Home burial - Robert Frost - Simple Bangla Meaning
হোম বিউরিয়াল সহজ সরল বাংলা অনুবাদ
প্রথম স্তবক : কবিতার বক্তা সন্তান হারানোর পর তার স্ত্রীর মানসিক অবস্থার কথা বর্ণনা করছেন।তাঁর স্ত্রী অ্যামিকে পিছে ফিরে তাকাতে তাকাতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখল।
হোম বিউরিয়াল সহজ সরল বাংলা অনুবাদ
প্রথম স্তবক : কবিতার বক্তা সন্তান হারানোর পর তার স্ত্রীর মানসিক অবস্থার কথা বর্ণনা করছেন।তাঁর স্ত্রী অ্যামিকে পিছে ফিরে তাকাতে তাকাতে সিড়ি বেয়ে নিচে নামতে দেখল।
দ্বিতীয় স্তবক : অ্যামি আবারও পিছে ফিরে দেখল। সদ্য সমাহিত নিজ সন্তানের কবরটি দেখল। সমাধি স্থলটি বাড়ি থেকে দেখা যায়। অ্যামি বার বারই সে দিকে ফিরে তাকায়। “উপর থেকে সারাদিন কি তুমি দেখো?” বক্তা (অ্যামির স্বামী) জিজ্ঞাসা করতেই অ্যামি স্কার্টের আড়ালে তার মুখ লুকাল।
তৃতীয় স্তবক : ব্যথিত অ্যামি, তার স্বামীর একই প্রশ্নের উত্তরে, স্বামীর বুকে মুখ আবারো লুকাল। স্বামীর
জিজ্ঞাসা ছিল, "বলো না আমায় কি দেখো তুমি প্রিয়ে?”
চতুর্থ স্তবক : কিন্তু অ্যামি তারপরও সেখানে দাড়িয়েই থাকল নীরবে। অ্যামির স্বামীও অ্যামিকে দেখেও না দেখার মতো করে দাড়িয়ে থাকল, যেন অন্ধ সে। শেষে অ্যামি ওহ, ওহ করে কেঁদে উঠল আবারো।
পঞ্চম স্তবক : এ্যামি তার স্বামীকে ক্ষুব্ধ হয়ে জিজ্ঞেস করল, “তুমি কি জানো না কি দেখি আমি?” অ্যামি বলল, “আশ্চর্যের বিষয়, এখান থেকেও যে কবরটি দেখা যায়। তা এতদিন আমি লক্ষ করিনি।”
ষষ্ঠ স্তবক : অ্যামি বলল, ছোটো জানালা দিয়ে ততোধিক ছোটো কবরটি দেখে দেখে সে অভ্যস্ত। তাদের পারিবারিক
গোরস্থানটার দিকে তাকিয়ে থেকে অভ্যস্ত সে।
সপ্তম স্তবক : কবরটির উপরের পাথরগুলোতে সূর্যের আলো পড়ে যে দৃশ্যের সৃষ্টি
করে। তারই বর্ণনা আছে এই
স্তবকে। কেঁদে কেঁদে তারই বর্ণনা দিচ্ছে অ্যামি।
অষ্টম স্তবক : স্বামীটির বাহু বন্ধন মুক্ত হলো স্ত্রীটি। স্বামীটি নিজেই
নিজেকে জিজ্ঞেস করল, “কোনো পুরুষ কি তার সন্তান মৃত এ কথা বলতে
পারে না?” আত্মজিজ্ঞাসায় স্বামীটি
বিব্রত বোধ করল।
নবম স্তবক : স্বামীটি যেন তার সে বিব্রত-বোধ মুক্ত হতে বাইরে কোথাও
ঘুরে আসতে চাইল আর ভাবল, স্ত্রীদের
মতো করে স্বামীরাও কী ঠিক একইভাবে সন্তান হারানোর বেদনা বোধে তাড়িত হতে পারে সমানভাবে!
দশম স্তবক :
কিন্তু হঠাই সিদ্ধান্ত বদলে, স্ত্রীকে কোথাও যেতে বারণ করল আর মুষ্টিবদ্ধ হাতের উপর চিবুক রেখে স্ত্রীকে বলল, “তোমায় কিছু বলব ভাবছি, কিন্তু কীভাবে বলব বুঝছি না।” “তুমি বলতেও জানো না,” স্ত্রীটি বলল, “আমাকে শেখাও” স্বামীটি বলল, ততক্ষণে
স্ত্রীটি দরজা খুলে বাইরে চলে গেল।
একাদশ স্তবক : স্বামীটি স্বীকার করছে, সে মিষ্টভাষী নয়, যে সে তার স্ত্রীকে
কথায় তুষ্ট করবে। স্বামীটি ভাবছে,
তাকে বাকপটু হতে হবে, মিষ্ট ভাষায় তুষ্ট করার কৌশল শিখতে হবে।
দ্বাদশ স্তবক : স্বামীটি ভাবছে, তার পৌরুষাভিমান তাকে আংশিক হলেও বিসর্জন
দিতে হবে বিশেষ করে তার স্ত্রীর
সামনে। স্বামীটি ভাবছে, এরকম সঙ্কট থেকে তার মুক্তি পাওয়া উচিত ছিল বা বিরত থাকা উচিত ছিল যাতে স্বামী
ও স্ত্রীর মাঝে ভুল বোঝাবুঝির ব্যবধানটা
ঘুচে যায়।
ত্রয়োদশ স্তবক : সন্তান হারানোর বেদনায় স্বামীটি তুলনায় কম বেদনার্ত ভেবে
স্ত্রীটি যেমন অভিমানাহত
তেমন বোধ ভালোবাসার সম্পর্কে থাকা অনুচিত বলেই স্বামীটি ভাবে। তবুও ভালোবাসার সম্পর্কের মধ্যে তেমন ভাব থেকেই যায়,
ব্যবধান থেকেই যায়। স্বামীটি
যখন এরকম ভাবনায় লিপ্ত তখন স্ত্রীটি দরজার খিল খুলে বেরিয়ে যায়।
চতুর্দশ স্তবক : অন্য কাউকে তার ব্যথার অংশীদার করে নেয়ার চেষ্টা না করে
বরং তার স্বামীর সাথেই তা করা
ভালো ভাবল স্বামীটি, তাকে যত প্রাণহীনভাবে তাঁর স্ত্রী, সে মোটেও তা নয়।
পঞ্চদশ স্তবক : স্বামীটির অন্তর্জ্বালা প্রকাশ সমান না হলেও, প্রথম সন্তান হারানোতে সেও তার স্ত্রীর মতো
সমান ব্যথিত, কিন্তু তা প্রকাশ করার ক্ষমতাই স্বামীটির তেমন প্রবল নয়। যত নিষ্ঠুর প্রাণহীন তাকে ভাবছে
তার স্ত্রী, তেমন সে মোটেও নয়।
ষোড়শ স্তবক:
স্বামী বলছে, সান্তনা দেবার ভাষা তার না থাকলেও, তার ভালোবাসা বোধ গভীর। স্ত্রী
তাকে বিদ্রুপ করলেও স্বামীর দাবি সে বিদ্রুপ পাবার মতো প্রাণহীন নয়, সে তার স্ত্রীর বিদ্রুপে অপমানিত
বোধ করে। শেষে বলে, পুরুষরা কি মহিলাদের
মতো বিলাপ করতে পারে সন্তান হারানোর বেদনায়!
সপ্তদশ স্তবক : শোকাহত, অভিমানাহত স্ত্রীটি মোটেও তাতে আশ্বস্ত নয়, তাই অবিশ্বাসের সুরে জিজ্ঞাসা, কী করে পারল সে নিজ হাতে নিজ সন্তানের
কবর খুঁড়তে?
অষ্টাদশ স্তবক : ব্যথিত অভিমানাহত স্ত্রীটি বলে, নিজ হাতে মাটি খুঁড়ে, কবর বানাতে সে তার স্বামীকে দেখেছে আবার সন্তানটিকে কবরে মাটি চাপা দিতেও
দেখেছে। কী করে সে এত হৃদয়হীন
হতে পারল স্ত্রীর জিজ্ঞাস্য তাই।
উনবিংশ স্তবক:
নিঃশব্দে সিড়িতে উপর, নিচ করল স্ত্রীটি, তার স্বামীর ফিরে তারপর আসার শব্দ শুনল,
তখনো তার স্বামীকে মনে হচ্ছিল নির্বিকার, যান্ত্রিক, এমনকি কবর খোড়ার কোদালটি দেয়ালে ঠেক দিয়ে রাখার পরও।
বিংশ স্তবক:
তার স্বামীর জুতায় লেগেছিল নিজ সন্তানের কবরের তাজা মাটির দাগ তারপরও স্বামীটি কী স্বাভাবিকভাবে নিত্যদিনের বিষয় নিয়ে
কথা বলে যাচ্ছিল, তাই তার স্ত্রীর বিস্ময়ের
কারণ ।
একবিংশ স্তবক:
স্বামীটি তার স্ত্রীর বিস্ময়ের কারণ জেনে নিজেকে দুর্ভাগা, অভিশপ্ত ভাবল। ঈশ্বরের কাছে অভিযোগ জানাল। স্বামীটি প্রসঙ্গান্তরে যাবার জন্য বলল, একটু বৃষ্টি আর তিন দিনের তুষারপাতে কী বার্চ ডালের ঘের পচে যেতে পারে?
দ্বাবিংশ স্তবক:
স্বামীটির এরকম উক্তিও স্ত্রীটির ভালো লাগে না। সে বলে, এমন পরিবেশে এমন কথা কি মানায়? স্ত্রীটি বলে, নিকটতম বন্ধুর
মৃত্যুও তার স্বামীকে যেন বিচলিত করে না।
বার্চ গাছের ঘের নিয়ে কথা বলা স্ত্রীটির কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়। এখানেও স্ত্রীটি স্বামীটিকে ভুল বুঝে। স্বামীটি
আসলে বুঝাতে চেয়েছিল, মাত্র তিন দিনেই
সন্তানের মৃত্যু শোক কি ভুলা যায়?
ত্রয়োবিংশ স্তবক: বাস্তববাদী স্বামীটি তার স্ত্রীকে বুঝাতে চায়, অসুস্থতায়,
মৃত্যুতে মানুষ একাকী হয়ে পড়ে, তার
একাকীত্বের ভাগী কার্যত কেউই হয় না। বন্ধুরা মৃতের শবযাত্রায় সামিল হয় সেও সামাজিকতা মাত্র, অবস্থা গত কারণ
মাত্র। তা না হলে, মানুষ সদা জীবন
মুখী, সদা কর্মমুখী, সদা ব্যস্ত। কদাচিৎ মৃত্যু চিন্তায় অধীর।
চতুর্বিংশ স্তবক:
স্বামীটি তার স্ত্রীকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তিত সুরে বুঝাতে চেষ্টা করল, জীবিতাবস্থায় মানুষ যাই বুঝুক, সার্বিক অর্থে জীবন আসলেই বিষাদময় এবং সে একথাও বলছে, সে বিষাদকে যত ভুলে থাকা যায় ততই ভালো। আবার
স্ত্রীকে প্রবোধ দেবার জন্য বলে,
না বিষাদকে সে ভুলবে না। তারপর তার স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলল, “তোমার যা বলার ছিল সবইতো বলেছ, তুমি এখন কোথাও যেও না তুমি কাঁদছ, সবই যখন চলে গেছে (সন্তানটি) এখন দরজা খোলা রেখে কী লাভ?
ওটি বন্ধ করে দাও।” তার পর স্ত্রীর মনোযোগ অন্য দিকে ঘুরানোর জন্য বলল, ‘অ্যামি, ওই দেখো, রাস্তার দিকে কারা যেন
আসছে?'
পঞ্চবিংশ স্তবক:
স্ত্রীটি বলল, সে কিছুতেই তার স্বামীর কথায় ভুলবে না, সে বাইরে যাবেই, ঘরের বন্দিদশা থেকে মুক্ত হবেই। স্বামী বলল, সেও তার
সঙ্গী হবে এবং জোর করে হলেও তাকে ফিরিয়ে
আনবেই।
হোম বিউরিয়াল কবিতার মূল বাংলা অনুবাদ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
হোম বিউরিয়াল কবিতার মূল বাংলা অনুবাদ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
No comments:
Post a Comment