Total Pageviews

Tuesday, August 28, 2018

Tree Without Roots - Syed Waliullah - Bangla Summary and Characters - part 1 of 2



tree without roots - syed waliullah - bangla summary


Tree Without Roots - Syed Waliullah - Bangla Summary and Characters - part 1 of 2  

Lal Shalu Summary and Characters

"লাল সালু" কাহিনী সংক্ষেপ ও চরিত্রসমূহ
 এক নজরে চরিত্রসমূহঃ
১। মজিদ
২। খালেক ব্যাপারি
৩। সরকারী কর্মকর্তা
৪। রহিমা মজিদের ১ম স্ত্রী
৫। জমিলা মজিদের ২য় স্ত্রী
৬। হাসুনির মা তাহের কাদেরের বোন  
৭। তাহের,কাদের ও রতন তিন ভাই  
৮। আক্কাস মোদাব্বেরের ছেলে
৯। মোদাব্বের বৃদ্ধ চাষী
১০। তাহের আর কাদেরের বৃদ্ধ পিতা ও মাতা
১১। আমেনা বিবি - খালেক ব্যাপারির বড় স্ত্রী
১২। তানু বিবি - খালেক ব্যাপারির ছোট স্ত্রী
১৩। আউয়ালপুরের পীর
১৪। কুলসুম রহিমাকে সাহায্যকারী
১৫।মতলুব খা -  আউয়ালপুর ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট
১৬। ধলা মিয়া খালেক ব্যাপারির ছোট স্ত্রীর ভাই

মাস্টার্স ফাইনালের সিলেবাসের অন্যান্য লেখা ও অনুবাদ 


মূল ঘটনাঃ
গারো পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলে এক সরকারী কর্মকর্তা প্রাণী শিকারের জন্যে গিয়েছিলেন। সেখানে মধুর কন্ঠে আযান শুনে তার মনে কৌতুহল জাগে। তারপর তার দেখা হয় সেই আযানদাতার সাথে। তাকে তার পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। আরো জিজ্ঞাসা করেন সে কেনো এখানে এসেছেন। সে তাকে আসল কথা না বলে তাকে জানায় যে এই এলাকার মানুষের মাঝে খোদা তায়ালার আলোর বড় অভাব। সে এখানে এসেছে মানুষদের মাঝে খোদার আলো ছড়াতে তখন শিকারীর সাথে কথা চালিয়ে জানতে পারে মহব্বতনগর নামক গ্রামের কথা, যেখানে শিকারীরা আগে থাকতো এবং সেখানে তার আত্মীয় স্বজনের কবর রয়েছে। ঘটনা আপাতত এখানেই খতম। এভাবেই মজিদ নামের লোকটির সাথে লেখক আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন।  
তারপরের দৃশ্যে আমরা দেখতে পাই মতি গঞ্জের ঘাটের কাছে কোন এক জায়গায় তাহের আর কাদের নামক দুই ভাই মাছ ধরছে । তারা ঘাটের কাছে এক জায়গায় একজন মৌলভীকে মাটিতে নামাজ পরতে দেখে।
এর পরের দৃশ্যে তাহের আর কাদের তাদের বাড়িতে ফেরার পথে গ্রামের খালেক ব্যাপারির বাড়িতে একটা ছোট খাট ভীড় দেখতে পায়। সেখানে তারা সে মৌলভী গোছের লোকটিকে দেখতে পায় সে কথা বলছে, সে নাকি হারো পাহাড়ের একটা গ্রামে  বসবাস করতো। একদিন সে স্বপ্নে দেখতে পায় এই এলাকার মোদাসসের পীর নাকি তাকে বলেছে এই এলাকার মানুষ আল্লাহকে ভুলে গেছে, তারা জাহেল অজ্ঞ ও মূর্খ হয়ে গেছে। আর তার মত এতো বড় একজন পীরের কবরটা অযত্নে সেখানে পরে আছে। সবাই সেটা পরিষ্কারের কাজে লেগে গেল। এর পর সালু কাপরে কবরটা ঢেকে দেয়া হল আর এর অর্থনৈতিক দায়িত্বটা খালেক ব্যাপারী খুশি মনেই নিয়ে নেয়। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে আসতে লাগল নিজেদের নানারকম মনষ্কামনা খোদা তায়ালকে জানাতে। যারাই আসে তারা বিভিন্ন রকম জিনিসপত্র বা টাকা পয়সা নিয়ে আসে। অল্প কয়েক  দিনেই মজিদের জীবনে স্বচ্ছলতা ফিরে এলো। কিছুদিন পরে মজিদ বিয়ে করে রাহিমা নামক এক মেয়েকে। রহিমা ছিল খুবই ধর্মপরায়না নারী আর স্বামী ভক্ত। মজিদের সকল কথা সে খুব ভক্তি সহকারে শুনত ও মানত। দিন যায়, বছর যায়, মজিদের অবস্থার আরো উন্নতি হয়, জমি জিরেত বেড়ে যায়।
তার কাজ শুধু কবরের রক্ষনাবেক্ষন করা আর মানুষদেরকে ধর্মোপদেশ দেয়া। সে একদিন কোন এক উপদেশ দেয়ার আসরে বসে দুদু মিয়াকে বলে সে কালিমা তাইয়্যেবা জানে কিনা । সে তাকে বলে সে গরিব মানুষ। তখন খালেক ব্যাপারির বাসায় মজিদের মক্তবে কালিমা শিখতে আসতে বলে। তারা সবাই তাকে এজন্যে তার সন্তানদের সামনেই বকা ঝকা করে। লজ্জায় তার মাথা নিচু হয়ে আসে। আর একদিন মজিদ কয়েকটি ছেলে পাকরাও করে জিজ্ঞাসা করে তাদের খৎনা হয়েছে কিনা। এক ছেলে আর একজনকে দেখিয়ে বলে তার খৎনা হয় নাই। তখন তাকে জোড়াজুড়ি করলে তার মুখ থেকে বের হয় তার বাবারই হয় নাই তবে তাকে কেনো খৎনা করতে হবে। মজিদ তাদের দুইজনকে মসজিদের সামনে আটকিয়ে রাখে। তারপর জুম্মার নামাজ শেষে সবার উপস্থিতিতেই উভয়েরই খৎনা করিয়ে দেয়।
এদিকে গ্রামের মহিলারা রহিমাকেও অন্য চোখে দেখে। সবাই তাকে সমিহ করে কথা বলে। তাদের মনের আর্জি গুলো তার কাছে বলে যায়। রহিমা ছিল নিঃসন্তান। রাতে সে দোয়া করে । গ্রামের অন্য মানুষদের জন্যেও সে আল্লাহর কাছে দোয়া করে।
হাসুনির মা নামে এক মহিলা রহিমার কাছে এসে তার পিতা মাতা দুই জনের মৃত্যুর জন্যে দোয়া করতে বলে। হাসুনির মা ছিল তাহের আর কাদেরের বোন।  তাদের পিতা আর মাতার মাঝে বৃদ্ধ বয়সে সব সময়ই ঝগড়া লেগে থাকত। একদিন তাহেরের বাবা তার মাকে রাগের বসে মারার জন্যে এগিয়ে যায়, তাহের আর কাদের সেটা দেখে তাকে থামায়। হাসুনির মা আর রহিমার কথা শুনে মজিদ এ ব্যাপারে জেনে যায়। সে তাহেরের পিতার সাথে দেখা হলে তাকে এব্যাপারে বলে , সাথে এটাও বলে মেয়ে মানুষ কিভাবে তার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সাহস পায়। বৃদ্ধ লোকটির মাথায় তখন আসে না কিভাবে সে এই ঘরের খবর জানতে পারল। তখন সে অনেক ভেবে বের করে নিশ্চই হাসুনির মা এর কাছ থেকেই সে এ খবর জেনেছে। বাসায় ফিরে সে হাসুনির মা মানে তার মেয়েকে বেদম প্রহার করে। সে দিন তাহের আর কাদের বাসায় ছিল না তাই তার হাত থেকে হাসুনির মাকে কেউই রক্ষা করেনি। হাসুনির মা তখন রহিমাকে বলে তার মৃত্যুর জন্যে দোয়া করতে। এই সময় মজিদ গ্রাম্য বৈঠকে তাহেরের পিতাকে এই ব্যাপারে অপমান করে আর প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে মাজারে ৫ পয়সার সিন্নি দিতে বলে।
বাড়ি ফিরে সে আর দুইদিন কোন খাবার খায় না, তারপর সে দিন ঝড় আসে এ সময় সে হাসুনির মাকে ডাকে চিড়া আনতে বলে। হাসুনির মায়ের মনেও পিতার জন্যে এক প্রকার কষ্ট কাজ করছিল। তাই সে তাড়াতাড়ি এনে দেয়। এর পর বৃদ্ধ বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথাও নিরুদ্ধেশ হয়ে যায় কেউ আর খুজে পায় না । কেউ কেউ বলে সে হয়তো দুঃখে নদীর পানিতে ঝাপ দিয়েছে।
এদিকে মজিদের বাড়িতে সাহায্যকারী হিসেবে হাসুনির মায়ের যাতায়াত ছিল। মজিদ তাকে দেখে আর তার মাঝে তার প্রতি কিছুটা কামনা জেগে উঠে। একসময় সে তাকে কাছে পেতে চায় কিন্তু সেটা সম্ভব না হওয়ায় তার পুরনো স্ত্রীর মাঝেই সে কামনা চরিতার্থ করে। সে সময় ধান পেকেছে । কৃষকের মন খুশিতে ভরপুর। সে তখন সবাইকে আল্লাহর শুকরিয়া করার উপদেশ দিয়ে বেড়ায়। তার গোলা তখন মাজারের চালে ভরে যায়।

এক সময় মজিদ কিছুটা দুঃচিন্তায় পড়ে যায়। কারন আউয়ালপুর গ্রামে নাকি এক পীর এসেছে। মহব্বতপুর সহ আশের পাশের গ্রামের মানুষ দলে দলে তার কাছে যাচ্ছে একটু পদধূলি লাভের আশায়। রাতে তার স্ত্রী তাকে বলল সেই পীর নাকি মানুষ জিন্দা করতে পারে। সে স্ত্রীকে একটা ধমক দেয়, মানুষ আবার মরা মানুষকে কিভাবে জিন্দা করে। যাই হোক সে বুঝতে পারল তার সময় ঘনিয়ে এসেছে য দিনা এর একটা বিহিত করে। পরের দিন সে সূর্য যখন মাথা থেকে হেলে পরেছে সে আউয়ালপুর গ্রামে গেল। দেখল বটগাছের নিচে সেই পীর সাহেব বসে আছেন আর উপদেশ দিচ্ছেন। ভক্তরা তার পদধূলি লাভে ব্যস্ত। তাদের ঠেলাঠেলির কারনে এক সময় পীর সাহেব রাগে গাছে উঠে গেলেন। ভক্তরা ভয় পেয়ে গেল। পীর সাহেব যদি উপরে চলে যান তবে তাদেরকে আলোর পথ দেখাবে কে। একজন বলে উঠল পীর সাহেব নাকি সূর্যকে আটকিয়ে রাখতে পারেন। তাই তারা নামাজ পড়া দেরি হলেও কাজা হওয়ার ভয় নাই। নামাজ শেষে মজিদ চিৎকার দিয়ে উঠলো এইটা একটা গর্হিত ও বেশরিয়তী কাজ। কারন এখন আসরের সময় হয়েছে আর তারা যোহরের নামাজ আদায় করেছে। তারা বলল তাদের পীর সূর্যকে আটকে রেখেছে। কিন্তু মজিদ তাদের ছায়ার দৈর্ঘ্য মেপে দেখতে বলল। তখন দেখা গেল আসলে আসরের সময় হয়ে গেছে। মজিদ তখন তাদের একহাত নিল আর হাক দিল কে কে মহব্বতনগর গ্রামে যাবে। সে সবাইকে নিয়ে গ্রামে চলে এলো, রাতে সে সবাইকে নিয়ে বৈঠক করল এই ব্যাপারে। সে তাদের আউয়ালপুরের পীরের কাছে কাউকে যেতে নিষেধ করল। একদল যুবক জিহাদী জোশে আউয়ালপুরের পীরের দরবারে আক্রমন করল কিন্তু তারা মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হল। তাদেরকে দেখতে মজিদ হাসপাতালে গেল। তাদেরকে সান্তনা দিল এই বলে যে তারা বড় সোয়াবের কাজ করেছে। তবে মজিদের মনে ভয় যায় না। 



Maruf Mahmood 

No comments:

Post a Comment