Ozymandias - Percy Bysshe Shelley - Bangla translation, summary and analysis |
Ozymandias - Percy Bysshe Shelley - Bangla translation, summary and analysis
বাংলা অনুবাদ - মারুফ মাহমুদ
পুরাকীর্তির দেশ
হতে আগত একজন ভ্রমনকারীর সাথে আমার দেখা হয়েছিল
যে বলেছিল, ‘দেহবিহীন
অতিকায় দুটো পাথরের পা
মরুভূমিতে
দন্ডায়মান.........তাদের কাছেই, বালিতে,
বালিতে অর্ধ
নিমজ্জিত ভগ্ন মুখটি শুয়ে আছে, যার ভ্রূকুটি,
এবং তার কুঞ্চিত ত্তষ্ঠ, অবজ্ঞাভরা শীতল নির্দেশ
এটাই বলে যে এর
ভাষ্কর সেই আবেগগুলোকে ভালোই বুঝতে পেরেছেন
যা এখনো টিকে আছে,
এই প্রাণহীন বস্তুর মাঝে খোদাই করা,
যে হাত তাদেরকে
উপহাস করে, আর যে হৃদয় তাদেরকে প্রতিপালিত করে
এবং মূর্তির পদতলের
বেদিতে এ কথা উতকীর্ণ ছিলঃ
ওজাইমেনডিয়াস আমার
নাম, রাজাদের রাজা
আমার
সৃষ্টিকর্মগুলো দেখ, কত শক্তিশালী আর হতাশার!
আমার পাশে কিছুই
নেই, অবক্ষয়ের ঘুর্ণাবর্তে
ঐ বিশালাকার
ধ্বংসাবশেষ, সীমাহীন ও অনাবৃত
একাকী এবং সমতলের
বালি ছড়িয়ে যায় বহু দূরে।
সারাংশঃ
কোন এক পূরাকীর্তিময় দেশ থেকে আগত একজন ভ্রমনকারির সাথে
লেখকের দেখা হয়েছিল। সে কবিকে তার দেশের মরুভূমিতে পড়ে থাকা বৃহদাকার ভাঙ্গা
মুর্তির ইতিহাস বর্ণনা করে। যার দেহ বিহীন বিশাল দুটি অনাবৃত পা ছিল সেখানে। বালির
মাঝে অর্ধ ডুবন্ত ভাঙ্গা মাথাটাও পড়েছিল। সে ব্যাক্তি কবিকে বলেছিল ভাষ্কর মূর্তির
মনের অবস্থা ও আবেগ খুব ভাল ভাবেই বুঝতে পেরেছিল। আর তাই সে তার ভাষ্কর্যের
ভ্রূকুটি ও কুঞ্চিত ঠোট, অবজ্ঞাভরা
মুখের হাসির মাধ্যমে তা ঠিকই ফুটিয়ে তুলেতে পেরেছিল। ভাষ্কর এবং যার ভাষ্কর্য তৈরী
করা হয়েছিল তারা কেউই এখন জীবিত নেই কিন্তু জীবনহীন এই মূর্তির মাঝে তার মনের আবেগ
এখনো ফুটে রয়েছে। আর এই মূর্তির পদতলের বেদীতে খোদাই করাছিল আমি হলাম ওজাইমেনডিয়াস,
রাজাদের রাজা, আর আমার কাজ গুল দেখ কত
শক্তিশালী আর হতাশার। আজ এই সময় আমার পাশে কিছুই অবশিষ্ঠ নেই শুধু সমতল ভূমি আর
দূরে উড়ে যাওয়া বালি ছাড়া।
আলোচনাঃ
কবিতাটি শেলীর বিখ্যাত কবিতা। কবিতাটি ১৮১৭ সালে লেখা এবং
এটি ১৮১৮ সালে প্রকাশিত হয়। এই কবিতায় মিশরের ফারাও রাজা রামসিস ২য় এর ব্যাপারে
আলোচনা করা হয়েছে। গ্রীকরা তাকে ওজাইমেনডিয়াস নামে চিনতো।
রাজা রামসিস ২য় খৃষ্ট পূর্ব ১২৭৯ থেকে ১২১৩ পর্যন্ত মিশরে
শাষন করেছেন। তিনি ছিলেন নিজ শক্তিতে গর্বিত একজন স্বেচ্ছাচারী একজন রাজা। সময়ের
পরিবর্তনের সাথে সাথে তার অহংকার ও শক্তি দুটোই ধুলোয় মিশে গেছে। কালের দাপটের
কাছে শক্তি ও অহমিকা যে একেবারে তুচ্ছ তারই প্রকাশ ঘটানো হয়েছে এই কবিতাটিতে। কবি
এটা একটা সুন্দর রূপক এর মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। মরুময় বিরানভূমিতে অহংকারি, উদ্দত ও আবেগীমুখভঙ্গিবিশিষ্ট একটি
ধ্বংশপ্রাপ্ত, ভাঙা মূর্তির অবশেষ। মূর্তিরবেদিতে লিখা ছিল
দেখ আমার কাজের দিকে। কতই না শক্তিশালী ছিলাম আমি। কোন এক সময়ের এই মহারাজার
অহংকার ও দম্ভ আজ ধুলায় মিশে গেছে। তার কাজ গুলো আজ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন ও
ধ্বংসপ্রাপ্ত। ইতিহাসের ধ্বংসাত্বক শক্তির মাধ্যমে তার হাতে গড়া সভ্যতা আজ নেই। এই
ভাঙা মূর্তি আজ কোন এক ব্যাক্তির ঔদ্যত্তের প্রতিক আর সময়ের আবর্তনে মানুষ যে
গুরুত্বহীন হয়ে যায় তার বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক শক্তির ক্ষণস্থায়ীতার প্রমানে
ওজাইমেনডিয়াসই হল প্রথম ও শীর্ষস্থানীয় একটি রূপক। সমগ্র মানবতার গর্ব, অহংকার ও ঔদ্যত্ত এখানে প্রকাশ পেয়েছে। ওজাইমেনডিয়াসের শিল্পকর্মটি আর তার
নিচের লেখা গুলোই আজ অবশিষ্ঠ আছে।
কবি তার কবিতার শুরুতে একজন দুরদেশের ভ্রমনকারীর কথা উল্লেখ
করে পাঠককে বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছেন যে আসলে এই মূর্তিটি কোথায় আছে। আর
ভ্রমনকারীর বলা পুরাকীর্তির দেশ পাঠককে আরো বিভ্রান্তিতে ফেলে দেয়। এ থেকে বুঝা
যায় কবি আসলে মূলত আমাদেরকে কোন কাহিনী শুনাতে চাননি, তিনি আসলে এই কবিতার মুর্তিটির মাধ্যমে
আমাদের কিছু অন্তর্নিহিত শিক্ষা দিতে চেয়েছিলান।
অন্যান্য লিংক সমূহঃ
২। কবিতাটির ইংরেজীতে শব্দার্থ দেখতে এই লিংক এ যান
৩। ইংরেজীতে কবিতাটির সারমর্ম দেখতে এই লিংক এ যান
৪। কবিতাটি লাইন বাই লাইন সহজে বুঝতে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন
অনুবাদ, সারাংশ ও আলোচনাঃ মারুফ মাহমুদ, ঢাকা কলেজ
boss its work for me
ReplyDeletethanks a lots
Thanks
ReplyDelete