প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
মাস্টার্স ফাইনালের সিলেবাসের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ প্রথম পর্বের পর থেকেঃ
মারুফ মাহমুদ, ঢাকা কলেজ
মাস্টার্স ফাইনালের সিলেবাসের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ প্রথম পর্বের পর থেকেঃ
এই সুযোগে পাশের ঘরে শুয়ে থাকা ইবেনের উপর কামনার আগুনে
জ্বলতে থাকা এবি ঝাপিয়ে পড়ে ও চুমু খায়। প্রথমে ইবেন চুমু খেলেও তারপর সে তার মুখ
সরিয়ে ফেলে। নিচের যে ঘরে ইবেনের মা মারা যাওয়ার পরে তার লাশ রাখা হয়েছিল সে ঘরে
এবি ইবেনকে আসতে বলে। ইবেন তাকে সেখানে যেতে মানা করে কারন সে মনে করে তার মায়ের
আত্মা সেখানে আছে। অ্যাবি অনেকটা জোর করেই সেখানে যায়। ইবেনও সেখানে যায়। এবি তাকে
আবার জোর করে চুমু খাওয়ার চেষ্ঠা করে। ইবেন তাকে বাধা দেয়। এবি তাকে বলে কেন সে
তার মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এবি ভালই বুঝতে পেরেছে তার প্রতি ইবেনের মনে প্রবল
আকর্ষন রয়েছে। এ সময় এবি আবার তাকে বলল ঘরে যেন কিছু একটার উপস্থিতি টের পাচ্ছে। সে তাকে বলল তার মা এখানে আছেন। তখন এবি
তাকে বলল আমি এখন থেকে তোমার মায়ের অভাব পূরন করব। আবার তোমার প্রেমিকাও থাকব। তখন
ইবেন ভাবল সে যদি তার সাথে এই সম্পর্ক চালিয়ে যায় তবে এটা ক্যাবটের প্রতি এক বড়
প্রতিশোধ হবে আর তার মা কবরে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে। সে তাই তার সাথে মিলিত হয়।
৩য় অঙ্কঃ
এক বছর পরে এবি একটি পূত্র সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান
জন্মের দুই সপ্তাহের মাঝেই ক্যাবট তার বাড়িতে একটি নাচের পার্টির আয়োজন করে। সে
সবাইকে সেখানে আনন্দ ফুর্তি করতে বলে। এক সময় আনন্দে সে নিযেও অনেক ক্ষন নেচে
বেড়ায়। বৃদ্ধ ক্যাবট চোখে কম দেখত। সন্তানের চেহারা দেখে এলাকার মানুষেরা বুঝতে
পারে এর বাবা ক্যাবট নন বরং ইবেন। তারা তাকে আকার ইঙ্গিতে এ ব্যাপারে অনেক কিছুই
বলে। অনেকে টিটিকারীও করে। কিন্তু এই বুড়ো বয়সে সন্তানের পিতা হওয়ার আনন্দে সে
কিছুই খেয়াল করে না। প্রতিবেশী এক বৃদ্ধ তাকে বলে যে আমি এই ৬৮ বছর বয়সে যেটা
পারিনি সেটা তুমি ৭৬ বছর বয়সে করে দেখিয়েছো। ইবেনের ব্যাপারে কথা উঠলে ক্যাবট বলে
সে দিন রাত খাটতে পারে। তখন এক
প্রতিবেশী বলে হ্যা ঠিকই বলেছো সে রাতেও ভালোই কাজ করতে পারে।
তখন ক্যাবট খোলা বাতাস খেতে বাহিরে আসে। এসেই দেখা হয়
ইবেনের সাথে। ক্যাবট এর সাথে কথা কাটাকাটি শুরু হলে সে তাকে বলে সে একশত বছর বয়স
পর্যন্ত বাচবে। সে দেখে ছাড়বে কিভাবে তার সন্তানের কাছ থেকে ইবেন সম্পত্তি ছিনিয়ে
নেয়। ইবেন তাকে বলে এই সম্পত্তি তার মায়ের। তখন ক্যাবট বলে সে তার স্ত্রী এবি ও
তার সন্তানকে এই সম্পত্তির উত্তরাধীকার বানিয়ে যাবে। সে এবিকে কথা দিয়েছে যদি এবি
তাকে পুত্র সন্তান উপহার দিতে পারে তবেই সে তাকে উত্তরাধিকারী বানাবে। এবি এসে
তাদের দু জনের ঝগড়া থামায়।
একথা শুনে ইবেন এর মাথায় নতুন চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। সে
ভাবে যেহেতু বুড়োর সন্তান জন্ম দেয়ার কোন ক্ষমতা নেই তাই এবি এই সম্পত্তির লোভে
সন্তান জন্মদানের জন্যে তাকে ব্যবহার করেছে। ইবেন তখন এবিকে দোষারোপ করে। সে আসলে
এই সম্পত্তির লোভেই তার সাথে প্রেমের অভিনয় করে এসেছে। সে এবিকে বলে যে আমি এখন
থেকে আর তোমাকে ভালোবাসি না। এবি তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্ঠা করে। সে তাকে বলে যে
তার ভালোবাসা ফিরে পাবার জন্যে সে সবই করতে পারবে। ইবেন তাকে এই সন্তান জন্মদানের
জন্যে দোষারোপ করে। এবি ভাবে যে তার আর ইবেনের ভালোবাসার মাঝে তাহলে বাধা হল এই
সন্তান। সে তখন তাকে মুখে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। ইবেন কে বলে যে সে হত্যা
করেছে তাকে। এখন ইবেন তাকে ভালো বাসবে কিনা জানতে চায়। ইবেন ভাবে
সে ক্যাবট কে হত্যা করেছে।
তাই সে যখন বলে যে তাদের সন্তানকে সে হত্যা করেছে, ইবেন তাকে বলে সে তার শেষ সম্বলটিকেও কেরে
নিয়েছে। ইবেনকে এবি বোঝানোর চেষ্ঠা করে শুধুমাত্র তার ভালবাসা পাবার আশাই সে হত্যা
করেছে। ইবেন তখন শেরিফকে ডাকতে
যায়।
এ সময় ক্যাবটের ঘুম ভাংলে এবি তাকে সব বলে দেয়, শুনে মর্মাহত ক্যাবট বলে সে তাহলে আর এই
এলাকায় থাকবে না, বরং সে তার লুকানো টাকা নিয়ে তার আপন
সন্তানদের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাবে। সে এই সময় পুলিশ ডাকার কথা বললে এবি তাকে বলে
ইবেন শেরিফ কে ডাকতে গিয়েছে, সে তার জন্যেই অপেক্ষা করছে।
ক্যাবট বেরিয়ে যায় ঘর থেকে এবং খামারের সকল হাঁস, মুরগি,
গরু, ইত্যাদি যা আছে সবাইকে জঙ্গলে ছেড়ে দেয়।
এ সময় ইবেন ঘরে ফিরে আসে আর এবিকে বলে, চল আমরা দুজনে একসাথে
পালাই। এবি তাকে বলে, সে পাপ করেছে তাই সে তার শাস্তি মাথা
পেতে নিতে প্রস্তুত। সে কোথাও যাবে না। তখন ইবেন তাকে বলে ঠিক আছে যেহেতু আমি তোমাকে খুন করতে বলেছি, সেহেতু আমিও তোমার সাথে সমান দোষী। তোমার যে শাস্তি হবে আমারও তার সমান
শাস্তি হওয়াই উচিত। এসময় ক্যাবট ঘরে ঢোকে আর তার ইচ্ছের কথা ইবেনকে জানায়। তারপর
যেখান থেকে ইবেন ডলার বের করে পিটার আর সিমনকে দিয়েছিল সেটা খুলে দেখে সেখানে কোন
ডলার নাই। ইবেন তাকে বলে কি ঘটেছিল। তখনই শেরিফ আসে এবিকে গ্রেফতারের জন্যে। ইবেন
তাকে বলে এই খুন আমি নিজে তাকে দিয়ে করিয়েছি। সুতরাং আমিও সমান দোষী আমাকেও তার
সাথে নিয়ে চলুন। ক্যাবটের তখন মাথায় হাত। সে তখন বলে যাই তাহলে গরু ছাগল গুলোকে বন
থেকে খুজে নিয়ে আসি। বের হবার সময় শেরিফের চোখ চকচক করে ওঠে।
ইশ! যদি এমন একটা বাড়ির মালিক হতে পারতাম।
মারুফ মাহমুদ, ঢাকা কলেজ
No comments:
Post a Comment