The god of small things - Arundhati Roy - Full story Bangla summary and Characters list - গড অভ স্মল থিংস - অরুন্ধতি রয় - বাংলা কাহিনী সংক্ষেপ ও চরিত্র তালিকা
এক নজরে চরিত্র সমূহঃ
১। পাপ্পাচি – আম্মু আর চাকোর পিতা
২। মাম্মাচি – আম্মু আর
চাকোর মা
৩। আম্মু – রাহেল আর
এসথার মা
৪। বাবা – রাহেল আর
এসথার পিতা
৫। চাকো- আম্মুর ভাই, আর মাম্মাচি ও
পাপ্পাচির সন্তান
৬। মার্গারেট কোচাম্মা – চাকোর
স্ত্রী
৭। বেবী কোচাম্মা – আম্মুর
খালা
৮। সোফি মল – চাকো ও
মার্গারেট এর মেয়ে
৯। জো – মার্গারেট
এর প্রেমিক
১০। এসথাপ্পেন - সংক্ষেপে এসথা। আম্মুর ছেলে
১১। রাহেল – আম্মুর
মেয়ে
১২। ভেলুথা –
মাম্মাচ্চির আচারের কারখানার কর্মচারী।
১৩। কচু মারিয়া – বাসার
চাকরানী
১৪। ভেলে পাপ্পেন – ভেলুথার
পিতা
১৫। কাট্টাপেন - ভেলুথার ভাই
১৬। মিঃ হলিক – বাবার বস
১৭। ল্যারি ম্যাক ক্যাসলিন - আমেরিকান স্থপতি – রাহেলের
বিদেশী স্বামী।
১৮। পুলিশ অফিসার
গড অভ স্মল থিংস উপন্যাসটি ইন্ডিয়ার
কেরালা রাজ্যের কোন একটি পরিবারের ঘটে যাওয়া ১৯৬৩ এবং ১৯৯৩ সালের মধ্যকার কিছু
ঘটনা নিয়ে রচিত হয়েছে। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা পরিবারটি ছিল সিরিয়া থেকে আগত
আর তারা ছিল খ্রিষ্টান পরিবার। তারা কেরালার আইমেনেম শহরে বাস করত। বেশিরভাগ অংশ ১৯৬৩ সালেই ঘটেছিল। আর রাহেল আর
এসথা নামক চরিত্র দুটিই ছিল মূল মনোযোগের বিষয়। তারা দুইজন তাদের মা আম্মু আর নানী মামাচির সাথে বাস করত। তাদের সাথে বাস
করত তাদের ফুপা চাকো এবং তাদের নানীর বোন বেবী কোচাম্মা।
মামাচি বিয়ে করে পাপাচিকে এবং পাপাচি
ছিল একজন পতঙ্গবিদ। একদিন সকাল এ সে
তার চায়ের কাপে একটি নতুন পতঙ্গ আবিষ্কার করে যেটি আবিষ্কারের কৃতিত্ব সে লাভ
করেনি বরং তার এক সহকারি সেটি লাভ করে। এ জন্যে
সে প্রচন্ড বিষাদময় একটা মানসিক অবস্থায় ছিলেন। সে তার স্ত্রীকে প্রচন্ড প্রহার
করত। ১৯৬৩ সালে পাপাচি মারা যায় এবং
মামাচি অন্ধ হয়ে যায়।
তার বাড়ির পিছনেই ছিল মিনাচল নদী আর
মামাচির প্রতিষ্ঠিত আচার উৎপাদনকারী ফ্যাক্টরী প্যারাডাইজ পিকলস এন্ড প্রিজার্ভস।
তার বোন বেবী কোচাম্মা ছিল একজন তিক্ত ও হিংশুক মহিলা যে একজন আইরিশ মিশনারী্র
প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। তাকে কাছে পাবার আকাঙ্খায় সে মাদ্রাজ গিয়েছিল আর সেখানে নান
হিসেবে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু সবই বৃথা, তাকে সে তার জীবন সঙ্গিনী হিসেবে পায় নি। তাই সে সারা জীবন অবিবাহীতই থেকে যায়।
মামাচির ছেলে সন্তান চাকো লন্ডনে যায়
পড়াশুনা করতে আর সেখানে গিয়ে সে মার্গারেট কোচাম্মা নামক একটি মেয়েকে বিয়ে করে এবং
তাদের একটি সন্তান হয় যার নাম রাখা হল সোফি মল। এদিকে মার্গারেট চাকোকে ছেড়ে জো নামক একজন পুরুষের কাছে চলে যায়। চাকো তখন
আইমেনেম এ চলে আসে আর তাদের আচার তৈরীর ফ্যাক্টরীর দায়িত্বভার গ্রহন করে।
আম্মু প্রথমে কলকাতা চলে যায় আর
সেখানে বাবা নামক একজনের সাথে তার দেখা হয়।
বাবা তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, ৫ দিনের মাথায় সে রাজী হয়ে যায়। বিবাহের
পরে দেখা যায় বাবার চাকরি চলে যায় আর সে ছিল একজন মদখোর। তাদের দুটি জমজ সন্তান হয়। ছেলেটির নাম রাখে
এস্থাপ্পেন আর মেয়েটির নাম রাখে রাহেল। বাবা টি এস্টেটে চাকরি করত সে তার চাকরি
ফিরে পাবার আশায় তার স্ত্রী আম্মুকে টি এস্টেটের ম্যানেজার মিঃ হলিককে মনোরঞ্জন
করতে বলে। আম্মু রাজি না হওয়ায় সে তাকে কঠিন ভাবে প্রহার করে। এমনকি এসথা আর রাহেলকেও
সে প্রহার করতে শুরু করে। তখন আম্মু তার সন্তানদের নিয়ে তার মায়ের কাছে চলে আসে।
বেবি কোচ্চাম্মাই তখন তাদের অবিভাবক, সে নিজেও যেমন পুরুষদের দ্বারা নিগৃত ছিল তাই
সে আম্মুর প্রতি কোন দয়া বা মায়া অনুভব করতো না। সে মেনেই নিতে পারত না যে একজন বিবাহীত মেয়ে কেন বাবার বাসায় থাকবে। বেবী
কোচাম্মাই স্বামী পরবর্তী বাবার বাসায় আম্মুর জীবনের সকল দূঃখ কষ্টের মুল।
এদিকে চাকোর স্ত্রী মার্গারেট এর
প্রেমিক জো মারা গেলে সে তার স্ত্রীকে আয়মেনেম এ আসার আমন্ত্রন জানায়। সে তার
সন্তান সোফিকে নিয়ে সেখানে আসে। তাকে আনার
জন্যে বিমানবন্দরে চাকো, আম্মু আর তাদের সন্তান এস্থা আর রাহেল যায়। রাস্তায় কম্যুনিস্টদের একটা মিছিলের সামনে পড়ে
তাদের যাত্রা বিরতি দিতে হয়। এ সময় রাহেল দেখে মিছিলের ভেতর তাদের আচারের কারখানার
কর্মচারী ভেলুথা লাল পতাকা ওড়াচ্ছে। ভেলুথা ছিল একজন অচ্ছুত ব্যক্তি আর তাদের
কারখানার দেখভালের মূল দায়িত্বই সে পালন করত।
এরপর তারা ফেরার পথে রাহেল আর এস্থার
প্রিয় সিনেমা “ সাউন্ড অফ আ মিউজিক” দেখার
জন্যে থিয়েটার এ গেল। এসথা সিনেমার সাথে
সাথেই গান গেয়ে গেল। তখন তাকে সিনেমা হলের পিছনের সারিতে গিয়ে গান গাইতে বলা
হল। এসময় থিয়েটারের খাবার বিক্রেতার
দ্বারা এসথা লাঞ্ছিত হল।
এর পরের দিন সকাল এ রাহেল খেয়াল করল
সবাই মার্গারেট আর সোফি কে নিয়ে ব্যাস্ত। তাদের কেউই তেমন একটা পাত্তা দিচ্ছে না,
তখন কিছুটা হিংশা অনুভব করতে লাগলো। আচার কারখানার কর্মচারী ভেলুথার সাথে ছিল রাহেলের
ভাল সম্পর্ক। তখন সে এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলতে লাগল। তাকে বলল সে তাকে মিছিলে
দেখেছে। তবে সে যে তার কর্মচারীদের কম্যুনিষ্টদের মিছিলে দেখতে চায় না এ ব্যাপারে
তাকে কিছুই বলল না। তাদের এই মাখামাখির দৃশ্য আম্মু দেখল আর সেও হিংশা অনুভব করতে
লাগল।
খাদ্য বিক্রেতার সাথে ঘটে যাওয়া
ঘটনার কারনে এসথা এসময় মানসিকভাবে পিড়িত ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছিল যেন খাদ্য
বিক্রেতা আবার আসবে। সে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাচ্ছিল। তাই সে আর তার বোন
রাহেল একটা নৌকায় করে গোপনে ঘুরতে বের হল। তবে তারা সোফির কাছে ধরা পরে গেল। সে
তাদের সঙ্গী হতে চাইল। এই সময় আম্মু আর ভেলুথার মাঝে যে গোপন সম্পর্ক ছিল তা
প্রকাশ হয়ে গেল। আম্মুকে তার ঘরে আটকিয়ে রাখা হল। এই মোক্ষম সময়ে তারা তিনজন তাদের
নৌ বিহারে বের হল। রাতে একটা বিশাল গাছের
গুড়ির সাথে লেগে তাদের নৌকা ডুবে গেল। এসথা আর রাহেল কোনমতে সাতার কেটে তীরে পৌছাল
কিন্তু সোফি সাতার না জানায় সে ডুবে গেল।
তারা দুই জনে হিস্টোরী হাউজ নামক স্থানে লুকিয়ে রইলো।
পরে সোফির দেহ পাওয়া গেলে তারা
ভেলুথাকে পুলিশে দিল। বেবী কোচাম্মা পুলিশকে জানাল আম্মুকে আটকে রাখার কারনে
ভেলুথাই সোফিকে হত্যা করেছে আর তাদের দুজনকে লুকিয়ে রেখেছে আরো জানালো ভেলুথা
আম্মুকে ধর্ষন করেছে। পুলিশ তথ্য আদায়ের জন্যে তাকে চরমভাবে প্রহার করল। এক সময়
ভেলুথা মারা গেল। এ সময় আম্মু, রাহেল আর এসথাকে নিয়ে থানায় গেল ভেলুথাকে মুক্ত
করার জন্যে কিন্তু ততক্ষনে ভেলুথা পুলিশের বেদম প্রহারে মৃত্যু বরণ করেছে। এতে করে
সব কিছু শেষ হয়ে যায়নি বরং ঘটনা আরো খারাপ রুপ লাভ করল। আম্মুর ঘটনা আর সোফির
মৃত্যু তাদের পুরো পরিবারকে একরকম বিভক্ত করে তুলল। মার্গারেট সোফির মৃত্যুর জন্যে
আম্মুকেই দায়ি করল। সোফির অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে তাদের তিনজনকে আলাদা করে রাখা
হল।
এসময় এসথা তার পিতা বাবার কাছে চলে
গেল। রাহেল অন্ধ মামাচ্চির কাছেই রয়ে গেল। সে তাকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দিল। আর
তাদের মা আম্মু বাড়ি থেকে চলে গেল। এরপর সে একটি স্থাপত্যবিদ্যার কলেজে পড়াশুনা
করল। কয়েক বছর পরে রাহেল আম্মুর সাথে মিলিত হল। আর জানতে পারল তার মা আম্মুর
ফুসফুসে একটা রোগ ধরা পড়েছে, অচিড়েই সে মারা যাবে। তার ১১ বছর বয়সেই তার মা মারা গেল।
রাহেল এর পর তার পরাশুনা শেষ না করেই
কলেজের একজন অগ্রজ ছাত্রকে বিয়ে করে আমেরিকা চলে গেল। সেখানে একটি রেস্টুরেন্ট এ কাজ
করত। তাকে সে ভালোবাসতে পারল না। এক সময় সে
তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়।
৩১ বছর বয়সে রাহেল জানতে পারল তার
ভাই আইমেনেম এ ফিরে এসেছে। তার বাবার সাথে থেকে সে কিছুটা বোবা প্রকৃতির হয়ে গেছে,
সে কারো সাথেই কথা বলে না, কোন দিকে না তাকিয়ে দীর্ঘ রাস্তা হেটে বেড়ায়। রাহেল তখন
আইমেনেম এর দিকে যাত্রা করল। এখানে সে তার মা আম্মুকে জীবিত পেল না কিন্তু বেবি
কোচাম্মা তখনো বেচে ছিল । রাহেল তার
ভাইয়ের সাথে সারাদিন কাটাতে লাগল। তাকে তার আগের অবস্থায় আনার জন্যে পুরোনো দিনে
স্মৃতি গুলো মনে করিয়ে দিত। সে এই প্রথম কারো প্রেমে পড়ে গেল যদিও তার প্রেমে পড়া
উচিত নয়।
Maruf Mahmood
MA, English, Dhaka College
Maruf Mahmood
MA, English, Dhaka College
thanks
ReplyDeletegd
ReplyDeletekeep it up.
ReplyDeleteI'm very impressed
ReplyDeleteThanks a lot.
ReplyDelete