আয়না (পর্ব ১) দেখতে এখানে ক্লিক করুন
"ওরে গোলাম, ওরে নফর, তবুও বলিশ
তোর বাজান।তোমার বাজানের গলায় কি হাসলি, নাকে নথ আছে নাকি?"বউ আরো জোরে চিতকার করিয়া উঠিলো।
পাশের বাড়ির বড় বু বেড়াইতে আসিয়াছিল।মাথায়
ঘুমটা দিয়ে এসে বললো, " কিলো, তোদের
বাড়ি এত ঝগড়া কিসের? ---তোদের তো কত মিল ছিলো। একদিন কোন কথা কাটাকাটি শুনি নাই।"
চাষীর
বউ আগাইয়া আসিয়া বলিলো, -" দেখ বুবুজান, আমার সোয়ামী আর একটি বউ বিবাহ
করিয়া আনিয়া কলশির ভিতর লুয়াইয়া রাখিয়াছিল। ঐ সতিনের মেয়ে সতিন কে আমি পা দিয়ে পিষিয়া ফেলিবো না।? দেখ দেখ, বুবুজান,
ঐ আয়নার ভিতর কে?
তখন বড় বউ আসিয়া সে আয়নার উপর মুখ দিলো।তখন
দুই জনের চেহারা দেখা গেলো।তখন ও বাড়ির বড় বউ বলিল এ তো তোর চেহারা, আর একজন কারো চেহারাও যেন দেখতে পাইতেছি।
চাষী বলে, " কি বলেন বুবু জান, এর ভিতরে আমার বাপজানের চেহারা। "এই বলিয়া চাষী আসিয়া আয়নার সামনে
মুখ দিল।তখন তিনজনের চেহারাই দেখা গেল।তাহাদের কলরব শুনিয়া এ বাড়ির ছোট বউ,
সে বাড়ির মেঝো বউ, আরফানের মা, আব্দুর রহমানের বোন, আনোয়ারার নানী আসিল।
যে আয়নায় মুখ দেয়, তাহারি চেহারা আয়নায় দেখা যায়------- এ তো বড় তেলেসমাতির কথা।এই খবর, এ গায়ে সে গায়ে রটিয়া গেল।এদেশ
হইতে ও দেশ হইতা লোক ছূটিয়া আসিলো, সেই যাদুর তেলেসমাতি দেখিতে।তারপর ধীরে ধীরে লোকে বুঝিতে পারিলো সেটা আয়না।
No comments:
Post a Comment