Things fall apart - Chinua achebe - Bangla summary of the full story part 1 of 3
এক নজরে চরিত্রসমূহঃ
১। Okonkwo - অকোনকো – মূল চরিত্র
এক নজরে চরিত্রসমূহঃ
১। Okonkwo - অকোনকো – মূল চরিত্র
২। ইজিয়ানি – পৃথিবীর দেবীর পুরোহিত
৩। Unoka
– উনোকা - অকোনকোর
পিতা
৪। okoye - অকোয়ে
- প্রতিবেশী
৫। Ikemefuna
- ইকমেফিউনা - অকোনকোর
পালকপুত্র
৬। Nwoye
- নুয়ে – অকোনকোর পুত্র
৭। Ekwefi - ইকওয়েফি
– ২য় স্ত্রী
৮। Ojiugo - উজিউগো- ছোট স্ত্রী
৯। Ezinma
- ইজিনমা - কন্যা
১০। এমালিঞ্জ – মল্ল যোদ্ধা যাকে হারিয়ে অকোনকো চারিদিকে বিখ্যাত হয়ে যায়।
১১। Ogbuefi
Ezeudu - অগবুয়েফি এজেউডু - গ্রামের
মোড়ল
১২। Obierika
- অবেরিকা – অকোনকোর বন্ধু
১৩। Uchendu
- উচেন্ডু - অকোনকোর
চাচা
১৪। Obiageli - অবিয়াগেলি – অকোনকোর
প্রথম স্ত্রীর কন্যা
১৫। Maduka - মাদুকা - অবেরিকার পুত্র
১৬। Okagbue
Uyanwa - ওকাগবু - চিকিৎসক
১৭। Kiaga - কিয়াগা – নয়ে এবং অন্যান্য অনেককেই ধর্মান্তরিত করে
১৮। Nwakibie
- ওয়াইকিবি – একজন
ধনী লোক যে অকোনকোকে ৮০০ বীজ দিয়ে সাহায্য করে
১৯। Enoch – ইনচ- একজন খ্রীষ্ট
ধর্মগ্রহনকারী অতি উৎসাহী ব্যাক্তি
২০। Akunna আকুন্না - উমোফিয়ার একজন গোত্রপতি
২১। Chielo
- সিয়েলো – মহিলা ধর্মগুরু
২২। Mr.
Brown - মিঃ ব্রাউন – মিশনারী
২৩। Reverend James
Smith – জেমস স্মিথ - মিঃ
ব্রাউনের
স্থলাভিষিক্ত
২৪। The
District Commissioner – জেলা কমিশনার
কাহিনী
সংক্ষেপঃ
একটি
নিন্ম নাইজেরিয় উপজাতির উমোফিয়া গোত্রের একজন সম্মানীত ও ধনী যোদ্ধা অকোনকো। এই গোত্রটি পরস্পর সংলগ্ন ৯ টি গ্রামে বসবাস করে। অকোনকো
সবসময়েই তার বাবার কর্মকান্ডের কারনে মানসিক ভাবে পিড়াগ্রস্ত থাকতো। তার বাবা ছিল
একজন কাপুরুষ ও অপব্যয়ি ব্যাক্তি। তাই তাকে আগবালা বলা হত। এই শব্দটি আসলে কাপুরুষ
বা ব্যার্থ বা মেয়েলি স্বভাবের মানুষকে চিহ্নিত করে। তার অনেক দূর্নাম ছিল আর সে
মারা যায় ঋনগ্রস্থ অবস্থায়। তার বাবা কাজে কর্মে দূর্বল হলেও কথায় ছিল খুব পাকা।
যেমন একবার অকোয়ে নামক এক ধনী প্রতিবেশী তার কাছে এসেছিল তার কাছ থেকে ধার করা ২০০
টি কড়ি চাইতে। সে তাকে অনেক কথার জালে দীর্ঘক্ষন আটকে রাখে তারপর তাকে বলে যে তার
বাড়ীর দেয়ালের উপর দেখতে। সেখানে কিছু চকের দাগ দেয়া ছিল। প্রতিটি দাগ বিভিন্ন
মানুষের কাছে থেকে নেয়া ১০০টি করে কড়ি নির্দেশ করে। একজনের নামের পাশে ১০ টি দাগ
দেয়া ছিল। সে তাকে সেটা দেখিয়ে বলে সে সবার আগে তার বড় ঋণ অর্থাৎ ১০০০ কড়ি ধার শোধ
করতে চায় আর সে অবশ্যই অকোয়ের ধার শোধ করবে তবে সে তার বড় ধার আগে শোধ করবে,
তারপর।
অকোনকো ছিল একজন যোদ্ধা, কৃষক, ও
পরিবারের প্রতি দায়িত্বশীল ব্যাক্তি। কঠোর পরিশ্রমের মাধমে সে সমাজে তার অবস্থান
তৈরী করে । এছাড়া মল্ল যুদ্ধে তাকে কেউ হাড়িয়ে দিতে পাড়তো না। আঠারো বছর বয়সে সে
এমালিঞ্জ কে হাড়িয়ে দেয়। যার উপাধী ছিল এমালিঞ্জ দ্যা ক্যাট। কারন মারামারির সময়
বিড়ালের পিঠ যেমন কেউ কোন দিন স্পর্শ করতে পারে না , ঠিক তেমনি তার পিঠ কেউ স্পর্শ
করতে পারে না। ৭ বছর ধরে সে ছিল অপরাজিত মল্লযোদ্ধা । তাকে কেউ হারাবে এটা কেউ
চিন্তাই করতে পারতো না। তাকে হারিয়ে অকোনকোর সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে ।
তার বারো বছর বয়সি একজন ছেলে ছিল যার
নাম নুয়ে। বাবার মত সে পরিশ্রমী হয় নি বরং সে ছিল পুরোপুরি আলসে। অকোনকোর মনে সব
সময় এই উদ্বেগ কাজ করে নুয়ের হয়তো তারা বাবার মতই পরিণতি হবে।
নতুন লাল আলুর উৎসবের সময় অকোনকো
একদিন দুপুরে বাসায় ঢোকে আর এ সময় তার ২য় স্ত্রী একওয়েফি কিছু কলা গাছ এর পাতা
কেটেছিল কিছু খাবার মোড়ানোর জন্যে, এই সময় সে বলে উঠে গাছ গুলোকে কে হত্যা করেছে।
কিন্তু গাছ গুলো জীবিত ছিল। সে তখন তার স্ত্রীকে বেধরক পেটায়। তার অন্য কোন
স্ত্রীরা তাকে একথা বলার সাহস পায় নি যে অনেক হয়েছে এবার থামো। পশু স্বীকারের
জন্যে অকোনকোর একটি পুরোনো জং ধরা বন্দুক ছিল । এই সময় সে তার স্ত্রীকে বলল বন্দুক
টি নিয়ে আসার জন্যে, সে তাকে প্রতি উত্তরে বলল এটা দিয়ে তো কোন গুলিই বের হয় না।
অকোনকো বন্দুক রাখার ঘরে পাগলের মত ছুটে গেল, বন্দুক লোড করে বেরিয়ে আসতে লাগলো।
একওয়েফি সেই দৃশ্য দেখে কোন রকমে খাটো দেয়াল টপকে বেচে গেল, অকোনকো গুলি করলেও
সৌভাগ্যক্রমে একওয়েফির গায়ে লাগে নি। আসলে অকোনকোর পুরো রাগ টা ছিল উৎসবের প্রতি।
আর সেটার বলি হয় তার ২য় স্ত্রী একওয়েফি। আর একদিন তার ছোট স্ত্রী উজিউগো তার
দুপুরের খাবার তৈরী না করায় সে তাকে অত্যন্ত কঠোর ভাবে মারধর করে। এ সময় সে তার
বান্ধবীর বাসায় চুল বেনী করতে গিয়েছিল। তার স্ত্রীকে মারধরের মাধ্যমে সে শান্তি
সপ্তাহের নিয়ম ভংগ করে, তখন পৃথিবীর দেবীর জাযক তাকে ডাকে আর তাকে পূর্ব পুরুষদের
নিয়মের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । তাকে বলে সে এক ভয়ঙ্কর কাজ করেছে। আর তাকে মনে করিয়ে
দেয় এই ভয়ঙ্কর কাজ তাদের গোটা গোত্রের জন্যে ক্ষতিকর । পৃথিবীর দেবী তাদের গোটা
গোত্রকেই ধ্বংশ অরে দিতে পারে। তাই তাকে আগামিকাল পৃথিবীর দেবীর মঠে একটি মাদী
ছাগল বলি দিতে আদেশ করে আর এক খন্ড কাপড় ও একশত কড়ি দান করতে বলে ।
২য় পর্বের লিংক
৩য় পর্বের লিংক
মারুফ মাহমুদ
ঢাকা কলেজ
২য় পর্বের লিংক
৩য় পর্বের লিংক
মারুফ মাহমুদ
ঢাকা কলেজ
No comments:
Post a Comment