চাষী খেত কামারের কাজে মাঠে
গিয়েছে।চাষীর বউ গোপনে গোপনে পানির কলসি হইতে আয়না খানা বাহির করিয়া, তাহার দিকে চাহিয়া রাগে আগুন হইয়া উঠিলো।
আয়নার উপরে তাহার নিজেরই ছায়া
পড়িয়াছিলো; কিন্তু সে তো কোনদিন নিজের চেহারা আয়নায় দেখে
নাই।সে মনে করিল, তাহার
সোয়ামী আরেকটি মেয়ে মেয়ে বিয়ে করিয়া এই পানির কলসির ভিতর লুকাইয়া রাখিয়াছে। সেই
জন্যে আজ কয় দিন তার স্বামী তার সাথে কথা বলিতেছে না।
যখনি
অবসর পায়, ঐ মেয়েটির সাথে কথা বলে।"আসুক আগে মিনসে আজ
বাড়িতে।আজ দেখাইবো এর মজা।
একটি ঝাটা হাতে লইয়া বউ রাগে ফুলিতে লাগিলো।আর যে কড়া কথা তাহার
সোয়ামীকে শুনাইবে, মনে মনে আউড়াইয়া তাহাতে শান দিতে
লাগিলো।দুপুরবেলা মাঠের কাজে হয়রান হইয়া, রোদে ঘামিয়া, চাষী
যখন ঘরে ফিরিলো: চাষীর বউ তখন ঝাটা হাতে লইয়া তাড়িয়া আসিলো, ওরে গোলাম, তোর এই কাজ।? একটা কাকে বিবাহ করিয়া আনিয়াছিস।? এই বলিয়া আয়নাখানা
চাষীর সামনে ছুড়িয়া মারিলো।"কর কি? ---- কর কি? ----ও যে আমার বাজান।" অতি আদরের সাথে
সে আয়নাখানা কুড়াইয়া লইলো।"দেখাই আগে তোর বাজান।" এই বলিয়া ঝটকা দিয়া আয়নাখানা
টানিয়া লইয়া বলিলো, " দেখ তো মিনসে এর ভেতরে কোন
মেয়েলোক বসিয়া আছে? এ তোর
নতুন বউ কিনা?"চাষী বললে, " তুমি কি পাগল হইলে, এ যে আমার বাজান! "
yjuyrtyh
ReplyDelete