True and False Wit - Spectator 62 - Joseph Addison- Bangla translation - Last part |
Wit: True, False, Mixed - Last Part
True and False Wit - Spectator 62 - Joseph Addison- Bangla translation - Last part
২য় পর্ব অনুবাদঃ
পাঠককুল প্রত্যেকের মাঝে এটা প্রত্যক্ষ
করবেন,
কবি
যেমন তরো
অগ্নিকে
মিশ্রণ করেছেন
ভালোবাসার সাথে। আর একই
ধরনের
সংলাপ
তিনি
বলেছেন
আবেগাক্রান্ত হয়ে আর এই অগ্নি পাঠককুলকে চমকিত করে ভালোবাসা আর কৌতুকের মিশ্রণ নিয়ে হাজির হয়ে। মিশ্র কৌতুকের আবহ গড়ে উঠে শাব্দিক ব্যঞ্জনা দ্বারা কৌতুক পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আর এর লঘুত্ব গুরুত্ব লুকায়িত থাকে চেতনা আর শাব্দিক দিকটির মাঝে। আর গাথুনিটা
ধরা
থাকে
কিছুটা
মিথ্যা
আর
কিছুটা
সত্যির
মাঝে। আর
এসবই
বেঁচে
থাকে
তীক্ষ্ম
ব্যঞ্জনাপূর্ণ কবিতা বা শ্লেষাত্মক উক্তির মাঝে। আমি মিশ্র কৌতুকের সাথে আর এটাকে মেশাতে চাই না কোনো কবি সম্পর্কে। সম্যক অবগত না থেকে তাদের থেকে উদাহরণ টানতে চাই না। সত্যিকার কৌতুক যে কোনো রচনাকারই রচনা করতে পারেন। বস্তুতপক্ষে সকল প্রতিভাবানেরাই অসাধারণ মহিমায় এটাকে রূপদান করতে পারেন।
এ যাবৎ আমি যেহেতু এ বিষয়টি নিয়ে অগ্রসর হয়ে এসেছি সে ক্ষেত্রে আমি ড্রাইডেনের কৌতুক বিষয়ক সংজ্ঞা নিয়ে কথা বলতে পারি, তার সংজ্ঞা ও বিচারগত দিক সম্পূর্ণ ভিন্ন মাত্রার এক মহতী রচনা, তিনি সত্যিকারভাবেই সঠিক নিয়মে কৌতুক এর বিষয়টি বিবেচনায় এসেছেন ৷ তার মতে চিন্তা এবং শব্দ বিষয়কে আশ্রয় করে প্রকাশিত হয় তাহলে আমি গ্রিক গণিতবিদ ইঊক্লিড এর চিন্তা চেতনা যোগ করতে পারি যিনি কলম দ্বারা কাগজে মহভী এক কৌতুক পরিবেশন করেছেন এখানে কোনো শব্দ এবং চিন্তা বিষয়কে আশ্রয় করেননি। তাহলে লেখক কী ধরনের বিষয়বস্তু অবলম্বনে তা উপস্থাপন করেছেন। আমি আমার পাঠকদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানাচ্ছি, আমি যদি এটাকে একটা কৌতুক হিসেবে মেনে নিই, আর এটাই যদি একমাত্র সত্যি হয়, আমি নিশ্চিত শুধু ড্রাইডেনই একমাত্র শ্রেষ্ঠ কবি নন, কাউলের মাঝেও আছে শ্রেষ্ঠ কৌতুকের সমাহার আর ওভিড ও মারশিয়ালের চইিতে অধিক সচেতন ভার্জিল।
শুধু বোউয়ারস নন, সকল দিক বিবেচনা করে আমি ফরাসি সমাংলাচকগণ বেদনাদায়ক একটি দিক তুলে ধরেন, এটা অপ্রয়োজনীয় যে সব সুন্দরের মাঝেই সত্যিটা অবস্থান করবে, আর এটা স্বাভাবিক নিয়মে স্বাভাবিক বিষয় আশ্রয় করে গড়ে উঠতে নাও পারে, বিশেষ করে কৌতুকের গড়ে উঠার ব্যাপারে আর কৌতুকের চিন্তা চেতনার দিকটি বহু মূল্যবান নাও হতে পারে আর এর ভিত্তিটাও মহতী চিন্তা আশ্রয় করে গড়ে উঠতে নাও পারে বোয়েলিও মত প্রকাশের প্রচেষ্টা চালিয়েছেন এটা বলে যে, এইে চেতনার পরিসরেই গড়ে উঠে পদ্য এবং গদ্য দুটোই লেখার জগতে এটাই স্বাভাবিক পথ যে সৌন্দর্যময় দিকটাকে আমরা অনেক প্রাচীন রচনাকারদের রচনা কর্মকে সাগ্রহে উচ্চ মূল্য বা উচ্চ সম্মান প্রদান করেছি, এক্ষেত্রে কেউ ভিন্ন বা ভ্রান্ত পথ দেবেন না, বিশেষ করে যার মাঝে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ঝলকানিটা আছে এজন্য কবিরা চান কবিত্ব শক্তি দ্বারা প্রকৃতির আদিরুপ, আসল রূপটা তাদের লেখায় রাখতে চান যে লেখাগুলোকে প্রাচীন কবিদের লেখার মতেইি সম্মানের সাথে গ্রহণ করব আমরা। যেসব শিকার করে আনা হয়েছে জোর করে বিদেশি অলংকার হতে আর কোনো একটি টুকরাও যাতে সে কৌতুক হতে বিচ্ছিন্ন না হয় বা সরে না যায়। আমি এবার গথ লেখকদের দিকে তাকাই বিশেষ করে তাদের কবিতার দিকে, এই স্থাপত্যসদৃশ কবিতাগুলো যদিও প্রাচীন গ্রীস ও রোমান কবিদের সমকক্ষ হবে না তবুও সেগুলো প্রচেষ্টা চালিয়েছে ভিন্নতর অপ্রাকৃত দিকসমূহের উপস্থাপনার। মি. ড্রাইডেন
রচিত ডিডো কর্তৃক ঈনিয়াসকে লেখা পত্র রচনাটি নিয়ে পরিচ্ছন্ন পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন, তার মতে, এটা ভার্জিলের ডিডো ও ইনিয়াস রোমাঞ্চ, প্রাচীন নায়িকা ডিডোকে নতুন রূপ দিয়েছেন ভার্জিল, চিঠিটা পাঠানো হয় ডিডো মৃত্যুর পূর্বে ঈনিয়াস ডিডোর থেকে সরে যাওয়াটা ঈনিয়াসের দেবী দৃর্বিপাকে সরে যাওয়া ব্যাপার ছিল। তরবারিধারী বীর যে শুধু যুদ্ধ জানে, তার মাঝে যে শক্তিটাই কাজ করেছে। আমি মনে করি এ বিষয়ে আরো বিচার বিশ্লেষণ হওয়া উচিত কারণ দুটো বিষয়েরই আমি অনুবাদ করেছি। ‘আর্ট অভ লাভ' এর বিখ্যাত রচয়িতা, নিজেকে অতিক্রম করতে পারেননি। তার নিজস্ব চিন্তা চেতনার জগৎ হতেই তিনি উপাত্ত গ্রহণ করেছেন, যেটা ফেলনা হয়ে গেছে, তিনি যা খুঁজে পেয়েছেন তা পুনর্বার পরীক্ষা করার প্রয়োজন মনে করেননি। প্রকৃতিগতভাবেই তিনি নিজের মাঝে নিজেই ব্যর্থ হয়েছেন, কৌতুককর দিকটির বিষয়ে দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। এই পাশ কাটানোর বিষয়টি তার ভেতরের কোমল শ্রদ্ধাবোধ প্রমাণ করে ভার্জিলের প্রতি। মি. ড্রাইডেনের বিষয়টি সমর্থন করে অমন বড়ো ধরনের কোনো ঝুকির মুখোমুখি হতে চাই না, আর অধিকাংশ ইংরেজ কবির কবিতার স্বাদ গ্রহণের ঝুকিটাও নিতে চাই না। আর পাঠক সমাজকেও অতি দূরবর্তী গথিক সাহিত্যের স্বাদ নিতে বলি না। মনশেয়ার সেগারাইস কবিতা পাঠকদের তিনটি স্তরে ভাগ করেছেন, প্রথমে তিনি ধারণা দেন নিম্ন পর্যায়ের পাঠকদের বিষয়ে। তিনি তাদের অবস্থান নিয়ে কোনো রকম টিপ্পনী কাটেননি কিন্তু তাদের সংখ্যা এবং তাদের স্বাদ আস্বাদন বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। তার মত অনুসরণ করে বলা যায়, সেগরাইস পাঠকদের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে তাদেরকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। তিনি একই কথা লেখকদের ব্যাপারেও বলতে চেষ্টা করেছেন, যদি তিনি তাদের প্রতি অনুরক্ত থাকতেন। নিম্নস্তরের ক্ষেত্রটিকে তিনি নিম্ন মন মানসিকতার দিক বলে আখ্যা দিয়েছেন। এমনকি তিনি উপরতলার গ্যালারির দর্শকদের টেনেছেন। যারা কৌতুকের ক্ষেত্রে দৈহিক চেহারাগত দিকটির প্রাধান্য দেয়, কথার মারপ্যাচ দেয়া জটিলতর কৌতুককর দিকটি পরিহার করে যায় সত্যিকার চিন্তা চেতনা আর মহতী ভাবের সামনে এরা নিম্নরুচির পাঠক। যদি ভার্জিল এবং মার্শিয়াল পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবে দাড়াতেন তাহলে কে জয়ী হতেন। তারা তাহলে দুজনে বিজয়ীর মতো মাঠে দণ্ডায়মান হতেন আর চিৎকার করতেন ফ্রান্স হতে দলে দলে ইংল্যান্ডে বসতি গড়তে আসা অধিবাসীদের মতো যারা পার্নাসাস পর্বতের পারআনাম তীর্থে বার্ষিক দুই পাউন্ড পাওয়ার যোগ্যতা রাখে না এমনকি ভোটেরও অধিকার রাখে না। তাদের লেখকরাও তেমনি মেকি বিষয় নিয়ে মাঠে নামে। আর বিরান বাগানের প্রভু সেজে বসে, এমনকি এরা আবার সম্মানের আসনেও বসে। তাদের পাঠককুলও আবার তাদের চিন্তা চেতনার দিকটি বিচার বিশ্লেষণে বসে, তারা অবশ্যই ভালো বই পাঠ করতে চায় আর আলোচনা চালাতে চায় বিচারক মহলের সাথে এবং পরবর্তীতে দ্রুত তারা যে সব পরিত্যাগ করে। আমি এ বিষয়ের সমাপ্তি টানতে চাই না পর্যবেক্ষণ ছাড়া। এক্ষেত্রে মি. লক খোজ খবর করে একটি ফলভারে নত ক্ষেত্র তৈরি করেছেন কৌতুক বিষয়ে। এর মাঝে আরো একটি বিপরীতধর্মী আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হওয়া উচিত যেটা হবে এ আলোচনার শাখা হতে একটু ভিন্নমাত্রার। শুধুমাত্র সঙ্গতি রক্ষার দিকটিই নয় বিপরীতধর্মী চিন্তা চেতনাও কৌতুকের জন্মদাতা। এ ব্যাপারে আমি সামান্য দিকসমূহের সূত্র হাজির করব এবং মোড় নেব বিপরীত দিকে। আমি ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে বড়ো ধরণের কোনো দর্শনের অবতারণা করব।
No comments:
Post a Comment