Aunt Jennifer's Tigers - Adrienne Rich - Summary & Analysis in Bangla |
আন্ট জেনিফার’স টাইগার’স কবিতার অনুবাদ
Aunt Jennifer's Tigers - Adrienne Rich - Summary & Analysis in Bangla
আন্ট জেনিফার’স টাইগার’স কবিতার সারাংশ ও আলোচনা
কবিতাটিতে তিনটি স্তবক যার প্রতিটিতে ৪
টি করে লাইন আছে। কবিতাটির ছন্দবিন্যাস aabbccddeeff আর মাত্রা হল মিশ্র পঞ্চ মাত্রা। রিচ তাঁর কবিতার শুরুতে যে
দৃশ্যপট তৈরী করেছেন তা বক্তার মনোভাব আকৃষ্ট করে ফেলে। এখানে তিনি যে বাঘের ছবি একেছেন
সেগুলো দেখতে টোপাজের মত লাল ও হরিদ্রাভ কমলা রঙের আর তাদের রাজকীয় চলাফেরায় ভয়ের
লেশমাত্র নেই। তারা হাটছে সবুজ বনে। এখানে সবুজ রঙ বসন্ত ও পুনঃর্জন্মের প্রতীক। তাদের
চলাফেরাকে আগের নাইটদের চলাফেরার সাথে তুলনা করা হয়েছে। পরের স্তবকে জেনিফার চাচীর
হাতের দিকে নিবদ্ধ করা হয়েছে। রিচ তাকে কিছুটা ভীত ও দূর্বল হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
যার কারনে হাতির দাঁতের তৈরী কাটাটি তাঁর কাছে খুব ভারি লাগছে। তাঁর কাজে কষ্ট
হবার কারন হিসেবে উল্লেখ করেছেন চাচার দেয়া বিয়ের আংটিটি অনেক ভারী। শেশ স্তবকে
চাচীর ভবিষ্যৎ মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তখনো তাঁর হাতে সেই আংটিটা থাকবে। তবে তাঁর
সূচীকর্মের সেই বাঘ নির্ভিক ও গর্বিতভাবে চলতে থাকবে।
Aunt Jennefer’s Tigers কবিতাটি লিখিত হয় ১৯৫১ সালে যখন অড্রিয়ান রিচ সবে কাব্য জগতে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছেন। কবিতাটি আধুনিক ও পশ্চিমা পুরুষতন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র একটি প্রতিবাদ বলা যায়। কবিতাটিতে তিনি
দেখিয়েছেন পশ্চিমারা আধুনিক হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের পুরোনো প্রভূসুলভ মনোভাব দূর
হয় নি।
কবিতাটিতে সুস্পষ্টভাবে কবি ঐতিহ্যবাহী বিবাহবন্ধনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, কারন তারা যেনো
বিবাহের মাধ্যমে আজীবনের জন্যে নারীদেরকে নিজেদের দাসিতে পরিণত করেছে। অথচ বিবাহ
একটি পবিত্র বন্ধন যা নারী পুরুষের ভালোবাসার প্রতিক।যার মাধ্যমে সভ্যতাকে সুন্দর
ও সুশৃঙ্খলরুপে এগিয়ে নিয়ে যাওা হবে।
যেখানে চিরদিন একজন নারী পুরুষতন্ত্রের শেকলে বাঁধা থাকে এবং সর্বদা দ্বিতীয় সারির ভূমিকা পালন করে। তাদের যে কোন অধিকার ও মতামতকে উপেক্ষা করা হয়। জেনিফার চাচির মতো লক্ষ মহিলা পুরুষতন্ত্রের অধীনে থেকে অধিকার বিহীন জীবন যাপন করছেন ।
রিচ তার কবিতায় বাঘের প্রতীক এনেছেন শক্তির প্রতীক হিসেবে, যে শক্তিকে তিনি লক্ষ করেছেন জেনিফার চাচির আঁকা বাঘের মাঝে। চিত্রটিতে যেন জেনিফার চাচির বন্দি জীবনের আবেগ প্রকাশিত হয়েছে, যেন জেনিফার চাচির ভেতরের লুকিয়ে থাকা ক্ষোভ এবং বেদনা বাঘের রূপ ধরে গর্জন করছে। জেনিফার চাচি সর্বদা মানসিক পীড়ন ও ভয়ের মাঝে জীবন যাপন করেছেন, কিন্তু তার ভেতরের বাঘ ছিল সর্বদা মুক্ত। এই বাঘের রূপকের মাধ্যমে আমরা জেনিফার চাচির ভেতরের বেদনা গুমরে উঠতে, ফুসে উঠতে দেখি । বাঘ যেমন কারো পোষ মানতে চাইছে না, কারো সাথে ; করতে চাচ্ছে না কোনো সমঝোতা, তেমনি পশ্চিমাবিশ্বে জেনিফার চাচির মত সমগ্র বন্দি নারীও যেন কারো পোষ মানছে না ভেতরে ভেতরে। একজন নারী তার ভেতরের আবেগ যেন প্রকাশ করতে চাচ্ছে বাঘের শক্তিমত্তার সাহায্যে। কবিতাটিতে মুক্তি এবং ভীতি যেন পাশাপাশি অবস্থান করছে। প্রথম পর্বে আমরা বাঘের বর্ণনা প্রত্যক্ষ করি, পরবর্তী পর্বে আমরা জেনিফার চাচির সংসার জীবনের চিত্র প্রত্যক্ষ করি এবং শেষ পর্বে আমরা
জেনিফার চাচির জীবনযাত্রার সাথে সাথে বাঘের নির্ভিকতাও প্রত্যক্ষ করি। তবে শেষে আমরা দেখি, জেনিফার চাচি তার মৃত্যুর পরেও বাঘের অকুতোভয়তার মাঝে নিজেকে বাচিয়ে রেখেছেন।
কবিতাটির মূল প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় জেনিফার চাচির আঁকা বাঘ এবং চাচার দেয়া বিয়ের আংটি, যা চাচির হাতে শেকলের মতো আটকে গিয়েছিল। চাচার দেয়া আংটি শুধু বিয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ এসেছে। কিন্তু জেনিফার চাচির আঁকা বাঘ যেন রাজনীতির এক মূর্ত প্রতীক, জেনিফার চাচির বাঘ যেন তার মৃত্যুর পরেও পৃথিবীর সকল বন্দি নারীর ভেতরের ক্রুদ্ধতা নিয়ে বাঘের ছবিতে প্রকাশ পাচ্ছে। মোট কথা, জেনিফার চাচির অংকিত বাঘ যেন অবরুদ্ধ নারীর নিজ শক্তিতে ফুসে ওঠা এবং নিজেকে অসাধারণ করা, কাউকে তোয়াক্কা না করে নিজের নারীত্বকে সম্মানের সাথে উচু করে রাখা। রিচ মূলত পশ্চিমাবিশ্বে নারীসমাজের কথা বলতে গিয়েই এ কবিতার সূত্রপাত করেছেন।
No comments:
Post a Comment