Death of the hired man - Robert Frost - Bangla translation last part |
সম্মান শেষ বর্ষের অন্যান্য লেখা অ অনুবাদ
Death of the hired man - Robert Frost - Bangla translation last part
Death of the hired man - Robert Frost - Bangla translation last part
দা ডেথ অভ দা হাইআরড, ম্যান
এ ধরনের
বুলিই বার বার আউড়ে গেছে সে, মোটের
ওপর কখনো
সুযোগ পেলে ছেলেটাকে শেখাবে
কী করে তৈরি
করতে হয় সুন্দর পরিপাটি সব খড়ের গাদা
আমি জানি এই
কর্মটিতেই সাইলাস বেশ পাকা।
প্রতিটি
খড়ের আঁটি বাধে সে নিপুণ দক্ষতায়
গুছিয়ে
নম্বর লাগিয়ে রাখার কাজে ওর নেই কোনো জুড়ি।
প্রয়োজনে
পুরো গাদা উলটপালট করে।
চিহ্নিত
আঁটিটা নামিয়ে আনতে পারে সহজেই।
আসলেই
সাইলাস ও কর্মটি ভালো পারে, বিশাল
পাখির বাসার
মতোই আঁটি বাধা সব খড় বের করে।
যখন সে খড়
ওপরে উঠায়, তখন মোটেই মনে
হয় না কষ্ট
হচ্ছে তার কিংবা পরিশ্রম।
সাইলাস মনে
করে, উইলসনকে কাজটা শেখাতে
পারলে, হয়ত
এ ছেলেটা পৃথিবীতে কারো না কারো
কাজে লাগতে
পারত।
ছেলেরা সবাই
পুথির পাতায় ডুবে আছে, এ দৃশ্যটা
একেবারেই
অপছন্দ ছিল তার। আহা! বেচারি
সাইলাস,
ঘরের খেয়ে পরের বেগার খাটতেই সময়টা পার হলো তার
ওর পেছনে
কিছুই নেই অহংষ্কার করার মতো,
সামনেও নেই
কিছু যা নিয়ে থাকা যায় আশায়
বর্তমান আর
অতীত এখানে একই ব্যাপার।
পাহাড়ের
দিকে পুরো আকাশটাকে নিয়ে
পশ্চিম
দিগন্ত ঘেষে হেলে পড়ে এক টুকরো চাঁদ।
স্নিন্ধ আলো ছড়াল মেরির কোলে
আর তা দেখে
মেরি তার আঁচল বিছালো।
আর হাত
বাড়াল রজনিগন্ধা পানে,
সেতারের
তারের মতোই রাতের শিশিরে ভেজা
বোঁটাগুলো
শক্ত হয়েছে খুবই।
সেতারে গোপন
একটা মধুর সুর তুলেছে শুধুই সে
তার পাশেই
ওয়ারেন আঁধার রাতে তাকে ঘিরে নামে
মায়াময়
প্রহেলিকা ডাকল সে, ওয়ারেন শোন,
সে এ
বাড়িতে এসেছে ইহধাম ত্যাগ করতে
এবার তোমাকে
ছেড়ে কোথাও যাবে না সে।
বাড়ি,
ব্যঙ্গ করে বলল ওয়ারেন।
হ্যা,
বাড়ি, এ ছাড়া কী বলবে তুমি?
বাড়ি বলতে
তুমি কী বোঝ, তার ওপরেই সব করছে নির্ভর।
সে আমাদের
কোনো নিকট জন নয়,
সেই যে
সেবার জঙ্গল থেকে একটা অচেনা কুকুর
এসে এ
বাড়িতে নিয়েছিল আশ্রয়, সাইলাস
তার চেয়ে
খুব বড়ো কিছু নয়।
বাড়ি তো
তাকেই বলা যায়, যখন যেখানেই তুমি যাবে
সেখানে সবাই
তোমাকে টানবে কাছে
আমি বুঝি
বাড়ি এমনই বিষয়, যার তরে।
কোনো
যোগ্যতার নেই কোনো প্রয়োজন।
সামনে
এগিয়ে কয়েক পা হেঁটে একটা কাঠের লাঠি
হাতে তুলে
ওয়াবেন সেটি ভেঙে ছুড়ে দিল দূরে।
তুমি কি
ভাবো নিজের ভাইয়ের চেয়ে বেশি আপন ভাবে
আমাদের এই
সাইলাস? মাত্র তেরে মাইল হাটলেই পথের
মোড়ে তার
ভায়ের বাড়ি।
অনেক
হেঁটেছে আজ সাইলাস, ওখানে যায়নি কেন বলতো?
শুনেছি তার
ভাই খুবই মান্য গণ্য বড়লোক
ব্যাংক
পরিচালনা করে।
এসব আমাদের
কাছে বলেনি কখনো।
তবু সকল
কিছুই জানতাম মোরা।
আমার মনে
হয়, ওর ভাইয়ের এখন কিছুটা সাহায্য
করা উচিত
ওকে, প্রয়োজনে যাতে তেমনটা হয়।
সেদিকে নজর
রাখব আমি, আর তার ভায়েরই
উচিত ওকে
তার কাছে নিয়ে যাওয়া
এমন আন্তরিক
ইচ্ছে হয়ত-বা তার আছে,
যতটা আমরা
বাইরে থেকে মন্দ জানি
ভেতরে হয়ত
এতটা মন্দ সে নয়।
তবে রেগো না
সাইলাসের পরে
যদি তার
ভায়ের সাহায্যের আশা করত সে
যদি তার
সাথে নিজেকে মেলানোর
ইচ্ছে থাকত
তার, তাহলে এখানে
আর চুপচাপ
থাকত না পড়ে
আমি তো
আশ্চর্য হয়ে ভাবি
কী ঘটেছে দু’ভায়ের মাঝে।
এবার তাহলে
শোনো
সাইলাস
যেমনটি আছে তেমনি থাকুক।
তাতে আমাদের
কিছু যায় আসে নাকো।
কিন্তু ওকে
কেউ নিকটজন আর আত্মীয়ই বলুক
সেটা সে
মানতে চায় না মোটেই
কোনো খারাপ
কর্ম করেনি সে কখনো
অন্য সবার
চেয়ে এমনকি খারাপ সে বলো তো?
অকর্মার টেকি সে, তাই বলে ভাইকে সে কোনো
দিন
তোষামোদ করে
নিজেকে খাটো করার মতো
মানুষই নয়
সাইলাস।
মনে হয় না
কারো মনে সে কখনো করেছে আঘাত
না করেনি,
তবে কঠিন চেয়ারের গায়ে হেলান
দিয়ে
মাথাটা এলিয়ে ওকে ঘুমাতে দেখে
বড়োই বেদনা
জেগেছে মনে।
নিতে চাইলাম
ওকে ঘরে কিন্তু যাবে না সে।
এবার তুমি
নিজেই যাও দেখ কিছু হয় কি না,
রাতের
বিছানা তো সেখানেই করা আছে।
তুমি অবাক
হবে অবশ্যই
খাটাখাটনির
দিন ফুরিয়েছে তার
তবু আমি এত
তাড়াতাড়ি তা বলব না।
আমি বলব না,
তুমি নিজেই গিয়ে দেখো,
কিন্তু
ওয়ারেন মনে রেখো, তোমার জমিতে
নিড়ানি
দিতেই এসেছে সে, এই তার সংকল্প।
সাবধান এটা
নিয়ে তাকে উপহাস কোরো না।
কিছু হয়ত
বলবে না সে, আবার বলতেও তো পারে।
এখানে বসে
বসে দেখব ভেসে যাওয়া টুকরো মেঘ
চাদের গায়ে
এসে লাগে নাকি পাশ দিয়ে চলে যায়।
চাদের গায়ে
লাগল না মেঘ।
এরপর সেখানে
ছিল তিনজন এক সারিতে
চাঁদ, ছোট্ট
রুপালি মেঘ আর সে
ওয়ারেন এলো
ফিরে, তাঁর কাছে মনে হল বড় শিঘ্রই সে ফিরেছে
তাঁর পাশে পড়ল
বসে, মেরির হাতটি তুলে নিয়ে অপেক্ষায় রইল।
“ওয়ারেন”, মেরির কন্ঠে আকুলতা।
“মৃত”, উত্তর এলো।
No comments:
Post a Comment