Sir Roger at church - Analysis and summary - Bangla Translation, |
Sir Roger at church - Analysis and summary - Bangla Translation,
সংক্ষিপ্ত
আলোচনা
খ্যাতিমান
প্রাবন্ধিক জোসেফ এডিসন তার “Sir Roger at Church” প্রবন্ধে গ্রামাঞ্চলের সাধারণ স্তরের মানুষদের পবিত্র রবিবারে গির্জায়
আগমন এবং তাদের যাজক স্যার রজারের সাথে তাদের প্রার্থনায় যোগসহ নানা কর্মকাণ্ডে
অংশগ্রহণের বিষয়টি খুবই তাৎপর্য সহকারে তুলে ধরেছেন। প্রাবন্ধিক এখানে প্রথমেই
তার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি প্রতি রবিবারেই খুবই উৎফুল্ল বোধ করেন, তার
আনন্দ এ কারণে যে, প্রতি রবিবারে গ্রামীণ সাধারণ মানুষ গির্জায় যোগদান করে মহান
ঈশ্বরের প্রার্থনা সভায় মিলিত হয়ে তাদের
মনের আবিলতাকে ঝেড়ে পরিশুদ্ধ হয়ে উঠবে। কিন্তু প্রাবন্ধিক এটা ভেবে দ্বিধাগ্রস্ত
যে, এই সব গেয়ো মানুষদের পুরোপুরি আলোর রাস্তায় আসা সম্ভব নয়
তবে লেখক মনে করেন প্রতি রবিবার এক সাথে মিলিত হয়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে, একে
অপরের সাথে নানা গতানুগতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে এবং এক সাথে এক প্রভুর
উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এটাই একটা বড়ো ব্যাপার। লেখক তার বন্ধু স্যার রজারের প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন এখানে। তিনি মনে করেন তার
বন্ধু স্যার রজার একজন উত্তম যাজক। তিনি গ্রামীণ গির্জাটাকে তার মনের মতো করে সাজিয়েছেন,
নানা জায়গায় তিনই গুরুত্বপূর্ন শ্লোক উতকীর্ণ করেছেন। যাজকের মনে দুঃখ এটাই
গ্রামীণ মানুষেরা গির্জায় খুবই অনিয়মিত, তিনই প্রত্যেকের জন্যে একটি কুশন এবং
একটি প্রার্থনা পুস্তক তুলে দিয়েছেন আর একজন সঙ্গীত শিক্ষক নিযুক্ত করেছেন গ্রামে
গ্রামে ঘুরে গান শেখানোর জন্য। অবশ্যই তা মহান ঈশ্বরের প্রশংসাসূচক প্রার্থনা
সঙ্গীত। স্যর রজার গির্জায় তাঁর বক্তব্য প্রদান
করার সময় সদা সতর্ক, কেউ ঘগুমিয়ে পরেছে কিনা এটাও তিনই লক্ষ কজরেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে মহান প্রভূর কাছে প্রার্থনা করেন এবং সে সময় তিনি
রীতিমতো আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। শুধু তাই
নয় গীর্যায় কেউ নিয়ম নীতি বিরোধী কাজ করলেও স্যার রজার তার বিচার করে থাকেন। গির্জায় ধর্মীয় বক্তৃতা শেষ করে তিনি বাইরে বের না
হওয়া পর্যন্ত কেউ বাইরে বেরুতে পারে না। যদি কোনো ব্যক্তি গির্জায় অনুপস্থিত
থাকে তাহলে স্যর রজার তার উদ্দেশ্যে কঠোর ভাবে তিরষ্কার করে থাকেন।
স্যার রজার শিশুদের ধর্ম শিক্ষার
প্রতিও খুবই মনোযোগী। গির্জায় যে দিন প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকে সেদিন যদি তিনি কোনো
বালকের নিকট হতে সঠিক উত্তর পান তাহলে তিনি খুবই খুশি হন এবং এর জন্য তিনি বালকটির
মায়ের জন্য লবণ জারিত মাংস পাঠিয়ে দেন। আর তিনি
সর্বদা কামনা করেন গ্রামের যুবকেরা যেন ধর্মীয় মন মানসিকতা নিয়ে গড়ে উঠে। তিনি
চান তার অনুপস্থিতিতে এ যুবাদের মধ্য থেকে মেধাসম্পন্ন কেউ যেন এ কাজে যোগদান করে।
এখানে প্রাবন্ধিক একটা মজার বিষয় তুলে ধরেছেন। তা হলো গির্জার যাজকের সাথে
স্থানীয় এক জমিদারের ঠান্ডা লড়াই। যাজক
মহোদয় সর্বদা জমিদারকে মহৎ উপদেশাবলি প্রদান করতেন কিন্তু জমিদার গির্জায় সর্বদা
অনুপস্থিত থাকত। যাজকের ধারণা
জমিদার গির্জায় আগমনকারী সাধারণ মানুষদের টাকা প্রদান করে সুদ দানে উৎসাহিত করে
নাস্তিক বানাচ্ছে। শেষে যাজক জমিদারকে এই
বলে হুশিয়ারী দিলেন, জমিদার গির্যার আদেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ
ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
মোট কথা প্রাবন্ধিক এডিসন তার এ
প্রবন্ধে গ্রামীণ সাধারণ মানুষদের ধর্ম বিশ্বাস এবং একজন স্থানীয় গির্জার যাজকের
ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বিশেষ করে মানুষদের ধর্মপ্রাণ ও মহান ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাসী
করে গড়ে তোলা ও অন্যদিকে স্থানীয় বিত্তশালী জমিদারদের পরলৌকিক চেতনায় অবিশ্বাস
এবং গীর্যাকে পাশ কাটানোর দিকটি খুবই স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।
copy from Uujhj
ReplyDelete