PETALS OF BLOOD – Ngugi wa Thiong'o – Bangla Summary of full novel part 2 of 2
যখন তারা নাইরোবিতে যায় তখন
আব্দুল্লার আশ্রিত ভাই অসুস্থ হয়ে পরে । তখন তার সুস্থতার জন্যে তাদের অর্থের
প্রয়োজন হয়। এই জন্যে তারা অনেকের কাছে
সাহায্যের জন্যে যায়। প্রথমে তারা পাদ্রী জেরডের কাছে যায় কারন সে একজন ধর্মভিরু
মানুষ এবং তারা ভেবেছিল সে তাদের কে সাহায্য করবে কিন্তু সে কোন সাহায্য করে নাই।
তারপর তারা চুই এর কাছে যায়। কারন সে মুনিরার সহপাঠী ছিল কিন্তু তার দরজায় টোকা দিলে
একজন মহিলা কন্ঠের চিৎকার শুনতে পায়। বিপদের ভয়ে মুনিরা সেখান থেকে চলে আসে।
অবশেষে তারা কিমেরিয়ার সাথে যোগাযোগ করে। কিন্তু কিমেরিয়া তাদের একটা অত্যন্ত
নিকৃষ্ট পর্যায়ের প্রস্তাব দেয়। সে বলে যদি ওয়ানজা তার সাথে বিছানায় যায় তবে সে
তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে। উপায় না দেখে ওয়ানজা রাজী হয়।
এরপর তারা তাদের এমপি এনডেরী ওয়া
রিয়েরার সাথে দেখা করতে যায়। প্রথম দিন সে তার অফিসে ছিল না। তারপরের দিন তারা
আবার গেলে এমপি সাহেব ভাবেন তাদের এই আগমন তার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের কোন
ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা। তারা তার সাথে দেখা করে তার প্রশংসা সহকারে একটি গান শুনায়।
তারপর তাদের শহরের অবস্থা বর্ণনা করে। তার কাছ থেকে সাহায্য চায়। সে তাদের কে কোন
প্রকার সাহায্য করতে অস্বীকার করে আর তাদের বলে তার দলের জন্যে অর্থ সংগ্রহ করতে। রাগে
তারা তার গায়ে ময়লা আবর্জনার ঝুড়ি ছুড়ে মারে। সে তারপর থানায় যায় এবং পুলিশ
কারেগা, আব্দুল্লা এবং মুনিরাকে গ্রেফতার করে। একজন আইনজীবীর মাধ্যমে তারা মুক্ত
হয়। তাদের এই গ্রেফতারের মাধ্যমে এই খবর বিদেশেও পৌছে গেল। বিদেশ থেকে বিভিন্ন
দাতা সংস্থা এই শহরের জন্যে সাহায্য পাঠালো। তারপর তারা যখন নিজেদের শহরে ফিরে এলো
তখন শহরে বৃষ্টি হল। তারা এই বৃষ্টিকে উপভোগ করার জন্যে একটি পার্টি দিল। সেখানে
তারা অত্যধিক পরিমানে থেংএটা পান করল। অতিরিক্ত মদ খেয়ে কারেগা একটা গোপন কথা
প্রকাশ করে ফেলল। উচ্চবিদ্যালয়ে থাকার সময় সে মুনিরার বোন মুকামীর সাথে প্রেম
করতো। মুনিরার বোন আত্মহত্যা করে তার কারনে। কারেগার ভাই মাউ মাউ যুদ্ধে একজন
যোদ্ধা ছিল। যেটা মুকামীর বাবা পসন্দ করে নি। তাই সে এই সম্পর্ক মেনে নেয় নাই।
এদিকে মুনিরা কারেগার প্রতি কিছুটা ঘৃণা অনুভব করল। এছাড়া কারেগা আর ওয়ানজার
প্রেমও তার মাঝে ঈর্শার সৃষ্টি করে। সে তাকে তার স্কুল থেকে তাকে বের করে দিতে
চাইলো। এমনকি ওয়ানজাও তাকে অনুরোধ করে কিন্তু সে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে চাকরি থেকে
বের করে দেয়।
এদিকে ইলমোরগে একটি প্লেন ভূপাতিত হয়
আর দূর্ভাগ্যক্রমে অথবা সৌভাগ্যক্রমে সেখানে আব্দুল্লার গাধাটি মারা যায়। যা
আব্দুল্লার জন্যে খুব কষ্টের খবর কিন্তু এর মাধ্যমে আব্দুল্লার কিছু ব্যবসায়ীক লাভ
হয়। প্লেনটি দেখার জন্যে আশে পাশের ও দূর দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসে। তারা
সেখানে আব্দুল্লার দোকান থেকে মদ পান করতো। আব্দুল্লা তখন ছোট একটি রেষ্টুরেন্ট দেয় সেখানে আর ব্যাপক ভাবে থেংএটার বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে তার গাধা হারানোর ক্ষতি
কিছুটা পুষিয়ে নেয়।
এর মাধ্যমে এই শহরের নাম দূর
দূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ইলমোরগের চেহাড়াও অনেক পালটে যায়। বড় বড় ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠান
এখানে বিনিয়োগ করা শুরু করে। এ সময় ওয়ানজার দাদীর জমি সরকার নিয়ে নেয়। সে অনেক
চেষ্ঠা করে এই জমি ফিরে পাবার জন্যে। কিছুদিন পড়ে সে মারা যায় । ওয়ানজার থেংএটার
ব্যবসাও সরকার বন্ধ করে দেয় লাইসেন্স এর দোহাই দিয়ে। আর এদিকে জিগো, চুই আর
কিমেরিয়া থেংএটার ব্যাবসা শুরু করে। ওয়ানজা তখন উপায়ান্তর না দেখে তার দাদীর জমি
সরকারের কাছ থেকে কিনে নেয়। এখানে তার দাদীকে কবরস্থ করে আর বাড়ী তৈরী করে আবার
দেহব্যাবসা শুরু করে। সে তার দেহকে বাজারের পন্য হিসেবে পরিবেশন করে। তার কাজ কে
সত্যায়িত করার জন্যে সে বলে নতুন কেনিয়ায় তুমি কাউকে খেতে না পাড়লে অন্য কেউ না
কেউ তোমাকে খেয়ে ফেলবে।
ওয়ানজা আবার লিলিয়ান নামক একজনের
সাথে সম্পর্কে জড়ায়। তবে সেটা বেশিদিন টিকে নাই। মুনিরা লিলিয়ানকে একদিন দেখতে পায়
সাধারন মানুষকে ধর্মীয় উপদেশ দিচ্ছে। এই বিষয়টা মুনিরার মনে প্রভাব ফেলে। সে ভাবে
সেও লিলিয়ানের মত ভালো হয়ে যাবে। সে তাই থেংএটা পান করা ছেড়ে দেয়। সে তখন পরিশুদ্ধ
ধর্মীয় জীবন যাপন করা শুরু করে এবং ওয়ানজা, কারেগা এবং আব্দুল্লাকেও এই পথে ডাকে।
তিনজন নিহত হবার পর আব্দুল্লাকে
পুলিশ জিজ্ঞাসাব্দ করলে সে তাদের পুরোনো সব ঘটনা খুলে বলে। সে ওয়ানজাকে এক সময় বিয়ে করতে চেয়েছিল। সে এটা
না করে একটা পতিতালয় খুলে বসে। আব্দুল্লার ব্যবসা সরকার কেড়ে নিলে সে একেবারে
কপর্দক হীন হয়ে পড়ে। জোসেফ তখন সিরিয়ানা স্কুলে পড়াশুনা করছিল। সেই ছিল তার ভরসা।
সে একদিন ওয়ানজার কাছে গিয়েছিল, তাকে সেখানে সে কান্নারত অবস্থায় পায়। তারা সেখানে সারা রাত কথা বলে আর ভালোবাসা
বিনিময় করে। সকালে সে ভাবছিল আজ রাতেও সে সেখানে যাবে কিন্তু রাস্তায় হঠাত তার
সাথে কিমেরিয়ার দেখা হয়ে যায়। সে মনে করে কিমেরিয়া রাতে ওয়ানজার কাছে যাবে। তাই সে
তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরে যখন সে ওয়ানজার বাসায় যায় কাছাকাছি গিয়ে দেখতে
পায় বাড়িতে আগুন। সে ওয়ানজাকে আগুন থেকে রক্ষা করে। ইন্সপেক্টর গডফ্রেকে সে বলে
কিমেরিয়া তার কারনেই নিহত হয়েছে।
ওয়ানজা আব্দুল্লার সাথে রাতের ঘটনার
পরে সিদ্ধান্ত নেয় সে সবার সাথে যে সম্পর্ক রাখে সেটা বাদ দিবে। তাই সে চুই, কিমেরিয়া
আর জিগোকে তার বাসায় ডাকে। তিনজনকে তিনটি রুমে আলাদা আলাদা ভাবে প্রবেশ করায়। সবার
শেষে কিমেরিয়ার রুম থেকে বের হবার আগে সে তাকে ভারী একটা ফ্রায়িং প্যান দিয়ে আঘাত
করে। রুম থেকে বের হতে গিয়ে দেখে তার পুরো ঘরে আগুন। পরে জানা যায় যে মুনিরা
পেট্রল ঢেলে এই আগুন ধরিয়েছে।
পরে ওয়ানজা ছাড়া পায় আর সে তার মায়ের
কাছে চলে যায়। সে তার মাকে বলে তার পেটে আব্দুল্লার সন্তান। আব্দুল্লা ছাড়া পেয়ে
জোসেফের সাথে মিলিত হয়। মুনিরা জেলে বসে বাবার কাছ থেকে বিভিন্ন খবর নেয়। কারেগার
বাবা তাকে তার মায়ের মৃত্যুর খবর দেয়।
Maruf Mahmood
MA, English, Dhaka College
No comments:
Post a Comment