Birches - Robert Frost - Bangla translation and summary |
Birches - Robert Frost - Bangla translation and summary
বার্চেস - রবার্ট ফ্রস্ট
বার্চেস - রবার্ট ফ্রস্ট
যখনি আমি তাকিয়ে দেখি বার্চ গাছগুলো ডান ও বামে নত হয়
আঁধার বৃক্ষসারির পথ বরাবর সোজা চলে যায়,
আমার ভাবতে ভালো লাগে কিছু বালক সেথায় দুলছিল।
কিন্তু তাদের এই দুলুনি গাছ গুলোকে এতোটা নিচু করে আটকে রাখে না
যেমন বরফ ঝড়
তাদের নিচের দিকে বাকিয়ে দেয়। আর প্রায়ই তুমি দেখবে
তাদের রৌদ্রকরোজ্জল
ভোরে তুষারের ভারে নত
বৃষ্টি শেষে
আবার তারা পাখা ঝাড়া দেবে,
জেগে উঠবে হাওয়া,
বিচিত্র বর্ণে বর্ণিল হবে
আলোড়নে তারা
এলোমেলো হবে, ছড়াবে রুপালি দ্যুতি
সূর্যের উষ্ণতা
তাদের মাঝে তৈরি করবে কাচের খণ্ড
কঠিন বরফ চূর্ণ
হয়ে বইবে তুষার স্রোতধারা
কাচসদৃশ বরফের
স্তুপ ভেঙে দ্রুত হবে ধাবমান
ভাববে তুমি আকাশের
মাঝের গম্বুজ পড়েছে ভেঙে ।
টেনে নিয়ে যাবে
তারা বিবর্ণ সব জঞ্জালের স্তুপ
দেখে মনে হতো
ভাঙবে না তারা যদিও ছিল নতমুখী,
সঠিক ছিল না
তারা সেহেতু দৈর্ঘ্যের কারণেই নতমুখী
দেখবে তুমি তারা
যেন অরণ্যে তৈরি করেছে ধনুকাকৃতির খিলান
বছর বছর পার
হয়, লতা পল্লব তাদের মাটি ছোয়
যেন কোনো বালিকা
হাঁটুতে হাত রেখে চুলগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে উর্ধ্বে
যেন তাদের মাথার
চুল শুকাতে দিয়েছে রৌদ্রে
কিন্তু আমি বলতে
চাই, যখন সত্যিটা ভেঙে যায়।
সকল বিষয় সকল
কিছু তুষারঝড়ে,
আমি বলি কিছু
বালক তাদের টেনে করেছে নতমুখী
তারপর চলে গেছে
তারা তাদের হারানো গরু খুঁজতে
কিছু বালক শহরে
বসে শুধু বেস বল খেলা শেখে
সেটা তো শুধুই
খেলা, নিজের বিষয়ে তারা কিছু
কি জেনেছে,
গ্রীষ্মে ও শীতে
একাকীই খেলবে সে।
একের পর এক নমিত
করবে তার পিতার রোপিত বৃক্ষ
উঠবে আর নীচে
নামবে বার বার
যতক্ষণ না সে
তার একওঁয়েমি সরাবে অন্য দিকে,
কেউ তাকে পারবে
না নিস্তেজ করতে
সরাতে তার একওঁয়েমি
থেকে, সে সেখানে সবই শিখেছে
সে শিখেছে কেউ
তাকে দ্রুত সরাতে পারবে না দূরে
আর সরাতে সমর্থ
হবে না গাছগুলোকে দূরে
পরিচ্ছন্ন মৃত্তিকায়
সর্বদা ভারসাম্য রক্ষা করেছে সে
আরোহণ করেছে
উঁচু ডালে খুব সতর্কতায়
ঠিক একই ব্যথাভার
যা তুমি পেয়েছ পূর্ণ পেয়ালায়
উর্ধ্বে শেষ প্রান্তে আরো উর্ধে একেবারে শীর্ষে
পদক্ষেপ ফেলে
সীমা ছাড়িয়ে শো শো গর্জনে
চলার পথকে লাথি
মেরে ছুড়ে দেয় বাতাসে, মৃত্তিকায়
আমি কি একদা
বার্চ বৃক্ষের দোলায় দুলেছিলাম
ভাবনায় আমি
নিজেকে আরো পিছিয়ে নিয়ে যাই
যখন সকলি নিয়েছি
খুবই সহজ করে
জীবনটা ছিল গভীর
অরণ্যে পথ হারা।
যেখানে তোমার
মুখচ্ছবি ছিল উজ্বল আর কোমল সুতোর মতো স্পন্দিত
ভেঙে গেছে তা,
একটি নয়ন শুধু কাঁদে।
প্রচণ্ড বেগে
বের হবো ডালপালা খুলে
আর কিছুকালের
জন্য পালাব পৃথিবী হতে
এবং আসব আবার
ফিরে শুরু হবে নতুন জীবন।
আমার এ নিয়তিকে
ভুল বুঝ না স্বেচ্ছাচার বলে
কী মোর ইচ্ছে
সেটা কিছুটা গ্রহণ করো তারপর ঠেলে দিও দূরে।
ফিরব না। পৃথিবীটা
ভালোবাসারই যোগ্য স্থান;
আমি জানি না
সেই গ্রহণযোগ্য স্থানটি কোথায়
আমি ভালোবাসি
বার্চ বৃক্ষে আরোহণ করতে
আর কালো ডালে
চড়তে, আরো উর্ধ্বে তুষারশুভ্র কাণ্ডে
স্বর্গের পানে,
যদিও বৃক্ষ আমাকে পারবে না সেখানে নিতে
কিন্তু নিমজ্জিত
হবো তার বৃক্ষশাখায় আবার নামব নীচে
সেই ভালো একসাথে
যাওয়া আর ফিরে আসা
একজন নিজেকে
সমর্পিত করবে বার্চ বৃক্ষের
দোলনায়।
সারমর্মঃ
কবি যখন নোয়ানো
বার্চের ডাল গুলো দেখেন তখন ভাবেন এগুলো নিশ্চই বালকদের গাছে ঝোলার কারনেই এমন
নিচু হয়ে গিয়েছে। তবে পরে তিনি বুঝতে পারেন যে না আসলে তা নয় বরং বরফঝড়ের কারনেই
এগুলো এমন বেকে নুয়ে প্রায় মাটি ছুই ছুই অবস্থা হয়েছে। বালকদের গাছে ঝোলার এই খেলাটা
কবির কাছে ভালো লাগে। কবি তাই কল্পনায় তাঁর ছেলেবেলায় ফিরে যান। সেই সময়ের ভাবনাহীন
জীবনের কথা স্মরণ করেন। তাঁর খুব ইচ্ছা হয় যদি আবার সেই সময়ে তিনি ফিরে যেতে
পারতেন। নিসর্গ প্রেমী কবি, দোদুল্যমান বার্চ বৃক্ষ সারিকে দেখেন গভীর অভিনিবেশে তার মনে হয়, কোনো দুষ্ট বালক দল যেন বার্চ সারিকে দোলাচ্ছে, ডানে বায়ে। বরফ ঝরে পড়ছে বার্চ শাখা থেকে, সূর্যের সাত রং পিছলে পড়ছে
বার্চ গাছের শাখার বরফ থেকে। বরফ গলে বিন্দু বিন্দু জল ঝরছে মাটিতে।
এমন শোভায় ভরা পৃথিবী ছেড়ে কবি যেতে চান না। বার বার ফিরে আসতে চান এমন সুন্দর ভুবনে।
Wonderful
ReplyDelete