Elegy written in country church yard by Thomas Gray Bangla Translation - এলিজি রিটেন ইন এ কান্ট্রি চার্চইয়ার্ড বাংলা অনুবাদ
অন্যান্য লিংক সমূহ
১।মূল ইংরেজি কবিতার লিংক
২।বাংলা শব্দার্থ ও টিকাসমূহ
৩।বাংলায় কবিতাটির সারমর্ম, আলোচনা ও কবির জীবনী
৪।১ম বর্ষের অন্যান্য কবিতা ও গল্পের অনুবাদ
Elegy written in country church yard
এলিজি রিটেন ইন এ কান্ট্রি চার্চইয়ার্ড
বাংলা অনুবাদ
বাংলা অনুবাদ
ক্লান্ত দিনের শেষের ঘন্টাধ্বনি বাজে,
বন্ধুর পাহাড়ী উপত্যকা ছুয়ে হাওয়া ধীরে বয়ে যায় ঘাসপ্রান্তরে,
ক্লান্ত চাষা ধীর পায়ে ফিরে আসে ঘরে,
আমাকে ও পৃথিবীকে অন্ধকারে ছেড়ে যায়
দৃষ্টি
হতে
সরে
যায়
প্রকৃতির
রূপছায়া,
চারদিকে নীরবতা, স্তব্ধ বিশাল আকাশ,
পতঙ্গ পাখার গুন গুন ধ্বনি থামে,
গলার ঘন্টাধ্বনি তুলে মেষপাল খোজে রাতের নিবাস;
অদূরে আইভি ঝোপে নিজেকে লুকিয়ে রেখে
চাদের বিরুদ্ধে পেঁচা ভ্রুকুটি
করে
ছায়াময় নিজের পুরনো কোটরে থেকে আদিম
সে পেঁচা মিটমিটে চোখে নিজের অঞ্চলে ঘুরে ফিরে।
ম্যাপল গাছের ছায়া আর রুক্ষ মৃত্তিকার পানে,
পুরনো সমাধির মনোরম কারুকাজ যেন সবলে টানে ।
কবরের স্বল্প পরিসরে গায়ের প্রপিতামহেরা,
ঘুমিয়ে রয়েছে নিরালায় নীরব কবরস্থানে,
ভোরের হাওয়া তাদের মৃদুস্বরে ডাকে,
খড়ের বাসায় চড়ই পাখিরা শব্দ করে,
মোরগের চিৎকার কিংবা শিঙ্গার ধ্বনি,
কেউ পারবে না জাগাতে তাদের পাতাল গহবর থেকে,
উষ্ণতার জন্য তাদের তরে কেউ জ্বালবে না আগুন,
গৃহবধুরা সন্ধ্যায় ব্যস্ত হবে না তাদের সেবায়;
কোনো দিন তারা ঘরে ফিরে শিশুদের সাথে করবে না মিষ্টালাপ,
শিশুরা কোনো দিন তাদের কোলে বসে চুমু দেবে না মমতায়
একদা এই মানুষেরা পাকা শস্য কেটেছে কাঁচিতে।
লাঙলে চষেছে তারা একদা কঠিন মৃত্তিকা,
চালনা করেছে তাদের ঘোড়া আর ষাড় সুচারু দক্ষতায়:
কঠিন কুঠারাঘাতে বৃক্ষ কেটে তারা ফেলেছে
জমিনে!
কোনো উৎসাহী জন আজ এতটুকু শ্রম দেবে
না
তাদের
খুশির
তরে!
বড়লোকেরা শুনবে এইসব দুঃখীজনদের কাহিনী,
আর মুখ ফিরিয়ে নেবে চরম অবজ্ঞার হাসি হেসে।
দাম্ভিক মানুষ তার পুরনো গৌরবে গর্বিত
আর সৌন্দর্য ও সম্পদের প্রাচুর্যে পরিতুষ্ট,
একটু অপেক্ষা করো আর মাত্র কিছুটা সময়,
সকল আনন্দ চলে যাবে সহসাই আঁধার গহবরে।
কোরো না অভিযোগ তাদের তরে যারা শুয়ে কবরে,
আপনজনেরা গড়েনি কোনো স্মৃতিসৌধ তাদের তরে,
কিংবা ঝুলিয়ে রাখেনি কোনো স্মৃতিময় ছবি দীর্ঘ করিডোরে,
যা থেকে ধ্বনিত হবে সদা ধর্মীয় সঙ্গীত।
কোনো কিছুতেই জীবন সঞ্চার হবে না তাদের
কেউ পারবে না গড়তে তাদের অবিকল রূপ,
আত্মার জাগরণ বড়ই দুরূহ ব্যাপার,
মৃত মানুষেরা কোনো দিন জাগবে না আর,
বধির কর্ণে তাদের পৌছাবে না সম্মানসূচক প্রচার।
আধার সেই কবরস্থানে নিথর শবগুলো পড়ে আছে,
একদা যাদের প্রাণ ছিল উৎফুল্লতায় ভরা
শাসন করেছে কেউ রাজ্যপাট নৃপতির বেশে
কেউবা আবার বংশী সুরে পৃথিবীকে করেছে অবাক।
সীমাহীন শতবর্ষের পুঞ্জিভূত জ্ঞানের প্রবাহ,
নিশ্চল হয়ে আছে তাদের মুদিত নয়নে
দারিদ্র্যের কষাঘাত দমিত করেছে তাদের কৌতুহল,
জমে গেছে বরফের মতো তাদের জীবনস্রোত।
কত না মণি রত্ন নিজ নিজ আভায় উজ্জ্বল,
ডুবে আছে গহিন সাগরতলায়
কত না বুনো ফুল চোখের আড়ালে সুগন্ধি ছড়ায়,
অনাদরে তাদের সুষমা মরু বাতাসে ঝরে যায়।
গায়ের কবরস্থানে নীরবে ঘুমায় এক সাহসী হ্যামডেন,
বৈরী শাসকের বিপক্ষে যে একাই
দাড়িয়েছিল
এখানে ঘুমায় মিলটনের মতোই প্রতিভাধর এক কবি,
ঘুমায় ক্রমওয়েলরূপী মানব যে স্বদেশের তরে করেছে
রক্তপাত।
কোনো দিন পার্লামেন্টে প্রশংসা হয়নি এই অভাজনদের
প্রশংসার বদলে শুধু অবজ্ঞা পেয়েছে তারা স্বদেশ থেকে,
কোনো দিন তারা ধ্বংস করেনি কোনো লোকালয় কিংবা
শত্রুকে করেনি দ্বন্ধে আহবান
স্বদেশের জাগরণে জাতির চোখে তাদের নেই কোনো ছবি।
প্রচ্ছন্ন দরিদ্রতা তাদের প্রচারে দিয়েছে বাধা ।
সকল অসৎ কর্ম থেকে বিরত রেখেছে তাদের দৈন্য,
সিংহাসন দখলের তরে তারা করেনি রক্তপাত,
দারিদ্র্য তাদের অমানবিক কর্মযজ্ঞে দিয়েছে বাধা ।
সদা গোপন রেখেছে তারা নিদারুণ সত্যিকে,
তারা করেনি কোনো পাপাচার যা তাদের ফেলবে লজ্জায়,
কখনোই তারা নিজেদের মর্যাদাকে বিনাশ করেনি,
কোনো শাসকের তরে তোষামোদকারী কবিতা রচনা করে।
এই সব মানুষ প্রচ্ছন্নভাবে নিজেকে রেখেছে সরিয়ে
পঙ্কিল পাপ ভারাক্রান্ত শহরাঞ্চল থেকে,
নিজেদের সর্বদা করেছে আড়াল অপকর্ম হতে
এবার ঘুমায় তারা গ্রামে, যারা পথভ্রষ্ট হয়নি কখনো।
এই অভাজনদের মর্যাদা হানিকর বিস্তৃতি হতে বাচাতে ।
পাথরে লিপি খোদাই করে ধরা হয়েছে স্মৃতিচিহ্ন,
সত্যি বড়ই আনাড়ি হাতের সে লিপি ঢেকেছে ঘাসের জঙ্গলে,
পথিকেরা পথ চলতে বেদনার দীর্ঘশ্বাস ফেলে তাদের তরে।
এই কবরবাসীদের নাম পরিচয় লিখেছে ভুল বানানে অশিক্ষিত কারিগর
লিখেছে তাদের কর্ম ও খ্যাতির নানা গাথা
চারপাশে ছড়ানো উৎকীর্ণ রয়েছে কত পবিত্র গাথা
যেগুলো মৃত্যু বিষয়ে দীক্ষা দেয় গেয়ো জনদের।
যদিও মানব জানে মৃত্যুর পর মুছে যাবে তার নাম,
তবু কি সে ভাববে না গত জীবনের ব্যথা আর আনন্দের কথা,
যে মানব পৃথিবীতে ফেলে এসেছে উষ্ণ সুখী জীবন
পরম আকাজক্ষার চোখে একবারও কি তাকাবে না সেদিকে।
মুমূর্ষু মানব
সান্তনার
তরে
কাছে
পেতে
চায়
ভালোবাসার জন,
শিয়রে প্রিয়জনের অশ্রুপাতই তার পরম সান্তনা
মৃত এক মানবের শেষ ইচ্ছাকে দেখা হয় পরম সতর্কতায়,
সমাধিলিপিতে জাগে প্রকৃতির বেদনা যখন সব মেশে ধুলায়।
এই যে অখ্যাত সরল মানুষেরা কবরে ঘুমায়।
যাদের কথা বর্ণনা করেছি সাধারণ কবিতায়
একদিন সত্যিকারেই আমারই মতন কেউ
আমার মৃত্যুতে আমারই শেষ পরিণতির কথা বলবে সে।
হয়ত কখনো কটা চুলের গেয়োলোকদের মধ্য থেকে কেউ বলবে,
আমি প্রায়ই দেখেছি লোকটাকে তপদে হেঁটে যেতে,
শিশিরমাখা ঘাস পেরিয়ে ভোরের বেলায়
ঘাস ছাওয়া পাহাড় চূড়ায় সূর্যোদয়ের সাক্ষাৎ পেতে ।
অভুত চড়াই পথের দু'পাশে খুলে আছে বিচ বৃক্ষের শাখা,
বিকেল বেলায় চলেছে সে পথে ক্লান্ত পদক্ষেপে,
স্থির চোখে তাকিয়ে দেখছে নিবিষ্ট মনে
কুল কুল রবে বয়ে যাওয়া ঝরনাধারা।
ঘুরত সে এলোমেলো বুনোপথে ঘাড় নিচু করে।
আর নিজের সাথে নিজেই বলত কি সব কথা হেসে হেসে,
কখনো ঘৃণায়
কখনো
বা
ব্যথায়
বিষণ্ণ
হত
একাকী জনের মতো কিংবা হতাশ প্রেমিক, যেন কেউ তাকে দিয়েছে ব্যথা ।
একদিন ভোরে পাহাড়ে তাকে পেলাম না আর আমি।
প্রিয় তার বিচ গাছটির নিচেও নেই তিনি,
আবার ফিরে এল আরেকটি সকাল।
বনের কাছে ঝরনার কোলে তাকে খুঁজে পেলাম না আর আমি ।
পরদিন আমরা দেখি বহন করে আনা হচ্ছে একটি শব,
শোকাতুর জনতা আসছে মিছিল করে, শোকগাথা গাইতে গাইতে
আগ্রহী মানব যাও পুরনো বৃক্ষের নিচে কবরের পাদদেশে।
পাঠ করো এই কবিতা যা লেখা আছে সমাধি প্রস্তরে।
সমাধি লিপি
শুয়ে আছে পৃথিবীর মৃত্তিকা পরে যে যুবা
কোনো খ্যাতি নেই তার এমনি নিয়তি,
নীচ কুলে জন্মেও সে উপেক্ষা করেছে জ্ঞানের ভ্রুকুটি
বিষন্নতা সদা বিরাজ করেছে তার চোখেমুখে।
সকল প্রতিকূলতায় তার আত্মা ছিল সহজ-সরল,
ঈশ্বর পুরস্কৃত করবেন তার পবিত্রতাকে,
দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে দেখে যার অশ্রু ঝরেছে
ঈশ্বরের কৃপাভাজন হবেন তিনি স্বজনদের আশীর্বাদে।
তার কোনো দোষের কথা আর বোলো না কেউ,
তাদের তরে আছে ক্ষমা আর প্রশান্তি
মহান ঈশ্বরই তাদের পরম ক্ষমাকারী।
No comments:
Post a Comment