত্ত ক্ষমতার
উপহার
অথবা
উন্মত্ততার আকর্ষন। প্রথমোক্ত ক্ষেত্রে ব্যক্তি যে কোন চরিত্রের অনুভূতি ও মর্জিকে আত্মগত করে নিতে পারে। শেষোক্ত ক্ষেত্রে সে আবেশে আত্মহারা হয়ে আপন সত্তার বাইরে চলে যায়। কাহিনী সম্পর্কে বলা যায় যে কবি পূর্ব-প্রস্তুত কোন কাহিনীই গ্রহণ করুন অথবা নিজের কল্পনা থেকে তৈরী কোন কাহিনীই অবলম্বন করুন, তাঁর উচিত প্রথমে একটি সাধারণ কাঠামো তৈরী করে নেওয়া এবং তারপর যথোপযুক্ত উপকাহিনী সংযোগে তার বিস্তৃতি সাধন করা। কাহিনীর সাধারণ কাঠামোর পরিকল্পনা বলতে আমি কি বুঝাতে চাই, তার দৃষ্টান্ত ইফিজেনিয়া নাটক[টোরিসে ইফিজিনিয়া – Iphigenia in Tauris
- Euripides]
থেকে
এরূপ
দেওয়া
যেতে
পারেঃ একটি যুবতী মেয়েকে বলি রূপে উৎসর্গ করা হয়েছিল; সে রহস্যজনকভাবে যারা তাকে বলি দিতে এসেছিল, হঠাৎ তাদের সামনে থেকে হারিয়ে গেল। তাকে
ভিন্ন
এক
দেশে নিয়ে
যাওয়া
হল।
সে
দেশে
সকল বিদেশীকেই দেবীর কাছে বলি দেওয়াই প্রথা। সে এই ধর্মানুষ্ঠান সম্পন্নকারিনী মেয়েপুরোহিত নিযুক্ত হল। কিছুকাল পরে ঘটনাক্রমে তারই ভাই সেখানে এসে পৌঁছল পৌছানোর সঙ্গে সঙ্গেই তাকে গ্রেফতার করা হল এবং যখন তাকে বলি দিতে যাওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখনই সে তার পরিচয় ব্যক্ত করল। যেমনটি ইউরিপিডিস[১৩দশ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন] তার
নাটকে
দেখিয়েছেন। অথবা পোলিইডাস[Polyidus - ১৬ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন] যেমনটি
নির্দেশ
করেছেন। সে[Orestes]
অতি
স্বাভাবিক ভাবেই বলে উঠেছিল যে তার মনে হচ্ছে, তার
বোনের
ভাগ্যেই
শুধু নয়,
তার
নিজের
ভাগ্যেও
বলি হওয়াই
বোধ
হয়
লেখা
ছিল।
আর
এই
কথা বলাতেই
সে
রক্ষা
পেয়েছিল। এই পর্যায়ে পৌছানোর পর কবি নাটকের পাত্রপাত্রীদের নামগুলো বসিয়ে নিতে পারেন এবং কাহিনীর উপধারাগুলোও সংযোজন করে নিতে পারেন। তবে তার আগে তাঁকে নিশ্চিত হইতে হবে যে এগুলো নাটকের প্রক্রিয়া বা ঘটনার সাথে প্রাসঙ্গিক কিনা। যেমন অরেস্টিসের পাগলামির ব্যাপারটা, যে পাগলামির জন্য সে ধরা পড়েছিল এবং পরিশুদ্ধিমূলক অনুষ্ঠানের কৌশলের
সাহায্যে
তার
মুক্তি
লাভের ব্যাপারটা। নাটকে অবশ্য উপকাহিনীগুলো ছোটই হয়ে থাকে; মহাকাব্যের প্রয়োজনীয় আয়তনের বৃদ্ধি কিন্তু এরাই করে থাকে; উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, অডিসির[৪র্থ পরিচ্ছেদের টিকা দেখুন] গল্পটি তেমন দীর্ঘ নয়ঃএক ব্যক্তি[Odysseus
or Ulysses] বহু বছর ধরে বাড়িঘর ছাড়া। পজাইডন[Poseidon] তাকে সব সময় ঈর্ষামূলক দৃষ্টিতে লক্ষ্য
করেছেন। সে নিতান্ত সঙ্গীহীন, একা একা দিন কাটাচ্ছে। এদিকে বাড়ির অবস্থা শোচনীয়; তার স্ত্রীর পাণি প্রার্থীরা তার ধনসম্পদের চুড়ান্ত অপচয় করছে এবং তার ছেলের প্রাণনাশের ষড়যন্ত্র করছে। অবশেষে অনেক ঝড় বৃষ্টি অতিক্রম করে সে বাড়ি ফিরে এবং
নিজের
পরিচয়
প্রকাশ
করে।
সে
তার
শত্রুদের
আক্রমণ
করে
এবং
সমূহ
বিনাশ করে, সে
নিজের
জীবন
রক্ষায়
সমর্থ
হয়। এই
হচ্ছে
অডিসির[Odessey] মূল গল্প-কাঠামো; কাব্যের বাকী অংশ তৈরী হয়েছে উপকাহিনীর সংযোজন ঘটিয়ে।
পোয়েটিকস এর ১৬শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১৮শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১৮শ পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
ব্যাখ্যা ও টিকাঃ
১। Amphiaraus- অ্যাম্ফিয়ারউসঃ গ্রীক পুরাণে
অ্যাম্ফিয়ারউসকে ঈক্লিস[Oecles] এবং হাইপারমেনেস্ট্রা[Hypermnstra] এর ছেলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি অ্যাড্রেস্ট্রাস[Adrastus]-এর বোন ইরিফাইলকে[Eriphyle] বিবাহ করেছিলেন। থেবস-বিজয়ী
আ্যালকমিয়ন[Alcmaeion]
তারই
বীর
সন্তান। পলিনিসেসকে থেবসের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অ্যাড্রেস্ট্রাস-এর অনুরোধে অ্যাম্ফিয়ারউস
প্রথমে থেবসের
বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রায় রাজী হননি। কারণ তিনি এ অভিযানের ব্যর্থতার অনিবার্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন। পরে পলিনিসেস-এর
উৎকোচে
বশীভূত
হয়ে
স্ত্রী
ইরিফাইল
তাকে
যুদ্ধ
যাত্রায় সম্মত
করায়।
অ্যাম্ফিয়ারউস নিজের অস্তিম মুহূর্ত সমাগত জেনে অ্যালকমিয়নকে বিদায়ের আগে আহ্বান জানিয়ে গেলেন তার মৃত্যুর জন্য মাতা ইরিফাইলের উপর প্রতিশোধ নেবার এবং থেবসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর জন্য। বলা বাহুল্য অ্যাম্ফিয়ারউস
থেবস আক্রমণ করে যুদ্ধে বীরত্ব প্রদর্শন করলেও শেষ পর্যন্ত পরাজিত হযে পলায়ন করতে গিয়ে তার রথসহ জিউসের ঘাতে সৃষ্ট বিরাট ফাটলের মধ্যে পড়ে ভূগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছিলেন। অ্যাম্ফিয়ারউস দেবতা
কি
মানব
সন্তান
ছিলেন,
তা
নিয়ে
বিতর্ক
রয়েছে। খ্রীস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীর নানা শিল্পকর্মে অ্যাম্ফিয়ারউসের
বিদায়
এবং
পলিনিসেসের[Polynices] কাছ থেকে ইরিফাইলের উৎকোচ স্বরূপ কণ্ঠহার গ্রহণের চিত্র পাওয়া গিয়েছে ।
No comments:
Post a Comment