Nun's Priest's Tales Bangla Translation - নানস প্রিস্টস টেল বাংলা অনুবাদ পর্ব ১ |
nun's
priest tale
Nun's Priest's Tales Bangla Translation - নানস প্রিস্টস টেল বাংলা অনুবাদ পর্ব ১
ভূমিকা
ভূমিকা
মহোদয়[ভিক্ষু], এবার থামুন দেখি, যথেষ্ট হয়েছে,
এগল্পের আর দরকার নেই, বললেন নাইট।
এগল্পের আর দরকার নেই, বললেন নাইট।
অনেক
বলেছেন
আপনি,
বাড়িয়েও বলেছেন, কারণ
প্রায়
সব
মানুষের
জন্য
একটু
বেদনাই
যথেষ্ট
বলে
মনে
হয়
আমার
কাছে।
আমার
দিক
থেকে
আমি
বলছি
যে,
যেসব
মানুষদের
অনেক
সহায়-সম্পদ
আর
ভোগের
সামগ্রী
ছিল,
তাদের
ভাগ্যের
চাকাটা
হঠাৎই
উল্টে
যাওয়ার
কাহিনী
শোনাটা
বড়ই
দুঃখের।
কিন্তু
এর
উল্টোটা
শোনা
বেশ
আনন্দজনক
আর
তা
হলো
একটা
মানুষ
যখন
চরম
দরিদ্রতা
থেকে
ক্রমে
উপরে
আরোহণ
করে
পরম
সুখে
জীবন
যাপন
করে।
আমার
কাছে
এমন
কাহিনীই
মনোহরণকারী
এমন
গল্প
কেউ
পরিবেশন
করলেই
ভালো
হয়।
হ্যাঁ,
যথার্থই
বলেছেন,
বললেন
সরাইখানার মালিক।
সেন্ট
পলের
ঘন্টা
সাক্ষী
রেখে
বলছি,
আপনি
সত্যি
কথাটাই
বলেছেন,
এই
ভিক্ষু
বড়
বেশি
বক
বক
করেন।
ভাগ্য
কীভাবে
কালো
মেঘের
আবরণে
ঢাকা
পড়ে,
এটা
বলেছেন
তিনি
। একটা
বিয়োগান্তক কাহিনীও আপনারা একটু আগে শুনেছেন।
মহান
ঈশ্বরই
বলতে
পারেন,
যা
ঘটে
গেছে
সেটা
নিয়ে
আর
দুঃখ
করে
কোনো
ফায়দা
হবে
না।
আর
তাছাড়া
আপনিই
বলেছেন
এমন
বেদনাদায়ক কাহিনী শ্রবণ করাটা বড়ই
হৃদয়বিদারক ব্যাপার।
ভিক্ষু মহোদয়,
মহান
ঈশ্বর
আপনার
মঙ্গল
করুন।
এ
গল্পটি
এখানেই
বন্ধ
করা
উচিত।
আপনার
গল্প
শুনে
আমাদের
দলের
সবাই
যারপরনাই
বিরক্ত।
এসব
কাহিনীর
কোনো
দাম
নেই,
কারণ
এসব
কাহিনীতে
না
আছে
কোনো
গাম্ভীর্যতা না আছে কোনো হাস্যকৌতুকের জোগান।
অতএব,
ভিক্ষু
মহোদয়
কিংবা
ডন
পিয়ারস,
আপনার
নাম
যাই
হোক
না
কেন,
আমার
বিনীত
প্রার্থনা, আপনি
অন্য
কোনো
কাহিনী
পরিবেশন
করুন।
সত্যি
কথাটা
হল,
স্বর্গলোকের যে রাজা আমাদের জীবন চালিত করছেন।
তার
দোহাই,
আপনার
ঘোড়ার
লাগামের
সাথে
লাগানো
ঘুষ্ঠির
যে
ঠুংঠাং
আওয়াজ
হচ্ছে
সেটা
না
বাজলে
আমি।
হয়ত
বহু
পূর্বেই
ঘুমের
ঘোরে
ঘোড়া
হতে
নিচে
পড়ে
যেতাম,
যদিও
কর্দমাক্ত পথ খুব একটা খাদযুক্ত নয়।
সেটা
হলে
আপনার
কাহিনীটা
একেবারেই
মাঠে
মারা
যেত।
কারণ
যাজকগণ
যেমন
বলেন,
এটা
নিশ্চিত
যে,
বক্তার
সামনে
যদি
শ্রোতা না থাকে তাহলে বাণী
প্রচার
করে
লাভটা
কী
। কিন্তু
আমি
এটা
ভালো
করেই
জানি
যে,
সুন্দর
করে
কিছু
পরিবেশিত
হলে
তার
প্রশংসা
করার
মত
ক্ষমতাটা
আমি
রাখি।
তাই,
আপনার
প্রতি
আমার
বিনীত
অনুরোধ,
আপনি
শিকার
সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলুন।
ভিক্ষু বললেন,
না,
হাসিঠাট্টা করার কোনো আগ্রহ আমার নেই।
আমার
গল্প
আমি
পরিবেশন
করেছি।
এবার
অন্য
কেউ
তার
কাহিনী
পরিবেশন
করুক।
এরপর
সরাইখানার মালিক সাহস সঞ্চয় করে
সোজাসুজি
সন্ন্যাসিনীর পুরোহিতকে বলল, পুরোহিত
মহোদয়,
নিকটে
আসুন,
স্যার
জন,
আপনিও
আসুন।
আমাদের
অন্তরটাকে খুশিতে উদ্বেলিত করে এমন
কোনো
কিছু
পরিবেশন
করুন যদিও
আপনি
একটা
টাট্টু ঘোড়ায় চলেছেন, তবুও হাসি আর রঙ্গতামাসায়।
মেতে
উঠুন।
আপনার
ঘোড়াটা
একটুখানি।
ময়লা
আর
হাড়জিরজিরে, তাতে কোনো সমস্যা নেই।
সে
আপনাকে
সেবা
দিতে
পারলেই
তো
হল।
শুধু
খেয়াল
রাখবেন
মনটা
যেন
খুশিতে
সদা
ভরপুর
থাকে।
সন্ন্যাসিনীর পুরোহিত বললেন, যথার্থই বলেছেন, আমি
যদি
কাজের
মাঝে
হাসিখুশি
ভাবটা
ধরে
রাখতে
পারি
সে
দোষটা
নিশ্চয়
আমারই।
সাথে
তিনি
শুরু
করলেন
তার
গল্প,
এই
সহৃদয়
পুরোহিত
এই
মহৎ
মানুষ
স্যার
জন
তার
এ
কাহিনীটা
শোনালেন।
এখন
আরম্ভ
হচ্ছে
সন্ন্যাসিনীর পুরোহিতের পরিবেশিত
মোরগ
ও
মুরগী
চ্যান্টিক্লিয়ার ও পার্টেলোটের গল্প
গল্পর শুরুঃ
পূর্ণবয়স্কা এক গরিব বিধবা একদা পাহাড়ি একটি ছোট
পূর্ণবয়স্কা এক গরিব বিধবা একদা পাহাড়ি একটি ছোট
উপত্যকার
কোল
ঘেষা
মনোরম
বাগিচার
পাশে
ছোট
একটি
গৃহে
বাস
করত।
আমার
এ
গল্প
যে
বিধবাকে
অবলম্বন
করে
সে
বিধবা
তার
স্বামী
গত
হওয়ার
পর
থেকেই
খুবই
ধৈর্যসহকারে একেবারে সাদামাটা
জীবন
যাপন
করত,
কারণ
তার
এত
বেশি
জমিজমা
আর
সম্পদরাজি ছিল না। মহান ঈশ্বর তাকে যা
প্রদান
করেছেন
সেগুলোকে
সঠিকভাবে
ব্যবহার
করে
।
দুটি
মেয়েকে
নিয়ে
জীবন
নির্বাহ
করত।
তিনটি
বড়
শূকর
সহ
তার
ছিল
তিনটি
গরু
আর
মলি
নামের
একটি
ভেড়া।
বসার
ঘরটা
ছিল
তার
একেবারে
ময়লাখুলে ভর্তি,
আর
প্রধান
যে
কামরাটিতে সে খাবার খেত সেটাও
ছিল
তেমনি
কালিঝুলিতে
ঠাসা
। তার
কড়া
কোনো
আচারের
দরকার
ছিল
না,
দামি
কোনো
খাবার
ছাড়াই
তার
দিব্যি
চলে
যেত কারণ
সে
নিজের
আয় রোজগার
অনুযায়ী
ব্যয়
করত।
মাত্রাতিরিক্ত
আহার
করার
ফলে
সে
অসুস্থ
হত
না,
যতটা
দরকার
ততটা
আহার,
শরীরচর্চা আর নির্মল মনমানসিকতা
এসবই
ছিল
তার
প্রধান
ঔষধ।
বাতের
কারণে
তার
নাচ
থেমে
থাকত
না,
ফিটের
ব্যামো
তার
মস্তিষ্কের কোনো সমস্যা
করত
না।
লাল
অথবা
সাদা
কোনো
মদই
সে
স্পর্শ
করত
না;
সাদা
আর
কালোতে
তার
টেবিলটা
সজ্জিত
হত,
বিশেষ
করে
সাদা
দুধ
আর
কালো
রুটিতে,
এ
দুটোর
কোনোই
অভাব
ছিল
না
তার,
তার
সাথে
থাকত
সেঁকা
শূকর
মাংস,
মাঝেমধ্যে একটি কি দুটি ডিম আর মাঝে
মধ্যে
সে
নিজে
দুধ
দোহনের
কাজটাও
করত
।
তার
ছিল
একটি
ফার্ম,
চারপাশে
বেড়া
দেয়া, পাশেই
ছিল
একটা
শুকনো
খাদ,
সেখানে
ছিল
একটা
মোরগ,
নাম
তার
চ্যান্টিক্লিয়ার, কুকুরু কু ডাকের বেলায়
তার
সমকক্ষ
মোরগ
এ
তল্লাটে
একটিও
ছিল
না।
গির্জার
প্রার্থনা সভায় যে অর্গানে সুর তোলা হয়।
সেই
অর্গানের
সুরের
চাইতেও
মধুর
ছিল
তার
গলার
আওয়াজ।
আর
খোয়াড়ে
বসে
সে
যখন
ডাক
ছাড়ে
সেটা
যেকোনো
বড়
ঘড়ির
আওয়াজ
কিংবা
মঠে
রক্ষিত
ছোট
ঘড়ির
আওয়াজের
চাইতে
কোনো
অংশে
কম
নয়।
দিন
রাত্রির
আবর্তনের
প্রতিটি
প্রহর
সে
স্বভাবগত
কারণেই
বুঝতে
পারত,
পনেরো
ডিগ্রি
উঠতেই
সে
এমন
নির্ভুল
নিয়মে
ডাক
দিত
যে,
এর
চাইতে
সঠিক
আর
কোনো
কিছু
হতে
পারে
না।
ঝুঁটিটা তার উৎকৃষ্ট মানের প্রবালের চাইতেও অধিক লাল
আর
দেখতে
সেটি
দুর্গের
গমুজের
মতই,
ঠোট
দুটো
তার
মিচমিচে
কালো
আর
দ্যুতিময়, পা আর
ঠ্যাং
দুটো
আকাশি
রঙের,
পায়ের
নখগুলো
পদ্মফুলের চাইতেও অধিক শুষ্ক, পালকগুলো
যেন
একেবারে
ঝকঝকে
পালিশ
করা
স্বর্ণের
মত।
এই
অপরূপ
মোরগটির
আওতায়
ছিল
সাতটি
মুরগি
। মোরগের
আদেশ মাফিক
তারা
সব
কাজকর্ম
করত।
এই
মুরগিগুলো
সকলেই
ছিল
মোরগটির
একাধারে
বোন,
প্রেমিকা। প্রত্যেকটি মুরগির গায়ের রঙ অবিকল
তারই
মত
। মোহনীয়
গলার
রঙ
যে
মুরগিটার
তার
নাম
হল
ডাময়জেল পার্টেলোট, সে
খুবই
নম্র
ভদ্র
আর
বিচার
বুদ্ধি
সম্পন্ন
অত্যন্ত
রুচিবান
একজন
উত্তম
সঙ্গিনী।
মাত্র
সাত
রাত
বয়স
থেকেই
তার
আচার
আচরণ
আর
চলাফেরা
এতটাই
মার্জিত
যে
এটা
দ্বারাই
সে
চ্যান্টিক্লিয়ারের মনটাকে তার মাঝে তালাবদ্ধ করে
রেখেছিল
। নিজের
কল্যাণের
জন্যই
চ্যান্টিক্লিয়ার তাকে
মনেপ্রাণে ভালোবাসত । সূর্যোদয়কালে ওদের
দুজনের
গাওয়া
‘আমার ভালোবাসা এই ভূমিতে হাটে’ এ
গানটি
শোনা
খুবই
আনন্দদায়ক ব্যাপার । শোনা যায় সেকালে পশু
পাখিরা
গান
গাইতে
পারত,
কথাও
বলতে
পারত
।
এরপর
একদিন
ভোরবেলায় চ্যান্টিক্লিয়ার তার
সকল
প্রেমিকাদের সাথে নিয়ে পার্টেলোটকে ডানে
রেখে
হলঘরের
দাড়টাতে
এসে
বসেছে,
ঠিক
সেই
সময়
ঘুমের
ঘোরে
খারাপ
স্বপ্ন
দেখে
মানুষের
গলা
থেকে
যেমন
গো
গো
আওয়াজ
বের
হতে
থাকে,
চ্যান্টিক্লিয়ার তেমন গো গো শব্দ করতে লাগল। তার
এমন
আওয়াজ
শুনে পার্টেলোট ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করল,
প্রিয়তম
আমার,
এমন
কী
হয়েছে
তোমার
যে
করুণ
স্বরে
আর্তনাদ
করছ?
রাতে
তো
তোমার
বেশ
ভালো
ঘুম
হয়েছে,
ধিক্কার
তোমাকে,
তোমার
লজ্জা
থাকা উচিত।
সে
জবাবে
বলল,
ম্যাডাম
আমার
অনুরোধ
তুমি
আমাকে
ভুল
বুঝো
না,
মহান
ঈশ্বরের
নামে
বলছি
আমি
এই
মাত্র
স্বপ্নে
দেখলাম,
আমি
ভয়ানক
বিপদে
পড়ে
গেছি
আর
এজন্যেই
আমার
বুকখানা
ভয়ে
ধুকধুক
করছে।
মহান
ঈশ্বর
আপনি
আমার
এ
স্বপ্নের
একটা
সুন্দর
ব্যাখ্যা
প্রদান
করুন,
আর
আমার
এ
দেহটাকে
ভয়াল
এক
কারাগার
হতে
উদ্ধার
করুন।
আমি
স্বপ্নে
দেখলাম,
আমি
খামারের
মাঝে
ঘুরাফিরা
করছি
হঠাৎ
করেই
শিকারি
কুকুরের
মত
একটি
জন্তু
এসে
আমাকে
চেপে
ধরে
মেরে
ফেলার
চেষ্টা
করতে
লাগল
।
তার
রংটা
হলদে
আর
লালে
মেশা।
তার
লেজ
আর
কান
দুটোতে
কালো
রঙের
ছোপ
থাকাতে
ও
দুটো
তার
দেহ
থেকে
আলাদা
মনে
হচ্ছিল,
তার
নাক
আর
মুখটা
ছোট,
চোখ
দুটো
ভাটার
মত
জ্বলজ্বল
করছিল।
তাকে
দেখে
ভয়েই
আমি
মরে
গিয়েছিলাম, আর এ কারণেই
আমি
এ
রকম
করুণ
স্বরে
আর্তনাদ
করে
উঠেছি।
পার্টেলোট বলল, বলতে থাকো, ধিক্কার দিচ্ছি
তোমাকে,
বড়ই
দুর্বল
চিত্ত
তুমি
। হায়,
উর্ধ্বলোকের মহান
ঈশ্বরের
নামে
বলছি,
আজ
থেকে
তুমি
আমার
হৃদয়
হতে
দূর
হয়ে
গেলে,
ভালোবাসা
হারালে
আমার
।
ধর্মের
দোহাই
দিয়ে
বলছি,
আমি
ভীতু
এক
কাপুরুষকে
ভালোবাসতে পারি না। এটা জেনো সত্যি যে,
যে
যাই
বলুক
না
কেন,
আমরা
সবাই
চাই,
আমার
স্বামী
যেন
সাহসী,
জ্ঞানী,
উদারচেতা
আর
বিশ্বস্ত
হয়,
কৃপণ
যেন
না
হয়,
যেন
বোকা
না
হয়
কোনো
অস্ত্র
দেখে
সে
যেন
ভয়
না
পায়,
আর
মহান
ঈশ্বরের
নামে
বলছি
যে
যেন
অতি
অহংকারী
না
হয়।
তোমাকে
যে
কেউ
ভীতি
প্রদর্শন
করতেই
পারে,
এটা
তুমি
তোমার
প্রিয়তমার সামনে প্রকাশ করলে
কী
করে?
তোমার
লজ্জা
শরম
বলতে
কি
কিছুই
নেই?
তোমার
ভেতরে
কি
মানুষের
অন্তঃকরণ
নেই,
তোমার
কি
এখনো
দাড়ি
গজায়নি?
হায়!
এটা
কী
করে
ঘটতে
পারে
যে
তুমি
স্বপ্ন
দেখে
ভয়
পাও
। মহান
ঈশ্বর
জানেন
স্বপ্নের
ভেতরে
শুধু
ফাকি,
অন্য
কিছু
নেই।
অতিরিক্ত
ভোজনের
ফলে
শরীরের
ভেতরে
গ্যাস
বা
অন্য
কোনো
দ্রব্য
মিলিত
হয়ে
যখন
অধিক
রসের
সঞ্চার
হয়,
তখন
স্বল্প
তৈরি
হয়।
আজ
রাত্তিরে
তুমি
যে
স্বপ্ন
দেখেছ
সেটা
তোমার
পিত্ত
কুপিত
হওয়ার
ফল,
পিত্ত
কুপিত
হলেই
লোকেরা
স্বপ্নের
মাঝে
তীর
দেখে,
লাল
অগ্নিশিখা দর্শন করে, তেড়ে
আসা
লাল
বর্ণের
জানোয়ার
দেখে
আর
ঝগড়া
বিবাদ
ও
ছোট
বড়
নানা
আকৃতির কুকুর
দেখে
থাকে
।
আর
এভাবেই
শরীরে
যদি
বেদনাময়
রসের
প্রাবল্য
দেখা
দেয়
তাহলে
কালো
ভলুক
কিংবা
কালো
ষাড়ের
ভয়ে
কিংবা
কালো
কোনো
দৈত্য দানো
পাকড়াও
করবে
এই
ভয়ে
মানুষ
ঘুমের
মাঝে
চিৎকার
করে
কেঁদে
ওঠে।
আর
যে
সব
রসের
আধিক্যের
কারণে
মানুষ
ঘুমের
ঘোরে
কষ্ট
পেতে
থাকে
সেসব
বিষয়েও
কথা
বলতে
পারি,
কিন্তু
সেসব
আমি
সংক্ষিপ্ত করে পরিবেশন করে সমাপ্তি টানছি।
ক্যাটোর
কথাই
ধর
না
কেন,
তিনি
কি বলেননি,
স্বপ্ন
নিয়ে
কোনো
রকম
দুঃশ্চিন্তা কোরো না।
এরপর
সে
বলল,
মহান
ঈশ্বরের
দিব্যি
দিয়ে
বলছি,
আমরা
এই
দাঁড়
হতে
নামার
পরই
তুমি
জোলাপ
জাতীয়
একটা
ঔষধ
খেয়ে
নিয়ো।
আমার
অন্তঃকরণ
আর
জীবনের
নামে
বলছি,
সে
জন্যেই
মিথ্যে
কথা
বলব
না।
তোমার
মেজাজ
যদি
বিগড়ে
যায়
তাহলে
পেট খালি করে
ফেলবে।
এ
বিষয়টা
মোটেই
অবহেলা
করা
উচিত
নয়।
এ
শহরের
ভালো
কোনো
কবিরাজের
সাথে
আমার
জানাশোনা
নেই
এজন্য
আমি
তোমার
শরীর
ও
স্বাস্থ্যের মঙ্গলের জন্য
কিছু
ওষধি
বৃক্ষ
চিনিয়ে
দেব।
আমাদের
এই
খামার
বাড়িতেই
কিছু
ঔষধের
গাছ
আছে
যেগুলো
উপরে
আর
নীচে
দুদিকেরই
জোলাপের
কাজ
করে
থাকে।
মহান
ঈশ্বরের
প্রেমের
দোহাই
এটা
কিন্তু
মোটেই
ভুলে
যেয়ো
না।
তোমার
মেজাজটা
এখন
খুবই
গরম,
সূর্য
যখন
একেবারে
মাথার
উপরে
চলে
আসে,
খবরদার,
তখন
পাকস্থলীটা যেন গরম কোনো রসে টইটুমুর না
থাকে।
আর
তা
যদি
থাকে
তাহলে
আমি
রুপোর
টাকা
বাজি
রেখে
বলতে
পারি,
একদিন
অন্তর
অন্তর
তোমার
জ্বর
হবে
অথবা
এমন
যন্ত্রণা
হবে
যে,
তার
কারণে
তোমার
মৃত্যু হতে
পারে।
প্রথমে
দু-একদিন
হজমি
ঔষধ
খাবে,
এরপর
খাবে
জোলাপ,
যেখানে
যে
গাছ
পেয়ে
যাবে
তক্ষুণি
সেটা
তুলে
টুক
করে
খেয়ে
নেবে।
তোমার
পিতার
আত্মার
দোহাই,
খুশি
মনে
অবস্থান
কর
স্বামী,
স্বপ্ন
নিয়ে
মোটেই
ভয়
পেয়ো
না,
এর
চাইতে
বেশি
কিছু
আমার
আর
বলার
নেই।
সে
বলল,
তোমার
মূল্যবান
এসব
বাণীর
জন্য
অনেক
অনেক
ধন্যবাদ
মহোদয়া
। তবে
মহান
ক্যাটোর
বিষয়ে
জানাচ্ছি,
যদিও
তার
জ্ঞানের
খ্যাতি
আছে,
যদিও
তিনি
স্বপ্নকে
ভয়
পেতে
নিষেধ
করেছেন,
তবুও
মহান
ঈশ্বরের
নামে
বলছি,
ক্যাটোর
চাইতেও
খ্যাতিমান অনেক জ্ঞানী গুণী লেখকদের গ্রন্থ পাঠ
করে
জানা
যায়
তার
উল্টোটা।
ওনারা
বলেছেন,
অনেক
গবেষণায়
জানা
গেছে
যে,
জীবনে
মানুষকে
যে
সকল
সুখ
কিংবা
দুঃখ
ভোগ
করতে
হয়
তার
অনেকই নির্দেশ করে স্বপ্ন। এটা নিয়ে
তর্কের
কোনো
অবকাশ
নেই,
ঘটনাটাই
হচ্ছে
এর মূল প্রমাণ
।
যেসব
গুণী
লেখকদের
রচনা
লোকেরা
পাঠ
করে
এদের
মধ্য
থেকেই
একজন
বলেছেন,
একদা
দুজন
লোক
মহৎ
উদ্দেশ্য
নিয়ে
তীর্থযাত্রা করেছিল,
এরই
মধ্যে
তারা
একদিন
একটা
শহরে
এসে
হাজির
হল।
সে
শহরে
লোকজনের
ভিড়
আর
থাকার
জায়গা
এতটাই
কম
যে,
দুজনে
থাকার
মত
একটা
ঘর
জোগাড়
করতে
সমর্থ
হল
না।
এ
কারণে
সে
রাতের
মত
তাদের
আলাদা
হয়ে
যেতে
হল,
প্রত্যেকেই তাদের সুবিধামত সরাইখানায়
স্থান
করে
নিল।
এদের
একজন
আশ্রয়
পেল
বহুদূরের
এক
খামারবাড়িতে হালের বলদ রাখার গোয়াল ঘরে,
আর
অন্যজন
তার
ভাগ্যগুণে ভালো একটি থাকার জায়গা
পেয়ে
গেল।
No comments:
Post a Comment