Sir Roger at the Assizes |
সম্মান ৩য় বর্ষের সিলেবাসের অন্যান্য প্রবন্ধ ও অনুবাদ
Sir Roger at the Assizes - The Spectator - 122 - Bangla translation full
Sir Roger at the Assizes
স্যার রজার অ্যাট দ্যা অ্যাসিজ - মূল
প্রবন্ধ বাংলা
দ্য
স্পেকটেটর,
সংখ্যা-১২২,
শুত্রবার,
জুলাই
২০,
১৭১১
[“রাস্তায় গ্রহণযোগ্য
সঙ্গী
একজন
উত্তম পথ প্রদশক”-
পাবলিয়াস
সাইরাস]
একজন
মানুষের নিজের
ভেতরের
নিন্দা করার
দিকটাকে প্রথমেই এড়িয়ে চলা উচিত,
এর
পরের কাজটি হল পৃথিবীর
নানা অভিযোগ ও নিন্দা হতে
নিজেকে গুটিয়ে নেয়া। যদি
দ্বিতীয়
বিষয়টি ১ম বিষয়ের ক্ষেত্রে বাধা
হয়ে দাড়ায়
তাহলে
পুরো
বিষয়টাই উপেক্ষা করা উচিত।
নিজের
সুখ্যাতি
হবে
এমন
কর্ম করা
ছাড়া
একজন
সৎ
মানুষ
কখনোই
সন্তুষ্টি লাভ
করে
না।
যদি
সাধারণ
মানুষ
তাকে সমর্থন
করে
তাহলে
সেটা
হবে
তার
জন্য
অতিরিক্ত
একটা
পাওনা। একজন
মানুষ
তার আচার
আচরণ
এবং
নিজের
ভেতরের
দর্শন
দ্বারাই
জনসমাজে
পরিচিতি
লাভ
করে,
পরে সেগুলোই
মানুষের
মাঝে
ব্যাপকভাবে
সমর্থিত
হয়।
আমার
সুযোগ্য
বন্ধু
স্যার
রজার
এমন
একজন
ব্যক্তি
যিনি
শুধু
নিজের
ভেতরেই পরিতৃপ্ত
নন,
তিনি
সাধারণ
মানুষের
কাছ
থেকে
আন্তরিকতা
এবং
প্রশংসা
লাভ
করেন সর্বদাই মানুষের
মঙ্গলের
জন্য
একজন
নিবেদিতপ্রাণ
ব্যক্তি
হিসেবে
তিনি
তার প্রতিবেশীদের
কাছ
থেকে
যথেষ্ট
সম্মান
ও
শ্রদ্ধা
লাভ
করে
থাকেন
।
শুধু
তাই
নয়
তাদের আন্তরিক
শুভেচ্ছা
ও
সমর্থন
লাভ
করে
থাকেন
তিনি।
আমি
নিজেও
দু'তিনবার
এই বয়স্ক
নাইটকে
সম্মানিত
হতে
দেখেছি।
তিনি
গ্রাম্য
বিচার
সালিশে
আমাকে
এবং
উইলিয়াম উইম্বলকে সাথে
নিয়ে
যেতেন। আমরা
একবার
রাস্তা
দিয়ে
হেঁটে
যাচ্ছিলাম,
পথে
উইল উইম্বল
দুজন
সাধারণ
স্তরের
মানুষের
সাথে
মিলিত
হলো
যারা
আমাদের
আগে
আগে হেঁটে
যাচ্ছিল।
উইল
উইম্বল তাদের
সাথে
নানা
বিষয়
নিয়ে
আলাপ
আলোচনা
চালাতে লাগল।
এ
সময়
স্যর
রজার
আমাকে
এ
তাদের চারিত্রিক
দিক
সম্পর্কে
একটা ধারণা
দিলেন।
এদের
প্রথম
জন
সম্পর্কে
বললেন
তিনি,
তার
পাশে
আছে
একটা
স্প্যানিয়েল কুকুর,
ছোটখাটো
একজন
পেটি
জমিদার।
বছরে তার
আয়
একশত
পাউন্ড।
একজন সৎ
মানুষ,
তার
নিজের
এলাকার
মাঝে
তিনি
খরগোশ
আর
পাখি
শিকার
করার অনুমতিপ্রাপ্ত।
প্রতি
সপ্তাহে
দু
বা
তিন
দিন
তিনি
তার
খাবার
আকাশ
হতে
গুলি
করে মাটিতে
নামিয়ে
আনেন।
আর
তার
জীবন
যাপনটা
হলো
একেবারে
ভূমিহীনদের
মতো সহজ-সরল।
তিনি
একজন
ভালো
প্রতিবেশী
হতে
পারতেন
যদি
তিনি
তিতির
পাখি শিকার
না
করতেন।
মোটকথা
তিনি
একজন
বিবেকবোধ
সম্পন্ন
ব্যক্তি।
আকাশে
উড়ে যাওয়া
পাখি
তিনি
গুলি
করে
নামাতে
পারেন
আর,
অনেকবার
তিনি
বিচারালয়ে বিচারকমণ্ডলীতে
একজন
জুরি
হিসেবে
দায়িত্ব পালন
করেছেন।
তার
সাথে
অন্য
আরেকজন
যাচ্ছেন,
সে
হলো
টম
টাচি,
এ
লোকটা
সবাইকে আইনের
প্যাচে
জড়িয়ে
দিতে
সিদ্ধহস্ত।
সে
যে
শহরে
বাস
করে
সে
শহরের
এমন একজন
মানুষ
খুঁজে
পাওয়া
যাবে
না
যার
বিরুদ্ধে
সে
ছোটখাটো
মামলা
করেনি।
তার বেহায়াপনা
এতটাই
যে
সে
একজন
অসহায়
বিধবার
বিরুদ্ধেও
মামলা
ঠুকে
দিয়েছিল। তার
মগজে
শুধু
টাকা-পয়সা
খরচ
করানো
আর
ক্ষতিকারক
চিন্তা
ভাবনা।
সে
দুজন
সৎ ভদ্রলোকের
বিরুদ্ধে
মামলা
করে
তাদেরকে
এতটাই
হেস্তনেস্ত
করেছিল
যে,
এ
মামলা চালানোর
জন্য
তাকে
নিজের
জমি
পর্যন্ত
বিক্রয়
করতে
হয়েছিল।
তাদের
অপরাধ এটাই
ছিল
যে,
তারা
ভুলক্রমে
টম
টাচির
জমিতে
ঢুকে
পড়েছিল।
তার
বাবা
তাকে বছরে
আশি
পাউন্ড
দিতেন।
আসলে
সে
বছরে
ত্রিশ
পাউন্ড
পাওয়ারও
যোগ্য
নয়। এখন
মনে
করা
হচ্ছে
সে
তার,
পুরোনো
উইলো
বৃক্ষের
ব্যাবসাটা
আবার
শুরু
করবে।
স্যার
রজার
যখন
টম
টাচির
বিষয়ে
আমাকে
বলছিলেন
তখন
তার
দু'সঙ্গী
চলার গতি
কমিয়ে
দিল
যাতে
আমরা
তাদের
সাথে
একত্রিত
হয়ে এগুতে
পারি।
স্যর
রজারকে যথাযোগ্য
সম্মান
জানানোর
পর
উইল
উইম্বল,
স্যর
রজারকে
জানালেন
তার
এবং
টম টাচির
মাঝে
একটা
বিষয়ে
মতানৈক্য
তৈরি
হয়েছে
এ
বিষয়টি
স্যর
রজারকে
একটা সমাধান
করে
দিতে
হবে।
উইল
উইম্বল
জানাল
এদের
মাসে
এক
ব্যক্তি
যে
নাকি গোপনে
এক
জায়গায়
বসে
নিজেকে
আড়াল
করে
পোর্ট
জমিদারের
এলাকাভুক্ত
নদীতে বড়শি
দ্বারা
মাছ
ধরছিল,
এটা
আইনসঙ্গত
নয়।
মোট
কথা
সে
আইন
নিজের
হাতে তুলে
নিয়েছিল।
আমার
বন্ধু
রজার
সব
কথা
শুনলেন
এবং
ভেবেচিন্তে
দ্রুত
এমন
যুৎসই একটা
মতামত
প্রদান
করলেন
যে,
সে
মতামত
দুজনেই
সহজভাবে
মেনে
নিলেন,
তারা নাইটের
মতামতে
দ্বিমত
পোষণ
করল
না,
কারণ
এ
বিচারে
কোনো
রকম
খাদ
ছিল
না, আমরাও
দুজনে
বিচারালয়ের
দিকে
হৃষ্টচিত্তে
অগ্রসর হলাম।
স্যার
রজার
পৌছবার
পূর্বেই
কোর্ট
বসে
গেছে
কিছু
জুরিরা
তখনো
কেউ
তাদের জন্য
নির্দিষ্ট
আসনে
বসেননি।
তারা
তাঁদের
প্রধান
ব্যক্তি
বয়স্ক
নাইটের
জন্য
আলাদা একটি
স্থান
তৈরি.
করেছে
বিচারালয়
কক্ষে
এই
নাইট
দেশের
সাধারণজনদের
পক্ষে ওকালতি
করে
থাকেন
এবং
বিচারকের
কানে
কানে
চুপি
চুপি
পরিবেশ
পরিস্থিতি বিবেচনা
করে
জনগণের
পক্ষে
মত
দেয়ার
চেষ্টা
করেন।
আমি
কোর্টের
বিচারকার্য
খুবই মনোযোগ
সহকারে
শ্রবণ
করলাম,
আর
আমি
খুবই
পুলকিত
বোধ
করলাম
আমাদের দেশের
প্রচলিত
এই
আইনব্যবস্থা
এবং
জনসাধারণকে
সহযোগিতার
দিকটি
লক্ষ
করে। আমি
অবাক
হয়ে
লক্ষ
করলাম
আমার
বন্ধু
স্যার
রজার
বিচারকার্য
চলাকালীন
সময়ের মাঝখানে
উঠে
দাড়ালেন
কিছু
একটা
বলার
জন্য,
আমি
একটু
বেদনাবোধ
করলাম
তার কাজে
কারণ
তিনি
দাড়িয়ে
খুবই
সাহসিকতা
আর
জোরের
সাথে
জনতার
পক্ষে
একটি কি
দুটি
বাক্য
বলে
থামলেন।
স্যার রজার প্রথমবার দাড়ানোর সাথে সাথে পুরো কোর্টে নীরবতা নেমে এল, আর গ্রাম্য জনগণের গোপন কানাকানির মাঝে স্যর রজার ওঠে দাঁড়ালেন।
তিনি
খুব সাধারণ
বিষয়
নিয়েই
কথাবার্তা বললেন, আমি আমার পাঠকদের সামনে তার বক্তব্য তুলে ধরে সমস্যায় ফেলতে চাই না। আমার বিশ্বাস তিনি নিজেকে দেশের জনগণের অর্থাৎ গ্রাম্য জনতার সামনে নিজের কৃতিত্বটাকে প্রচার করতে চান অন্তত আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।
আমি রীতিমতো চমকিত হলাম যখন কোর্টের কার্যাবলি শেষ হওয়ার পথে তখন স্থানীয় জনগণ আমার বন্ধু বৃদ্ধ স্যার রজারকে ঘিরে ধরেছে এবং নানাবিধ অভিযোগ তুলে ধরছে আর একই সময়ে কিছু কিছু লোক দূরে দাড়িয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করছে। বিচারকের সামনে দাড়িয়ে তাঁকে বিন্দুমাত্র বিচলিত হতে দেখেনি এরা। সাহসের সাথে কথা
বলতে
বিচারকের
সামনে
তিনি
ভীত
হননি
কখনও।
আমরা বাড়ি ফিরে আসার পথে একটা অদ্ভুত দুর্ঘটনার মুখোমুখি হলাম। যেটা আমি কখনোই মন থেকে মেনে নিতে পারিনি, কারণ সবারই আকাঙ্ক্ষা রজারকে ঘিরে এবং তারা সর্বদাই তাদের সকল আকাঙ্ক্ষার রূপকার হিসেবে স্যর রজাকে শ্রদ্ধার আসনে বসিয়েছে! আমরা যখন গির্জার একজন তত্ত্বাবধানকারীর কুটিরে এসে হাজির হলাম, আমরা নিজেদের এবং আমাদের ঘোড়া দুটোকে একটু বিশ্রাম দেয়ার জন্য একটি কুটিরের সামনে এসে থামলাম। এ কুটিরের মালিক একদা নাইটের বাড়িতে চাকর হিসেবে কাজ করত। সে তার পুরোনো প্রভু এই বৃদ্ধ নাইটকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করল। কিছুদিন পূর্বে সে স্যার রজারের অগোচরে তার বড়ো মাপের একটা ছবি সে তার দরোজায় ঝুলিয়ে রেখেছিল। নাইটের ছবির মুখখানা ছিল সামনের রাস্তার দিকে ফেরানো। এটার প্রতিক্রিয়া কী হবে সে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারেনি। যখন স্যর রজার এটা জানতে পারলেন, বিশেষ করে তার চাকরের এমন ভ্রান্তির দিকটি, তিনি
জানালেন
তার
প্রতি
এমন
সম্মান
আর
শ্রদ্ধা
প্রদর্শনের দিকটি বড়ো রকমের শ্রদ্ধা নিবেদন কিন্তু এটা তার
চাকরের
কাছে
মহতী
কোনো
বিষয়
হলেও
এটা
দেখতে
বড়োই দৃষ্টিকটু ব্যাপার। আর এ ধরনের ছবি টানিয়ে তার মতো একজন ব্যারনকে দেয়া সঠিক নয়, এ ধরণের সম্মানটা শুধু একজন ডিউককেই দেয়া যেতে পারে। তারপর তিনি তাকে সামান্য কিছু উপদেশ প্রদান করার পর বললেন, সে যেন তার এমন চিন্তাচেতনা পরিহার করে। একজন ভালো চিত্রকর এনে ছবিতে এই যে, ক্রুসেডারদের মতো দাড়িগৌফ এ সব বদলে যেন নতুন করে রূপ দেয়া হয়। আমি ঘটনাটা কুটিরবাসী চাকরটার কাছে শুনিনি। পরে জেনেছি স্যর রজার গত রাতে সে ছবিটা নামিয়ে দিলে সেটার কিছু দিক বদলে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেছেন। আমি আমার বন্ধুর স্বাভাবিক পুলকের দিকটি লক্ষ করেছি। তিনি ছবিটাকে তার নিজের কক্ষে এনে রেখেছেন শেষাবধি। আমি আমার বন্ধু স্যর রজারের অমন জন্তুসুলভ মুখচ্ছবিটা দেখে মোটেও ক্ষমা করতে পারিনি, যে মুখটা থাকে সদা হাস্যোজ্জ্বল। ছবিটা ভ্রকুটি
সহযোগে
অদ্ভুত প্রক্রিয়ায়
অঙ্কন
করা
হয়েছিল।
আমি
লক্ষ
করেছিলাম
আমার
বন্ধু
রজারের
মুখচ্ছবির সাথে
এ
ছবির
কতটা
দূরত্ব।
আমাকে
হাসতে
দেখে
আমার
বৃদ্ধ
বন্ধু
বলেছিলেন, সত্যিকারভাবেই
এটা
মানুষ
দেখলে
ভাবত
নাইটের
কোনো
ছদ্মবেশধারণকারী
চিত্র। আমি
নীরব
রইলাম
প্রথমে,
নাইট
জানালেন
একজন
ক্রুসেডারের
মতো
চেহারা
তার চেহারায়
খাটে
না।
আমি
আমার
নিজেকে
ভালো
মানুষ
হিসেবে
পরিচিত
করতে
চাই, বললেন
তিনি।
আমিও
তাই
মনে
করে
কৌতুক
সহকারে
বললাম।
এই
অভিযানে নাইটের
চরিত্রের
কিছু
ভিন্ন
দিক
প্রকাশ
পেয়েছে।
আমাকে
এমন
একটা
বিষয়
দিয়েছে যা
আমি
অন্য
ভ্রমণে
লাভ
করিনি।
tnx a lot
ReplyDelete