Poetics - Aristotle - Chapter -14 - Fear and Pity - Bangla Translation and Explanation |
Poetics - Aristotle
Chapter -14 - Fear and Pity
Bangla Translation and Explanation
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ - ভয় এবং করুণা
বিভিন্ন আড়ম্বরপূর্ণ দৃশ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে ভয় এবং করুণার অনুভূতি জাগিয়ে তোলা যেতে পারে; আবার নাটকের ঘটনার আতভ্যস্তরীণ গঠন থেকেও তাদের সঞ্চারণ ঘটতে পারে। এটাই হচ্ছে অধিকতর কাম্য পন্থা এবং উন্নততর কবিত্ব-শক্তির পরিচায়ক। বস্তুতঃ, প্লটটি এমনভাবে গড়তে হবে যাতে চোখে অভিনয় না দেখেও যেন, যে-কেউ শুধু যা ঘটতে যাচ্ছে শুনেই তা দর্শনের অভিজ্ঞতা লাভ করে ভয়ে শিউরে উঠবে এবং করুণায় বিগলিত হবে। যেমন রাজা ইডিপাসের কাহিনী[১১শ অনুচ্ছেদের টিকা দেখুন] শুনেই সকলের এরূপ অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। কিন্তু সমারোহপূর্ণ দৃশ্যাদি উপস্থাপনার মাধ্যমে এ সংবিৎ জাগানোর প্রচেষ্টা অপেক্ষাকৃত কম শেল্পিক দক্ষতার পরিচায়ক; তার জন্য আবার প্রয়োজন মঞ্চ-যন্ত্রীদের ব্যাপক সহযোগিতা। যারা ভয়ানকের বোধ না জাগিয়ে বীভৎস কিছুর বোধ জাগানোর জন্য দৃশ্য সমারোহের অবতারণা করেন, তাঁদের ট্র্যাজেডি নিয়ে কিছু করার নেই১, কারণ ট্র্যাজেডি থেকে আমরা শুধু সেইটুকু আনন্দই দাবী করতে পারি, যা সে দিতে পারবে; সব রকমের আনন্দের আস্বাদ নয়। ট্র্যাজিক আনন্দ করুণা এবং ভয়ানক রস-সম্পৃক্ত; কবিকে তা সৃষ্টি করতে হয় অনুকরণ ক্রিয়ার মাধ্যমে। তাই এটা স্পষ্ট যে, এই গুনটি ট্রাজেডির ঘটনার উপর প্রভাব ফেলবে।
এখন আমরা নির্ধারন করব কোন সেই অবস্থা, যা আমাদের মাঝে ভয় ও করুণা জাগিয়ে তোলে। ভীতি বা করুণা জাগাতে পারে এমন ঘটনা অবশ্যই সেই জাতীয় লোকের মধ্যে ঘটবে, যারা হয় পরস্পরের বন্ধু, নয়তো শত্রু, নয়তো এর কোনটাই নয় এখন কথা হল, ঘটনাটি যদি শত্রুর বিরুদ্ধে শত্রুর ক্ষতিকর আচরণ সংক্রান্ত হয়, তা হলে তজ্জনিত শত্রুর দুর্ভোগের ব্যাপারটা ছাড়া তার কাজে বা অভিপ্রায়ে এমন কিছু থাকে না, যা আমাদের মনে করুনা জাগাতে পারে। তারা যদি পরস্পর সম্পর্কে উদাসীন থাকে, তাহলেও একই কথা। কিন্তু যখন ঘটনাজনিত দুর্ভোগের শিকার হয়ে দাঁড়ায় এমন সব লোক যারা পরস্পরের নিকট আত্মীয় বা প্রিয়জন যেমন ভাই যদি ভাইকে হত্যা করে[ফিনিসি নাটকে ইটিওক্লিস- Eteocles ও পলিনিসেস - Polynices], পুত্র পিতাকে[রাজা ঈডিপাস এর লাইয়াসকে হত্যা], মাতা পুত্রকে[এলথিয়া কর্তৃক পুত্র মিলিয়াজারের - প্রাণনাশ], পুত্র মাতাকে[সফোক্লিস ও ইউরিপিডিসের ইলেক্ট্রা নাটক এবং এস্কাইলাসের কোয়িফোরি(Choephori) নাটক] অথবা কেউ যদি এ ধরনের কিছু একটা করার মানসিক পরিকল্পনা নিয়ে থাকে অথবা সত্যিই যদি এ ধরনের অন্য কিছু ব্যাপার ঘটে, তখন আমরা ট্রাজিক কবির অন্বিষ্ট পরিস্থিতির সম্মুখিন হই। কাজেই প্রচলিত কাহিনীগুলোতে যেমন অরেস্টিস কর্তৃক ক্লাইটেমনেস্ট্রার হত্যা কাহিনী[কোয়িফোরি নাটক] অথবা অ্যালকমিওন কর্তৃক ইরিফাইলের হত্যাকাহিনী[১৩শ পরিচ্ছেদের টিকা দ্রষ্টব্য] পরিবর্তন করে বিকৃত করে কাজ চলবে না বরং কবিকে তাঁর কল্পনা শক্তি প্রয়োগ করে ঐ সব প্রচলিত কাহিনীর মালমশলার সঠিক ব্যাবহারের পন্থা উদ্ভাবন করতে হবে। সঠিক পন্থা বলতে আমি কি বুঝি তা আর একটু স্পষ্ট করেই বলা যাক। প্রাচীন কবিদের রচনায় যেমনটি দেখতে পাই, ভীতি এবং ঘৃণা সঞ্চারকারী কাজটা সজ্ঞানে এবং জেনে শুনেই করা হয়েছে। মিডিয়া২ এমনিভাবে সব জেনে শুনেই তার নিজ সন্তানদের হত্যা করেছিল। অথবা ভয়ঙ্কর কাজটা নিজের অজ্ঞাতসারেই ঘটানো যেতে পারে এবং পরে বন্ধুত্ব বা আত্মীয়তার সূত্রটি আবিষ্কৃত হতে পারে। সফোক্লিসের ইডিপাসের জীবনে তাই ঘটেছিল। এখানে ঈডিপাসকৃত ভয়ঙ্কর কাজটি বস্তুতঃ নাটকের ঘটনা প্রবাহের বাইরে ঘটেছে। কিন্তু এমন দৃষ্টান্তও আছে যেখানে ঐ ধরনের ঘটনা নাটকের অভ্যন্তরেই ঘটেছে, যেমন অ্যাস্টিডেমাসের নাটকে আ্যালকমিয়নের কাজ৪ অথবা আহত অডিসিউস৫ নাটকে টেলিগোনাসের তৃতীয় আর এক ধরনের ঘটনা হতে পারে, যেখানে ব্যক্তি-পরিচয় সম্পর্কে অনবহিত থাকার দরুন কেউ কোন ভয়ানক কাজ করতে উদ্যত হয়, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সত্য আবিষ্কার করে, তা থেকে বিরত হয়। এই কয়টিই হচ্ছে প্রচলিত ট্র্যাজিক কাহিনীগুলোকে নাটকে ব্যবহারের সম্ভাব্য পদ্ধতি। কারণ কাজটি অবশ্যই করা হবে বা করা হবে না এবং তা করা হবে হয় জ্ঞাতসারে, নতুবা অজ্ঞাতসারে।
সবচেয়ে অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয় তখন, যখন কোন চরিত্র সব জেনে শুনেই কোন কাজ করতে উদ্যত হয়; কিন্তু পরে না করে ফেলে রাখে। এ ধরনের ঘটনা আমাদের কেবল ক্ষুব্ধই করে তোলে। এতে দুর্ভোগের কোন ব্যাপার নেই; তাই একে ট্র্যাজিক বলা চলে না। এই জন্য নাটকে কাউকে এ ধরনের আচরণ করতে দেওয়া হয় না, অথবা দেওয়া হলেও কৃচিৎ এরূপ করতে দেখা যায়। যেমন অ্যান্টিগোন৬ নাটকে হেইমোন ক্রেয়োনকে হত্যা করতে গিয়ে ব্যর্থতা বরণ করে৭। ফলপ্রসূতার দিক থেকে পরবর্তী আদরণীয় দৃষ্টান্ত হচ্ছে কাজটি যথার্থই ঘটানো। আরও হয় যদি কাজটি চরিত্রের অজ্ঞাতসারেই সম্পাদিত হয় এবং পরে সত্য আবিষ্কৃত হয়। কারণ এতে এমন কিছু থাকে না, যা আমাদের অনুভূতিকে আহত করে অথচ সত্যের প্রত্যভিজ্ঞান আমাদের বিশেষভাবে চমৎকৃত করে৮। যাই হোক, সর্বশেষ পন্থাটিই সর্বোত্তম বলে মনে হয়, যখন দেখি ক্রেসফন্টেস৯ নাটকে মেরোপী তাঁর পুত্রকে হত্যা করতে গিয়ে যথাসময়ে চিনতে পেরে বিরত হয়, অথবা টৌরিসে ইফিজেনিয়া১০ নাটকে ভাই এবং বোনের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটে[১১শ পরিচ্ছেদ এর টিকা দেখুন] অথবা হেল্লে১১ নাটকে মাতা পুত্রকে তার শত্রুর হাতে তুলে দিতে গিয়ে শেষ মুহূর্তে তাকে চিনে ফেলে। আগেই যা বলেছিলাম, এই বিশেষ কারণেই আমাদের ট্র্যাজেডিগুলো গুটি কয়েক পরিবারের কাহিনীর মধ্যে নিজেদের পদচারণা সীমাবদ্ধ রেখেছে। কারণ নাটকীয় উপকরণের সন্ধানে রত কবিরা যে তাঁদের কাহিনীতে ট্র্যাজিক সংবিৎ সঞ্চারে পথ খুঁজে পেয়েছিলেন, তা অনেকটা দৈবগতিকে, কোন বিশেষ শিল্প কৌশলগত জ্ঞানের বলে নয়। আজও তাই তাঁরা যে সব পরিবারকে দুর্ভোগ ভোগ করতে হয়েছে, তাদেরই কাহিনী আশ্রয় করে নাটক রচনা করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্লটের গঠন সম্পর্কে এবং ট্র্যাজেডির জন্য প্রয়োজনীয় প্লটের ধরন সম্পর্কে এখন যথেষ্টই বলা হল।
ব্যাখ্যা ও টিকাঃ
১। Tragic sense - অষ্টাদশ পরিচ্ছেদে আমরা এমন সব নাটকের উল্লেখ পাই, যেগুলো ট্র্যাজিক অনুভূতির জন্য দৃশ্য ও সাজ-সজ্জার উপর নির্ভরশীল। এ-জাতীয় অনেক নাটকেই দেখছি নরকের দৃশ্য সংযোজিত হয়েছে। কিছু এই জাতীয় দৃশ্যের, অবতারণা করলেই ট্র্যাজিক রস সৃষ্ট হবে, এ ধারণা ঠিক নয়। উদাহরণ দিয়েই ব্যাপারটা বোঝান যাক। ধরুন ঈডিপাস নাটকের কথা, এতে চক্ষুদ্বয় উৎপাটিত-ইডিপাসের দুর্দশার দৃশ্যটিই ট্র্যাজিক রস সংবেদনার কারণ নয়, বরং তার জীবনে এই নিদারুণ বিপর্যয় যে ঘটনা-পরম্পরায় অনিবার্যভাবে দেখা দিয়েছে, তাই ট্রাজিক রস অনুভূতি সৃষ্টিতে সাহায্য করেছে।
২। Medea – ঈটিস(Aeetes) ও ইডিয়ার(Idyia) কন্যা হল মিডিয়া। ইউরিপিডিস তাকে নিয়ে যে নাটকটি লিখেছিলেন এখানে তাঁর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে প্রায় সর্বত্রই যাদুকরী বা ডাইনীরূপে উল্লেখ করা হয়েছে। মিডিয়া বীর জেসনকে(Jason) ভালবাসত এবং তাকে মেষের সোনালী পশম সংগ্রহে সাহায্য করেছিল। প্রেমিকের বিশ্বাস ঘাতকতায় ক্রুদ্ধ হয়েই সে সন্তানদের হত্যা করেছিল।
৩। Oedipus and his father King Laius: ইডিপাস কোন এক পথের-সংযোগ স্থলে লাইয়াসের সাক্ষাৎ পান, তাঁর সঙ্গে ঝগড়া করেন এবং নিদারুণ ক্রোধে তাকে হত্যা করেন। তিনি জানতেন না যে, লাইয়াস ছিলেন তাঁরই পিতা। এই ব্যাপারটি কিন্তু 'রাজা ঈডিপাস' নাটকে বর্ণিত ঘটনা শুরু হবার আগেই ঘটে গিয়েছে।
৪। Astydamas’ Alcmaeon - অ্যাস্টিডেমাস জুনিয়রের পিতা অ্যাস্টিডেমাস ছিলেন এস্কাইলাসের(Aeschylus) ভাইয়ের ছেলে ফিলোক্লিসের সন্তান। অ্যাস্টিডেমাসের ছেলে অ্যাস্টিডেমাস জুনিয়র এই নাটকটি লিখেন। তিনি গ্রীক পৌরাণিক এঁতিহ্যের ধারক কাহিনী অবলম্বনেই নাট্য রচনা বাঞ্ছনীয় মনে করতেন। অ্যাস্টিডেমাসের নাটকে অ্যালকমিয়নের কাজ : অ্যালকমিয়ন তাঁর মা ইরিফাইলকে(Eriphyle) হত্যা করেছিলেন। কারণ ইরিফাইল স্বামীর শত্রু এবং তার অবৈধ প্রেমিক পলিনিসেস(Polynices) প্রদত্ত মূল্যবান হার উৎকোচরূপে গ্রহণ করে, তার স্বামী অ্যাম্ফিয়ারাউসকে(Amphiaraus) থেবসের বিরুদ্ধ সপ্তবীরের অভিযানে শরীক হতে রাজী করিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছিল। অ্যাস্টিডেমাসের অ্যালকমিয়ন, নাটকে উল্লিখিত এই ঘটনার কথাই সম্ভবতঃ আরিস্টটল এখানে বোঝাতে চেয়েছেন। তবে অ্যাস্টিডেমাসের নাটকে সন্তান কর্তৃক মাতৃহত্যার ব্যাপারটা এমনভাবে দেখানো হয়েছে, যাতে মনে হয় অ্যালকমিয়ন নিজের অজ্ঞাতসারেই কাজটা করে ফেলেছেন।
৫। Odysseus Acanthoplex - Odysseus wounded by a spine and Niptra : - এই দুটি নাটক লিখেছিলেন সফোক্লিস। একটির বিষয় ছিল দেশে ফেরার পর টেলিগোনাস(Telegonus) কর্তৃক নিহত হওয়া আর ২য়টির বিষয় ছিল দেশে ফেরা। দুটি নাটকই কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে। নাটকের নামটি থেকে এরুপ ধারণা হয় যে, ইউলিসিস (অডিসিউস) এক অভিনব অস্ত্রের বলি হয়েছিলেন এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ইতালীয় পুরাণ মতে টেলিগোনাস ছিলেন ইউলিসিস (Ulysses or Odysseus) এবং সার্সীর(Circe) পুত্র। তিনি পিতার সন্ধানে ইথাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে নিজেরই অজ্ঞাতসারে তাকে হত্যা করেছিলেন ।
৬। Antigone, Daughter ofOedipus - সফোক্লিস রচিত ঈডিপাস ট্রিলোজির(Oedipus Trilogy) একটি নাটক হল অ্যান্টিগোন ৷ এতে ইডিপাসের কন্যা অ্যান্টিগোনের ট্র্যাজিক কাহিনী রূপায়িত হয়েছে।
৭। Haemon - হেইমোন ছিলেন থেবসের রাজা ক্রেয়োনের (Creon) পুত্র এবং রাজা ঈডিপাস-কন্যা অ্যান্টিগোনের প্রেমিক। ক্রেয়োনের আদেশ অমান্য করার অপরাধে অ্যান্টিগোনকে অন্ধকার কারাকক্ষে নিক্ষেপ করা হয়। সেখানে অ্যান্টিগোনের মৃত্যু হয়। হেইমোন অ্যান্টিগোনের সঙ্গে মিলিত হবার অভিপ্রায়ে কারাকক্ষে গোপনে প্রবেশ করে এবং অ্যান্টিগোনের মৃতদেহ আবিষ্কার করে শোকে উন্মত্ত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে। এদিকে অনুতপ্ত ক্রেয়োন অ্যান্টিগোনেকে মুক্তি দেবার মানসে কারাকক্ষে প্রবেশ করতেই এ দৃশ্য দেখতে পান। হেইমোনও পিতাকে দেখে শোকে ক্রোধে আত্মবিস্মৃত হয়ে আক্রমণ করতে উদ্যত হয়; কিন্তু ক্রেয়োন শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যান। ইতি কর্তব্য স্থির করেও যে হেইমোন তা পালন করতে ব্যর্থ হল, সেই ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।
৮। ইউরিপিডিসের Bacchae or Bacchantes - নাটকের পেনথিউস (Pentheus) এবং তার মা অ্যাগেভ (Agave) -এর কাহিনী এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে।
৯। Cresphontes - ক্রেসফন্টেস ইউরিপিডিস রচিত একটি নাটক। পলিফন্টেস (Polyphontes) মেসেনিয়া রাজ্য আক্রমণ ও দখল করে ক্রেসফন্টেসকে হত্যা করে এবং তার স্ত্রী মেরোপীকে (Merope) নিজ অন্তঃপুরে বন্দিনী করে রাখে। পরে তার পুত্র ক্রেসফন্টেস জুনিয়র যখন পিতৃহত্যা ও মায়ের অসম্মানের প্রতিশোধ লওয়ার জন্যে ফিরে আসে, তখন মেরোপী অজ্ঞাত-পরিচয় ব্যক্তি মনে করে তাকে হত্যা করতেই বসেছিলেন; কিন্তু যথাসময়ে তার পরিচয় জানতে পেরে তা থেকে বিরত হয়েছেলেন। এই হচ্ছে ক্রেসফস্টেস নাটকের বক্তব্য ৷
১০। Iphigenia in Tauris - টোরিসে ইফিজেনিয়া[১১শ অনুচ্ছেদের টিকায় বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে] ইউরিপিডিস রচিত একটি নাটক। এই নাটকে আগামেমননের(Agamemnon) পুত্র অরেস্টিস(Orestes) ও কন্যা ইফিজেনিয়ার এক অত্যাশ্চর্য ও অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে সাক্ষাৎ ও পারস্পরিক পরিচয় লাভের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। এ নাটকের কাহিনী আ্যাগামেমনন কর্তৃক ট্রয় যাত্রাকালে দেবতার প্রসন্নতা বিধানের জন্য কন্যা ইফিজেনিয়াকে বলিদানের কাহিনীর এক প্রতিবাদ ।
১১। Helle - হেল্লে এর আরেক নাম অ্যাথাম্যানটিস (Athamantis)। অ্যাথামাস (Athamas) ও নেফিলি (Nephele) এর সন্তান ছিল হেল্লে আর ফ্রিক্সাস (Phrixus) । হেল্লে নামক নাটকটির রচয়িতা, রচনাকাল ও বিষয়বস্তু সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে নাম চরিত্র হেল্লে সম্বন্ধে গ্রীক পুরাণ থেকে যেটুকু জানা যায়, তা হল: অ্যাথামাস কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়ে স্ত্রী নেফিলী - ফ্রিক্সাস এবং হেল্লেকে কলচিসে (Colchis) পাঠিয়ে দিলেন এক সোনালী পশমওয়ালা ভেড়ার পিঠে চড়িয়ে। পথে হেল্লে ভেড়ার পিঠ থেকে পড়ে মৃতুবরণ করল। যে স্থানে হেল্লের মৃত্যু হয়েছিল সে স্থানের নাম হল হেল্লেস্পন্ট (Hellespont)। ফ্রিক্সাস যথা সময়ে কলচিসে পৌছেছিল। আর সেখান থেকেই শুরু হয় জেসনের বিখ্যাত অভিযান কাহিনী। কিন্তু এই তথ্য আমাদের বর্তমান প্রসঙ্গে তেমন সাহায্য করে না।
good! thanks for this post! please give agamemnon summary!
ReplyDelete