The Lion and the Jewel - Bangla Summary - part - morning - Wole soyinka
দ্যা লায়ন এন্ড দ্যা জুয়েল - Bangla Summary
দ্যা লায়ন এন্ড দ্যা জুয়েল - Bangla Summary
প্রথম পর্ব - সকাল
ইলুজিনলে গ্রামের বাজারের পাশের ছিল একটি বিশাল ওদান গাছ। তার পাশের খালি জায়গাটি ছিল গ্রামের কেন্দ্রভূমি। গ্রামের শিশু বিদ্যালয়টি সেখানেই অবস্থিত। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুদের পড়ার শব্দ শুনা যায়।
ইলুজিনলে গ্রামের বাজারের পাশের ছিল একটি বিশাল ওদান গাছ। তার পাশের খালি জায়গাটি ছিল গ্রামের কেন্দ্রভূমি। গ্রামের শিশু বিদ্যালয়টি সেখানেই অবস্থিত। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিশুদের পড়ার শব্দ শুনা যায়।
( মাথায় পানির পাত্র নিয়ে সিদির প্রবেশ)
সুন্দরি
সিদিকে দেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ২৩ বছর বয়স্ক ল্যাকুনলে জানালা বন্ধ করে দিল তারপর
বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে সিদির কাছে আসল। ল্যাকুনলে তার পানির পাত্র নিতে সাহায্য
করতে চাইল। কিন্তু সিদি তাতে রাজি হল না।
সে তাকে সাবধান করল যে তার মাথায় ভারী পানির পাত্র না নিতে কারন এতে করে
তার ঘাড় খাটো ও মোটা হয়ে যাবে।
প্রতিউত্তরে
সে বলল আগে তো সে কখনো তার চেহারা নিয়ে সে কোন কথা বলেনি। সে তার কথার সাথে একমত
পোষন করল তারপর বলল এভাবে ভার বহন করা নারীসুলভ কাজ নয়। সে তাকে এটাও মনে করিয়ে দিলো তার উচিত তার ঘাড়
ঢেকে রাখা কারন তা না করলে মানুষ তার ঘাড় দেখবে ও তার প্রতি যৌন কামনা করবে।
ল্যাকুনলে তাকে বুঝাতে চেষ্ঠা করল কিন্তু সিদি উত্তরে তাকে বলল মানুষ ল্যাকুনলেকে
পাগল ও বোকা বলে।
ল্যাকুনলে
আশ্চর্য হল আর বলল সে আসলে এই সকল অসভ্য মানুষদের উপহাস ও বিদ্রুপের উর্ধ্বে। সিদি
প্রচন্ড ক্ষেপে গেল আর হাত মূষ্ঠি করে দেখালো। ল্যাকুনলে বলল আসলে নারীদের
মস্তিষ্ক পুরুষের চেয়ে ছোট। তাই তাঁর সাথে সে
আর তর্ক করবে না। সে তাকে যাই বোঝাবে সেগুলো তাঁর মাথার উপর দিয়ে যাবে। সিদি তাঁর
মাটির পাত্রটি হাতে নিয়ে চলে যেতে চাইল। ল্যাকুনলে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইল আর তাকে
বুঝালো এটা বিজ্ঞানের বিষয়, মহিলারা পুরুষের তুলনায় দূর্বল। সিদি তাকে জিজ্ঞাসা
করে মহিলারা দূর্বল নয়, কারন তারা রাঙাআলু থেতলায় এবং ভূট্টা গাছ লাগাতে পারে।
ল্যাকুনলে তাকে ব্যাখ্যা করে বুঝায় যে অচিরেই তারা এই সকল কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে করবে। সিদি বলে এটা পৃথিবীকে
উলটে ফেলবে।
ল্যাকুনলে তাঁর
পানির পাত্রটি ফিরিয়ে দিতে অস্বীকার করে যতক্ষন না সে তাকে বিয়ের জন্যে রাজী হবে।
ল্যাকুনলে বলে সে ভালোবাসা দিয়ে তাঁর হৃদয় খুলে দিবে। সিদি তাকে বলে তাঁর কথা গুলো
একেবারেই অর্থহীন। সে তাকে বিয়েতে রাজি হবে যদি সে গ্রাম্য মূল্য অনুযায়ী তাঁর
বিয়ের মোহরানা আদায় করে। যদি এটা সে আদায়
না করে তবে গ্রামের মানুষ তাকে খারাপ মেয়েমানুষ বলবে। পশ্চিমী সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী
ল্যাকুনলে এটাকে পুরোনো ও অসভ্যদের রীতি হিসেবে উল্লেখ করে। এসময় ল্যাকুনলে কিছু বাগারম্বর করে যাতে সিদি
কিছুটা আকৃষ্ট হয়।
এক সময় সিদি
বিরক্ত হয় আর বুঝতে পারে কেনো সকলে তাকে পাগল বলে। এ সময় গ্রামের কিছু মানুষ ও ঢোল বাদক সেখানে উপস্থিত হয়।
একজন মেয়ে সিদিকে বলে এক চোখের বাক্স- অর্থাৎ ক্যামেরা নিয়ে বাহিরের দেশের সেই
আগন্তুক আবার এসেছে। সে তাঁর আগের তোলা ছবি আর ম্যাগাজিন নিয়ে এসেছে। ম্যাগাজিন
বইতে কি সিদির ছবি আছে কিনা সিদি তা জানতে চায়। তখন আগন্তুক তাকে বলে সিদিকে এমন
রুপ দান করা হয়েছে যা দেবীদের স্বপ্ন থাকে। একজন মেয়ে সিদিকে বলে গ্রামের প্রধান
ব্যারোকা তাঁর ছবি খুব ভালো ভাবে দেখছে। ব্যারোকা খুব গর্বের ভান করছে কিন্তু আসলে
সে খুব হিংসা অনুভব করছে। মেয়েটি তাকে আরো জানায়, ছবি গুলোর মাঝে ব্যারোকার একটা
ছবি আছে কিন্তু সেটা গ্রামের শৌচাগারের পাশে। সিদি খুব গর্ব অনুভব করল। নিজেকে
গ্রামের প্রধান এর চেয়েও সম্মানিত ভাবতে লাগল।
এসব দেখে
ল্যাকুনলের মনটা সন্দেহ ও তিক্ততায় ভরে উঠল। এতে সিদি হাসল আর মনে মনে ভাবল সে এখন
এতোই জনপ্রিয় যে, তাকে আর ল্যাকুনলেকে বিয়ে করা লাগবে না। তাঁর বিমর্ষ চেহারার
দিকে তাকিয়ে সে হাসতে লাগলো, যা ল্যাকুনলের হৃদয়টাই ভেঙে খান খান করে দিল। তখন
গ্রামের মানুষ সেই ভ্রমনকারী আগন্তুকের সম্মানে সিদিকে নাচতে বলল। সিদি নাচল আর
ল্যাকুনলেকে সে বলল যেহেতু বাহিরের দুনিয়া সম্পর্কে ল্যাকুনলে খুব ভালো জানে তাই
তাকে আগন্তুকের ভূমিকায় অভিনয় করতে বলল। সে এইটা করতে চাচ্ছিল না কারন তাঁর কাছে
এটা এক ধরনের বোকামী মনে হতে লাগলো কিন্তু সিদি তাকে অভিনয় করিয়েই ছাড়লো। তাদের
পরিবেশনা শুরু হল, সকলেই আনন্দে চিৎকার করে উঠল।
বাদকরা বাজনা বাজাতে শুরু করে। চারটি মেয়ে একসাথে ভ্রমনকারী আগন্তুকের
গাড়ির চারটি চাকা হিসেবে অভিনয় করে। সে গাড়ি চালানোর ভান করে, এক সময় সে তাঁর
ক্যামেরা নিয়ে গাড়ি থেকে বের হয়। একটি সাপ ও একটি ব্যাঙ তাকে ভয় দেখায়। সে পান করে
উন্মাতাল হয়ে যায়। একটা মেয়ে গান গাইতে থাকে আর তাকে দেখে মনে হয় সে এতক্ষন এই মেয়েটিকেই
খুজছিল ছবি তোলার জন্যে। সে উন্মাতাল ভাবেই নদীতে আছার খায় আর এ সময় সিদি হাজির
হয়। তারপর পুরো গ্রামবাসী তাঁর ছবি তোলার জন্যে তাঁর পিছনে এসে দাঁড়ায়।
হঠাত করে
ব্যারোকা এসে উপস্থিত হয় আর তাদের পরিবেশনা বন্ধ হয়ে যায়। ল্যাকুনলে চোরের মত সরে
পরতে চেষ্ঠা করে অন্যদিকে গ্রামবাসী হাটু মূড়ে বসে পড়ে। ব্যারোকা তাকে ফিরে আসতে
আর তাঁর নাটক পরিবেশনা চালিয়ে যেতে বলে। ব্যারোকা সেখানে অভিনয় করতে চায়।
ল্যাকুনলে বলে কি দরকার এই সকল বোকামী কাজ করার।
ব্যারোকা জানায় এটা না করলে তাঁর জীবনটা নিষ্প্রান লাগবে।
আগন্তুক
ভ্রমনকারীর শাস্তির মাধ্যমে পরিবেশনা আবার শুরু হয়, কারন সে নাকি গ্রামের
নিষ্কলুষতা নষ্ট করেছে। ব্যারোকা গ্রামের মানুষদেরকে শান্ত করে। আবার সিদিকে নিয়ে
আসা হয়। ল্যাকুনলে আবার তাঁর ছবি তোলে। সে
আবার পান করে ও এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নাটকটি শেষ হলে
সিদি ল্যাকুনলেকে বলে সে ভ্রমনকারী আগন্তুক হিসেবে খুব ভালো অভিনয় করেছে। বিদ্যালয়ে
শিক্ষকতা না করে বরং অভিনয় করা তাঁর জন্যে ভালো।
Is there kubla khan poetry didn’t posted??
ReplyDeleteWow
ReplyDelete