Things fall apart - Chinua achebe - Bangla summary of the full story - part 2 of 3
প্রথম পর্বের পর থেকেঃ
প্রথম পর্বের পর থেকেঃ
পাশের গোত্রের একজন তাদের একজন মেয়েকে
হত্যা করে, পরে বিচারের রায়ে তারা ঐ গোত্রের একজন বালক কে লাভ করে, যার নাম ছিল
ইকমেফিউনা। অকোনকো এই বালকটির ভার গ্রহন করে। ইকমেফিউনা ছিল ১৫ বছরের একজন বালক।
অকোনকোর বাড়িতে এসে প্রথমে সে কিছুটা ভীত ছিল, পড়ে অবশ্য তার ভয় কেটে যায়। প্রথম দুই দিন সে কিছুই খায় নি, এটা শুনে অকনকো একটি লাঠি নিয়ে এসে তার
সামনে দাঁড়ায় আর তাকে লাল আলু খেতে বলে । ভয়ে সে খায় ঠিকই কিন্তু বাড়ির পিছনে গিয়ে
বমি করে দেয়।সে তিন সপ্তাহ অসুস্থ থাকে, এই সময় নুয়ে এর মা তাকে সেবা যত্ন করে। মাঝে মাঝে তার মা ও তার তিন বছর বয়সি বোনের কথা কথা মনে পড়লে সে কেদে
ফেলত। যাই হোক নুয়ে এর মা তাকে তার নিজের সন্তানের মতই অনেক যত্ন করতো। ইকমেফিউনা
খুব তাড়াতাড়ি বাচ্চাদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে লাগলো কারন সে অনেক মজার মজার জিনিস
জানতো। এছাড়া সে বাশি বানাতে পারতো। এমনকি অকোনকো
তাকে খুব ভালোবাসতো। ইকমেফিউনা অকোনকোর বাড়িতে তিন বছর থাকে।
একবার উমোফিয়াতে পঙ্গপাল আসে।
উমোফিয়ার মানুষেরা এটাকে খুশি মনেই স্বাগতম জানায় কারন এটা রান্না করলে খেতে খুব
সুস্বাদু। এই পঙ্গপাল একবার আসলে আবার প্রায় ৭ বছর পরে আসে।
গ্রামের একজন সম্মানিত মুরব্বী গোছের
ব্যাক্তি অগবুয়েফি এজেউডু। তিনি একদিন অকোনকোকে তার বাসায় ডাকেন। তাকে বলেন যে
তাদের দেবী চাচ্ছে অকোনকোকে তাদের পাশের গোত্র মবান্টার রক্ত পান করতে হবে অর্থাৎ
ইকমেফিউনাকে হত্যা করতে হবে। এটা অকোনকোকে মানসিক ভাবে পিড়া দিচ্ছিল , কারন সেই
সময় সে ইকমেফিনার কাজে ও ব্যবহারে খুব খুশি ছিল এবং তাকে তাকে নিজের সন্তানের মতই
ভালোবাসতো। পরের দিন যখন একই আদেশ এলো সে তখন তাকে বলল তোমার বাড়িতে ফিরে যেতে
হবে। সে তাকে বাড়ি পৌছে দেয়ার নাম করে অন্য দিকে নিয়ে গেল। এটা দেখে নুয়ে অনেক
কাঁদল। এদিকে রাস্তায় যখন ইকমেফিউনা দেখতে পেল অকোনকো তাকে তার বাড়ীর দিকে না নিয়ে
উলটো দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। কয়েক ঘন্টা হাটার পর অকোনকোর গোত্রের কয়েকজন লোক তাকে
ম্যাশেট দিয়ে আঘাত করে । সে দৌড়ে গিয়ে অকোনকোর কাছে সাহায্য চায়। তাকে বলে বাবা
আমাকে সাহায্য কর, তারা আমাকে মেরে ফেলছে। কিন্তু
অকোনকোর এতে মন গলে না। সে ভাবল তার গোত্রের লোকেরা তাকে দূর্বল বলবে তাই সে তার
নিজের কোমরে গুযে রাখা ছুরি দিয়ে তাকে হত্যা করলো।
এরপর সে বাড়ি ফিরে এল আর দুই দিন সে
বাড়ি থেকে বের হল না এমনকি কিছু খেলোও না। কারন মৃত্যর পূর্বে ইকমেফিউনা তাকে বাবা
বলে ডেকে ছিল এবং সাহায্য চেয়েছিল। এটা তার মনে খুব পিড়া দিচ্ছিল। অকোনকো তার
বন্ধু অবেরিকাকার কাছে গেল, মনে কিছুটা শান্তি পেল। এদিকে তার মেয়ে ইজিনমা অসুস্থ
হয়ে পড়লে সে তাকে সেবা শুশ্রূষায় ব্যস্ত
হয়ে গেল।
অগবুয়েফি এজেউডু মারা গেল আর তার
অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে সবাইকে ডাকা হল। অকোনকো সেখানে একটি দূর্ঘটনা ঘটালো।
তার বন্দুক টি বিষ্ফোড়িত হয় আর এতে অগবুয়েফি এজেউডুর ১৬ বছর বয়স্ক ছেলে মারা যায়।
সে তখন স্বগোত্রের লোক কে হত্যা করেছে বলে প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে ৭ বছরের জন্যে নিজ
গোত্র ছেড়ে চলে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। বাড়ি ফিরে সে তার মূল্যবান জিনিসপত্র একসাথে করে
স্ত্রী পূত্র সবাইকে নিয়ে পার্শবর্তী গোত্র মবান্টার দিকে রওয়ানা হয়। অগবুয়েফি
এজেউডুর লোকেরা অকোনকোর বাড়ি ঘর এবং গৃহপালিত পশু গুলো সব পুড়িয়ে দেয়। তারা অকোনকোর
কোন চিহ্ন সেখানে রাখতে চায় না।
মবান্টায় অকোনকোর এক চাচা ছিল যার
নাম উচেন্ডু। সে তাকে সেখানে উষ্ণতার সাথেই গ্রহন করে। তাকে সেখানে নতুন বাড়ি তৈরীতে সাহায্য করে।
তাকে লাল আলুর কিছু বীজ দেয় যাতে সে চাষাবাদ করতে পারে। এক বছর পরে অবেরিকা তার
কাছে কয়েক ব্যাগ কড়ি নিয়ে আসে। এটা হল অকোনকোর মিষ্টি আলু বিক্রি করা অর্থ। তারা
পরিকল্পনা করে যতদিন অকনকো সেখানে থাকবে তারা এই ভাবেই কাজ করবে। কিছু দিন পরে
অবেরিকা খারাপ খবর নিয়ে এলো যে আবাম নামের একটি গ্রাম সাদা মানুষেরা ধ্বংশ করে
দিয়েছে।
এরপর একজন সাদা মানুষ উমোফিয়াতে
এসেছিল আর তাকে সেখানকার মানুষেরা হত্যা করে। এর পরের দিন ৬ জন মানুষ আসলো। তাদের
হাতে অশ্র ও বন্দুক ছিল। উমোফিয়াতে এসে তারা ফাকা গুলি ছুড়ে তাদের কে ভয় দেখালো।
কিয়াগা নামক একজন দোভাষীর মাধ্যমে তারা কথা বলল। তারা তাদের দাবি তুলে ধুরল যে
তারা সেখানে থাকার জন্যে একটু জায়গা চায় এবং তাদেরকে তারা আধুনিক শিক্ষা দিবে ও
তাদেরকে সভ্য করে তুলবে। উমোফিয়ার নেতৃ গোছের যারা ছিল তারা রাজী হল কারন তারা
অস্রে সজ্জিত ছিল। তারা তাদের ব্লাক ফরেস্ট নামক স্থানে থাকার জায়গা দিল। ব্লাক
ফরেষ্ট এ সাধারণত তাদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্তদের রেখে আসা হয়, যাতে তারা ধুকে
ধুকে মারা যেতে পারে। তারা ভেবেছিল এইখানে থেকে তারা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ হয়ে
পড়বে ও মারা যাবে কিন্তু দেখা গেল তাদের কোন সমস্যা হয় নি। এই সাদা মানুষেরা ছিল
খ্রিষ্টান মিশনারী। তারা তাদের কে এক খোদার দাসত্বের দিকে ডাকলো। তাদের কে বলল
একাধিক দেবতার উপরে বিশ্বাস রাখাটা হল পৌত্তলিকতার নামান্তর। আর সেসময় আফ্রিকায়
ধর্মের দ্বারা শাস্তি দেয়া হত, খ্রিষ্টানরা ধর্মের দ্বারা শান্তির কথা তাদেরকে
প্রথম বলে। তাই তাদের কাছে বিষয়টা চমকপ্রদ মনে হয়। কিন্তু এলাকার মানুষ খ্রিষ্ট
ধর্মের তিন খোদার কিভাবে দাসত্ব করতে হবে তা বুঝতে পারলো না। এছাড়া তাদেরকে তাদের
ভাষা ও চিকিৎসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলো। তারা বলল বিভিন্ন রকম ভাষায় তারা কথা বলে।
তখন খ্রিষ্টানরা তাদেরকে ইংরেজী ভাষা শেখার আহবান করল। এছাড়া তাদের কে তাদের চিকিৎসা পদ্ধতিও শেখালো।
শেষ পর্বের লিংক
মারুফ মাহমুদ
ঢাকা কলেজ
শেষ পর্বের লিংক
মারুফ মাহমুদ
ঢাকা কলেজ
No comments:
Post a Comment