মূল কবিতার অনুবাদঃ
১ম পর্বঃ লিঙ্ক
২য় পর্বঃ লিঙ্ক
মূল কবিতার ইংরেজিঃ লিঙ্ক
de to a Skylark - Percy Bysshe Shelley - Bangla translation and Summary
সারমর্ম ও কাব্যিক মূল্যায়নঃ
কবি বলেছেন স্কাইলার্ক বা ভরত পাখি
যা আকাশ থেকে সুরের ধারা প্রবাহিত করে যায়। ক্রমাগত আরো উপরে উঠতে থাকে, এটা কেবলি
পাখি নয়। এটা তার আনন্দকামী আত্মার প্রতিফলন, যা সূর্যের সাথে উদয় হয় আবার সূর্য
অস্ত গেলে তারার মত দৃশ্যমান হয়। এর গানকে তুলনা করা হয় চাঁদের আলোর সাথে। ফলে
বুঝতে পারি এটা দেখার চেয়ে অনুভব করার বিষয়।
এর গানকে আলোক ধারার মত কল্পনা করলে বুঝতে পারি মেঘমুক্ত আকাশে চাঁদের
আলোকোজ্জল বর্ণালীর উদগীরন।
পাখির রুপ কি সে নিয়েও কবি বেশ
উদ্বিগ্ন। এর গানকে তুলনা করা যায় মেঘ ভেঙ্গে রংধনুর মধ্যে দিয়ে যে বৃষ্টিধারা আসে
তার সাথে । সুর্যের আলোকে পাখির হারানোকে আমরা সৌরালোকে গোপনে থাকা তারার কথা
ভাবতে পারি। অথবা উচ্চ বংশীয় কোন যুবতীর ভালোবাসা কাতর গান অথবা বাতাসে দোলায়িত
গোলাপ যা সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে সব দিকে থেকে।
কবি বলেন স্কাইলার্কের বিষয়ে আমরা
এমন কিছু ভাবতে পারি না যা আমাদের নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়ের সাথে মিলে যায়। তা করলে
আমাদের কেমল ধোয়াসাই কুড়াতে হবে। কোন তল পাওয়া যাবে না। কারন এই পাখির গানের কাছে বিয়ের গানও ম্লান হয়ে যায়।
কবি পাখিটির গানের প্রেরনা সম্পর্কে
ভাবতে গিয়ে বিষ্ময়াবিভূত হন। এর গান শুনে মনে হয় সে কোন অভাবের কথা জানে না, যা
মনের মধ্যে দূঃখের বীজ বুনে দেয়। ম্লান করে দেয় সকল আনন্দ। এটা মৃত্যুর চেয়েও
সূচারূ মন্ত্র জানে। মানুষের সমস্ত আনন্দের সাথেই বেদনা জড়িত থাকে। মানুষ যতই ঘৃণা
–
বিদ্বেষ-গর্ব-দুঃখবোধ থেকে মুক্ত থাক না কেনো, কবি ইচ্ছা পোষন করেন, অন্তত পাখিটির
অর্ধেক আনন্দও যদি লাভ করা যেতো। তাহলে
তিনি এমন কবিতা রচনা করতেন, যাতে পৃথিবীর সমস্ত মানুষ তার রচনার দিকেই মনোযোগী হত।
No comments:
Post a Comment