অন্যান্য লিঙ্ক সমূহঃ
১। ইংরেজিতে
মূল টেক্সট ২। ১ম অঙ্কের অনুবাদ ৩। ২য় অঙ্কের অনুবাদ ৪। ৩য় অঙ্কের অনুবাদ ৫। ৫ম অঙ্কের অনুবাদ ৬। ড. ফস্টাসের সমস্ত টিকাসমূহ বাংলায়। ৭। ক্রিস্টোফার মার্লোর জীবন
The tragical history of Dr. Faustus by Christopher Marlowe - Bengali Translation - ড. ফস্টাস - ক্রিস্টোফার মার্লো - সম্পূর্ন বাংলা অনুবাদ - ৪র্থ অঙ্ক
ডক্টর ফস্টাস
ডক্টর ফস্টাস
চতুর্থ অঙ্ক
কোরাসের
প্রবেশ
কোরাসঃ
প্রফুল্ল চিত্তে নানা দুর্লভ বস্তু এবং রাজ প্রাসাদ দেখার পর, ফস্টাস তার ভ্রমণ পর্ব শেষ করে গৃহে
ফিরেছেন। সেখানে বন্ধু-বান্ধব ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গীরা তার অনুপস্থিতি দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে
সহ্য করছিল । ফস্টাস নিরাপদে প্রত্যাবর্তন করায় তারা স্বাগত জানিয়েছে। ওরা তার
সাথে কথা বলেছে। পৃথিবী ও মহাকাশে ভ্রমণকালে কি কি ঘটেছে তা জানতে চেয়েছে।
জ্যোতিষশাস্ত্র সম্বন্ধে প্রশ্ন করেছে। ফস্টাস এত পারঙ্গমতার সাথে সেগুলোর জবাব দিয়েছেন যে ওরা
তার প্রজ্ঞায় বিস্মিত ও অভিভূত হয়েছে। বর্তমানে ফস্টাসের খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে
পড়েছে। অন্যান্যদের মাঝে সম্রাট পঞ্চম ক্যারোলাসও৪৫ তার গুণগ্রাহী। এখন ফস্টাস তার
প্রাসাদে অভিজাত ব্যক্তিদের সঙ্গে পান-ভোজন করছেন। সেখানে যাদু বিদ্যায় নিজের দক্ষতার প্রমাণ
দেওয়ার জন্য তিনি কি করলেন তা এখন বলছি না। সে দৃশ্য আপনারা স্বচক্ষেই দেখবেন। [প্রস্থান]
প্রথম
দৃশ্য
একটি
সরাইখানা
[একটা বই হাতে অশ্বরক্ষক রবিনের প্রবেশ]
রবিনঃ ওহ্
দারুণ ব্যাপার। আমি ডক্টর ফস্টাসের এই যাদুর বইটা চুরি করেছি। মাইরি, আমি এটা
থেকে নিজের কাজে লাগানোর জন্য কয়েকটা যাদুর চক্র খুজব।
[রবিনকে ডাকতে ডাকতে র্যালফের প্রবেশ]
র্যালফঃ রবিন, মেহেরবানি করে একটু এদিকে আসো তো। এক সাহেব ঘোড়া কেনার জন্য অপেক্ষা
করছে। সে চাচ্ছে সব জিনিস ঘষে মেজে পরিষ্কার করে তাকে দেওয়া হোক। কর্তা মার সাথে
এ ব্যাপারে তার অনেক কথা কাটাকাটি হল। তাই কর্তামা তোকে খুঁজে আনতে বললেন। দোহাই তোর, আয় ।
রবিনঃ দূরে
যা, দূরে যা, নইলে টুকরো টুকরো হয়ে হাওয়ায় উড়ে যাবি। তুই সরে যা র্যালফ কারণ
আমি একটা সাংঘাতিক কাজে হাত দিয়েছি।
র্যালফঃ পথে আয় বাবা। ঐ বই দিয়ে তুই কি
করবি? তুই কি আদৌ পড়তে জানিস?
রবিনঃ হ্যা,
আমার কর্তা ও কর্তা মা দেখতে পাবেন যে আমি পড়তে পারি।
র্যালফঃ হ্যারে, রবিন, ওটা কি বই?
রবিনঃ কি বই
শুনবি? এ হল যাদু বিদ্যার সবচেয়ে চমকপ্রদ কেতাব। কোন আগুনে শয়তান এর তুলনায় বিস্ময়কর
বই রচনা করতে পারেনি।
র্যালফঃ ও বই দিয়ে তুই কি হাত সাফাই করতে
পারবি?
রবিনঃ এ
কেতাব দিয়ে আমি সহজেই সব ধরনের কাজ করতে পারব। প্রথমে আমি তোকে বিনা পয়সায় ইউরোপের যে
কোন পানশালার ঝাঝালো মদ খাওয়াব। আমার ভেল্কিবাজির মধ্যে এটা অন্যতম।
র্যালফঃ আমাদের পাদ্রী মশাই তো বলেন এসব কেরামতির কোন মূল্য
নেই।
রবিনঃ র্যালফ,
আমি যা বললাম তা সত্যি । আমি এর চেয়েও বেশী কিছু করতে পারি। আমাদের রান্না-ঘরে নান স্পিট
নামের যে মেয়েটি কাজ করে, তোর কি তাকে মনে ধরে? মনে ধরে থাকলে, তাকে তুই পেয়ে যাবি।
রবিনঃ ওহু
রবিন, তুই চমৎকার মানুষ। আসলেই কি আমি নান স্পিট কে পাব? ঐ ইচ্ছা পূরণ করতে
পারলে আমি, তোর শয়তান যতদিন জীবিত থাকবে ততদিন তাকে নিখরচায় পশুখাদ্য
খাওয়াব।
র্যালফঃ সুপ্রিয় র্যালফ, আর কথা বলিস না।
চল, আগে আমাদের ময়লা বুট জুতোগুলো পরিষ্কার করি । তারপর শয়তানের নাম দিয়ে হাত
সাফাই শুরু করে দিব । [প্রস্থান]
দ্বিতীয়
দৃশ্য
[একটা রুপার পান পাত্র সহ রবিন ও র্যালফের প্রবেশ]
রবিনঃ আয়, র্যালফ।
আমি কি তোকে বলিনি যে ডক্টর ফস্টাসের এই বই চিরকালের মত আমাদের ভাগ্য গড়ে দিবে?
প্রমাণ দেখতে চাস? অশ্ব রক্ষকদের জন্য এমন জিনিস সহজে পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।
যদ্দিন এ কেতাব সাথে আছে তদ্দিন আমাদের ঘোড়াগুলোর আর খড় খাওয়া লাগবে না।
র্যালফঃ রবিন, মদ বিক্রেতা কিন্তু এদিকে
আসছে।
রবিনঃ চুপ,
আমি যাদুবিদ্যা দিয়ে ওকে বোকা বানাব। [মদ বিক্রেতার প্রবেশ] দোকানী ভাই, আশা করি তোমার সব পাওনা আমরা শোধ করেছি।
ঈশ্বর তোমার সহায় হউন। র্যালফ, চলে আয়।
মদ বিক্রেতাঃ
ধীরে জনাব, ধীরে । তোমাদের সাথে একটু কথা আছে। এখনও তোমাদের কাছে এক পাত্র মদের দাম পাওনা আছে। যাবার আগে সেটা দিয়ে যাও।
রবিনঃ র্যালফ,
ব্যাটা বলে কি? আমি নাকি পানপাত্র নিয়েছি। পাজী, বদমাশ আমি তোমাকে ঘৃণা করি। তল্লাশি করে দেখ আমি পাত্র
নিয়েছি কিনা?
মদ বিক্রেতাঃ
তোমার সদয় অনুমতিক্রমে আমি সেটাই করতে চাই? [সে রবিনকে তল্লাশি করল]
রবিনঃ এবার
তোমার বক্তব্য কি?
মদ বিক্রেতাঃ
তোমার সঙ্গীর সাথেও আমার একটু কথা বলা উচিত। ওহে, জনাব, পানপত্র কি তুমি নিয়েছঃ
র্যালফঃ আমি! আমি! মনের আশ মিটিয়ে আমায়
তল্লাশি কর। (মদ বিক্রেতা ওকে তল্লাশি করল) এখন! সৎ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ
আনার জন্য তোমার লজ্জিত হওয়া উচিত।
মদ বিক্রেতাঃ
সে যাই হোক, তোমাদের মধ্যেই কেউ মদের পাত্রটা নিয়েছে।
রবিনঃ
(জনান্তিকে) দোকানী, তুমি মিথ্যাবাদী। মদের পেয়ালা তো, আমার সামনেই রয়েছে। (মদ বিক্রেতার
প্রতি) এই মিয়া শোন, সৎ লোকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার জন্য তোমাকে উচিত শিক্ষা দেব।
একটু দাড়াও—ঐ মদের পাত্রের জন্য তোমার পিছনে লাগব। ভাল চাও তো
এক দিকে সরে দাড়াও। বিলজীবাবের নামে তোমায় আক্রমণ করব। (র্যালফকে গোপনে) র্যালফ, মদের
পাত্রটার দিকে নজর রাখিস।
মদ বিক্রেতাঃ
ওহে, তুমি কি বলতে চাইছ?
রবিনঃ কি
বলতে চাই তা এখনি শুনবে। বইটা থেকে সে পড়তে লাগল) স্যাঙ্কটোবুলোরাম পে
রিফ্লাস্টিকন-দাড়াও মদবিক্রেতাতোমাকে মজা দেখাচ্ছি । (গোপনে র্যালফের প্রতি) র্যালফ, মদের
পেয়ালাটার দিকে খেয়াল রাখিস। (আবার সে পড়ে) পলিপ্রাগমস বেলসিবোরামস ফ্রামান্টো প্যাকোস্টিফস
টষ্ট্র, মেফিস্টোফিলিস ইত্যাদি।
(মেফিস্টোফিলিসের
প্রবেশ - সে ওদের পেছনে আতশ
বাজি নিক্ষেপ করে প্রস্থান করে। ওরা দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে)
মদ বিক্রেতাঃ
ওহু, ঈশ্বর। রবিন, এসবের মানে কি? আমি মানছি যে তোমার কাছে মদের পাত্র নেই।
র্যালফঃ এ পাপস্য পাপ। সুজন মদ ওয়ালা, এই
নাও তোমার জিনিস। [সে মদ বিক্রেতাকে পাত্রটি দেয় ও মদবিক্রেতা প্রস্থান করে]
রবিনঃ আমি ক্ষমা চাইছি। আমি এখন কি করব?
দয়াময় শয়তান এবারের মত আমাকে মাফ করে দাও। আর কখনও তোমার পাঠাগারের বই চুরি করব না।
[মেফিস্টোফিলিসের পুনঃ প্রবেশ।]
মেফিঃ হে
নরকের সম্রাট, আপনার কুহকী আধিপত্যের সম্মুখে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শাসকরাও ভয়ে বিস্ময়ে নত হয়।
হাজারো প্রেতাত্মা আপনার বেদীমূলে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে। এই পাজীগুলোর মস্ত্রোচ্চারণে আমি
বড়ই বিরক্ত বোধ করছি। কেবল এই নচ্ছার গোলাম দুটোকে খুশী করার জন্য আমাকে সুদূর
কনস্ট্যান্টিনোপল থেকে এখানে আসতে হল।
রবিনঃ অ্যা,
আপনি কনস্ট্যান্টিনোপল থেকে এসেছেন? আপনি তো তা হলে দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়েছেন। আপনি
রাতের খাবার কেনার জন্য এই ছয় পেন্স নিয়ে কেটে পড়েন।
মেফিঃ
বদমাশরা, ধৃষ্টতার জন্য তোরা শান্তি পাবি । তোকে বানাচ্ছি উলুক আর তোকে কুকুর। এখন
ভাগ। [প্রস্থান]
রবিনঃ সে
কি? আমি উল্লুক বনে গেলাম। ভালই হল আমি বাচ্চা কাচ্চাদের সাথে মজা করে খেলব আর অনেক বাদাম ও আপেল
খেতে পারব।
র্যালফঃ আমি তো কুকুর হয়ে গেলাম।
রবিনঃ
বিশ্বাস কর, তোর মাথা কখনই সুপের বাটির বাইরে যাবে না। [ওদের প্রস্থান]
তৃতীয়
দৃশ্য
স্থানঃ ইনসব্রুক, সম্রাটের প্রাসাদ
[সম্রাট, ফস্টাস, জনৈক নাইট ও অনুচরদের প্রবেশ]
সম্রাটঃ
আচার্য ডক্টর ফস্টাস কুহকী বিদ্যায় আপনার দখল সম্বন্ধে আমি বিচিত্র খবর পেয়েছি। শুনেছি
আমার রাজ্যে তো নয়ই, সারা পৃথিবীতে যাদু বিদ্যায় আপনার সমকক্ষ কেউ নেই। লোকে বলে,
আপনার আজ্ঞাধীন একটি আত্মা আছে। তার মাধ্যমে আপনি নাকি যা ইচ্ছা তাই সম্পাদন করতে পারেন। তাই আমার
অনুরোধ আপনার কেরামতির কিছু নমুনা প্রদর্শন করুন। তাহলে কানে যা শুনেছি, চোখে
দেখে তা সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারব। আমি আমার রাজমুকুটের নামে শপথ করছি যে আপনি যাই
করুন না কেন সেজন্য আপনার কোন নিন্দা বা ক্ষতি সাধন করা হবে না।
নাইটঃ
(জনান্তিকে) সত্যি বলছি, এই লোকটাকে প্রায় যাদুকরের মতোই দেখাচ্ছে ।
ফস্টাসঃ মহাপ্রাণ সম্রাট, এ কথা স্বীকার না করে পারি
না যে লোকে আমার সম্পর্কে যা প্রচার করেছে তার চেয়ে আমার ক্ষমতা অনেক কম। আপনার
সম্মান বিধানের উপযুক্ত কিছু আমি করতে পারব না। তবু আপনার প্রতি আমার ভালবাসা ও
কর্তব্যবোধ হেতু আপনি আমায় যা আদেশ করবেন তা আমি তৃপ্তিভরে পালন করব।
সম্রাটঃ
ডক্টর ফস্টাস, এখন আমি যা বলি, ভাল করে শুনুন। কোন এক দিন আমি নিজের কক্ষে একাকী
বসেছিলাম। পূর্ব পুরুষদের গৌরবগাথা সম্পর্কিত নানা চিন্তা আমার মনে ভীড় জমাচ্ছিল।
ভাবছিলাম কেমন করে শৌর্য-বীর্যের দ্বারা তারা দুঃসাহসিক কাজ করেছিলেন, বহু রাজ্য পদানত এবং বিপুল বৈভব
করায়ত্ত করেছিলেন। আমরা যারা তাদের উত্তরাধিকারী, কখনই (এ আমার আশঙ্কা) সেই পরিমাণ খ্যাতি
অর্জন করতে পারব না। আমাদের উত্তরসূরীরাও তা পারবে না। মহামতি আলেকজাণ্ডার৪৬ আমার পূর্বসূরীদের
অন্যতম। তিনি জগতের মানব জাতির গৌরবের সর্বশ্রেষ্ঠ উদাহরণ। তাঁর গৌরবময় কীর্তির আলোকচ্ছটায় পুরো দুনিয়া উদ্ভাসিত হয়েছিল। যখনি তাঁর
নাম কেউ উল্লেখ করে, হৃদয় আমার বিষন্ন হয় এই ভেবে যে আমি তাকে কোনদিন দেখিনি। তাই
আপনি যদি আপনার চাতুর্যপূর্ণ ইন্দ্রজাল দ্বারা এই বিখ্যাত বিজয়ী বীরকে তার সমাধি থেকে তুলে আনতে পারেন,
সঙ্গে তার অপরূপা প্রণয়িনীকে আনতে পারেন, এবং তাদের পরিধানে যদি জীবদ্দশায় যে
পোশাক তারা পরতেন সেগুলোই থাকে ও তারা যদি স্ব-আকারে আর স্ব ভঙ্গীতে আসেন তাহলে
আমার ইচ্ছাপূরণ হবে এবং আমি জীবনভর আপনার প্রশংসা করার সুযোগ পাব।
ফস্টাসঃ হে
সদাশয় নৃপতি, আপনার অনুরোধ রাখার জন্য আমি প্রস্তুত তবে ইন্দ্রজাল এবং আমার অনুগত
প্রেতের ক্ষমতা দ্বারা যতটুকু করা সম্ভব আমি তাই করব ।
নাইটঃ
(জনান্তিকে) আমার বিশ্বাস, এটা বড়ই তুচ্ছ কাজ ।
ফস্টাসঃ
কিন্তু, রাজা বাহাদুর একটা কথা। পরলোকগত ঐ দুজন রাজন্যকে সশরীরে আপনার সামনে হাজির করা আমার পক্ষে
সাধ্যাতীত কারণ তাদের দেহ অনেক আগেই ধূলায় মিশে গেছে।
নাইটঃ
(জনান্তিকে) মা মেরীর দিব্যি, মাস্টার ডক্টর; সত্য কথা স্বীকার করায় এখন আপনার ব্যক্তিত্বের
মাঝে একধরনের মাধুর্য প্রকাশ পাচ্ছে।
ফস্টাসঃ
রাজাবাহাদুর, আলেকজাণ্ডার ও তার প্রণয়িনীর অবিকল রূপধারী দুজন প্রেতাত্মা আপনার সামনে হাজির হবে। তারা
তাদের সবচেয়ে সমৃদ্ধিশালী অবস্থায় যেভাবে বিচরণ করতেন এরাও সেভাবেই আপনার সামনে আসবে। সম্রাট যে এ
দৃশ্য দেখে যথেষ্ট আনন্দ পাবেন সে ব্যাপারে আমার কোন সংশয় নেই।
সম্রাটঃ
মাস্টার ডক্টর, যাদু প্রদর্শন শুরু করুন। আমি এখনই তাদের দেখতে চাই ।
নাইটঃ এই যে
মাস্টার ডক্টর, শুনছেন? আলেকজাণ্ডার ও তার স্ত্রীকে জাহাপনার সামনে হাজির করুন।
ফস্টাসঃ যদি
তা পারি তো কেমন হবে?
নাইটঃ যদি
বলি ডায়ানা৪৭ আমাকে হরিণ বানিয়েছিল তবে সে কথা যতটুকু সত্য হবে আপনার দাবীর
সত্যতাও ততটুকু।
ফস্টাসঃ তা
ঠিক নয়, জনাব, ডায়ানা একটিওনকে৪৮ হরিণে রূপান্তরিত করেছিল। কিন্তু একটিওন
মৃত্যুকালে শিং দু খানি আপনার জন্য রেখে গেছে।
[মেফিস্টোফিলিসের প্রস্থান।]
ফস্টাসঃ
আমাকে এমন করে বাধা দেবার জন্য অতি সত্বরই আপনার সঙ্গে আমার মোলাকাত হবে।
সদাশয় সম্রাট এই যে তারা।
(আলেকজাণ্ডার
ও তার প্রণয়িনীর প্রতিরূপধারী দুজন প্রেতাত্মা সহ মেফিস্টোফিলিসের প্রবেশ)
সম্রাটঃ
মাস্টার ডক্টর, আমি শুনেছি যে জীবদ্দশায় এই ভদ্রমহিলার ঘাড়ে একটা আচিল বা তিল ছিল ।
আমি কি করে জানব কথাটা সত্য কিনা?
ফস্টাসঃ
সম্রাট, নির্ভয়ে নিকটে গিয়ে পরখ করুন।
সম্রাটঃ এটা
নিশ্চিত যে এরা প্রেতাত্মা নয় । পরলোকগত রাজন্যদ্বয়ই নশ্বর দেহ
ধারণ করে
অবতীর্ণ হয়েছেন। [প্রেত-প্রেতনীর প্রস্থান]
ফস্টাসঃ রাজাবাহাদুর
এক নাইট কিছুক্ষণ আগে আমার সাথে অনেক ঠাট্টা মস্করা করেছিলেন। তাঁকে কি একটা খবর দেওয়া
যায় ।
সম্রাটঃ
তোমাদের একজন নাইট মহোদয়কে ডেকে নিয়ে এসো। [জনৈক অনুচরের
প্রস্থান] [মাথার উপর একজোড়া শিংসহ নাইটের পুনঃ
প্রবেশ]আরে, আরে এ কি? নাইট মহোদয় আপনার মাথায়
হাত দিয়ে দেখুন তো।
নাইটঃ ওরে
অভিশপ্ত, দুর্ভাগা, ঘূণ্য কুত্তা, অন্ধকার, ভয়াল পর্বত গুহায় বেড়ে উঠা শয়তান! কোন সাহসে
তুই একজন ভদ্রলোককে অপমান করছিস? দুরাত্মা, যা করেছিস তা এখনই দূর কর ।
ফস্টাসঃ
ধীরে, জনাব, ধীরে। এত তাড়া কিসের? আপনার কি মনে পড়ছে না যে সম্রাটের সাথে আলাপ
করার সময় আপনি কিভাবে বাধার সঞ্চার করছিলেন? আমি নিশ্চয়ই তার সঠিক প্রতিদান
আপনাকে দিচ্ছি।
সম্রাটঃ
সহৃদয় মাস্টার ডক্টর, আমার অনুরোধ ওকে ছেড়ে দিন। বেচারা যথেষ্ট অনুতপ্ত হয়েছে।
ফস্টাসঃ
মান্যবর সম্রাট, আপনার সম্মুখে আমায় অপমান করার শোধ তোলার জন্য নয় বরং আপনাকে
কিছুটা আনন্দ দেবার জন্যই এই অন্যায়কারী অমাত্যকে উচিত শিক্ষা দিয়েছি। আমার ইচ্ছা
পূরণ হয়েছে। কাজেই আমি খুশী মনে ওঁকে শিংমুক্ত করে দিচ্ছি। নাইট মহোদয়, এর পর থেকে
জ্ঞানী ব্যক্তিদের সম্বন্ধে শ্রদ্ধার সুরে কথাবার্তা বলবেন । মেফিস্টোফিলিস, এখনি উনাকে ঠিকঠাক করে দাও [
মেফিস্টোফিলিস নাইটের শিং সরায়] সদাশয় রাজাবাহাদুর আমার কর্তব্য শেষ; আমি সবিনয়ে
বিদায় নিচ্ছি।
সম্রাটঃ
বিদায়, মাস্টার ডক্টর। চলে যাওয়ার আগে আপনি আমার কাছে থেকে একটা বড় পুরস্কার
প্রত্যাশা করতে পারেন।
[সম্রাট, নাইট ও অনুচরদের প্রস্থান]
চতুর্থ দৃশ্য
সবুজ ঘাসে
ঢাকা এক মাঠ
ফস্টাস ও
মেফিস্টোফিলিসের প্রবেশ
ফস্টাসঃ
মেফিস্টোফিলিস, সময় শান্ত ও নিঃশব্দ পদক্ষেপে বিরামহীন ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবেই
আমার কর্মমুখর জীবনের সুতা৪৯ ও পরিধি ছোট হয়ে আসছে। সময়ের এখন দাবী আমার জীবনের
বাকী বছরগুলো। তাই, প্রিয় মেফিস্টোফিলিস, চল আমরা ত্বরা করে উইটেনবার্গে যাই ।
মেফিঃ তা
তুমি যাবে কিভাবে? ঘোড়ায় চেপে না পায়ে হেঁটে?
ফস্টাসঃ না,
এই সুন্দর, সবুজ মাঠের শেষ সীমায় না পৌছা পর্যন্ত আমি পায়ে
হেঁটেই যাব।
[এক অশ্ব ব্যবসায়ীর প্রবেশ]
ব্যবসায়ীঃ
আজ সারাদিন ধরে মাস্টার ফাস্টিয়ান নামের এক লোককে খুঁজে বেড়িয়েছি। হা ঈশ্বর, ঐ তো
তিনি। মাস্টার ডক্টর, ঈশ্বর আপনাকে রক্ষা করুন।
ফস্টাসঃ
তুমি কে? অশ্ব ব্যবসায়ী? যাক, তোমার সাথে দেখা হয়ে ভালই হল।
ব্যবসায়ীঃ
স্যার, আপনি কি আমার কথা শুনছেন? আপনার ঘোড়া কেনার জন্য আমি চল্লিশ ডলার এনেছি।
ফস্টাসঃ ঐ
দামে আমি ঘোড়া বেচব না। যদি ঘোড়াটা পছন্দ হয়ে থাকে তবে পঞ্চাশ ডলার দিয়ে কিনে নাও।
ব্যবসায়ীঃ
স্যার, আমি দুঃখিত। আমার কাছে আর টাকা নেই। (মেফিস্টোফিলিসের প্রতি) দোহাই তোমার, আমার হয়ে দুটো কথা
বল।
মেফিঃ
অনুগ্রহ করে ওকে ঐ দরেই ঘোড়াটা দিয়ে দাও। লোকটা সৎ। ওর ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব কারণ
ওর বৌ বাচ্চা কিছুই নেই।
ফস্টাসঃ বেশ, এদিকে এসো, টাকাগুলো আমায় দাও। (অশ্ব-ব্যবসায়ী
ফস্টাসকে অর্থ প্রদান করে) আমার অনুচর ঘোড়াটা তোমার কাছে হস্তান্তর করবে। কিন্তু ঘোড়াটি
তুমি পাবার আগে একটা কথা তোমায় বলে দেওয়া আমার উচিত। কথাটা হল যে কোন অবস্থায়ই ওর
পিঠে চড়ে জলে নামবে না।
ব্যবসায়ীঃ
কেন স্যার, এ ঘোড়া কি সব জায়গার জল খায় না?
ফস্টাসঃ ওর
পিঠে চেপে খানা খন্দ পেরোতে পার, যেথা ইচ্ছা সেথা যেতে পার কিন্তু জলে নেমো
না।
ব্যবসায়ীঃ
ভালই হল স্যার। আমার চিরদিনের মত একটা হিল্লে হয়ে গেল। আমার ঘোড়া আমি কদাচ
চল্লিশ ডলারের বিনিময়ে হাত ছাড়া করব না। ঘোড়াটা যদি কেবল তা ধিন, তা ধিন বোলেও গান
গাইতে পারে তবুও ওর সাহায্যে আমি ভাল মাল কড়ি কামাতে পারব। যাক, ঈশ্বর আপনার সহায়
হউন, স্যার। আপনার অনুচরই তো ঘোড়াটা আমায় দিয়ে আসবে। কিন্তু স্যার একটা কথা শুনুন,
যদি আমার ঘোড়াটার কখনো কোন রোগ বালাই হয়। তবে আপনি রোগটার নাম আমাকে বলে দিবেন
তো?'
ফস্টাসঃ দূর
হ শয়তান। তুই কি ভেবেছিস আমি ঘোড়ার ডাক্তার। [অশ্ব ব্যবসায়ীর প্রস্থান] ফস্টাস, তুমি তো
মৃত্যুদণ্ডাজ্ঞা প্রাপ্ত একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু নও। তোমার আয়ুষ্কাল শেষ হতে চলেছে।
হতাশা তোমার চিন্তা চেতনার মাঝে সংশয়ের দোলা দিচ্ছে। এই অস্থিরতা প্রশমনের জন্য তুমি
শান্তিতে একটু ঘুমাও। ধ্যাৎ, চিন্তার কি আছে? যীশু ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার সময়েও চোরকে দয়া দেখিয়েছেন। কাজেই,
বিশ্রাম নাও আর মনটাকে শান্ত কর।
[বিলাপ করতে করতে অশ্বব্যবসায়ীর প্রবেশ। তার সর্বাঙ্গ
ভিজা]
ব্যবসায়ীঃ
হায়, হায় সে কি বলেছিল যে তার নাম ডক্টর ফাস্টিয়ান। কসম কেটে বলছি ডক্টর লোপাস৫০
কখনো এমন ধরনের ডাক্তার ছিলেন না। এই লোকটা আমায় ধোকা দিয়েছে। আমার চল্লিশ
ডলার খসিয়ে দিয়েছে। ঐ অর্থের মুখ আর কখনও দেখতে পাব না। আমিই গাধার মত কাজ করেছি। ঐ লোকটার কথা মত
চলিনি। সে আমায় পানির মধ্যে দিয়ে ঘোড়া চালাতে নিষেধ করেছিল। আমি ভেবেছিলাম,
ঘোড়াটার নিশ্চয়ই কোন দুর্লভ গুণ আছে যা লোকটা আমায় জানাতে চায় না। ফলে আমিও ডানপিটে যুবকের মতো ঘোড়ায় চেপে
শহরের শেষ প্রান্তের গভীর পুকুরটায় নেমে পড়লাম। যেই না পুকুরের মধ্যখানে পৌছেছি
ঘোড়াটা উধাও হয়ে গেল। দেখি কি আমি এক খড়ের গাদার উপর বসে আছি। আর একটু হলেই ডুবে যেতাম। জীবনে এমন
পরিস্থিতিতে পড়িনি। কিন্তু আমি ডাক্তার সাহেবকে খুঁজে বের করে ঐ চল্লিশ ডলার আদায়
করে নিবই। টাকা না দিলে এই ঘোড়ার জন্য ডাক্তারকে চরম খেসারত দেওয়াব। আরে, ঐ যে
তার চাকরটা আসছে। এই
শুনছ? এই বাজিকর, তোমার মনিব কোথায়?
মেফিঃ এই যে
জনাব, তুমি কি চাও? এখন তো উনার সাথে কথা বলতে পারবে না।
ব্যবসায়ীঃ
কিন্তু আমার তো তার সাথে কথা বলতেই হবে।
মেফিঃ কেন?
তিনি তো গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। তুমি বরং অন্য কোন সময় এসো।
ব্যবসায়ীঃ
আমি এই মুহুর্তে তার সাথে কথা বলব। তা না পারলে ওর কানের কাছে জানালার কাচ
ভাঙ্গব।
মেফিঃ আমার
কথাটাই শোন। তিনি গত আট রাত ঘুমান নি ।
ব্যবসায়ীঃ
উনি যদি আট সপ্তাহও না ঘুমিয়ে থাকেন তবু আমি তার সাথে আলাপ করব।
মেফিঃ ঐ
দেখ, তিনি ওখানে গভীর নিদ্রায় নিদ্রিত ।
ব্যবসায়ীঃ হ্যা, ঐ তো তিনি। মাস্টার ডক্টর,
ঈশ্বর আপনাকে বাঁচিয়ে রাখুক। ও মাস্টার ডক্টর, ও মাস্টার ডক্টর ফাস্টিয়ান। শুনছেন? চল্লিশ
ডলার, এক গাদা খড়ের বিনিময়ে আপনি চল্লিশ ডলার নিয়েছেন।
মেফিঃ কেন
দেখছ না যে তিনি তোমার কথা শুনতে পারছেন না।
ব্যবসায়ীঃ
হেই, হেই! এই শুনছেন [সে ফস্টাসের কানের কাছে চেঁচায়] বটে, আপনি তবে জাগবেন না? আপনাকে না জাগিয়ে আমি এই স্থান ত্যাগ
করব না। [সে ফস্টাসের পা ধরে টান দেয় এবং দেহ
থেকে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।] হায়, সর্বনাশ হয়ে গেল। এখন আমি কি করি?
ফস্টাসঃ
হায় হায়, আমার পা, আমার পা! মেফিস্টোফিলিস, সাহায্য কর আমায়। পুলিশ ডাক, ও আমার
পা নিয়ে গেল। আমার পা!
মেফিঃ আয়
শয়তান, তোকে পুলিশে দেব।
ব্যবসায়ীঃ
হায় ঈশ্বর! হুজুর, দোহাই আপনার, আমায় ছেড়ে দিন। আমি আপনাদের আরো চল্লিশ ডলার
দিব।
মেফিঃ
টাকাগুলো কোথায়?
ব্যবসায়ীঃ
আমার সাথে এক কানাকড়িও নেই। তুমি বরং আমার সরাইখানায় যেও। তখন আমি টাকাটা
দিয়ে দিব।
মেফিঃ
তাড়াতাড়ি বিদেয় হও। [অশ্ব ব্যবসায়ী দৌড়ে পালাল]
ফস্টাসঃ
লোকটা কি চলে গেছে? ওর যাত্রা শুভ হোক। ফস্টাস তার পা ফেরত পেয়েছে। আর ঘোড়া
বেচনেওয়ালা এত খাটুনির পর পেয়েছে এক গাদা খড়। মোদ্দা কথা, এই ইন্দ্রজাল দেখা বাবদ তাকে আরো চল্লিশ ডলার খরচ করতে হবে।[ওয়াগনারের প্রবেশ] আরে, ওয়াগনার তুমি এখন কোথা থেকে এলে। বল, কি খবর এনেছ?
ওয়াগনারঃ
স্যার, মান্যবর ডিউক অভ ভ্যানহোল্ট আপনার সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য খুবই
আগ্রহী।
ফস্টাসঃ কে,
ভ্যানহোল্টের ডিউক! তিনি একজন সম্মানিত ভদ্রলোক। তার কাছে আমি আমার কেরামতি দেখাতে কোনই কসুর
করব না। চল, মেফিস্টোফিলিস তার কাছেই যাওয়া যাক। [প্রস্থান]
পঞ্চম
দৃশ্য
ডিউক অভ
ভ্যানহোল্টের দরবার
[ভ্যানহোল্টের ডিউক ও ডাচেস এবং ফস্টাসের প্রবেশ]
ডিউকঃ
বিশ্বাস করুন মাস্টার ডক্টর, আপনার মজাদার যাদু দেখে আমি যার পর নাই
আনন্দিত
হয়েছি।
ফস্টাসঃ
দয়াময় প্রভু। আপনি এতে তৃপ্ত হয়েছেন দেখে আমিও খুশী হয়েছি। কিন্তু ম্যাডাম, মনে হচ্ছে
আপনি এসব ক্রিয়াকলাপ দেখে কোনই আনন্দ পাননি। শুনেছি মাঝে মাঝে মহিলারা কোন কোন
ধরনের সুস্বাদু খাবার খেতে চান। ম্যাডাম, আপনার কি পছন্দ আমায় বলুন। আপনি সেটা
অবশ্যই পেয়ে যাবেন।
ডাচেসঃ
ধন্যবাদ, মাস্টার ডক্টর। যেহেতু লক্ষ্য করছি যে আমাকে খুশী করার জন্য আপনি আন্তরিকভাবে
আগ্রহী তাই আমি আমার মনের কামনা গোপন রাখবনা। এটা জানুয়ারী মাস, কনকনে শীতের
সময়। যদি এখন গ্রীষ্মকাল হতো, তবে এক থালা আঙুর আস্বাদনের সুযোগের চেয়ে ভাল কিছু চাইতে পারতাম না।
ফস্টাসঃ আহা
ম্যাডাম, এ তো সামান্য ব্যাপার। মেফিস্টোফিলিস, রওনা হয়ে যাও। [মেফিস্টোফিলিস
বেরিয়ে গেল] আপনি যদি এর চেয়েও দামী কিছু চাইতেন তবে আপনার সন্তুষ্টির জন্য তা
আপনাকে পাইয়ে দিতাম। (আঙ্গুর নিয়ে মেফিস্টোফিলিসের পুনঃ প্রবেশ) ম্যাডাম, এই নিন। একটু খেয়ে দেখবেন কি?
ডিউকঃ
বিশ্বাস করুন, মাস্টার ডক্টর, আপনার এ কীর্তিই আমাকে সবচেয়ে অবাক করেছে। জানুয়ারী
মাসের এই প্রচণ্ড শীতের ভেতর আপনি এই আঙ্গুর কেমন করে যোগাড় করলেন।
ফস্টাসঃ
মান্যবর ডিউক, আপনার সন্তুষ্টির জন্য বলছি যে সমগ্র দুনিয়ায় একটি পূর্ণবর্ষ দুই
গোলার্ধে ভাগ করা আছে। তাই আমাদের এখানে যখন শীত, তখন বিপরীত গোলার্ধে অর্থাৎ ভারত ও
সারা দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোয় গ্রীষ্মকাল বিরাজমান। আমার আজ্ঞাবাহী এক দ্রুতগামী
প্রেতাত্মার দ্বারা এগুলো এখানে আনিয়েছি। ম্যাডাম, আঙ্গুরগুলো আপনার পছন্দ হয়েছে কি? এগুলো
কি মুখরোচক।
ডাচেসঃ
মাস্টার ডক্টর সত্যিই বলছি আমি জীবনে এর চেয়ে সুস্বাদু আঙ্গুর খাইনি।
ফস্টাসঃ ম্যাডাম,
আঙ্গুরগুলো খেয়ে আপনি এতটা তৃপ্ত হওয়ায় আমি আনন্দিত।
ডিউকঃ এই
চল, ভিতরে যাই। এই বিদ্বান ব্যক্তিটি তোমার প্রতি যে বদান্যতা দেখিয়েছেন সেজন্য
তোমার তাকে অবশ্যই পুরস্কৃত করা উচিত।
ডাচেসঃ হ্যা, জাহাপনাআমি তা করব। যদ্দিন
বেঁচে থাকব, এই শিষ্টাচারের জন্য ওঁর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।
ফস্টাসঃ
মাননীয়া ডাচেস, আপনি আমার বিনম্র ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।
ডিউকঃ আসুন
মাস্টার ডক্টর, আমাদের সাথে আসুন এবং আপনার পুরস্কার গ্রহণ
করুন।
[প্রস্থান]
No comments:
Post a Comment