The Luncheon - Summary and analysis in Bangla |
The Luncheon - Summary and analysis in Bangla
সারাংশঃ
সারাংশঃ
উইলিয়াম সমারসেট ম’ম সরস গল্প রচনার জন্য সমধিক প্রসিদ্ধ। বর্তমান গল্পটি তার সেসব গল্পের মধ্যে অন্যতম। ব্যঙ্গ ও বক্রোক্তিতে গল্পটি হাস্যরসাত্মক হয়ে উঠে। ম'ম বক্রোক্তিকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করে গল্পটিকে সুপাঠ্য ও উপভোগ্য করে তোলেন। নিরেট, নীরস মানুষও ম’মের রসিকতা বোধে উদ্দীপ্ত না হয়ে পারে না। অতীত ঘটনাকে ম’ম বর্তমানে জীবন্ত করে তোলেন তার বিরল বর্ণনা কৌশলে। যৌবনে যখন ম’ম উঠতি লেখক, তখন তিনি প্যারিসের ল্যাটিন কোয়ার্টার্স এলাকায় একটা ক্ষুদ্র চিলেকোঠা ধরনের বাসায় থাকতেন। রোজগারও ছিল সামান্য। সে সময় তিনি তার ভক্ত এক মহিলার কাছ থেকে একটা প্রশংসাসূচক চিঠি পান। তৎক্ষণাৎ মহিলাকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি তার উত্তরও দেন। তিনি ঘটনাটা প্রায় ভুলেই গেছিলেন, কিন্তু বহু বছর পর নাটক দেখতে গিয়ে তিনি লক্ষ করলেন একজন মহিলা তাকে ইঙ্গিতে কাছে ডাকছেন। নাটকের বিরতির সময় তিনি মহিলার পাশে গিয়ে বসেন। মহিলার সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন হন। মহিলাটিই ম'মকে অতীতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। গল্পের বর্ণনা অতীতে ফিরে যায়। ম’মের ভক্ত, সেই মহিলা ম'মকে অনুরোধ করে ম'ম যেন তাকে তার অতি ব্যস্ততার মাঝেও খুব দামি রেস্তোরা ফয়োটসে আপ্যায়িত করে। তরুণ ম’ম মহিলার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে পারলেন না, ভাবলেন খুব দামি রেস্তোরা হলেও ভদ্রগোছের একটা মধ্যাহ্নভোজে খুব বেশি হলে ১৫ ফ্রা খরচ হবে যদিও তার মাসিক রোজগার ছিল মাত্র আশি ফ্রা। নির্দিষ্ট দিন ও সময়ে তারা ফয়োটস রেস্তোরায় মিলিত হলেন। মহিলার চেহারা, বয়স কোনোটাই ম’মকে আপ্লুত করার মতো ছিল না। তদুপরি মহিলার মুখের অপ্রয়োজনীয় লম্বা দাতগুলো ম’মকে হতোদ্যম করে দেয় তবুও তিনি বিনয়ে, ভদ্রতায় মহিলাকে খুশি করার চেষ্টা করতে থাকলেন। কিন্তু মূল সমস্যা দেখা দিল যখন খাবার পালা এল। মুখে বার বার যদিও তিনি বলছিলেন, মধ্যাহ্নভোজে তিনি তেমন কিছু খান না, কার্যত দামি দামি খাবার একের পর এক খেতে থাকলেন, আর বার বারই বলতে থাকলেন, তিনি একটার বেশি খান না। প্রথমে তিনি শ্যামন মাছ দিয়ে শুরু করে একে একে ক্যাভিয়ারে, শ্যাম্পেন, এাসপারাগাস, কফি, আইসক্রিম ও পিচ ফল খেলেন । কিন্তু বার বারই বললেন তিনি তেমন খান না। অথচ বেচারা ম’ম খেলেন সামান্য চপ আর কফি। এমন গোগ্রাসী, নির্লজ্জ মহিলার পাল্লায় পড়ে মমের সারা মাসের আয় আশি ফ্রা প্রায় সবই ফুরিয়ে গেল, বেয়ারাকে বখশিশ দেবার মতো তার হাতে তিন ফ্রা মাত্র বাকি ছিল। তাও দিয়ে দিলেন।বখশিষ দেয়ার সময় তাঁর তিন ফ্রা এর দিকে মহিলা খুবই অবজ্ঞার সহিত তাকাল। মহিলাটি বার বারই বলছিলেন, ম’ম যেন তার উদাহরণ অনুসরণ করে পেট একটু খালি রেখেই খাবার শেষ করেন এবং তার মতো কখনো মধ্যাহ্নভোজে একটার বেশি খাবার না খান (আসলে তিনি খেয়েছিলেন সাতটি খাবার)। ম’ম রসিকতা করে বললেন তিনি তারো চেয়ে কম খাবেন। আসলে সারা মাসের আয়ই মহিলাকে আপ্যায়নের জন্য ম’ম শেষ করে ফেলেছিলেন, খাবার মতো মুদ্রা আর তার কাছে ছিলও না। ম'মের সকরুণ বক্রোক্তিকে মহিলা রসিকতা বলে ঠাওরালেন যদিও মমের জন্য তা ছিল ঠিক তার উল্টো। পরিহাসচ্ছলে ম’ম গল্পের শেষাংশে বলেন, মহিলার নির্লজ্জ নির্মম আচরণের প্রতিশোধ ঈশ্বার নিয়েছিলেন, বর্তমানে মহিলা বেজায় বপুধারী অবিশ্বাস্য রকমের মোটা । তার বর্তমান ওজন ২১ স্টোন বা ১৩৩ কেজি।
বিশ্লেষণঃ
ম’ম তার লেখক হিসেবে প্রসিদ্ধির প্রারম্ভিক পর্যায়ে ছিলেন তোষণ-বিলাসী। বয়সে নবীন লেখক সহজেই এক মহিলার তোষণ ভাষণপূর্ণ পত্রাঘাতের শিকার হন। মহিলাকে এক ব্যয়বহুল রেস্তোরায় আপ্যায়নে সম্মত হন এবং অচিরেই মহিলার ভণ্ড মুখোশের আড়ালে প্রতারণা কৌশল আবিষ্কার করে নিজের নিবুদ্ধিতার ফাদে পড়ে বোকা বনার দুর্ভোগ টের পান। নবীন যুবকের পক্ষে এমন বোকা বনাটাই স্বাভাবিক। বিশ বছর আগে ঘটা সে ঘটনাটির পুনর্বিবরণই গল্পটির কেন্দ্রীয় বিষয় ।
লেখক নিজেই বক্তা এবং গল্পটির একটি চরিত্র। দ্বিতীয় চরিত্রটি হচ্ছে সেই প্রতারক মহিলা, একজন প্রতারক, আরেকজন প্রতারিত । গল্পে এ দুটি চরিত্র ব্যাজোক্তি বা বক্রোক্তিতে
(irony) বর্ণিত । ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে বর্ণিত গল্পকার নিজেকে নিয়েও রসিকতা করেন,
(“I'll eat nothing for dinner to-night!”) মহিলাকে নিয়েও রসিকতা করেন
(“Today she weighs twenty-one stone.”)। ম'মের ব্যঙ্গাত্মক বর্ণনা ড্রাইডেন (ম্যাক ফ্লেকনো) বা পোপের
(Epistle to Dr Arbuthnot) মতো তীব্র আক্রমণাত্মক নয় বরং নির্মল হাস্যোদ্দীপক। এমন লঘু রসাত্মক লেখক সারা ইংরেজি সাহিত্যে বিরল। অতিথি আপ্যায়ন করতে গিয়ে লেখক বা বক্তা বা নায়ক যখন (তিনিই একের ভিতর তিন) প্রায় কপর্দকহীন তখনো তিনি রসিকতা করেন (“...
I had the whole month before me and not a penny
in my pocket.')। আর সেই মহিলাটি কপদকশূন্য প্রায় লেখককে উদ্দেশ্য করে বলেন,
“Humourist ... you’re quite a humourist!” একের পর এক ছয় সাতটি দামি দামি খাবার খেয়েও মহিলাটি বলেন,
“Follow my example ... and never eat more
than one thing for luncheon.'
চরিত্র সৃষ্টিতে ম’ম কত দক্ষ এই চরিত্র দুটিই তার যথার্থ সাক্ষ্যবহ। ম’মের ভাষা তার বর্ণিত বিষয়বস্তুর সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ । লঘূ, প্রাঞ্জল, প্রাণবন্ত । গুরু উপমাগুলোও ভাষার ব্যবহারে লঘু হয়ে যায়; যেমন: “The smell
of the melted butter tickled my nostrils as
the nostrils of Jehova were tickled by the
burned offerings of the virtuous Semites.”
এই বিষয়ে অন্যান্য লেখাঃ
No comments:
Post a Comment