On his blindness by John Milton - Simplified bengali word meaning, summary and analysis- অন হিজ ব্লাইন্ডনেস বাংলা সরল অর্থ, সারমর্ম, ও আলোচনা
অন্যান্য লিঙ্কসমূহ: ১। ইংরেজী মূল টেক্সট, অনুবাদ ও শব্দার্থ [বাংলায়] ২। জন মিল্টনের জীবন ও কর্মসমূহ [বাংলায়]
সরল অর্থ
প্রথম
স্তবক: মধ্যবয়সে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে কবি মিল্টন ব্যথিত, বিস্মিত তাঁর কাব্য
প্রতিভা তখনো সম্পূর্ণ
বিকশিত নয় এই ভেবে। তার চেতনার গভীরে সুপ্ত সে সব অপ্রকাশিত অনুভূতির কথা ভেবে কবি বিস্মিত, ব্যথিত হলেও
হতাশ নন মোটেও। ঈশ্বর বিশ্বাসে অচল
ভক্তি কবির আতশক্তিকে, আত্মবিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করেছে।
দ্বিতীয়
স্তবক: দৃষ্টিশক্তি হারিয়েও কবি ঈশ্বর বিশ্বাসে বিচ্যুত নন। ঈশ্বর বিশ্বাসে তিনি। অবিচল। দৃষ্টিশক্তিহীন কবি তাই তার কাব্য প্রতিভা দিয়েই
ঈশ্বরের সেবা করে যাবেন স্থির করেন, কারণ ঈশ্বর একদিন কবির সব কাজের হিসাব
নেবেন। কবি নিজেকে প্রশ্ন করেন, ঈশ্বর কি তাকে অন্ধত্বের জন্য কোনো করুণা
দেখাবেন? কিন্তু কবি সব শেষে ধৈর্যশীল হন।
তৃতীয়
স্তবক ও শেষ স্তবক: কবি দ্বিতীয় স্তবকে নিজেকে করা প্রশ্নের উত্তর নিজেই দেন, ঈশ্বর এত মহান যে, মানুষের সেবার তার তেমন কোন প্রয়োজন হয় না। মানুষের
ধৈর্য ধারণই উত্তম ঈশ্বর সেবা। কারণ সহস্র দেব-দূত ঈশ্বর সেবায় অবিশ্রান্তভাবে নিয়োজিত। ধৈর্যবান
মানুষই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সেবক। কোনো
অভিযোগহীন মানুষের ঈশ্বরে নিঃশর্ত
সমর্পণই ঈশ্বরের শ্রেষ্ঠ সেবা। কবি এভাবেই
নিজেকে প্রবোধ দেন।
সারাংশ
কবিতার শুরুতে
কবি ঈশ্বরের কাছে অভিযোগ করেছেন যে, তিনি অর্ধজীবন। অতিবাহিত হওয়ার পূর্বেই কবিকে অন্ধ করে দিয়েছেন। এই
বিশাল পৃথিবীটা তাঁর কাছে এখন অন্ধকার।
ফলে যে কাব্য প্রতিভা ঈশ্বর কবিকে দিয়েছেন তা এখন অব্যবহৃত, যদিও কবির ইচ্ছা কাব্য লেখার মাধ্যমে ঈশ্বরকে
সেবা করার, কিন্তু অন্ধত্বের কারণে সে
তা পারছে না। যখন ঈশ্বরের কাছে জবাবদিহিতা করতে হবে, তখন এই অব্যবহৃত কাব্য প্রতিভার জন্য কবি ঈশ্বরের কাছে
তিরস্কার পাবেন। তারপরও ব্যথাতুর
মনে কবির আন্তঃজিজ্ঞাসা ‘অন্ধ হওয়ার পরও কি ঈশ্বর তার দানের সঠিক হিসাব নিবেন।'
পরক্ষণেই কবি বুঝতে পারেন যে,
ঈশ্বরের মানুষের সেবা বা উপহারের
কোনো প্রয়োজন নেই। সহস্র দেবদূত তার অধীনে এবং ঈশ্বরকে আদেশ পালন করতে ধৈর্য সহকারে অপেক্ষারত। তারা কোনো অভিযোগ না
করেই ঈশ্বরকে সর্বোত্তম সেবা
দিচ্ছে। তাই কবিও মনে করেন, মানুষের নিজেকে ঈশ্বরের নিকট সমর্পণ করতে হবে অভিযোগহীন ভাবে।
কাব্যিক
মূল্যায়ন
মিল্টনের ব্যক্তি জীবনে অন্ধত্বের অসহায়ত্ব নিয়ে বর্তমান
সনেটটি রচিত। জীবনের অর্ধেক না পেরুতেই
দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিল্টন অন্ধ হয়ে যান। ঈশ্বরে দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে মিল্টন মনে করেন তার কাব্য প্রতিভা ঈশ্বর সেবায় আরো নিবেদিত হওয়া উচিত অন্যথায়, ঈশ্বর তাঁর প্রদত্ত প্রতিভার প্রকাশ না দেখে,
মিল্টনের কাছে তার জবাব চাইবেন
একদিন। তখন তার কী জবাব দেবেন তা ভেবেই কবি ব্যাকুল। কবি নিজেই আবার আলোচ্য কবিতাটিতে তার উত্তরে বলেন : ঈশ্বর এত মহান,
এত উদার যে তিনি তার অনুকম্পার
প্রতিদান চান না। বিষয়টিই প্রকাশিত বর্তমান
সনেটটিতে।
সনেট রচনায়
মিল্টন পেত্রাকান ধারারই অনুসারী যদিও
মিল্টনের পূর্বে অনেক সনেট রচয়িতা
শেক্সপিয়রীয় ধারার অনুসরণ করেন। মিল্টন পেত্রাকান ধারা অবিকল অনুকরণ করেননি অবশ্য। পেত্রাকান বা ইতালীয় সনেট
পরিষ্কারভাবে octave (অষ্টক) ও sestet (ষটকে) বিভক্ত ছিল। অষ্টকে যে ভাবের অবতারণা করা হতো তা অষ্টকেই শেষ হয়ে যেত, ষটকে সে ভাবের উপসংহার টানা হতো।
অষ্টক ও ষটকের ছন্দ বিন্যাস থাকত ভিন্ন রকম। কিন্তু মিল্টন তার অষ্টক ও ষটককে এমনভাবে সুস্পষ্ট না করে বরং দুটি ভাগকে একত্রিত করেছেন। অষ্টকের শব্দ
বিন্যাস ঘটক পর্যন্ত গড়িয়েছে মিল্টনের
সনেটে। উদাহরণস্বরূপ,
Doth god
exact day-labour, light denied
I fondly
ask; but patience to prevent
That
murmur, soon replies, God doth not need
“prevent” শব্দটি দিয়েই অষ্টক শেষ হয় কিন্তু বাক্য বিন্যাস শেষ
হয় না, ষটকে গিয়ে বাক্য শেষ
হয়। পেত্রাকান সনেটে অষ্টকেই বাক্য শেষ হয়ে যায়। মিল্টনের সনেট সাধারণত প্রচলিত iambic pentameter ধারারই অনুসারী।
যদিও কিছু ব্যতিক্রম দেখা
যায়। যেমন :
And
that/one tal/ ent which/ is death/ to hide
Lodged
with/ me use / less though / my soul / more lent.
এই
উদাহরণটিতে প্রথম পক্তিটি iambic pentamenter কিন্তু দ্বিতীয় পংক্তির প্রথম
syllable-টি একটি trochee, পরবর্তীগুলো আবার এক একটি ‘iamb’।
পেত্রাকান
সনেটের সঙ্গে মিল্টনের সনেটের এরকম কিছু পার্থক্য লক্ষণীয়। মিল্টনের সনেটটির অলঙ্করণ পদ্ধতি কবিতাকে বর্ণনায়,
ব্যাঞ্জনায় সমুজ্জ্বল করে তোলে। মানুষের নৈতিকতাকে তিনি ব্যক্তিত্বারোপ করেন
(personify) করেন, যেমন, ধৈর্য তাকে
যে প্রশ্ন করে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে তার উত্তর দেন। কবি অত্যন্ত দক্ষতায় শব্দ ও শব্দগুচ্ছ চয়ন করেন—“dark world and wide, “death to hide”, “chide”,“post over”, “stand and wait” সনেটটির ভাব প্রকাশকে বেগবান করে তোলে ।
No comments:
Post a Comment