Canterbury Tales |
Context of Canterbury Tales - প্রসঙ্গ : ক্যান্টারবারি টেলস
ক্যান্টারবারি টেলস হল চসারের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সবচেয়ে বেশি আলোচিত বাঁ সমালোচিত গ্রন্থ। ১৪ শতকের শেষের দিকে এটি লিখার কাজ শুরু করেন চসার। চসার বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদ কিংবা অনুকরণ নিয়ে আর সময় ব্যয় করতে চাননি। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, এখন থেকে নিজ দেশের ধর্ম, সমাজ ও জনমানসের জীবনযাত্রা তুলে আনবেন তার সৃষ্টিকর্মে ক্যান্টারবারি টেলসই সম্ভবত চসারের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম। আনুমানিক ১৩৮৭ সালে চসার এই কাহিনীর পরিকল্পনা করেন। লন্ডনের নিকটবর্তী সাউথওয়ার্ক থেকে ক্যান্টারবারির সাধু টমাস বেকেটের সমাধিক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে বের হওয়া একদল তীর্থযাত্রীকে অবলম্বন করেই রচিত হয়েছে এই বিখ্যাত কাহিনীকাব্যটি। ষাট মাইল দীর্ঘ এই তীর্থযাত্রাপথে সময় লেগেছিল চার দিন আর তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ছিল ত্রিশ জন। চসারের পরিকল্পনা ছিল তাদের মাধ্যমে, যাওয়ার সময় ২টি করে ও আসার সময় ২টি করে সর্বমোট ১২০ টি গল্প প্রকাশ করবেন কিন্তু তিনি সব মিলিয়ে ২৪ টি শেষ করতে পারেছিলেন। তীর্থযাত্রীদের দীর্ঘপথ যাত্রায় কিছুটা বৈচিত্র্য আনার জন্যই এ কাহিনীর পরিকল্পনা গৃহীত হয়। চসার তার দীর্ঘ কর্মজীবনের সূত্রে নানা পেশার লোকজনের সংস্পর্শে এসেছেন। নাইট, অনুচর, সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী, যাজক, ভিক্ষুক, পুরোহিত, উকিল, নাবিক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সূত্রধর, তাতি, রংমিস্ত্রি, চাকর, রাঁধুনি, যাতাওয়ালা তথা সর্বস্তরের মানুষকেই তিনি অপরিসীম দক্ষতায় উপস্থাপন করেছেন তার এই মহান কাহিনীকাব্যে। আর লেখক নিজেও স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন এই তীর্থযাত্রী দলের মাঝে।
ক্যান্টারবারি টেলস হল চসারের সবচেয়ে বিখ্যাত ও সবচেয়ে বেশি আলোচিত বাঁ সমালোচিত গ্রন্থ। ১৪ শতকের শেষের দিকে এটি লিখার কাজ শুরু করেন চসার। চসার বিদেশি সাহিত্যের অনুবাদ কিংবা অনুকরণ নিয়ে আর সময় ব্যয় করতে চাননি। তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলেন, এখন থেকে নিজ দেশের ধর্ম, সমাজ ও জনমানসের জীবনযাত্রা তুলে আনবেন তার সৃষ্টিকর্মে ক্যান্টারবারি টেলসই সম্ভবত চসারের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম। আনুমানিক ১৩৮৭ সালে চসার এই কাহিনীর পরিকল্পনা করেন। লন্ডনের নিকটবর্তী সাউথওয়ার্ক থেকে ক্যান্টারবারির সাধু টমাস বেকেটের সমাধিক্ষেত্রের উদ্দেশ্যে বের হওয়া একদল তীর্থযাত্রীকে অবলম্বন করেই রচিত হয়েছে এই বিখ্যাত কাহিনীকাব্যটি। ষাট মাইল দীর্ঘ এই তীর্থযাত্রাপথে সময় লেগেছিল চার দিন আর তীর্থযাত্রীর সংখ্যা ছিল ত্রিশ জন। চসারের পরিকল্পনা ছিল তাদের মাধ্যমে, যাওয়ার সময় ২টি করে ও আসার সময় ২টি করে সর্বমোট ১২০ টি গল্প প্রকাশ করবেন কিন্তু তিনি সব মিলিয়ে ২৪ টি শেষ করতে পারেছিলেন। তীর্থযাত্রীদের দীর্ঘপথ যাত্রায় কিছুটা বৈচিত্র্য আনার জন্যই এ কাহিনীর পরিকল্পনা গৃহীত হয়। চসার তার দীর্ঘ কর্মজীবনের সূত্রে নানা পেশার লোকজনের সংস্পর্শে এসেছেন। নাইট, অনুচর, সন্ন্যাসী, সন্ন্যাসিনী, যাজক, ভিক্ষুক, পুরোহিত, উকিল, নাবিক, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, সূত্রধর, তাতি, রংমিস্ত্রি, চাকর, রাঁধুনি, যাতাওয়ালা তথা সর্বস্তরের মানুষকেই তিনি অপরিসীম দক্ষতায় উপস্থাপন করেছেন তার এই মহান কাহিনীকাব্যে। আর লেখক নিজেও স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন এই তীর্থযাত্রী দলের মাঝে।
চসার প্রত্যেকটি তীর্থযাত্রীর চিত্র এঁকেছেন। বর্ণনা করেছেন তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ। চসারের রচনার অন্যতম দিকটি হল নানা চরিত্র দক্ষতার সাথে তুলে ধরা। এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিস্ফুটন করতে গিয়ে তিনি তার সময়কালের দেশ ও জাতির জীবন চেতনা ও সামাজিক ধ্যান ধারণাকে অপরূপ মহিমায় অঙ্কন করেছেন। একদল তীর্থযাত্রী তাদের কথিত কাহিনীর মধ্য দিয়ে জীবন চেতনা ও ভাবনার পাঁচালী রচনা করেছেন চলার পথে । চসার নিজেই এই কাহিনীর বর্ণনাকারী। তিনি সমাজের নানা স্তরের ও নানা পেশার মানুষকে খুবই নিকট থেকে পর্যবেক্ষণ করেছেন। তিনি অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে প্রবেশ করেছেন মানুষগুলোর ভেতরে, তাদের একেবারে অন্তস্তলে। আন্তরিক অনুভূতি ও সমবেদনার আলোকে নানা পেশার মানুষকে জীবন্ত করে তুলতে প্রয়াসী হয়েছেন। তাঁর কাহিনীর চরিত্রগুলো সেই সময়ের মানুষ হলেও তারা যেন সর্বকালের মানুষজনের জীবনাচরণ ও প্রতিনিধিত্ব করেছে।
সম্ভবত ১৮৩৫ সালের ১৬ এপ্রিল চসার সাউথ-ওয়ার্থের ট্যাবার্ড সরাইখানায় মিলিত হয়েছিলেন তীর্থযাত্রীদের সাথে। তীর্থযাত্রার পূর্বে সরাইখানার মালিক হ্যারি বেইলি প্রস্তাব করেছিলেন যে প্রত্যেক তীর্থযাত্রীকে তীর্থযাত্রাপথে দুটি ও ফেরার পথে দুটি করে মোট চারটি গল্প বলতে হবে। যার গল্প সবচাইতে আকর্ষণীয় হবে এবং শ্রোতাদের মুগ্ধ করবে তাকে সকলে মিলে সরাইখানায় বিনা খরচে উত্তম খাবার পরিবেশন করবে। এ প্রস্তাবে সবাই সম্মত হল। গল্পের বিচারক থাকবেন সরাইখানার মালিক হ্যারি বেইলি। নিজেই তার বিচারের রায় সবাইকেই মেনে নিতে হবে। এসব মেনে নিয়েই তারা সবাই যাত্রা শুরু করল।
No comments:
Post a Comment