Total Pageviews

Wednesday, January 30, 2019

To Autumn - John Keats - Bangla summary, analysis, word meaning

To Autumn - John Keats - Bangla summary, analysis, word meaning 



To Autumn - John Keats - Bangla summary, analysis, word meaning 



To Autumn কবিতার সংক্ষিপ্ত আলোচনা 
কবিতার শুরুতে কবি বলেন শরৎকাল সূর্যের সাথে মিলে আঙ্গুর বাগানকে আঙুরে ভরে তোলে, আপেল ও অন্যান্য ফলগুলোকে পাকায় আর হ্যাজেলফল এর ভিতর রসে পরিপুর্ণ করে এবং নতুন নতুন ফুল এর কুড়ি ও ফুল ফোটায়।
কবি বলেন যখন শষ্য মাড়াই করা হয় তখন শরতকালকে দেখা যায় পাশেই বসে থাকতে তখন তাঁর চুল সে বাতাসে ওড়ে, কখনোবা দেখা যায় সে ঘুমিয়ে আছে শষ্য ক্ষেতের মাঝে, কখনো সে শষ্য বয়ে নিয়ে যায় নদীর পাশ দিয়ে, আবার কখনো দেখা যায় আপেল পিষার যন্ত্রের দিকে তাকিয়ে থাকতে যখন আপেলের রসগুলো ফোটায় ফোটায় বের হয়।
এরপর কবি শরৎকালকে একজন বাদকের সাথে তুলনা করেন। তাকে তাঁর নিজস্ব সঙ্গীত শোনাতে আহবান করেন এবং তাঁর সঙ্গীতকে ডাসের বিলাপ, ভেড়ার ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার সন্ধার ডাক, রবিন পাখির বাশির শব্দ ও গিলা পাখির কিচির মিচিরের সাথে তুলনা করেন।  
 To Autumn' কবিতাটিকে বলা যায় এক টুকরো শৈল্পিক সাহিত্যকর্ম। কিটস ১৮১৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি রচনা করেন। এটি সত্যিকারভাবেই বাস্তব বিষয় অবলম্বন করে লেখা। কবিতায় বর্ণিত ফল-ফলারি, দৃশ্য ও শব্দাবলি সবই ইংল্যান্ডের শরৎ ঋতুর প্রতিনিধিত্ব করে। শরৎ এখানে নারীরূপে তার সকল দাক্ষিণ্য, সকল কর্ম ও সংগীত নিয়ে প্রকাশিত। তেত্রিশ লাইনের এ কবিতাটি মোট তিনটি পর্বে বিভক্ত। এর প্রথম পর্বে শরৎকালের সকল দান-দাক্ষিণ্যদ্বিতীয় পর্বে এর সকল কার্যক্রম এবং তৃতীয় পর্বে ঋতুর শব্দাবলি প্রকাশিত হয়েছে। এখানে শরৎ ঋতু প্রকাশিত করেছে নিজেকে একজন নারীরূপে। তার দাক্ষিণ্য সকল ক্ষেত্রে অবদান রাখছে, গ্রীষ্মের সূর্যালোকে আপেল আর আঙুরগুলো রসে ভরে ওঠে, পরিপক্ক হয় বাদাম আর মৌচাক ভরে ওঠে মধুর রসে। দ্বিতীয় স্তরে দেখি নারীরূপী শরৎ ব্যস্ত শস্য গোলাজাত করার কাজে, ধান মাড়াই এর কলে তাকে উদাসীন চিত্তে বসে থাকতে দেখা যায়, তার এলোচুল ওড়ে শস্য ঝাড়াই করার কুলার বাতাসে, সে অর্ধপক্ব শস্যক্ষেত্রে ঘুমিয়ে থাকে গভীর ঘুমে। আবার কখনো তাকে দেখা যায় শস্যের বোঝা কাঁধে নিয়ে চলতে। কখনো তাকে দেখা যায় ফল পিষে রস বের করতে। সময়ের সাথে তাল রেখে নারীরূপী এই শরৎ ঋতু যেন সর্বদাই ব্যস্ত।
দ্বিতীয় পর্বে আমরা লক্ষ করি নারীকণ্ঠের শব্দ ও সঙ্গীত, সেটা বসত্তের কোনো সঙ্গীত নয়, তার আছে নিজস্ব একটা সঙ্গীত। ঢাশদের গুঞ্জনধ্বনি, চড়ুই পাখিদের কিচিরমিচির, ভেড়ার কঠের ধ্বনি, ঝোপঝাড়ে ঝিঝির চিৎকার, অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সঙ্গীতের সুর এতে ধ্বনিত হচ্ছে বলে মনে হলেও এটি তার নিজস্ব সুর।
To Autumn কবিতাটি মূলত শোকগাথার আকারে রচিত। শোকগাথা স্বভাবতই কাউকে উদ্দেশ্য করে রচনা করা হয়। এখানে শরৎ ঋতুকে উপলক্ষ করেই এই শোকগাথা টাইপের কবিতাটি রচিত হয়েছে। কোনো কোনো সমালোচক এটিকে মৃত্যুবিষয়ক শোকগাথা হিসেবেও উল্লেখ করেছেন। তাদের মতে, শরৎ ঋতু হচ্ছে সমাপ্তির প্রতীক এবং একটি বছরের বিলীন হয়ে যাওয়া। চড়ই পাখিদের কিচিরমিচির এবং উষ্ণ অঞ্চলে উড়ে যাওয়ার মাঝে আছে শীতের আগমনীর আভাস। এটিও যেন বছরের বিদায় সূচনা করে। একটি দিনের বিদায় নেয়া মানেই একেবারে মৃত্যু নয়, অন্য একটি দিনের আগমনীরও সূচনা। শীত শুধু বছরের মৃত্যুই ঘোষণা করে না, আগামী নতুন বছরের আগমনীও ঘোষণা করে। সবশেষে বলা যায়, মানব জীবনের বৃত্তাকার সময়ের গতির কথাও এই ছোটো কবিতাটিতে অসাধারণ মহিমায় মূর্ত হয়ে উঠেছে।












2 comments: