Poetics- Aristotle - Chapter - 9 - Poetic truth and Historical truth - Bangla translation and explanation |
Poetics- Aristotle - Chapter - 9
Poetic truth and Historical truth
Bangla translation and explanation
নবম পরিচ্ছেদঃ কাব্য সত্য ও ঐতিহাসিক সত্য
আমি আগে যা বলেছিলাম তা থেকে নিশ্চই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, যা ঘতেছে তাঁর হুবহু বর্ণনা দেয়া কবির কাজ নয় বরং সেটাই বর্ণনা দেয়া যেটা ঘটে থাকতে পারে সম্ভাব্যতা ও আবশ্যিকতার কারনে। একজন ইতিহাসবেত্তা এবং একজন কবির মাঝে পার্থক্য এটা নয় যে একজনের লেখার ভঙ্গি হল গদ্য আর একজনে হল পদ্য। হেরোডোটাসের১ রচনা পদ্যেও গ্রথিত হতে পারত এবং এই পদ্যবন্ধে রচিত গ্রন্থও ঠিক ততটাই পুরোপুরি ইতিহাস বলে গৃহীত হবে, যতটা ছন্দোবন্ধহীন ভাষায় রচিত হলে হত। ইতিহাসবিদ ও কবির মধ্যে পার্থক্য এইখানে যে একজন যা ঘটেছে তার বর্ণনা দেন, অন্যজন যা যা ঘটতে পারত তার কথা বলেন। এই জন্যই কবিতা ইতিহাস অপেক্ষা অনেক বেশী দার্শনিকতাময় এবং অনেক বেশী সমাদরের বস্তু। কারণ কবিতা চিরন্তন সত্য নিয়ে কাজ করে অন্যদিকে ইতিহাস কিছু নির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে কাজ করে। চিরন্তন সত্য বলতে তাই বুঝতে হবে, যা কোন বিশেষ শ্রেণীর লোক বিশেষ পরিস্থিতিতে সম্ভাব্যতা কিংবা আবশ্যিকতার দিক থেকে বলতে কিংবা করতে পারে। পাত্রপাত্রীদের বিশেষ নামে চিহ্নিত করেও কাব্য কিন্তু এই সামান্য সত্যেই পৌছুতে চায়। ইতিহাসবিদের বিশেষ বিশেষ তথ্য বলতে আমরা বুঝি, যেমন, আলকিবিয়াডিস২ যা করেছিলেন, বা তাঁর ভাগ্যে যা ঘটেছিল এই ধরনের ব্যাপার।
কমেডি-জাতীয় রচনায় শ্রেণী-নির্দেশক এই নামের ব্যবহার ইতিমধ্যেই একটা বিশিষ্ট লক্ষণরূপে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কারণ কমেডি রূচয়িতারা সম্ভাব্য ঘটনার সূত্রেই তাঁদের কাহিনীর অবয়ব নির্মাণ করেন এবং তারপর পছন্দমত চরিত্রের নামগুলো যোগ করে দেন। ব্যঙ্গ কবিতার রূচয়িতাদের মতো তাঁরা ব্যক্তি বিশেষ সম্পর্কে লিখেন না।৩ অপর পক্ষে ট্র্যাজেডিতে রচয়িতারা প্রকৃত ব্যক্তি-নামই ব্যবহার করে থাকেন, এই যুক্তিতেই করে থাকেন যে, যা সম্ভব, তা বিশ্বাস্যও বটে। যা ঘটেনি তার সম্ভাব্যতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হতে পারি না, এটা ঠিক; তবে যা ঘটেছে, তা অবশ্যই সম্ভবপর; কারণ সম্ভব না হলে তা ঘটতই না। তথাপি দেখা যায়, কোন কোন ট্র্যাজেডিতে ব্যবহৃত নামগুলোরও একটি কি দু’টিই সুপরিচিত হয়ে থাকে, বাকী সবই হয় কাল্পনিক। বাস্তবিক এমন ট্র্যাজেডিও আছে যাতে কোন পরিচিত নামই নেই। অ্যাগাথনের৪ এনথিয়াস৫ নাটকের কথাই ধরা যাক না কেন। এতে বর্ণিত ঘটনা ও চরিত্র সবই কাল্পনিক; তা সত্ত্বেও কিন্তু নাটকটি
কম
সমাদৃত
হয়
নি।
সুতরাং
দেখা
যাচ্ছে,
যে-সব
প্রচলিত
কাহিনী
আমাদের ট্র্যাজেডিগুলোর অবলম্বন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সব ছেড়ে দিয়ে এগুলোকেই আঁকড়ে থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। বস্তুত এঁরূপ
করতে
গেলে, তা
বাতুলের
কাজ
হবে, কারণ যাকে
বলে
পরিচিত
কাহিনী, তাও
তো
গুটি
কয়েক
লোকের
কাছেই
মাত্র
পরিচিত। তাহলেও কিন্তু তারা
সবাইকে
আনন্দ
দিয়ে
থাকে। এ সব ব্যাপার এ-সত্যকেই স্পষ্ট করে তোলে যে কবিকে পদ্যরচয়িতা না হয়ে, বরং কাহিনী-নির্মাতা হতে হবে। কারণ তিনি
যে কবি
তা
তিনি
অনুকরণ
করেন
বলেই
তো, আর
তিনি
যা
অনুকরণ
করেন, তা
ঘটনারই অনুকরণ। তিনি যদি এমন বিষয় নিয়ে লিখেন, যা সত্যই ঘটেছে, তাতেও তাঁর কবি পরিচয় মোটেই ক্ষুণ্ণ হয়
না; কারণ
যে-সব
ব্যাপার
ঘটেছে, সম্ভাব্যতার সৃত্রানুযায়ী তো তাদের সম্ভব হতে বাধা নেই কাজেই এসব
ঘটনা
সম্পর্কে
লিখলেও
তিনি
কবিই থাকবেন। সব রকমের প্লট এবং ঘটনার মধ্যে যেগুলো উপাখ্যানধর্মী, সেগুলোই সবচেয়ে নিকৃষ্ট। আমি সেই
প্লটকেই উপাখ্যানধর্মী বলি, যেখানে উপাখ্যানগুলো সম্ভাব্যতা বা আবশ্যিকতার সূত্র না মেনে পরপর সন্নিবেশিত হয়ে থাকে। মন্দ কবিরা
এই
ধরনের নাটক
লিখে
থাকেন
নিজেদের
ক্ষমতায়
কুলোয়
না
বলে; সৎ
কবিরা
লিখে
থাকেন বিচারকদের মনস্তুষ্টির জন্য। নাট্য-প্রতিযোগিতার জন্য
লিখতে
হয়
বলে, সৎ
কবিকে প্রায়শই
বৃত্তকে
সম্ভাব্যতার সীমানা ছাড়িয়ে টেনে লম্বা করতে হয় এবং তার ফলে তাঁকে বাধ্য হয়েই নাটকের ঘটনা পারম্পর্যকে ক্ষুন্ন করতে হয়। ট্র্যাজেডি, অবশ্য, শুধুই
একটি সম্পূর্ণাঙ্গ ঘটনার অনুকরণ নয়, যে যে ঘটনা ভয় ও করুণার উদ্রেক করে তারও অনুকরণ। ঐ ঘটনাগুলো তখনই
সবচেয়ে
বেশী
করুণা
ও
ভয়
উদ্রিক্ত
করে, যখন
তারা অপ্রত্যাশিতভাবে ঘটে অথচ কার্যকারণ সূত্রের পারম্পর্য রক্ষা করে চলে। ঐ কারণেই ঘটনাগুলো
আমাদের
কাছে
অনেক
বেশী
বিস্ময়কর
বলে
মনে
হবে, যতটা
হবে
না সেগুলো
যদি
নিছক
আকস্মিক
বা
যান্ত্রিক সংঘটন মাত্র হয়ে থাকে। বস্তুতঃ অপ্রত্যাশিত হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো
তখনই
সবচেয়ে
বেশী
আকর্ষণীয় বলে প্রতিভাত হয়, যখন তাদের পিছনে একটা বিন্যাস বা পরিকল্পনার আভাস ফুটে ওঠে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ
আমরা
আর্গোসে কোন
এক
অনুষ্ঠান
দর্শনকালে কিভাবে মাইটিসের মূর্তি তাঁর হত্যাকারীর ঘাড়ের উপর ভেঙে পড়ে তাকে হত্যা করেছিল তার কথা উল্লেখ করতে পারি। এই ধরনের
ব্যাপারকে নিছক দৈব-সংঘটন বলে মনে হয় না। সুতরাং বলা
চলে, এই
ধরনের প্লট অপরিহার্য কারণেই অন্য ধরনের বৃত্তের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।
পোয়েটিকস এর ৮ম পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১০ম পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১ম পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১০ম পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
পোয়েটিকস এর ১ম পরিচ্ছেদ এর অনুবাদ, ব্যাখ্যা ও টিকাসমূহ
ব্যাখ্যা ও টিকাঃ
১। Herodotus: হেরোডটাসকে ইতিহাসের জনক বলা হয়। তিনি পারসিকদের শাসনাধীন হ্যালিকারনাসাস শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। কারণ তিনিই প্রথম সুশৃঙ্খলভাবে তথ্য সংগ্রহ করে, সাধ্যমত প্রতিটি তথ্যের সত্যতা যাচাই করে এবং তাদের সুবিন্যস্ত করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন। গ্রীক গদ্যসাহিত্যের প্রথম স্বরণীয় কীর্তি
বলে
পরিচিত
তার
এঁতিহাসিক রচনাবলী নয় খণ্ডে রচিত হয়েছিল। হেরোডোটাস ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার বিস্তীর্ণ এলাকা পরিভ্রমণ করেছিলেন। গ্রীস, মিশর ও পশ্চিম এশিয়ার প্রাচীন ইতিহাসের বিস্তৃত বিবরণ সম্নিবেশিত হয়েছিল তাঁর গ্রন্থে। তাঁর মতে ইতিহাসের এক মূলগত সত্য হচ্ছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে চিরন্তন দ্বন্দ্ব। বিস্তারিত
২। Alcibiades: আলকিবিইয়াডিস এথেন্সের অধিবাসী ছিলেন। জন্ম খৃষ্টের জন্মের ৪৫০ বছর পূর্বে। তিনি ছিলেন একাধারে একজন বিখ্যাত বক্তা, সেনাপতি ও রাষ্ট্রনীতিবিদ। পিতা ক্লিনিয়াসের মৃত্যুর পর তিনি অনাথ শিশুর ন্যায় পেরিক্লিসের গৃহে প্রতিপালিত হন। তিনি সক্রেটিসের শিষ্য ও বন্ধু ছিলেন। রাজনীতিবিদ ও দক্ষ সামরিক নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা অর্জন করলেও, তাঁর
সৌভাগ্য
ক্ষণস্থায়ী ছিল। উচ্চাভিলাষ ও
ব্যক্তিগত জীবনের অমিতাচার তাঁর সর্বনাশের কারণ হয়েছিল। মৃত্যু ৪০৪ খৃষ্টপূর্বাব্দ। বিস্তারিত
৩। Archilochus: প্রাচীন
ব্যঙ্গ
কবিদের
মধ্যে
প্রথম
এবং
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা ছিলেন আর্কিলোকাস। তিনি ৬৮০ থেকে ৬৪৫ সাল পর্যন্ত বর্তমান ছিলেন। প্রাচীন কমেডি রচয়িতা আরিস্টোফেনিসের ন্যায় তিনিও বাস্তব মানুষকে নিয়েই কাব্য লিখেছিলেন। তবে নতুন
কমেডিতে
যার
সর্বশ্রেষ্ঠ প্রবক্তা ছিলেন মিনান্ডার, যে সমস্ত নামের উল্লেখ পাওয়া যায়, সেগুলো প্রায়শঃই শ্রেণী প্রতিনিধিত্বলক, যথার্থ বাস্তব মানুষের চরিত্র নির্দেশক নয়। বিস্তারিত
৪। Agathon: অ্যাগাথন এথেন্সে জন্ম গ্রহন করেছিলেন ৪৪৮ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ থেকে ৪০০ খ্রিষ্টাপূর্বাব্দ পর্যন্ত বর্তমান ছিলেন। ৪১৬ খ্রীষ্টপূর্বাবব্দে তিনি ট্র্যাজেডি রচনার জন্য প্রথম পুরস্কার পান। এ উপলক্ষে তাঁকে সংবর্ধনা জানানোর যে ব্যবস্থা হয়েছিল, প্লেটোর সিম্পোজিয়ামে তার বর্ণনা রয়েছে স্ত্রীলোকসুলভ সুদর্শন ও সৌখিন ব্যক্তি ছিলেন বলে অনেকেই তাঁকে বিদ্রুপ করত; আবার অনেকে তাঁর কবিত্ব ও
সৌন্দর্যের প্রশংসাও করত। ৪০৭ খ্রীঃ পূর্বাব্দে তিনি এথেন্স ত্যাগ করে ম্যাসিডনের রাজা আর্কিলসের
দরবারে
আশ্রয়
গ্রহণ করেন।
তাঁর
কয়েকটি
নাটকের
নাম
জানা
গিয়েছে।
সবগুলোরই
ভগ্নাংশ মাত্র
পাওয়া গিয়েছে। এগুলোর ভাষাভঙ্গী এপিগ্রামাটিক বা কৃত্রিম। তিনি কিছু লিরিক কবিতাও লিখেছিলেন। তাতে ভোগ লালসার প্রকাশ ছিল বড় প্রবল। তিনি ট্র্যাডিশনাল কাহিনী বর্জন করে মৌলিক রোমান্টিক গল্পাশ্রয়ে নাটক রচনা করে বিশেষ সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন। পরবর্তী নাট্যকারদের উপর তাঁর প্রভাব বিশেষ কার্যকরী হয়েছিল। নাটকের আঙ্গিকগত সংস্কার প্রচেষ্টা হিসাবে তিনি সমবেত বন্দনা বা স্তুতিগীত অবান্তর
বলে
বর্জন
করেছিলেন। তাকে এস্কাইলাস, সফোক্লিস ও ইউরিপাইডসের পরে শ্রেষ্ঠ বিয়োগান্তক নাটক রচয়িতা হিসেবে মনে করা হত। বিস্তারিত
৫। Antheus: আ্যাগাথন এর লিখিত একটি বিখ্যাত নাটক এনথিয়াস। মৌলিক
কাহিনী
অবলম্বনে রচিত এ নাটক লিখে আ্যাগাথন যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছিলেন। ট্র্যাডিশনাল কাহিনী অনুসরণ না করে, স্বাধীন কল্পনার আশ্রয়ে নাটক রচনা
করেও
যে
দর্শকচিত্ত জয় করা সম্ভব, আ্যাগাথন তাঁর এনথিউস নাটক লিখে তা প্রমাণ করেছিলেন। বিস্তারিত
good
ReplyDelete